স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বৈষম্য ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়তে প্রয়োজন অর্থশাস্ত্র ও নৈতিকতার মধ্যে সমন্বয় সাধন। নৈতিকতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে নীতিমালা প্রণয়নের সময় অর্থনীতির সঙ্গে নৈতিকতাকে যুক্ত করতে হবে-তবেই দারিদ্র ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিবি) ভবনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির তিন দিনব্যাপী ২০তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দিয়েই আয়বৈষম্য ও দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন প্রবৃদ্ধির সুবিধা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া।
সম্পদের সুষ্ঠু সমবন্টন নিশ্চিত করতে পারলে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হবে।
স্পিকার বলেন, নৈতিকতার সঙ্গে অর্থনীতিকে যুক্ত করলে আমরা দারিদ্র্য বিমোচন এবং বৈষম্য নিরসনের ক্ষেত্রে আরো কার্যকর নীতি, পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি। বিশ্ব অর্থনীতিতেও আজ বৈষম্য প্রবল। এমডিজিতে বৈষম্য দূর করার ওপর জোর দেয়া হয়নি। তবে এসডিজিতে বৈষম্য নিরসনে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, অর্থনীতির সঙ্গে নৈতিকতার যোগসূত্র রয়েছে। তবে এই যোগসূত্র অত্যন্ত জটিল। অর্থনীতিকে আমরা কিভাবে ব্যাখ্যা করছি, এর ওপর এই সম্পর্ক নির্ভর করে। যদি মুক্তবাজার অর্থনীতির কথা বলি তাহলে সম্পর্ক এক রকম। আর যদি মুনাফা ও লোকসানের কথা বিবেচনা করি তবে সম্পর্ক অন্য রকম। নৈতিকতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক চিন্তাও জড়িত বলে তিনি মন্তব্য করেন।