খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও আমাদের শঙ্কা রয়েছে: রিজভী
তারিথ
: ০৯-০৫-২০১৮
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচনে জিতবে না জেনেই সরকার নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। খুলনার আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। রিজভী বলেন, ‘আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও আমাদের শঙ্কা রয়েছে।’ গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনকে হুকুমের গোলাম বলে মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার জানে, জনগণ তাদের সঙ্গে নেই। তাই ভোট হলে আওয়ামী লীগ পরাজয় বরণ করবে। তাই গাজীপুর সিটির নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাটক করেছেন। আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়েও আমাদের শঙ্কা রয়েছে। শেষ মুহূর্তে এই সিটির নির্বাচনও আবার স্থগিত করতে পারে পরাজয়ের ভয়ে। রিজভী অভিযোগ করে বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেখ হাসিনা নিজেদের লোক দিয়ে স্থগিত করিয়েছেন। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন নির্বিকার। তাদের ভূমিকা হুকুমের গোলামের মতো। তারা এতদিন পরে এসে এখন আপিল করেছে রিটের বিরুদ্ধে। এটিও সরকারের ইচ্ছাতেই করা হয়েছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব খুলনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার ও আটকের তীব্র নিন্দা জানান। একই সঙ্গে তিনি অবিলম্বে এই গ্রেফতার অভিযান বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিও আহ্বান জানান। রিজভী বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করবেন না। তাদের সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দিন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় আসা, বিডিআর বিদ্রোহ ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাস আওয়ামী লীগ সরকারের একটা মাস্টারপ্ল্যানের অংশ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার একটি মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে ক্ষমতায় এসেছে। যে মাস্টারপ্ল্যানের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসেছে, সরকার গঠনের পরপরই সেগুলো বাস্তবায়ন শুরু করেছে। এর প্রথম ঘটনা ঘটে তাদের সরকার গঠনের কিছুদিন পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ঘটায়। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার এক এক করে সুপরিকল্পিতভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে চলেছে। আইন, বিচার, আদালত, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবকিছুকেই দলীয়করণের মাধ্যমে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানোও সরকারের একটি মাস্টারপ্ল্যান। সরকার তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে শান্ত হয়নি। এখন তার জামিনও বিলম্বিত করছে। হাইকোর্ট জামিন দিলেও আপিল বিভাগের মাধ্যমে তা আটকে দিয়েছে সরকার। দুদিন আপিল বিভাগে শুনানি শেষে এখন রায় ঘোষণার জন্য আগামি ১৫ মে মঙ্গলবার দিন ঠিক করেছে। এসব কিছুই সরকারের ইচ্ছেতেই হচ্ছে। আমরা আশা করি, সরকারের কারসাজি উপেক্ষা করে আদালতের জামিন নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন।