শীতের প্রকোপ কমছেনা উত্তরের জেলা নীলফামারীতে। কয়েকদিনের টানা শৈত্যপ্রবাহে ব্যাপকহারে আলু ক্ষেতে মড়ক ও পচন রোগ দেখা দিয়েছে। নাকাল হয়ে পড়েছে এ জেলার মানুষজন। ঘন কুয়াশার সাথে ঠান্ডা হাওয়া চরম বিপাকে ফেলেছে সাধারন মানুষকে। সেইসাথে সুর্য়ের দেখা না মেলায় স্থবিরতা নেমে এসেছে জনজীবনে। প্রচন্ড ত্যৈপ্রবাহের কারণে ব্যাপকহারে আলু ক্ষেতে মড়ক ও পচন রোগ দেখা দিয়েছে। এতে করে উত্তরের সবজিখ্যাত জেলার কৃষকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে। শীতের কারণে আলু ক্ষেতে রোগের কারণে আলু গাছের পাতা লাল লাল হয়ে মওে যাচ্ছে তরতজা সবুজ আলুর গাছ। এ রোগ মহামারী আকাওে ছড়িয়ে পড়লে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা পূরন হবেনা বলে ধারনা করছেন অত্র এলাকার আলু চাষিরা। নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে নীলফামারীতে ২২ হাজার ২৭০ হেক্টও, রংপুর জেলায় ৫১ হাজার ২৭৫ হেক্টও, লালমরিহাট জেলায় ৫ হাজার ৩৮৫ হেক্টর, কুড়িগ্রাম জেলায় ৬ হাজার ২৩১ হেক্টর,ও গাইবান্দা জেলায় ৭ হাজার ৫৮৭ হেক্টও জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। নীলফামারী সদর ডেমার, ডিমলা, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলারবেশিরভাগ কৃষক শীত জনিত রোগের কারণে আলু ক্ষেত নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কৃষকরা আক্রান্ত ক্ষেতে ছত্রাক নাশক নিয়মিত স্প্রে করেও কোন প্রকার সুফল পাচ্ছেনা। কিশোরগঞ্জ উপজেলার আলু চাষী আইয়ুব আলী, নুর আলম, শাহজাহান জানান, ডিমলা উপজেলার শহর আলী, অহিদুল ইসলাম, আবদুর রউফ, জলঢাকা উপজেলার নারায়ন,সহিদুল,লালমন ডোমার উপজেলার জাবেদ জামাল,আশরাফুল ইসলাম জানান, তারা প্রত্যেকে প্রতি বছর ৫থেকে ৭ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেন। কিন্তু এখন আলু বাড়ন্তের মুখ্যম সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে মড়কসহ পচন রোগে আলুর আশানুরূপ ফলন নিয়ে তারা শঙ্কিত তারা।