দীর্ঘ ২৫ বছর পর কিশোরগঞ্জের মিঠামইন সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তার পৈতৃক বাড়িতে পৌঁছান তিনি। এ সময় রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিণীসহ অন্যান্যরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। এরপর দুপুরে ১৫ প্রজাতির মাছ আর রস মালাইয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মধ্যাহ্নভোজ করান রাষ্ট্রপতি। এ সময় রাষ্ট্রপতিও এক টেবিলে বসে খাবার খান।
পরে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব (এপিএস) এম ইমরুল কায়েস তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর খাবারের একটি মেনু পোস্ট করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের আপ্যায়নে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাড়িতে কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত রাতাবোরো চালের ভাত ও হাওরের বিভিন্ন প্রকার মাছসহ মধ্যাহ্নভোজের মেনু- সাদা ভাত, রুই মাছ দোপেঁয়াজা, কাতল মাছ দোপেঁয়াজা, চিতল মাছ দোপেঁয়াজা, আইড় মাছ দোপেঁয়াজা, পাবদা মাছ দোপেঁয়াজা, গোলসা টেংরা মাছ দোপেঁয়াজা, কালিবাউশ মাছ দোপেঁয়াজা, শোল মাছ ভুনা, বাইম মাছ ভুনা, চিংড়ি মাছ ভুনা, বোয়াল মাছ ভুনা, গ্রাস কার্প মাছ ভুনা, বাছা মাছ ভুনা, রিটা মাছ মাখা মাখা ঝোল, পাঙ্গাস মাছ মাখা মাখা ঝোল, মশুর ডাল এবং সালাদ। এমনকি সর্বশেষে ছিল রস মালাই।
এর আগে বেলা ১১টায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে নির্মিত এ সেনানিবাসের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি।
এরপর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে মিঠামইন সদরের কামালপুরে রাষ্ট্রপতির পৈতৃক বাড়িতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতির বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী জোহরের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে একই টেবিলে দুপুরের খাবার খান। পরে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠের সুধী সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার মিঠামইন সফর করেন। তখন মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী মিঠামইন সফরে আসলেন।