লক্ষীপুরের রায়পুরে ৫ শতাধিক পান চাষীর দুর্দিন যাচ্ছে। তারা খেয়ে না খেয়ে কোনোভাবে বেঁচে আছে। অথচ শীতের মৌসুমে পান চাষীরা বেশি খুশি থাকার কথা। কিন্তু তীব্র শীতে পান পেকে ঝরে যাওয়ায় চাষীদের মাথায় এখন দারিদ্র্যের খড়গ পড়েছে। রায়পুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০০ একর জমিতে পান চাষ হয়েছে। পান চাষ লাভজনক হওয়া প্রতি বছর পান চাষীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে বর্ষার মৌসুমে ছাড়াও অসময়ে ভারী বষর্ণে পানের বরজ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উপজেলার ৯নং ইউনিয়নের পূর্ব গাইয়ার চর গ্রামের পান চাষী নাছির সর্দার জানান, প্রতিবছর বর্ষায় পানের চাহিদা কম থাকে। তাই ভালো দাম পাওয়া যায় না। আমরা শীতের জন্য মুখিয়ে থাকি। শীতে পানের উৎপাদন কম হয়। তাই চাহিদা থাকেবেশি। দামও ভালো পাওয়া যায়। কিন্তু তীব্র শীতে পান পেকে যাওয়ায় ভালো দাম পাওয়ায় যাচ্ছে না। ৭নং বামনী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড পান চাষী নাছির হোসেন বলেন, পান চাষ খুবই লাভজনক। এবং পরিশ্রমীক কাজ। তবে বরজ সরঞ্জামের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো এখন বেশি লাভ হয় না। তীব্র শীতের প্রকোপে পানের বরজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এতে করে আমাদের পান চাষে লাভের চেয়ে লোসকান হচ্ছে। তিনি আরো বলেন,সরকার যদি পান চাষীদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করে তাহলে এই উপজেলায় পান চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। জানা গেছে উপজেলার বেশি পান চাষ হয় ১নং চর আাবাবিল, ২নং চর বংশী, ৩নং মহোনা ,৭ নং বামনী ও ৯নং দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়নে। অন্য পানের ব্যবসী মোঃ দেলোয়ার হোসেন চাষ লাভজনক। ধীরে ধীরে এ উপজেলায় পান চাষ জনপ্রিয় হচ্ছে। শীতে পানের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু পাকা পান ভালো দামে বিক্রি করা যায় না। রায়পুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জানান,ধীরে ধীরে পান চাষে উৎসাহিত হচ্ছে এ এলাকার চাষীরা। কারণ পান চাষ একটি লাভজনক পেশা। এ উপজেলার উৎপাদিত পান নিজ উপজেলার চাহিদা মিঠিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হয়ে থাকে। আমরা বিভিন্নভাবে চাষীদের পান চাষে উৎসাহিত করছি। তবে শীতে পানের দাম বেশি থাকলেও তীব্র শীতে পান পেকে ঝরে যায়। পাকা পানের দাম একটু কম থাকে।