পাপ্পু’র বদলে ‘ঝাপ্পি’। ‘হিংসা’র বদলা আলিঙ্গন। এরকমই এক অভাবনীয় মুহূর্তের সাক্ষী হলো শুক্রবারের ভারতের লোকসভা। লাইভ সম্প্রচারের সুবাদে সেই ছবি দেখেছে গোটা দেশ।
লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভাষণের ফাঁকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আলিঙ্গন করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। অনেকটা ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’-এর ‘জাদু কি ঝাপ্পি’র মতোই। বাংলায় যার অর্থ আলিঙ্গন। আবার বক্তৃতার শেষে সহ-সাংসদের দিকে তাকিয়ে ইঙ্গিতবহ চোখও মারেন রাহুল। লোকসভার অন্দরমহলে এবং অধিবেশন চলাকালীন শাসক দলের প্রধানকে প্রধান বিরোধী দলের নেতার এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ আলিঙ্গন শেষ কবে দেখেছে ভারত, তা মনে করতে পারছেন না দেশটির বর্ষীয়ান সাংসদরাও।
লোকসভায় চলছিল অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা। বক্তৃতায় ঝড় তুলছেন রাহুল গান্ধি। বিরোধীরাও হইচই করে যথাসম্ভব বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আচমকাই ছন্দপতন। আসন ছেড়ে নেমে এলেন রাহুল। স্পিকারের ডান দিকে কংগ্রেসের বসার জায়গা। মাঝখানে স্পিকারের সামনেই সংসদের কর্মীরা। উল্টোদিকে বিজেপি সাংসদরা।
রাহুল হঠাৎ ওয়েল দিয়ে হাঁটতে শুরু করলেন। মাঝখানের সংসদ কর্মীদের পাশ দিয়ে ঘুরে চলে গেলেন মোদির কাছে। গিয়েই উঠে দাঁড়াতে বললেন। মোদিও ঠিক কিছু বুঝে উঠতে পারছিলেন না। অবশেষে নিজেই ঝুঁকে মোদিকে জড়িয়ে ধরলেন। তারপর আবার নিজের আসনে ফিরে এলেন।
রাহুল তাঁর বক্তৃতার শেষ পর্বে ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাস, রাজনৈতিক পরম্পরার কথা তুলে ধরেন। বলেন, ‘অন্যরা যতই হিংসা, বিদ্বেষ করুন তাকে (রাহুলকে), ভালবাসাই ভারতীয় সংস্কৃতি, ভারতীয় কৃষ্টি। বহু বছর ধরে এই সংস্কৃতি তৈরি করেছে দেশ।’ এবার নেমে এলেন এক্কেবারে ব্যক্তিগত স্তরে। বিজেপি সাংসদদের উদ্দেশে শুরু করলেন নিজেকে দিয়েই, ‘আপনারা আমাকে হিংসা করেন, আমাকে ঘৃণা করেন। কিন্তু আপনাদের প্রতি আমার কোনো রাগ নেই, দ্বেষ নেই। আমি আপনাদের সবাইকে ভালবাসি।