ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে টালমাটাল দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন। ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিরোধের সূত্র ধরে সোমবার পদত্যাগ করেছেন মন্ত্রীসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন।
বরিস জনসনের পদত্যাগের কয়েকঘন্টা আগে মন্ত্রী সভা থেকে সড়ে দাঁড়ান ব্রেক্সিট বিষয়ক সচিব ডেভিড ডেভিস। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে যুক্তরাজ্যের দরকষাকষিতে ডেভিস মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন।
সোমবার রাতে ডাউনিং স্ট্রিটের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে বরিস জনসনের পদত্যাগপত্র আজ সোমবার বিকেলে গৃহীত হয়েছে। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম শিগগির ঘোষণা করা হবে। বরিসের কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের পরিকল্পনাটি শুক্রবার (৬জুলাই) মন্ত্রী সভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। ওই বৈঠকেই পরিকল্পনা নিয়ে মন্ত্রী সভার মধ্যে মত বিভেদ ছিল। রবিবার গভীর রাতে দেয়া পদত্যাগ পত্রে এই পরিকল্পনার কঠোর সমালোচনা করেন ব্রেক্সিট সচিব ডেভিস।
পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেন, প্রধানমন্ত্রী মে যে নীতি আর কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন তাতে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে পারবে বলে তার মনে হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর এই পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যকে দরকষাকষিতে দুর্বল অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মে তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে সোমবার পার্লামেন্টের মুখোমুখি হওয়ার আগে ডেভিস ও বরিসের পদত্যাগ সরকারের জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে এল। কেননা প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট পরিকল্পনা দিয়ে তিনি নির্বাচনে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে জয় পেতে চেয়েছিলেন। দুই ঘনিষ্ঠজনের পদত্যাগে এখন টেরেসা মে’র রাজনৈতিক ভবিষ্যত সংকটাপন্ন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের গণভোটে ব্রিটেনের জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। এই বিচ্ছেদকেই বলা হচ্ছে ব্রেক্সিট, যা ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে শেষ করতে দুই পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি চলছে।