শুক্রবার, ৫ মার্চ 2021 |
,২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৭
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
খুনি মাজেদের ফাঁসি কার্যকর
অবশেষে দীর্ঘ ৪৫ বছর পর ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের।
শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে একদল জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফাঁসি কার্যকরের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকা জেলা প্রশাসক, সিনিয়র জেল সুপার, জেল সুপার, ডেপুটি জেলার, সিভিল সার্জনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে ফাঁসির প্রস্তুতি দেখতে কারাগারে যান আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা।
ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি আগে থেকে নিশ্চিত ছিল। তাই রাত ১০টার পর আবদুল মাজেদকে তার সেলে গিয়ে তওবা পড়িয়েছেন কারা মসজিদের ইমাম। কারা সূত্র জানায়, চিৎকার করে কেঁদে তওবা পড়েছেন ক্যাপ্টেন মাজেদ।
এদিকে মাজেদের মরদেহ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন মাজেদের মৃত্যু নিশ্চিতের পর তাকে যে কোনো একটি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হবে।
ফাঁসি কার্যকরকে কেন্দ্র করে কেরানীগঞ্জের কারাগারের চারপাশে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
পরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিটিটিসি। এরপর মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
৮ এপ্রিল মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আবদুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এরপর থেকেই শুরু হয় তার ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া। কারাবিধি অনুযায়ী শুক্রবার তার পরিবারের ৫ জন সদস্য শেষ সাক্ষাৎ করেন। আর আজ রাতে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হলো মাজেদকে।
|
অবশেষে দীর্ঘ ৪৫ বছর পর ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের।
শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে একদল জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফাঁসি কার্যকরের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকা জেলা প্রশাসক, সিনিয়র জেল সুপার, জেল সুপার, ডেপুটি জেলার, সিভিল সার্জনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে ফাঁসির প্রস্তুতি দেখতে কারাগারে যান আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা।
ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি আগে থেকে নিশ্চিত ছিল। তাই রাত ১০টার পর আবদুল মাজেদকে তার সেলে গিয়ে তওবা পড়িয়েছেন কারা মসজিদের ইমাম। কারা সূত্র জানায়, চিৎকার করে কেঁদে তওবা পড়েছেন ক্যাপ্টেন মাজেদ।
এদিকে মাজেদের মরদেহ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে। সিভিল সার্জন মাজেদের মৃত্যু নিশ্চিতের পর তাকে যে কোনো একটি অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যাওয়া হবে।
ফাঁসি কার্যকরকে কেন্দ্র করে কেরানীগঞ্জের কারাগারের চারপাশে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
পরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিটিটিসি। এরপর মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
৮ এপ্রিল মৃত্যুর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আবদুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এরপর থেকেই শুরু হয় তার ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া। কারাবিধি অনুযায়ী শুক্রবার তার পরিবারের ৫ জন সদস্য শেষ সাক্ষাৎ করেন। আর আজ রাতে ফাঁসির দড়িতে ঝোলানো হলো মাজেদকে।
|
|
|
|
শনিবার দুপুরে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির রেকি করেছে জল্লাদরা। জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে এই জল্লাদ টিমটিতে রয়েছেন মনির ও সিরাজ। ফাঁসির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই শুক্রবার রাতে তার স্বজনরা কারাগারে শেষ দেখা করেছেন।
এদিকে, নতুন স্থাপিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এটিই প্রথম ফাঁসি। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলায় মোট ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হলো। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান ও মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রায় কার্যকরের আগেই ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবুয়েতে মারা যান আজিজ পাশা। পলাতক রয়েছেন খন্দকার আব্দুর রশিদ, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিন
এর আগে শুক্রবার বিকালে কারা কর্তৃপক্ষ মাজেদের পরিবারের সদস্যদের কাছে মোবাইলে ফোন করে শেষ দেখা করার তথ্য জানায়। শুক্রবার সন্ধ্যার পর মাজেদের স্ত্রী ডা. সালেহা বেগম, মাজেদের এক ভাই, এক বোন ও একজন ভাতিজাসহ ৫ জন কারাগারে দেখা করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর কারাগারের বন্দী সেলগুলো লক করে দেওয়া হয়েছে। কারাগারের আশেপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসাবে যতটুকু সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যায়-তাই করা হয়েছে।
গত ৮ এপ্রিল মৃত্যর পরোয়ানা পড়ে শোনানোর পর সব দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান আব্দুল মাজেদ। প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেয়ার পর সেই চিঠিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়।
|
|
|
|
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। গতকাল বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার এই আবেদন করে খুনি মাজেদ। কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খুনি মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে বঙ্গভবনে পৌঁছায়। প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হওয়ার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল আজ বলেন, প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচের পর মাজেদের সঙ্গে আত্মীয়-স্বজনের সাক্ষাৎ হতে পারে। তিনি বলেন, ফাঁসির রায় কার্যকরে কারা কর্তৃপক্ষের আর কোনো বাঁধা নেই। রায় কার্যকর এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। গতকাল আদালত কর্তৃক মৃত্যুর পরোয়ানা কারাগারে পৌছানোর পর তা মাজেদকে পড়ে শুনানো হয়। এর পর পরই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করে খুনি মাজেদ। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সবদোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চায় মাজেদ। ‘আমরা তার আবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেই। গতকাল কারাগারে মৃত্যু পরোয়ানা পৌঁছালে তাকে পড়ে শোনানো হয়। পরে সে প্রাণভিক্ষা চায়।’ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, আবেদন খারিজের পর এখন মাজেদের সঙ্গে আত্মীয়-স্বজনের সাক্ষাৎ হতে পারে। দন্ড কার্যকরে আর কোনো বাঁধা নেই। মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা আপিল বিভাগের সামনে বিচারাধীন নেই এবং আপিল করার যে সময়সীমা ছিল তাও অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে এ আসামি আপিল করার সুযোগ ও অধিকার হারিয়েছে। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদও বলেন, আবেদন খারিজের ফলে যেকোনো সময় মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর হবে। আর পলাতক থাকায় এই আসামি আপিল করার সব অধিকার হারিয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিল এই মাজেদ। তখন সে ছিল সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার দায়ে ফাঁসির রায় মাথায় নিয়ে পলাতক অন্যতম আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) মাজেদকে সোমবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তাকে সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। গতকাল এ মামলার বিচারিক আদালতে তাকে আনা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার মূত্যু পরোয়ানা জারি করে আদেশ দেন আদালত। কালই এ পরোয়ানা কারাগারসহ সংশ্লিষ্ট সব জায়গায় পৌঁছে দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ৪৫ বছর, নৃশংস ওই হত্যাকান্ডের মামলার ২৫ বছর এবং উচ্চ আদালতের রায়ে ৫ আসামির ফাঁসি কার্যকরের ১১ বছর পর গ্রেফতার হয় খুনি মাজেদ। প্রায় ২৩ বছর খুনি মাজেদ ভারতে পালিয়ে ছিল বলে স্বীকার করে। খুনি মাজেদ গ্রেফতার হওয়ার পর এখন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি পলাতক রয়েছে। তারা হল-খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ও এ এম রাশেদ চৌধুরী। তারা সবাই বরখাস্ততকৃত সাবেক সেনা কর্মকর্তা। এই পাঁচ খুনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক অবস্থায় আছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি অরডিন্যান্স জারি করে। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইন হিসেবে অনুমোদন করে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহনের পর ১৯৯৬ সালের ১৪ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তিন প্রধান আসামি লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুরকে গ্রেফতার করা হয়। একই বছরের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী (পিএ) এ এফ এম মোহিতুল ইসলাম ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংঘটিত নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করেন। ১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর খুনিদের বিচারের হাতে ন্যস্ত করতে পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। ১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি সিআইডি এই মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশিট দাখিল করে এবং একই বছরের ১২ মার্চ ছয় আসামির উপস্থিতিতে আদালতে বিচার শুরু হয়। বিচারক কাজী গোলাম রসুল ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার রায়ে ১৫ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। অন্যদিকে ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৪ দিনের শুনানি শেষে বিভক্ত রায় প্রদান করে। বিচারপতি এম রুহুল আমিন অভিযুক্ত ১৫ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদন্ডাদেশ বজায় রাখেন। কিন্তু অপর বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক অভিযুক্ত ১৫ জনকেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। পরে হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে ১২ আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল থাকে। পরবর্তীতে ২০০১ সালের অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে বিচার কাজ বন্ধ থাকে। দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০০৭ সালের ২৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের মুখ্য আইনজীবী বর্তমান সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সুপ্রিমকোর্টে সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রদান করেন এবং ২৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ ২৭ দিনের শুনানি শেষে ৫ আসামিকে নিয়মিত আপিল করার অনুমতিদানের লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর- ২৯ দিনের শুনানির পর চূড়ান্ত আপিল শুনানি শেষ হয় এবং আদালত ১৯ নভেম্বর রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামির দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করা হয়। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে ২৮ জানুয়ারি ৫ আসামির ফাঁসির রায় কার্যকর করে জাতিকে দায়মুক্ত করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। তখন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।
বাসস হতে
|
|
|
|
আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারসহ দুজনের বিরুদ্ধে গর্ভপাতের চেষ্টা, নির্যাতন, হত্যার হুমকির অভিযোগে তার পুত্রবধূ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলা করেছেন। বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি ও আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা সোমবার মামলাটি করেন।
মামলার পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জাল হোসেন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আদালত নথি পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন। মামলার অপর আসামি করা হয়েছে— আপন রিয়েল এস্টেটের পরামর্শক মো. মোখলেছুর রহমান।
বাদী তার অভিযোগে বলেন, ২০১৫ সালে দিলদার আহম্মেদ সেলিমের ছেলে সাফাতের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। বর্তমানে সে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর দিলদার তার ওপর নির্যাতন করে আসছেন। স্বামীর অনেক অনৈতিক কাজে তিনি বাধা দিলেও শ্বশুর উল্টো উৎসাহিত এবং সহযোগিতা করতেন।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের বহুল আলোচিত ঘটনার মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহম্মেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ প্রধান আসামি। সাফাত আহমেদ কয়েক মাস কারাগারে থাকার পর গত বছরের ৩১ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান। তবে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মো. খাদেম উল কায়েস সাফাতের জামিন বাতিল করে ফের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরপর থেকে গর্ভপাতের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন আসামিরা। বাদী তার অভিযোগে আরো বলেন, গত ৫ মার্চ বাসায় ফেরার পর একই উদ্দেশ্যে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে, চর-থাপ্পড় মেরে ও গর্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে আসামিরা তার তলপেটে লাথি মারার চেষ্টা করেন এবং স্বর্ণালঙ্কর, নগদ অর্থ রেখে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেন।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহম্মেদ গাজী, মো. মনিরুজ্জামান হাওলাদার ও সানোয়ার হক টিপু।
|
|
|
|
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় আপন জুয়েলার্সের কর্ণধার দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
একই সাথে সাফাত আহমেদের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমের জামিনেরর আবেদন না মঞ্জুর করেছেন।
বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মো. খাদেম উল কায়েস এ আদেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ২৮ নভেম্বর একই নারী শিশু ট্রাইবুনাল থেকে জামিন পান সাফাত আহমেদ।
এদিন মামলাটিতে ধর্ষণের শিকার এক তরুণীকে জেরার দিন ধার্য ছিল। এজন্য ভিকটিম আদালতে হাজির হন। আর মামলার ৫ আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন।
নাঈম আশরাফের পক্ষে তার আইনজীবী মাসুদ রানা মোহাম্মদ হাফিজ তাকে জেরা করেন। কিন্তু এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আদালত আগামী ৬ মার্চ অবশিষ্ট জেরার তারিখ ধার্য করেন।
এরপর সাফাতের জামিন বাতিলের শুনানি হয়। সাফাতের পক্ষে আইনজীবী এবিএম খায়রুল ইসলাম লিটনসহ কয়েকজন আইনজীবী সাফাতের জামিন স্থায়ী করার আবেদন করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, সাফাতের কিডনিতে পাথর জমেছে। ডান পাশেরটা অপারেশন করা হয়েছে। বাম পাশেরটা অপারেশন করতে হবে।
আসামি জামিনের অপব্যবহার করেননি, নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন। কোনো শর্ত ভঙ্গ করেননি। আর পলাতক হওয়ার সুযোগ নেই। আর হুমকির বিষয় ভিত্তিহীন। আমরা তার জামিন স্থায়ী করার আবেদন করছি।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু, বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদসহ কয়েক জামিন বাতিলের বিষয়ে শুনানি করেন।
তারা বলেন, তাকে মেডিকেল গ্রাউন্ডে জামিন দেওয়া হয়। বর্তমানে সে সুস্থ। তাকে দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছে না। তার জামিন বাতিল করা হোক। তিনি জামিন পাওয়ার হকদার না। আর কারাবিধি অনুযায়ী তার চিকিৎসা করা হোক।
শুনানি শেষ আদালত আসামি সাফাতের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ মামলায় সাফাত আহমেদের বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম ও সাদমান সাকিফ কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া অপর দুই আসামি সাফাতের গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীও জামিনে আছেন।
গত বছরের ১৩ জুলাই আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় চার্জ গঠন করেন আদালত।
গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণী। এ ঘটনার ৪০ দিন পর ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক তরুণী।
এজাহারভুক্ত অপর ৪ আসামি হলেন-পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাকিফ, সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ (সিরাজগঞ্জের আবদুল হালিম), গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ (রহমত)।
পাঁচ আসামিকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে সাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ ও বিল্লাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
|
|
|
|
ঢাকা-১৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চিত্রনায়ক ফারুকের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করেছেন ধানের শীষের প্রার্থী ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।
সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের অবকাশকালীন বেঞ্চে বিজেপি চেয়ারম্যান পার্থের আবেদন নিয়ে আংশিক শুনানি হয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী বুধবার।
ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ঢাকা-১৭ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের মনোনীত প্রার্থী।
পার্থের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফারুক ঋণখেলাপি এটা আত্মস্বীকৃত। ঋণখেলাপি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে হাইকোর্টে উনি রিট করেন, কিন্তু কোনো আদেশ হয়নি।’
আইনজীবী আরও বলেন, ‘ফারুক হলফনামায় বলেছেন, “ঋণ পুন:তফসিলের আবেদন করা হলেও ব্যাংক কী করেছে আমার জানা নেই।” অর্থাৎ তিনি ঋণখেলাপি।’
|
|
|
|
গ্রাহকদের মতামত না নিয়ে মোবাইল ফোনের কলচার্জ বৃদ্ধি, কলড্রপে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া ও বিরক্তিকর ক্ষুদে বার্তা প্রেরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য রিটটি কার্যতালিকায় উঠে এসেছে।
আইন সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোটার্স ফোরামের সদস্য এম. বদিউজ্জামান, মেহেদী হাসান ডালিম, মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমদ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাশিদুল হাসান বাদী হয়ে বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী হিসেবে আছেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
রিটে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের অধিকার সুরক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারি এবং বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে মোবাইল গ্রাহকদের অধিকার তত্ত্বাবধান, পর্যবেক্ষণ এবং সুরক্ষায় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া কলড্রপে গ্রাহকদের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ ও ক্ষতিপূরণ দিতে আলাদা কমিটি গঠনের আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি পুনরায় কলরেট ও অন্যান্য চার্জ বাড়ানো ও মোবাইল গ্রাহকদের অনাবশ্যক ক্ষুদে বার্তা প্রেরণে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।
রিটে টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, সেক্রেটারি, মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন লিমিটেড, এয়ারটেল লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড ও টেলিটকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান জানান, এমনিতেই পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে মোবাইল কলচার্জ বেশি। এরপরে গ্রাহকের মতামত না নিয়ে চলতি বছরের আগস্ট মাসে অতিরিক্ত কলরেট চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা গ্রাহকদের অধিকারের পরিপন্থী ও বেআইনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ১৩ মাসে ২২২ কোটি বার কলড্রপ করেছে মোবাইল অপারেটরগুলো।
এর মধ্যে দেশে গ্রাহক সংখ্যায় শীর্ষে থাকা গ্রামীণফোন কলড্রপের ক্ষেত্রেও শীর্ষে অবস্থান করছে। গত ১৩ মাসে এ অপারেটরের কল ড্রপ হয়েছে ১০৩ কোটি ৪৩ লাখ বার। একই সময়ে গ্রাহক সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রবির কলড্রপ হয়েছে ৭৬ কোটি ১৮ লাখ বার। সক্রিয়তার বিবেচনায় গ্রামীণফোনের ৭ কোটি ৭ লাখ এবং রবি ও এয়ারটেলের রয়েছে ৪ কোটি ৬১ লাখ সংযোগ। গত ১৩ মাসে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর মোট কলড্রপ হয়েছে ২২২ কোটি বার।
|
|
|
|
৩ আসনে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে করা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তিনটি রিটের ওপর বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন শুরু থেকেই পক্ষপাতিত্ব করছে, ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে এসেছিলাম। প্রিসাইডিং জাজ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তিনটি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার নির্দেশ দিলেও বেঞ্চের অপর বিচারপতি দ্বিমত পোষণ করেছেন।
তিনি বলেন, এখন নিয়ম অনুযায়ী এ মামলার নথিপত্র প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে। প্রধান বিচারপতি তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন আবেদনটি নিষ্পত্তি করার জন্য। আমরা প্রত্যাশা করছি, তৃতীয় বেঞ্চে আমরা ন্যায়বিচার পাব, সঠিক সিদ্ধান্ত পাব।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিকে নির্বাচন করতে দেয়া হলে তা সংবিধান লঙ্ঘন হবে। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার পক্ষে তিনটি রিট পিটিশন করা হয়েছিল। রিট আদেশে হাইকোর্ট দ্বিমত পোষণ করেছেন। যেহেতু দুজন বিচারপতি ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি,সে জন্য বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে তিনি পরবর্তী বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন।’
মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহম্মেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই বিভক্ত আদেশ দেন।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রুলসহ মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির দ্বিমত পোষণ করে খালেদা জিয়ার তিনটি রিট খারিজ করে দেন।
আইনজীবীরা বলেছেন, এখন বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য আরেকটি বেঞ্চে পাঠাবেন। এটি তৃতীয় বেঞ্চ হিসেবে পরিচিত। দ্বিধা বিভক্ত আদেশ আসায় খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ আরও অনিশ্চয়তায় পড়েছে বলে মনে করেছেন তারা।
তিনটি আসনে মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়া।
বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য রাখেন। আদেশে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ রুলসহ মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন। আর বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির দ্বিমত পোষণ করে খালেদা জিয়ার তিনটি রিট খারিজ করে দেন।
মঙ্গলবার আদেশের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, নওশাদ জমির, অ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন ও একে এম এহসানুর রহমান প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে তিন আসনের মনোনয়নপত্রই বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এর বিরুদ্ধে করা আপিল ৮ ডিসেম্বর নামঞ্জুর করে ইসি। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গত রোববার পৃথক তিনটি রিট করেন খালেদা জিয়া। দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।
|
|
|
|
একাদশ সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৫ মিঠাপুকুর আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী গোলাম রব্বানীর মনোনয়নপত্র জমা না নেয়ায় বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে হাইকোর্টের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে।
গোলাম রব্বানীর আইনজীবী মুহাম্মাদ বায়েজীদ ওসমানী জানান, কেন গোলাম রব্বানীর মনোনয়নপত্র জমা নেয়া হলো না এ মর্মে আগামী রোববার রিট পিটিশন করা হবে।
এদিকে গোলাম রব্বানীর মনোনয়ন জমা না নেয়ায় মিঠাপুকুরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ওই আসনে ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিএনপি রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু অভিযোগ করে বলেন, মিঠাপুকুর আসনে বিএনপির এ প্রার্থীর ব্যাপক গ্রহণযোগ্য থাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজিত হবে বিধায় তারা কৌশল গোলাম রব্বানীর মনোনয়ন দাখিল করতে দেয়নি। তাকে বাদ দিয়ে এ আসনে নির্বাচন মেনে নেবে না নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, ইতোপূর্বে জামায়াত নেতা গোলাম রব্বানী বিগত মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাকির হোসেনকে পরাজিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সেই সাথে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদটিও চলে যায় জামায়াতের দখলে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সহিংস আন্দোলনের নানা মামলায় পড়ে তিনি সাড়ে ৪ বছর জেলে থাকার পর তাকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। গোলাম রব্বানী মিঠাপুকুর ডিগ্রি কলেজের ভূতপূর্ব শিক্ষক।
|
|
|
|
দণ্ডিত ব্যক্তি হাইকোর্ট থেকে দণ্ড বা সাজা স্থগিত করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন বলে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে সরকার আপিল করবে বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, হাইকোর্টের আজকের আদেশটি সংবিধান পরিপন্থী।
বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) এই সংক্রান্ত এক মামলায় হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চের আদেশের পর নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন মাহবুবে আলম।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আদেশ বলেছিলেন, নির্বাচনের উদ্দেশ্যে কেউ দণ্ড বা সাজা স্থগিতের আবেদন করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এরপর আজ হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ বললেন, দণ্ডিত ব্যক্তি সাজা বা দণ্ড স্থগিত করে নির্বাচন করতে পারবেন। তাহলে তো এটা আগের আরেকটি হাইকোর্ট বেঞ্চের বিপরীতধর্মী আদেশ হলো।
যশোর ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান সাবিরা সুলতানার দণ্ড হাইকোর্টে স্থগিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ আপিলে বিভাগে না যাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ গ্রহণে তার বাধা থাকবে কিনা, সে বিষয়ে জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, আপিল বিভাগ এ বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
নির্বাচনে অংশ নিতে দণ্ডিত ব্যক্তির সাজা স্থগিত নিয়ে হাইকোর্টের দু’টি বেঞ্চের আদেশ পরস্পর সাংঘর্ষিক কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই। সে জন্যই আমরা আপিল বিভাগে যাবো।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আদেশের মাধ্যমে যেকোনও বিচারক তার মত প্রকাশ করতে পারেন। কিন্তু সবার ওপরে আমাদের সংবিধান। আমাদের বিচারকরা বিচার করেন সাংবিধানিক বিধি মেনে নিয়ে। আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট আছে কোনও ব্যক্তি ২ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হলে এবং তার নৈতিকস্খলন ঘটলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। আর ইতোমধ্যে তিনি যদি মুক্তিও লাভ করেন, তবু তাকে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে। সংবিধান দেশের সর্বোচ্চ আইন। কাজেই এই আইনের পরিপন্থী যদি কোনও আদেশ হয়, তবে অবশ্যই আমরা বিষয়টি আপিল বিভাগের দৃষ্টিতে আনবো।
|
|
|
|
ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র কেন বাধ্যতামূলক নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে এ রুল জারি করেন আদালত ।
|
|
|
|
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও সংঘর্ষের তিনটি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার জামিন আবেদন শুনানী নিয়ে বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মির্জা আব্বাস দম্পতিকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। জামিন নিতে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির ছিলেন মির্জা আব্বাস ও স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। আদালতে আসামী পক্ষের শুনানীতে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজ ফকীর। এরআগে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গত বুধবারের সংঘর্ষের ওই ঘটনায় পুলিশের উপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগের তিনটি মামলা করা হয়।
|
|
|
|
একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মামলার অন্য ১১ আসামীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকার ১ নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দীন এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এর আগে সকালে কারাগার থেকে ৩১ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
আজ থেকে ১৪ বছর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলা মামলার আজ রায় দেয়া হয়। ভয়াবহ এই গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পত্নী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।
মামলার ৫২ জন আসামির মধ্যে জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবি সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড ইতোপূর্বে কার্যকর হওয়ায় মামলা থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে এ মামলায় এখন আসামির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। এর মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জন পলাতক এবং ৩১ জন আসামিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়।
|
|
|
|
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের আজ শুক্রবার (০৮ জুন) ৪ মাস পূর্ণ হলো।
আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না জানিয়ে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারা বলছেন, সহসাই তার মুক্তির সম্ভাবনা দেখছেন না।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন। পরে তাকে আদালতের পাশে নাজিমউদ্দিন রোডের ২২৮ বছরের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৯জুন এ কারাগারের সব বন্দিকে কেরানীগঞ্জের নতুন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। পরিত্যক্ত ওই কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে চার মাস ধরে জেল আছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
এ চার মাসের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল কারাকর্তৃপক্ষ চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর আর তাকে বাইরে আনা হয়নি। এমনকি জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় বকশীবাজার বিশেষ আদালতেও তাকে হাজির করা হয়নি অসুস্থতার কথা বলে।
গত চার মাসে বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে কারাগারে প্রচণ্ড অসুস্থ খালেদা জিয়া। তাকে তার পছন্দ অনুযায়ী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আগামী নির্বাচন একতরফা করতে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মিথ্যা ও জাল নথি তৈরি করে সাজানো মামলায় তাকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। সরকার প্রধানের প্রতিহিংসার শিকার তিনি। গুরুতর অসুস্থ হলেও তার চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। যা অমানবিক ও মানবাধিকারের পরিপন্থী।
এদিকে দলের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতারাও বলছেন, এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় আছে, ততদিন আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়া মুক্ত হতে পারবেন না। তাকে মুক্ত করতে রাজপথে নামতে হবে।
তাদের ভাষায়, যেহেতু রাজনৈতিক কারণে তিনি জেলে আছেন। তাই তাকে রাজনৈতিকভাবেই মুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে তারা আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও কথা বলছেন।
গত ৫ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আমি একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতাম। তাই তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। আমি বলতে পারি, জীবিত খালেদা জিয়াকে এ সরকার কারাগার থেকে মুক্তি দেবে না।
এদিকে কারা সূত্রে জানা গেছে, বিটিভি দেখে, পত্রিকা পড়ে ও নামাজ-রোজা করে কারাগারে সময় কাটছে খালেদা জিয়ার।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রীতো কয়েকদিন আগে বলেছেন ছাড়ার জন্য তো ধরিনি। তাদের কর্মকাণ্ডেতো মনে হয় না, তিনি (খালেদা জিয়া) শিগগিরই মুক্তি পাবেন।
|
|
|
|
কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কুমিল্লার দুই মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ মে) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ শুনানি শুরু করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আদালতে খালেদার পক্ষে উপস্থিত রয়েছেন- খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন।
|
|
|
|
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে বাসের ধাক্কায় ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের বিজ্ঞাপন বিভাগের কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন মারা যাওয়ায় তার পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (২২ মে) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম গোলাম মোস্তফা।
‘বুকের উপর দিয়ে গেল বাস’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন আজ আদালতের নজরে আনলে আদালত এই রুল জারি করেন।
রুলে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, সড়ক যোগাযোগ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে নাজিম উদ্দিন যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া থেকে মোটর সাইকেলে করে গুলিস্তানের দিকে যাচ্ছিলেন।
এসময় শ্রাবণ ও মঞ্জিল পরিবহনের দুইটি বাসের মধ্যে প্রতিযোগিতা কার আগে কে যাবে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। এসময় একটি বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন নাজিম।
এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর শ্রাবণের চালক ওহিদুল ও মঞ্জিল বাসের সহকারী কামাল হোসেনকে আটক করা হয়।
মারা যাওয়ার তিনদিন আগে নাজিম উদ্দিন দ্বিতীয় কন্যা সন্তানের জনক হন। তার প্রথম কন্যা সন্তানের বয়স আট বছর।
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবদুল মালেক, যুগ্ন সম্পাদক: নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া । সম্পাদক র্কতৃক ২৪৪ ( প্রথম তলা ) ৪ নং জাতীয় স্টেডিয়াম, কমলাপুর, ঢাকা -১২১৪ থেকে প্রকাশিত এবং স্যানমিক প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস, ৫২/২ টয়েনবি র্সাকুলার রোড, ঢাকা -১০০০ থেকে মুদ্রিত । ফোন:- ০২-৭২৭৩৪৯৩, মোবাইল: ০১৭৪১-৭৪৯৮২৪, E-mail: info@dailynoboalo.com, noboalo24@gmail.com
Design Developed By :
Dynamic Solution IT
Dynamic Scale BD
BD My Shop
|
|
|