|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি সরকারের সম্পত্তি : হাইকোর্ট   * ঈদ উপলক্ষে ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু   * চলমান প্রকল্প দ্রুত শেষ করে নতুন প্রকল্প নেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী   * পূর্ব-পশ্চিম সবার সাথে সম্পর্ককে আরো গভীর করে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী   * চলতি বছরের মধ্যেই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হবে : সেতুমন্ত্রী   * ৫ম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা   * সিইসির জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ আজ সন্ধ্যায়   * বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে : শেখ হাসিনা   * ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের প্রত্যয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা   * গাজা যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের অপেক্ষায় বিশ্ব  

   সম্পাদকীয়
  আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
  তারিথ : ১২-০২-২০১৮
Share Button

গাজীউল হক ‘একুশের গান’ কবিতায় লিখেছেন-‘ভুলবো না ভুলবো না ভুলবো না/সে একুশে ফেব্রæয়ারি ভুলবো না/ লাঠি গুলি টিয়ারগ্যাস মিলিটারি আর মিলিটারি ভুলবো না’। ভাষা সৈনিক গাজীউল হক ছিলেন রাষ্ট্রভাষা সংগ্রামের অন্যতম একজন নেতা। তিনি কবিতায় একুশে ফেব্রæয়ারিকে এমন আবেগেই দেখেছেন। আবার দ্রোহের আগুন তাঁর বুকের মধ্যে দাউ দাউ করে জ¦লেছে। এই আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন সারা বাংলায়।

বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার প্রশ্নটি উত্থাপিত হয় ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের আগে থেকেই। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পূর্বেই আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. জিয়াউদ্দিন উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেন, তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ পাল্টা বাংলা ভাষার প্রস্তাব দেন। বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক ভাষার প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আসে ‘গণআজাদী লীগের’ (পরবর্তীতে সিভিল লিবার্টি লীগ)- পক্ষ থেকে ১৯৪৭ সালের জুলাই মাসে। তাঁরা তাঁদের দাবির পক্ষে জোর প্রচার চালায়। সে সময়ের সংবাদপত্রগুলো পাকিস্তানে বাংলা ভাষার সম্ভাবনা নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের কলাম এবং নিবন্ধ একের পর এক প্রকাশ করে।
১৯৪৭ সালের ২২ জুন দৈনিক ইত্তেহাদে প্রকাশিত আবদুল হকের কলাম ছিল প্রথম। ২৯ জুলাই মুহম্মদ শহীদুল্লাহর নিবন্ধটি ছিল বিরাজমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে এ সব নিবন্ধের অধিকাংশের বিষয়বস্তু ছিল বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক ভাষার মর্যাদা দেয়া প্রসঙ্গে। ১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তান গণতান্ত্রিক যুব লীগের এক সভায় একই দাবি উত্থাপিত হয়। ভারত বিভাগকালে অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তাঁর নিজ হাতে গড়া দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকা প্রকাশ করেন। ১৯৪৬ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত এই পত্রিকা অল্প কয়েকদিনেই মানুষের মন জয় করে। এ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ এবং সোহরাওয়ার্দীর ভাবশিষ্য তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত এ পত্রিকার পরিচালনা বোর্ডের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রবন্ধকার আব্দুল হকের ‘বাংলা বিষয়ক প্রস্তাব’, ‘উর্দু রাষ্ট্রভাষা হলে’, মাহাবুব জামালের ‘রাষ্ট্রভাষা বিষয়ক প্রস্তাব’সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ এ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া পূর্ব বাংলার প্রথম পর্বের ভাষা আন্দোলনের অনেক খবর গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ হতো নিয়মিতভাবে। যে কারণে বিভিন্ন সময়ে দৈনিক ইত্তেহাদ পূর্ব বাংলায় আসতে বাধাগ্রস্ত হয়।
১৯৫০ সালে পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার লক্ষ্যে নতুন সংগঠন তমদ্দুন মজলিশ একটি বই প্রকাশ করে যার নাম ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা নাকি উর্দু?’ বইটিতে তিন জনের লেখা ছিল, তাঁরা হলেন, অধ্যক্ষ আবুল কাশেম, আবুল মনসুর আহমদ ও কাজী মোতাহার হোসেন। তাঁরা এ বইয়ে বাংলা ও উর্দু উভয়কেই রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার সুপারিশ করেন। তাঁরা ফজলুল হক মুসলিম হলে ১২ নবেম্বর একটি সভা করেন। এই সভার আগে পূর্ব বঙ্গ সাহিত্য সমাজ ৫ নবেম্বর এ সংক্রান্ত একটি সভা করেছিল।
বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে (বাংলাদেশ) সংঘটিত একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। মৌলিক অধিকার রক্ষাকল্পে বাংলা ভাষাকে ঘিরে সৃষ্ট এ আন্দোলনের মাধ্যমে তৎকালীন পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণ দাবির বহির্প্রকাশ ঘটে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারিতে এ আন্দোলন চ‚ড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ বপন হয়েছিল বহু আগে, অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়া এবং ফল ছিল সুদূরপ্রসারী। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্তে¡র ভিত্তিতে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তানের উদ্ভব হয়। কিন্তু পাকিস্তানের দুটি অংশ- পূর্ব পাকিস্তান এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক ও ভাষাগত দিক থেকে অনেক মৌলিক পার্থক্য বিরাজ করছিল। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করে যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এ ঘোষণার প্রেক্ষাপটে পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানকারী বাংলাভাষী সাধারণ জনগণের মধ্যে গভীর ক্ষোভের জন্ম হয় ও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। পূর্ব পাকিস্তান অংশের বাংলাভাষী মানুষ আকস্মিক ও অন্যায্য এ সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি এবং মানসিকভাবে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। ফলস্বরূপ বাংলাভাষার সম-মর্যাদার দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন দ্রæত দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে সমাবেশ-মিছিল ইত্যাদি বেআইনী ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসে বাংলা একাডেমী গঠন করে। এ প্রতিষ্ঠান বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের সংরক্ষণ, গবেষণা ও মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে বলে গঠনতন্ত্রে উল্লেখ করা হয়। যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই পাকিস্তানের গবর্নর জেনারেল মালিক গোলাম মাহমুদ ১৯৫৪ সালের ৩০ মে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার বাতিল ঘোষণা করে। ১৯৫৫ সালের ৬ জুন যুক্তফ্রন্ট পুনর্গঠন করা হয়; যদিও আওয়ামী লীগ মন্ত্রিপরিষদে যোগ দেয়নি। ১৯৫৬ সালের পর সরকারী ভাষার বিতর্ক সম্পন্ন হয়, কিন্তু আইয়ুব খানের সামরিক শাসন পাকিস্তানের পাঞ্জাবী ও পশতুনদের দেনাগুলো বাঙালীদের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়। জনসংখ্যার দিক থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্তে¡ও সামরিক এবং বেসামরিক চাকরির ক্ষেত্রে বাঙালীদের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব এবং সরকারী সাহায্যের দিক থেকেও বাঙালীদের প্রাপ্ত অংশ ছিল খুবই কম। জাতিগতভাবে পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে বাঙালীদের এ বৈষম্যের ফলে চাপা ক্ষোভ জন্ম নিতে থাকে। এরই প্রভাব হিসেবে আঞ্চলিক স্বার্থসংরক্ষণকারী রাজনৈতিক দল হিসেবে বাঙালী জাতীয়তাবাদী আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের সমর্থন নিরঙ্কুশভাবে বাড়তে থাকে। এর ফলেই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আরও বড় অধিকার আদায় ও গণতন্ত্রের দাবিতে ছয় দফা আন্দোলন শুরু করে। এ আন্দোলনই পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আকার ধারণ করে। অবশেষে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের জন্ম হয়।



       
  
   আপনার মতামত দিন
     সম্পাদকীয়
ডেঙ্গু ও নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিতে সর্বোত্তম ব্যবস্থা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী‘র বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণরোগ প্রতিরোধ
.............................................................................................
আসছে নতুন বাজেট
.............................................................................................
ইতিহাসের এই দিনে
.............................................................................................
ইতিহাসের এই দিনে
.............................................................................................
থেমে নেই যৌন পীড়নের ঘটনা
.............................................................................................
ইতিহাসের এই দিনে
.............................................................................................
ইতিহাসের এই দিনে
.............................................................................................
আজ মায়ের ভাষার দিন
.............................................................................................
একুশ মানে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো
.............................................................................................
নির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কা
.............................................................................................
চামড়া পাচার বন্ধে সীমান্তমুখী যানবাহন নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
.............................................................................................
শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিন আজ
.............................................................................................
অগ্নিঝরা মার্চ মাস শুরু
.............................................................................................
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো
.............................................................................................
আঞ্চলিক কূটনীতি রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পাল্টে দিয়েছে
.............................................................................................
থেমে নেই শিশু নির্যাতন
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আবদুল মালেক, সুগ্ম সম্পাদক: মো: জাহাঙ্গীর আলম শাহ। সম্পাদক কর্তৃক ২৪৪ (২য় তলা), ৪নং জাতীয় স্টেডিয়াম, কমলাপুর, ঢাকা-১২১৪
থেকে প্রকাশিত এবং স্যানমিক প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস, ৫২/২, টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।
মোবাইল: ০১৮৪১৭৪৯৮২৪, ০১৮৪১৭৪৯৮২৫ ই-মেইল: ই-মেইল: noboalo24@gmail.com,
bmengineering77@gmail.com, ওয়েবসাইট www.dailynoboalo.com


   All Right Reserved By www.dailynoboalo.com Developed By: Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD & BD My Shop    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale