কোরবানির ঈদ সামনে রেখে এবার ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে ৮ অগাস্ট থেকে। ওইদিন ১৭ অগাস্টের ট্রেন যাত্রার টিকেট বিক্রি শুরু হবে বলে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক জানিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রেলভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির সূচি তুলে ধরেন তিনি। মন্ত্রী জানান, আগামি ২২ অগাস্ট ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ধরে ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির এই সূচি ঠিক করা হয়েছে। ৮ থেকে ১২ অগাস্ট ঢাকার কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঈদযাত্রার আগাম টিকেট বিক্রি হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কাউন্টারে এই টিকেট পাওয়া যাবে। ৮ অগাস্ট বিক্রি হবে ১৭ আগস্টের টিকেট। ৯ অগাস্ট বিক্রি হবে ১৮ আগস্টের টিকেট। ১০ অগাস্ট বিক্রি হবে ১৯ আগস্টের টিকেট। ১১ অগাস্ট বিক্রি হবে ২০ আগস্টের টিকেট। ১২ অগাস্ট বিক্রি হবে ২১ আগস্টের টিকেট। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামি ১৫ অগাস্ট থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকা ফেরার আগাম টিকেট বিক্রি করা শুরু হবে। রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট থেকে থেকেও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় এই টিকেট বিক্রি হবে। এদিকে ফিরতি টিকেট বিক্রি হবে ১৫ আগস্ট থেকে। ১৫ অগাস্ট বিক্রি হবে ২৪ আগস্টের টিকেট। ১৬ অগাস্ট বিক্রি হবে ২৫ আগস্টের টিকেট। ১৭ অগাস্ট বিক্রি হবে ২৬ আগস্টের টিকেট ১৮ অগাস্ট বিক্রি হবে ২৭ আগস্টের টিকেট। ১৯ অগাস্ট বিক্রি হবে ২৮ আগস্টের টিকেট। মন্ত্রী জানান, এবার কোরবানির ঈদের আগে চার দিন নয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে বিভিন্ন গন্তব্যে। ঈদের পর আরও ৭দিন এসব বিশেষ ট্রেন চলবে। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে দুটি করে, ঢাকা-রাজশাহী, ঢাকা-দিনাজপুর, ঢাকা-লালমনিরহাট ও ঢাকা-খুলনা রুটে এসব ট্রেন চলবে। এ ছাড়া ভৈরব-কিশোরগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রুটে ঈদের দিন চলবে শোলাকিয়া স্পেশাল। এছাড়া ১৮ অগাস্ট থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আন্তঃনগর রুটের কোনো ট্রেনে সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে না। আগামি ২১ ও ২২ অগাস্ট ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী এবং ২৩ অগাস্ট বন্ধন এক্সপ্রেস চলাচল করবে না বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে প্রতিদিন প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করে। তবে ঈদ উপলক্ষে দৈনিক তিন লাখ যাত্রী চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবার। প্রতিবারের মত এবারও একজন যাত্রীকে সর্বোচ্চ ৪টি টিকেটে দেওয়া যাবে। ঢাকা স্টেশনে ২৬টি কাউন্টার খোলা রাখা হবে এর মধ্যে ২টি কাউন্টার মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে বাড়তি কোচ সংযোজন ও লোকোমোটিভ সরবরাহ করা হবে এবং টিকেট কালোবাজারী প্রতিরোধে সার্বক্ষণিক প্রহরার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, সুষ্ঠ ও নিরাপদ ট্রেন চলাচল নিশ্চিত করতে ট্রেন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রেল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকল প্রকার ছুটি বাতিল করা হবে। অন্যদের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।