রাজধানীতে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ও ভাংচুরের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। এসময় তারা ঢাকামুখী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল আটটা থেকে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা এসময় গাড়ী ভাঙচুরের ঘটনার জন্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা প্রদান ও সুষ্ঠু বিচারসহ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। এসময় মহাসড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এসময় গণপরিবহনের যাত্রীদের কেউ কেউ এর প্রতিবাদ করলে পরিবহন শ্রমিকরা কয়েকজনকে বেধড়ক পেটায়।
পরে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।
যানজট এক পর্যায়ে মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন গণপরিবহনের যাত্রীরা। পরে হাইওয়ে এবং ট্রাফিক পুলিশ সাইনবোর্ড সহ বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করে যানচলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানান, বাসের নিরাত্তা ও নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। পুলিশ তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। প্রয়োজনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।