২০১০ সালে মৌসুমী আক্তারের বিয়ে হয়। এরপর আট বছর পেরিয়ে গেলেও মা হতে পারেননি তিনি। অবশেষে গত এপ্রিলে তিনি জানতে পারেন যে, মা হতে যাচ্ছেন। খুশি চমকে পরিণত হয় যখন চিকিৎসক জানান তাঁর গর্ভে একটি বা দুটি নয়, ছয়টি বাচ্চা। কিন্তু এ খুশি বেদনায় পরিণত হলো। গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে পাঁচটি মৃত সন্তান প্রসব করেন মৌসুমী আক্তার। এর আগে গত শুক্রবার রাতে তিনি একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। মৌসুমী আক্তারের স্বামী শেখ রানা জানান, দীর্ঘ আট বছর ধরে তাঁদের কোনো সন্তান হয়নি। গত এপ্রিল মাসে তাঁর স্ত্রীর পেটে সন্তান আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে নওগাঁর একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসোনোগ্রাম করার পর জানতে পারেন তাঁর স্ত্রীর পেটে ছয়টি সন্তান রয়েছে। এরপর থেকে তিনি গাইনি ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু গত শুক্রবার বিকেলে তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্ধ্যার দিকে একটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। এ সময় তাঁর অবস্থার অবনতি হলে রাত ৯টার দিকে তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে গতকাল শনিবার সকালে আরো পাঁচটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। তাঁকে নওগাঁ সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। নওগাঁ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রওশন আরা খানম জানান, গর্ভবতী হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা প্রসব হতে ৩৭ থেকে ৪০ সপ্তাহ সময় লাগে। কিন্তু এই প্রসূতির ক্ষেত্রে গর্ভপাত হয়ে গেছে। যার কারণে মাত্র ১৬ সপ্তাহে ছয়টি মৃত বাচ্চা প্রসব করেছে। মৃত বাচ্চাগুলো ছেলে ছিল বলে চিকিৎসকরা জানান। রওশন আরা আরো জানান, বর্তমানে মৌসুমী আক্তার সুস্থ্ আছেন। একাধিক বাচ্চা গর্ভে থাকলে প্রসূতিকে বিশেষ যতেœ রাখতে হয়। আর মৌসুমীর ক্ষেত্রে ছয়টি বাচ্চা থাকায় তিনি অনেকটাই ঝুঁকিতে ছিলেন।