মাত্র ৫ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে কাইরান ত্রিপিয়ারের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। ডি বক্সের অনেকটা বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে গোল করেছিলেন তিনি। প্রথমার্ধে এই এক গোলে পিছিয়ে থাকা ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফিরিয়েছেন ইভান পেরিসিক। ৬৮ মিনিটে ডান দিক থেকে উড়ে আসা বল এক ইংলিশ ডিফেন্ডারের মাথার উপর দিয়ে শট নেন পেরিসিক। নান্দনিক এই শটেই লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হয় ক্রোয়েটরা। সেই সুবাদে ম্যাচে সমতায় ফেরাতে সক্ষম হয় দলটি।
এর আগে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের এই লড়াই শুরু হয়েছে। এর আগে বেলজিয়ামকে প্রথম সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে ১৯৯৮ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স।
২০ বছরের অপেক্ষা শেষে বিশ্বকাপের আবার সেমিফাইনাল মঞ্চে পা রেখেছে ক্রোয়েশিয়া। ইংল্যান্ডের জন্যেও অপেক্ষাটা কিছু কম নয়। শেষবার ইংল্যান্ড সেমিফাইনাল খেলেছিল বার্লিন দেয়াল ভাঙার আগের বছর। ১৯৯০ এর পরে কেটে গেছে আরো ২৮ বছর; এই সময়ে আর সেমিফাইনাল খেলেনি তারা। আজকের এই সেমিফাইনাল তাই সীমাহীন মাহাত্ম নিয়ে হাজির হয়েছে দুই দলের কাছেই।
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, জার্মানির ভীড়ে হয়তো কেউ কল্পনাও করেনি এদের টপকে সেমিতে খেলতে নামে ক্রোয়েশিয়া-ইংল্যান্ড। কিন্তু দুই দল তাদের দুর্দান্ত ক্রীড়া নৈপুণ্য দিয়েই এতদূর এসেছে। দ্বিতীয় পর্ব এবং কোয়ার্টার ফাইনালের দুটো ম্যাচেই ১২০ মিনিট শেষে টাইব্রেকার জিতে সেমিতে এসেছে ক্রোয়েশিয়া। অন্যদিকে দ্বিতীয় পর্বে বিশ্বকাপে নিজেদের টাইব্রেকার দুঃস্বপ্নকে জয় করেছে ইংল্যান্ড।