মুদ্রা পাচারের আরও এক মামলায় হাই কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছেন আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদ। তার বিরুদ্ধে থাকা তিন মামলার সবগুলোতেই জামিন পাওয়ায় এবার আর দিলদারের মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। রাজধানীর ধানম-ি, রমনা ও উত্তরা থানায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দায়ের করা এই তিন মামলার মধ্যে রমনার মামলায় গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর হাই কোর্টে জামিন পান দিলদার। পরে আপিল বিভাগেও তা বহাল থাকে। কিন্তু বাকি দুই মামলার জামিন শুনানি হাই কোর্ট এক মাসের জন্য মুলতবি রাখায় তার মুক্তি হচ্ছিল না। সেই এক মাস সময় পার হওয়ার পর গত মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাই কোর্ট বেঞ্চ ধানম-ি থানার মামলায় দিলদারকে জামিন দেয়। গতকাল রোববার একই বেঞ্চ তাকে উত্তরা থানার মামলায় জামিন মঞ্জুর করে। দিলাদারের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও মেহেদী হাসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ। পরে মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, সব মামলায় জামিন হয়ে যাওয়ায় এবার আর তার মুক্তিতে বাঁধা নেই। বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানের নামে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতার হন দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ। ওই ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হলে আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’ এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এরপর মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন বিক্রয় কেন্দ্র থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯ টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়। গুলজার ও আজাদ একটি করে মামলায় জামিন পেয়ে আগেই মুক্তি পেয়েছেন।