কলমাকান্দায় উদয়পুর মিতালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হত্যার অভিযোগ
তারিথ
: ০৩-০৭-২০১৮
সোলায়মান হোসেন রুবেল,নেএকোনা থেকে :
নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা থানার বড়খাপন ইউনিয়নের উদয়পুর মিতালী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে বেতন বকেয়া রেখে পরীক্ষা দিতে নিষেধ করায় গত রবিবার দুপুরে শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা কয়েকজন মিলে প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দুলালকে (৫০) মারধর ও লাঞ্ছিত করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। উদয়পুর মিতালী উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা ও ঐ একাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় কলমাকান্দার উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে উদয়পুর মিতালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মারুফ ৭০০ টাকা বেতনের আর পরীক্ষার ফি বকেয়ার মধ্যে রবিবার ২০০ টাকা নিয়ে পরীক্ষা দিতে আসে।প্রধান শিক্ষক তাকে পুরো বেতন-পরীক্ষার ফি নিয়ে আসতে তা না হলে পরীক্ষা দেয়া যাবে না বলে জানান।মারুফ বিষয়টি তার বাবা চাঁন মিয়াকে জানায়। এতে চাঁন মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকজনকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন এবং প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষককে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন।এতে তিনি গুরুত্বর আহত ও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা তাকে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে তাড়াতাড়ি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান ঐ দিন আনুমানিক ৯টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এদিকে মৃত দেলোয়ারের হোসেন দুলাল (৫০)ূ একেই থানার পুগলা ইউনিয়নের বাসীন্দা তার পরিবারের সাথে কথা বললে কান্না ভরা কন্ঠে তারা জানায়,বেশ কয়েক মাস যাবত ধরে স্কুল কমিটির সাথে কোন এক বিষয় নিয়ে মামলা চলছিলো তাদের আকুতি হলো পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।তারা আরো বলেন গত রবিবার কলমাকান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার জজ মিয়াকে আটক করেন এবং কয়েক ঘন্টা পর তাকে ছেড়ে দেন। এই বিষয়ে মারুফের বাবা চাঁন মিয়াকে মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। কলমাকান্দা থানার (ওসি) একে, এম, মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলে জানাযায়,গত রবিবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ঐ এলাকার চাঁন মিয়ার সাথে সমস্যা হয়েছে শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একজনকে জিঙ্গাসা বাদের জন্য থানায় খবর দিয়ে আনা হয়।আর কোন আসামী আটক করা হয়নি, তিনি আরো বলেন সোমবার সকালে দেলোয়ারের পরিবার ও এলাকাবাসীরা থানা ঘেরাও করে ৮-১০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসমী ধরার জন্য আমাদের পুলিশ মাঠে কাজ করছে।