রাজধানীর বাজারে বেড়েছে মসলার দাম। বেশি চাহিদা থাকা জিরা, এলাচ ও দারুচিনির দাম বেশ খানিকটা বাড়তি ঈদের আগ থেকেই। আর নতুন করে কিছু মসলায় বাজেটের প্রভাব পড়েছে বলেও জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া পাইকারি তুলনায় বেশি মূল্য ধরা হচ্ছে খুচরা ক্রেতাদের কাছ থেকে। খুচরা পর্যায়ে যে জিরা কিছুদিন আগে ৩৮০ টাকা দরে পাওয়া যেত, সেটা এখন ৪৫০ টাকা। ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকার দারুচিনি এখন ৪শ’ থেকে ৪২০ আর মোটামুটি মানের এলাচ কিনতে প্রতি কেজিতে গুণতে হবে প্রায় ১৮০০ থেকে দুই হাজার টাকা। গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মানভেদে প্রতি ১শ’ গ্রাম জিরার দাম চাওয়া হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা। প্রতি ১শ’ গ্রাম এলাচ ১৭০ থেকে ২শ’ টাকা এবং ১শ’ গ্রাম দারুচিনির দাম ধরা হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. জসীম আহমেদ বলেন, কিছুদিন আগেও জিরা কেনা যেত কেজি প্রতি ৩৩০ টাকা দরে, এরপর সেটা ৩৫০ টাকা হলো। এখন কিনতে হচ্ছে ৩৮০ টাকা কেজি দরে। এলাচের দামও বাজেটের পর কেজিতে ১৫০-২শ’ টাকা বেড়েছে। আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে মসলার দাম আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাজারে প্রায় স্থিতিশীল রয়েছে হলুদ ও ধনিয়ার দাম। গুঁড়া হলুদ ২৪০ টাকা কেজি আর ধনিয়া ৩শ’ টাকা। আর প্রতি ১শ’ গ্রাম পাঁচফোড়নের জন্য বাজারভেদে গুণতে হবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং কালিজিরা ২৫ টাকা। বাজারে সাদা সরিষা ও কালো সরিষার দাম প্রায় একই। খুচরা বাজারে এগুলোর দাম ধরা হচ্ছে ১শ’ গ্রাম ৩০ টাকা। আর গোল মরিচ প্রকারভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা প্রতি ১শ’ গ্রাম এবং জয়ফল রাখা হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা প্রতি পিস। চাল, চিনি, লবণ, রসুন, মাছ ও মাংসের চড়া দামের মধ্যে এবার মসলা কিনতেও বাড়তি ব্যয় করতে হবে ক্রেতাদের। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মসলার দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ দুটি। একদিকে বাজেটে সরকার মসলা আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়েছে, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারদরও বেড়েছে। এছাড়া কিসমিসের দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা ও দারুচিনি কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে খুচরা পর্যায়ে। তবে গোলমরিচ, লবঙ্গসহ অন্য মসলার দামে হেরফের হয়নি। অবশ্য মসলার দামে খুচরা ও পাইকারি বাজারের পার্থক্য অনেক। এসব পণ্য যেহেতু খুব কম পরিমাণে বিক্রি হয়, সেহেতু খুচরা ব্যবসায়ীদের মধ্যে লাভ বেশি করার প্রবণতা দেখা গেছে সব বাজারেই।