সরকারি চাকরিতে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারের সন্তানদের অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ নামে একটি সংগঠন।
শনিবার দুপুুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক গণসমাবেশ থেকে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা। একইসঙ্গে সরকারি চাকরিতে স্বাধীনতাবিরোধীদের সন্তানদের বরখাস্তের দাবিও জানান তারা।
আমরা মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের সভাপতি সাজ্জাদ বলেন, বাধ্যতামূলকভাবে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখে বিসিএস’র প্রিলিমিনারি থেকে তা কার্যকর করতে হবে। ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখে তা বাস্তবায়নে কমিশন গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে যারা হামলায় জড়িত তাদের বিচার করতে হবে।
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীন বলেন, আন্দোলনে চক্রান্তের মূলে ছিল জামায়াত-শিবির। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্তিযোদ্ধাদের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়। তাদের অনেকে নিজেদেরকে প্রকাশ্যে রাজাকারের বাচ্চা হিসাবে ঘোষণা পর্যন্ত দিয়েছিল। এই রাজাকারের বাচ্চাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এরপর থেকে এই রাজাকারের বাচ্চারা যেখানে দাঁড়াবে, তাদেরকে সেখানে প্রতিহত করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আ ক ম জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা এখানে করুণা নিতে আসিনি। আমাদের পরিবারের রক্তের অধিকার নিতে এসেছি। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্র আমরা বানচাল করে দেব।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মেহেদি হাসান বলেন, প্রিলিমিনারি থেকে কোটার বাস্তবায়ন আমরা চাই। কোটার বিপরীতে যেসব শূন্য পদ আছে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে পূরণ করতে হবে।