পটুয়াখালীতে অধ্যক্ষের কারনে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি মারুফা
তারিথ
: ০৩-০২-২০১৮
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর মরিচবুনিয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের (ভোকেশনাল) এর প্রধান জাকির হোসেনের গাফলতির কারনে ২০১৮ সালের এএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি মারুফা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী। এমন অভিযোগ এনে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই ছাত্রী।
শুক্রবার রাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রী ও তার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, ২০১৫ সালে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের আওতায় আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী বিদ্যালয় হতে জেএসসি পাশ করে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া টেকনিক স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হয় মারুফা। ভর্তি হওয়ার পর নিবন্ধন হওয়ায় অন্য প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় নবম শ্রেনী বোর্ড সমাপনী পরীক্ষার ফরম পূরনের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ জাকির হোসেন ৪ হাজার টাকা নিয়ে নিবন্ধন কার্ড ও প্রবেশপত্র প্রদান করেন। কিন্তু প্রদানকৃত প্রবেশ পত্রে মোসাঃ মারুফা স্থানে দোলা সাহা, পিতা জাকির সিকদারের নামের স্থানে গৌতম সাহা এবং মাতার নাম মোসাঃ খাদিজা বেগমের বদলে মুক্তা সাহা লিপিবদ্ধ হয়। বিষয়টি অধ্যক্ষ জাকির হোসেনকে জানানো হলে তিনি মারুফার কাছ থেকে প্রবেশ পত্র’র ভুল সংশোধনের জন্য দুই হাজার টাকা নেয়। এরপর ২০১৭ সালে ১০ম শ্রেনীর সমাপনী পরীক্ষার ফরম পূরনের জন্য বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ১৫শ,৫০ টাকা পরিবর্তে ফরম পূরনের জন্য চার হাজার এবং ভুল সংশোধনের জন্য আরও দুই হাজার টাকা নেয়া হয় মারুফার কাছ থেকে। ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার একদিন আগে অধ্যক্ষ জাকির হোসেন মারুফাকে একটি প্রবেশ পত্র হাতে ধরিয়ে দেয়। যার পূর্বের প্রবেশ পত্রের মতই ভুলে ভড়া। ভুলে ভড়া প্রবেশ পত্রে আশংকা থাকার কারনে মারুফা পরীক্ষায় অশং নেয়নি। এবিষয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ও জেলা এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানালে তিনি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেবার জন্য বলেন।