বেনাপোলে এ বছর রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা
তারিথ
: ২৪-০৭-২০১৮
অনলাইন ডেস্ক :
যশোরের বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে এ বছর প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে বলে স্থানীয় রাজস্ব কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বেনাপোল শুল্কভবনের পরিসংখ্যান শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাহাবুব হোসেন বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেনাপোল থেকে ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। গত অর্থবছর লক্ষ্য ছিল ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আদায় হয়েছিল ৪ হাজার ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। ঘাটতি ছিল ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। গত বছর উচ্চ শুল্কহারের পণ্য কম আমদানি হওয়ায় লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান। তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই লক্ষ্য অর্জনের নিশ্চয়তা নেই বলে দাবি করেছেন। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আইনবিষয়ক সম্পাদক মশিয়ার রহমান বলেন, এখানকার অবকাঠামো উন্নয়ন ও নানা অনিয়ম নিয়ে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় চরম হতাশার মধ্যে থাকতে হয় ব্যবসায়ীদের। অন্য বন্দরের চেয়ে এই বন্দরে আমদানিপণ্যে অতিরিক্ত শুল্কায়নের কারণে এ পথে উচ্চ শুল্কহারের পণ্য আমদানি কমছে। বন্দরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সমস্যা, পণ্যের নিরাপত্তা শঙ্কা ও দিন দিন শুল্ক কর্তৃপক্ষের অযৌক্তিক হারে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ককর বৃদ্ধির কারণে রাজস্ব আদায় কমে যাচ্ছে। তবে এসব পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন জায়গা অধিগ্রহণ ও আমদানি পণ্যের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া বন্দরে অগ্নিকা-ের ঘটনা এড়াতে কেমিক্যাল ও রাসায়নিক পণ্য বন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে স্ক্যানিং ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে আগামীতে অগ্নিকা-ের ঘটনা যেমন কমবে, তেমনি আমদানি বৃদ্ধির সঙ্গে রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে তিনি মনে করেন। লক্ষ্যপূরণের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে এ বন্দরের শুল্কভবনের কমিশনার মোহম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রথম কাজ হিসেবে শুল্কভবনের প্রশাসনকে অধিকতর গতিশীল করতে একযোগে ২০ জন কর্মকর্তার দপ্তর বদল করা হয়েছে। ব্যবসাবান্ধব ও শুল্ককর বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সুশাসন ও আধুনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামোর আওতায় এই রদবদল হয়েছে। এই রদবদল রাজস্ব আদায়ে নতুন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন।