চরম ঝুঁকিপূর্ণ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে থাইল্যান্ডের গুহায় আটকা পড়া দলটির সবাইকে বাইরে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছেন ডুবুরিরা। শ্বাসরুদ্ধকর এই দুঃসাহসিক অভিযান শেষে সবাই যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। বিদেশি সংবাদ মাধ্যম একে অভাবনীয় সফল অভিযান আখ্যা দিয়েছে।
মঙ্গলবার কোচসহ পাঁচজনকে বের করে আনা হয়। এর আগে গত দুদিন ধরে অভিযান চালিয়ে আটজনকে গুহা থেকে বের করে আনা হয়েছিল। থাম লুয়াং গুহা ভিতরের এই অভিযান বিশ্বব্যাপী সবার মনোযোগ কেড়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যার কারণে গত ২৩ জুন এই দলটি গুহার ভেতর আটকা পড়ে। পরে গত সপ্তাহে তাদের সন্ধান পায় ডুবুরিরা।
থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পড়া ১২ কিশোর ফুটবলারের শেষজনকে উদ্ধারের পর ভেতরে ছিলেন কেবল তাদের কোচ। সবশেষ তাকে বের করে আনার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো অভিযান। দুই সপ্তাহ আটকে থাকার পর গত তিন দিনের উদ্ধার অভিযানে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হলো। দেশটির নৌবাহিনী ১৩ জনেরই উদ্ধার হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে সবাই সুস্থ আছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন একে অভাবনীয় সফল অভিযান আখ্যা দিয়েছে। গত ২৩ জুন ফুটবল অনুশীলন শেষে ২৫ বছর বয়সী কোচসহ ওই ১২ কিশোর ফুটবলার গুহাটির ভেতরে ঘুরতে গিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে গুহার প্রবেশমুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা আর বের হতে পারেনি। এরপর টানা ৯ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২ জুলাই গুহার ভেতরে জীবিত অবস্থায় তাদের শনাক্ত করেন ডুবুরিরা। রোববার (৮ জুলাই) থাইল্যান্ড সরকার তাদের উদ্ধারে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
অভিযান শুরুর দিন রোববার চারজন এবং সোমবার আরও চারজনকে উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত যৌথ কমান্ড সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক নারোংসাক ওসোতানাক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, অবশিষ্ট পাঁচজনকে একই সময়ে বের করে নিয়ে আসা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৮ মিনিটে ১৯ জন ডুবুরি গুহায় প্রবেশ করেছেন। সোমবার দিবাগত রাতের প্রবল বৃষ্টির পরও গুহার পরিস্থিতির তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। মঙ্গলবার চারজন কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারের মধ্য দিয়ে অভিযান শেষ হয়।