বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের ব্যাপারে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জুলােই) সকালে সফররত মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সাবু সৌজন্য সাক্ষাৎকালে একথা জানানো হয়। খবর বাসস’র
বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং সফররত মালয়েশীয় মন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যু এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের দেশে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ারমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য তাঁর সরকার একটি দ্বীপের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে যেখানে তাদের স্থানান্তর করা হবে।
মালয়েশীয় মন্ত্রী বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে বলেন, তাঁর দেশ এসব রেহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মাহাথির মোহাম্মদের প্রতি তাঁর শুভেচ্ছা জানান।
তিনি এ সময় মালয়েশীয় সংসদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য এবং মাহাথির মোহাম্মদের মন্ত্রী সভার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করায় মোহাম্মদ বিন সাবুকেও শুভেচ্ছা জানান।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মালয়েশীয় মন্ত্রী এ সময় দুই দেশের মধ্যেকার বিদ্যমান চমৎকার ভাতৃপ্রতীম সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরো ঘনিষ্ট হবার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সম্পদশালী দেশগুলো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের উন্নয়নের গতিকে আরো ত্বরান্বিত করতে পারে। এ সময় তিনি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাঁর মালয়েশিয়া সফরের কথাও স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় মালয়েশীয় মন্ত্রীকে দেশের কৃষিখাতে উন্নয়নের বিষয়ে অবহিত করেন, লবনাক্ততা ও ক্ষরা সহিষ্ণু ধান উৎপাদনের সাফল্য এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জনের বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বৃহত্তর মুসলিম ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভাতৃঘাতি সংঘাত খুব দুর্ভাগ্যজনক।
মোহাম্মদ বিন সাবু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।