দারিদ্র্য দূরীকরণে দাতব্য কাজে মনযোগী হওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তারিথ
: ০৪-১১-২০১৭
অনলাইন ডেস্ক :
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সমাজের বিত্তশালী লোক ও করপোরেশন সংস্থাসমূহের প্রতি জাকাত, ওয়াকফ-এর মত হিতকর কাজে মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, এসব কার্যক্রম লোকদের দারিদ্র্য থেকে মুক্তিদানে সরকারের জন্য সহায়ক হবে।
আজ শনিবার নগরীর একটি হোটেলে এক আন্তর্জাতিক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, স্বল্প সুবিধা প্রাপ্ত লোকদের দারিদ্র্যের চক্র থেকে বের করে আনতে আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। দারিদ্র্য নির্মূলকরণ, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ওয়াকফ’র সম্পদ সরকারের কাজে সহায়ক হতে পারে।
ইসলামিক রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) ও সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী ‘রিভাইভাল অব ওয়াকফ ফর সোসিও ইকনোমিক ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এই কর্মশালার আয়োজন করে। আইবিবিএল-এর চেয়ারম্যান আরাস্তা খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আবদুল হামিদ সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের সহায়তাকল্পে জাকাত ও ওয়াকফসহ বিভিন্ন ইসলামিক আর্থিক ব্যবস্থার নির্যাস বের করতে একটা পূর্ণ প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি কতিপয় মুসলিম দেশে ওয়াকফ সম্পদের সকল প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সমাজের বৃহত্তর কল্যাণে ওয়াকফ সম্পদের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের লক্ষ্যে ওয়াকফকে সংস্কার ও আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশে ওয়াকফ সম্পদ নিজস্ব আইন ও নিয়ম দ্বারা পরিচালিত হয়, তবুও এর সংস্কার ও আধুনিকায়ন প্রয়োজন।
ওয়াকফ ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব আয়ের অন্যতম বড় উৎস হিসেবে ভূমিকা পালন করে এবং শিক্ষার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা, দারিদ্র্য দূরীকরণ ও সমাজের কল্যাণে মুসলিম ইতিহাসের স্বর্ণযুগে বিশাল অবদান রেখেছে।
রাষ্ট্রপতি ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর ভিত্তি করে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা ও মসজিদ গড়ে ওঠার উল্লেখ করে বলেন, এটি সমাজ ও সংস্কৃতির গভীরে ওয়াকফ’র অবস্থানের ইঙ্গিত বহন করে। বাসস