শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দক্ষতা নির্ভর কারিগরি শিক্ষাই কেবল পারে দেশকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে মুক্ত করে সরকারের নির্ধারিত সময়ে মধ্যম ও উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তর করতে। তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, আর এরমধ্যে কারিগরি শিক্ষাকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে দুই দিনব্যাপী ‘বিল্ডিং ব্যান্ড ফর স্কিলস অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ-এর ‘স্কিলস এ- ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (এসটিইপি)’ আয়োজিত দেশের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: আলমগীরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশনস্ কর্মকর্তা ড. মো: মোখলেসুর রহমান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, স্টেপ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এ বি এম আজাদ, বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধি শিরো নাকাতা, সিঙ্গাপুরের নানইয়াং পলিটেকনিকের পরিচালক এন্থনি উন, জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, বিশ্বব্যাংকের চীন প্রতিনিধি লিপিং ঝিয়াও, বিশ্বব্যাংক ভারতের প্রতিনিধি শবনম সিনহা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কিলস কাউন্সিল ফর আইসিটি’র চেয়ারম্যান শাফকাত হায়দার প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সম্মেলনে বাংলাদেশসহ চীন, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, ভারত ও স্কটল্যান্ডের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, অধ্যক্ষ, শিল্প-কারখানার মালিক উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষাই হবে দেশের টেকসই উন্নয়নের মূল হাতিয়ার। কারিগরি শিক্ষাই কেবল পারে অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে। চলমান বিশ্বের উপযোগী করে শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে হবে। নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিশ্বের উন্নত যে কোন দেশে কারিগরি শিক্ষার হার শতকরা ৬০ এর অধিক। আমরা এখনো অনেক পেছনে পড়ে আছি। তবে ২০০৯ এর আগে এ হার ১% ছিল। বর্তমানে তা ১৫%-এ উন্নীত হয়েছে। আমাদেরকে ২০২০ সালের মধ্যে এ হার ২০% এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০%-এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রণয়ন করা হয়েছে বাস্তবভিত্তিক কর্ম-পরিকল্পনা।