পদোন্নতির জন্য প্রথম বারের মত পরীক্ষা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ৫৪ জন কর্মকর্তা। শুক্রবার সকালে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপ-পরিচালক থেকে পরিচালক ও সহকারী পরিচালক থেকে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতির জন্য এক ঘণ্টার এ লিখিত পরীক্ষা হয়।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ৪০, বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন ৩০ এবং জ্যেষ্ঠতায় ৩০ শতাংশ নম্বর বরাদ্দ রয়েছে।
পরিচালক থেকে মহাপরিচালক, উপপরিচালক থেকে পরিচালক, সহকারী পরিচালক থেকে উপ-পরিচালক, উপ-সহকারী পরিচালক থেকে সহকারী পরিচালকসহ সকল ক্যাটাগরিতে পদোন্নতির জন্য আলাদা সিলেবাসও প্রণয়ন করেছে কমিশন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪; দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা- ২০০৭; দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭; মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২, সাক্ষ্য আইন- ১৮৭২; দণ্ডবিধি- ১৮৬০ সহ বিভিন্ন আইন ও বিধি এই সিলেবাসের অর্ন্তভুক্ত।
এখন থেকে প্রতিবছরই পদোন্নতির জন্য এই লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয় অফিস আদেশে। সেখানে বলা হয়, কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী তিনবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েও উত্তীর্ণ হতে না পারলে তিনি আর পরীক্ষা দিতে পারবেন না।
গত ১৮ এপ্রিল দুর্নীতি দমন কমিশনের সচিব মো. শামসুল আরেফিনের স্বাক্ষরে দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা- ২০০৮ এর বিধি অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতির পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সিলেবাস, মানবণ্টন ও পরীক্ষা পদ্ধতি অনুমোদন সংক্রান্ত অফিস আদেশ জারি করা হয়।