নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি পুলিশ। তবে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় ৫০০ ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছে। গত বুধবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় এ মামলা করে। জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, হকার ইস্যুতে গত ১৬ জানুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়ের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। কোনো পক্ষে এখনো মামলা করা হয়নি। তবে গত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০ জনকে আসামি করা হয়ছে। এ মামলার সঙ্গেই উভয় পক্ষের করা আবেদন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান পুলিশ সুপার। এর আগে গত সোমবার রাতে সিটি করপোরেশনে আইন কর্মকর্তা জি এম এ ছাত্তার বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজারজনকে আসামি করে মামলার আবেদন করেন। নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাতে হকার রাখা ও উচ্ছেদ নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীর সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বের জের ধরে ১৬ জানুয়ারি বিকেলে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে যাওয়ার সময় হকার ও শামীম ওসমানের সমর্থকদের সঙ্গে মেয়র আইভীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। প্রতিপক্ষের লোকজন মেয়র আইভীকে পিটিয়ে ও বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করে। এতে আহত হয়ে রাস্তার ওপর বসে পড়েন আইভী। সমর্থকরা মানবদেয়াল তৈরি করে আঘাত সহ্য করে তাঁকে প্রাণে রক্ষা করেন। পরে মেয়র আইভী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ওই ঘটনার জন্য দায়ী। তাঁর কর্মী নিয়াজুল দুই গজ দূরে দাঁড়িয়ে থেকে পিস্তল উঁচিয়ে তাঁকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। এ ঘটনার একদিন পর ১৮ জানুয়ারি নিজ কার্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করেন, রক্তচাপও কমে যায়। বমিও করেন। পরে তাঁকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।