দ্বিতীয় সন্তানও কন্যা। হতাশ হয়েছিলেন বাবা আলি বক্স। দরিদ্র পরিবারে কে রোজগার করবে? শিশুর জন্মের পর ডাক্তারকে পর্যন্ত দেওয়ার মতো টাকা ছিলো না। ঠিক করলেন অনাথ আশ্রমে রেখে আসবেন। করলেনও তাই। কিন্তু কোথাও বোধহয় মানবিকতা বেঁচে ছিলো। কিছুক্ষণ পরেই কন্যাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। এভাবেই জীবন যাত্রা শুরু হয়েছিলো ভারতীয় চলচ্চিত্রের ট্র্যাজেডি কুইন মীনা কুমারির। বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স হতো ৮৫। কিন্তু মাত্র ৩৮ বছর বয়সেই মৃত্যু হয় তার। তবে মৃত্যুর পক্ষেও শিল্পীর স্মৃতিকে কেড়ে নেওয়া সম্ভব নয়। সেই স্মৃতিকে সম্বল করেই ডুডলের মাধ্যমে মীনা কুমারীর জন্মদিন উদযাপন করলো গুগল। ১৯৩৩ সালে ১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন মীনা কুমারি। মাত্র চার বছর বয়সে অভিনয় জগতে পা রাখেন মীনা। তবে নায়িকা হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠা পান ১৯৫২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বায়জু বাওড়া’ ছবির পর থেকে। এ ছবিতে অভিনয় করেই ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড ঘরে তোলেন তিনি। ৩৩ বছরের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ৯২টি ছবিতে। তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘সাহেব বিবি অর গোলাম’, ‘মেরে আপনে’, ‘আরতি’, ‘পরিণীতা’, ‘দিল আপনার অর প্রীত পারাই’, ‘ফুটপাত’, ‘দিল এক মন্দির’ এবং ‘কাজল’। ১৯৫২ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই বিয়ে করেছিলেন পরিচালক কামাল আমরোহিকে। ১৯৭২ সালের ৩১ মার্চ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।