উদ্দীপন কে জিএফ প্রোগ্রামের আওতায় ধান চাষে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার প্রর্দশনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
তারিথ
: ২২-০৪-২০১৮
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
উদ্দীপন কে জিএফ প্রোগ্রামের আওতায় পি কে এস এফ এর সহযোগিতায় ভেড়ামারা শাখার উদ্দ্যোগে,ধান চাষে গুটি ইউরিয়া ব্যবহার প্রর্দশনীর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। ২২ এপ্রিল,চর দামুকদিয়া নুরুভিপির বাড়ির আঙ্গিনায়। বি-ধান ২৮ জাতের ধানের জমিতে ২শ’১০কেজি গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ করা হয়। চর দামুকদিয়া সংগঠনের রেহেনা বেগম ও পেন্জু বেগম কে উক্ত প্রর্দশনী অনুদান দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, আব্দুল আজিজ আর এস ডিও। প্রধান বক্তা ছিলেন,সুভাষ চন্দ্র দে ভেড়ামারা আঞ্চলিক র্কাযলয় উদ্দীপন প্রোগ্রাম অফিসার(কৃষি) কেজিএফ। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, রকিবুল ইসলাম আর এফ এম। ফিরোজ কবির ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। জিকরুল ইসলাম প্রোগ্রাম অফিসার। মোকবুল হোসেন বি এম গোলাপ নগর শাখা। ঊক্তব্য রাখেন,বিশিষ্ট সমাজ সেবক আব্দুর রহমান ডিলার। সাংবাদিক ইসমাইল হোসেন বাবু,মকলেচুর রহমান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন,উদ্দীপন গোলাপ নগর শাখার ক্যাশিয়ার আকতার জামিল। সুভাষ চন্দ্র দে ভেড়ামারা আঞ্চলিক র্কাযলয় উদ্দীপন প্রোগ্রাম অফিসার(কৃষি) কেজিএফ বলেন,ধান চাষে গুটি ইউরিয়া ব্যবহাওে ধানের ফলন ২০ থেকে ২৫ ভাগ বৃদ্ধি পায়।গুটি ইউরিয়া সার ব্যবহার করলে বিঘা প্রতি ৩৩শতাংশ অতিরিক্ত ২০৪ কেজির ও বেশী ধান উৎপাদন হয়।তিনি আরো বলেন,ধান চাষে ইউরিয়া সাধারণত ছিটিয়ে প্রয়োগ করা হয়। এভাবে প্রয়োগের ফলে ইউরিয়ার কার্যকারিতা অনেকখানি কমে যায় এবং শতকরা ৭০ ভাগ পর্যন্ত অপচয় হয়ে থাকে। এ অপচয় তিন ভাবে হয়ে থাকে। প্রথমত: গ্যাস হয়ে বাতাসে মিশে যায়। দ্বিতীয়ত: পানির সাথে মিশে এক জমি থেকে আরেক জমিতে চলে যায়। তৃতীয়তঃ পানি সাথে শিশে চুষে মাটির গভীরে চলে যায়। এর ফলে ধান গাছ খাদ্য হিসেবে প্রয়োজনীয় পরিমাণ ইউরিয়া গ্রহণ করতে পারে না। আইএফডিসি এবং অন্যান্য দেশী বিদেশী সংস্থার গবেষণালব্ধ ফলাফলে দেখা গেছে যে, মাটির ৭-১০ সে. মি. (৩ থেকে ৪ ইঞ্চি) নিচে গুটি ইউরিয়া পুতে দেয়া হলে ইউরিয়ার কার্যকারিতা দিগুন এরও বেশি বেড়ে যায়। এছাড়াও ধানের ফলন শতকরা ২০-২৫ ভাগ বৃদ্ধি পায়।