অপ্রাপ্তবয়স্ক-অবৈধ চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ
তারিথ
: ৩১-০৭-২০১৮
অনলাইন ডেস্ক :
বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর ক্ষোভ-বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে ঢাকায় গণপরিবহনে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। একই সঙ্গে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে বিআরটিএ এবং ডিএমপিকে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, বিআরটিএ ও বিআরটিসিসহ সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে একটি সভা হয়।
রাজধানীর বর্তমান গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা বিষয়ক ওই সভায়ই এই নির্দেশ দেওয়া হয় বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
রোববার (২৯ জুলাই) দুই বাসের রেষারেষির সময় একটির চাপায় প্রাণ যায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর। এরপর থেকে টানা তিন দিন সড়কে বিক্ষোভ চালিয়ে আসছেন ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, ভাঙচুর হয়েছে কিছু বাসও।
এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে ডেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক-অবৈধ চালকদের ধরার নির্দেশ দিল।
বাংলাদেশে সনদধারী চালকের চেয়ে গাড়ির সংখ্যা বেশি। ফলে অনেক গাড়িই চালাচ্ছেন সনদহীন চালকরা।
বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. ফারুক আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ৩০ জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালকের সংখ্যা ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৩৩২ জন। তবে নিবন্ধিত গাড়ি রয়েছে ৩৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭০টি।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য প্রশিক্ষণহীন এই চালকদেরই অনেকাংশে দায়ী করা হয়ে থাকে।
ঢাকার সড়কে টেম্পুগুলোতে ভুরি ভুরি অপ্রাপ্তবরয়স্ক চালক দেখা যায়।
সড়ক পরিবহন আইনে বর্তমানে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে সর্বোচ্চ ৪ মাসের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
এই শাস্তি কম বলে তা আরও কঠোর করার দাবি রয়েছে। সড়ক পরিবহন আইন আরও কঠোর করার উদ্যোগ থাকলেও পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর বিরোধিতায় তা এখনও ঝুলে আছে।