নেপালে বেড়াতে গিয়ে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় আহত আলমুন নাহার অ্যানি সুস্থ হয়ে এক মাস পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আবাসিক সার্জন ড. হোসেইন ইমাম গতকাল মঙ্গলবার জানান, সুস্থ হয়ে ওঠায় অ্যানিকে হাসপাতাল ছাড়ার অনুমতি দিয়েছেন তারা। অ্যানি এখন ভাল আছে, তার শারীরিক কোনো সমস্যা নেই। তবে তাকে নিয়ম করে এসে সাইকোথেরাপি নিয়ে যেতে হবে। ইউএস-বাংলা দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে যারা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তাদের মধ্যে অ্যানিই সবার শেষে বাড়ি ফিরলেন। এর আগে গত ৮ এপ্রিল শাহরিন আহমেদকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেন চিকিৎসকরা। ড. হোসেইন ইমাম বলেন, শাহরিনকে ছুটি দেওয়ার পর অ্যানি একা পড়ে গিয়েছিল। কয়েকদিন ধরেই ও চলে যেতে চাইছিল। যেহেতু ওর এখন শারীরিক কোনো সমস্যা নেই, তাই ছেড়ে দিয়েছি। গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হলে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫০ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৭ জন ছিলেন বাংলাদেশি। ওই দুর্ঘটনায় অ্যানি প্রাণে বেঁচে গেলেও তার স্বামী আলোকচিত্রী ফারুক হোসেন প্রিয়ক আর তাদের শিশু সন্তান প্রিয়ন্ময়ী তামারা দেশে ফিরেছে লাশ হয়ে। নেপালের হাসপাতালে চার দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর গত ১৬ মার্চ ঢাকায় নিয়ে এসে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয় অ্যানিকে। স্বজনরা ১৯ মার্চ তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে গেলেও পরে তাকে আবারও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হতে হয়। ওই দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া নয় বাংলাদেশির মধ্যে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমরানা কবির হাসি ও ডা. রেজওয়ানুল হক শাওনের অবস্থার উন্নতি হওয়ায় শিগগিরই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান ডা. হোসেইন ইমাম। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, এ মাসের ২৪ তারিখে হাসি ও রেজওয়ানুলকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তবে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কবির হোসেন এখনও শঙ্কামুক্ত নন। তার ডান পা আগেই কেটে ফেলতে হয়েছিল। বাঁ পাও কেটে ফেলতে হবে কিনা তা দুই-একদিনের মধ্যে জানা যাবে বলে জানান ডা. ইমাম।