বাল্য বিবাহে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কেন দায়ী হবে না
তারিথ
: ৩০-১০-২০১৭
অনলাইন ডেস্ক :
প্রতিটি বাল্য বিবাহের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বাররা এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশনাররা কেন দায়ী থাকবে না, তা জানতে চেয়ে বাল্য বিবাহ রোধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
একই সঙ্গে জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিটি বাল্য বিবাহ নিজ নিজ এলাকায় সম্পন্ন হলে তাদের (স্থানীয় জনপ্রতিনিধি) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পদচ্যুতির আদেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ রুল দেন।
গত ২৮ অক্টোবর ‘২৪ ঘণ্টায় আট বাল্য বিবাহ বন্ধ’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ছাপা প্রতিবেদন দেখে আদালত ওই রুল দেন।
প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে আদালত বলেন, ‘সুস্পষ্টভাবে এখনো বাল্য বিবাহ বন্ধে কার্যকর ভূমিকায় প্রশাসন খুব বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারছে না বলেই প্রতীয়মান হয়। এ অবস্থায় আদালত রুল দেন।’
আদালত বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা বাল্যবিবাহ বন্ধে ভূমিকা রাখবেন না, তা হতে পারে না। প্রতিটি বাড়িতে কার হাড়িতে কী রান্না হচ্ছে, এটা জনপ্রতিনিধিরা ভালো করে জানেন। জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকার এ ধরনের বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটলে তারা দায়ী হবেন। জনপ্রতিনিধি হবেন, দায়িত্ব নেবেন না, তা হবে না।’
জনপ্রশাসন সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইন সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ সচিবকে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি আদালতের এই রুলের কপি প্রতিটি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পাঠাতে জনপ্রশাসন সচিব এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতে এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল উপস্থিত ছিলেন।