রবিবার, 17 জানুয়ারী 2021 |
,২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৭
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
হানা দেবে কালবৈশাখী
দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এছাড়া দুই-এক জায়গায় হানা দিতে পারে কালবৈশাখী ঝড়।
সোমবার (১১ মে) এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, কুমিল্লাসহ রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ঢাকা ও সিলেট বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
কিশোরগঞ্জ, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি, ফেনী, হাতিয়া, রাজশাহী এবং পাবনা অঞ্চলসহ খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৪২ মিলিমিটার।
|
দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এছাড়া দুই-এক জায়গায় হানা দিতে পারে কালবৈশাখী ঝড়।
সোমবার (১১ মে) এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে, কুমিল্লাসহ রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, ঢাকা ও সিলেট বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
কিশোরগঞ্জ, সন্দ্বীপ, সীতাকুণ্ড, রাঙ্গামাটি, ফেনী, হাতিয়া, রাজশাহী এবং পাবনা অঞ্চলসহ খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ২০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৪২ মিলিমিটার।
|
|
|
|
পাবনার সাঁথিয়ায় সদ্য নির্মিত বেইলি ব্রিজ ভেঙে একটি ট্রাক খাদে পড়ে গেছে। এ সময় ট্রাক চালক-হেলপারসহ একজন মোটর সাইকেল আরোহী ট্রাকের নীচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের দ্রুত সাঁথিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাবনার সাঁথিয়া-বেড়া সড়কের বোয়াইলমারী গোরস্থানের নিকট সদ্য নির্মিত বেইলি ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রাকটি যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঠিকাদারের চরম গাফিলতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সাঁথিয়ার বেইলি ব্রিজটি সঠিকভাবে নির্মাণ করা হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এদিকে, সদ্যনির্মিত এই ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে ব্যবসায়ীসহ পবিত্র ঈদে ঘরে ফেরা মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
জানা গেছে, প্রায় ১ মাস আগে ইউনুছ এন্ড ব্রাদার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই বেইলি ব্রিজটি নির্মাণের তিনদিনের মাথায় ব্রিজটির পাটাতনসহ একটি ট্রাক দেবে যায়। এতে যানচলাচল ও জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্রিজটি পূণঃনির্মাণ করেন এবং প্রায় ২০/২৫ দিন আগে যানচলাচল আবার শুরু হয়।
রোববার এই ব্রিজের উপর দিয়ে ট্রাক চলাচল করতে গিয়ে পূনরায় ট্রাকসহ ব্রিজটি ভেঙে খাদে পড়ে যায়। এ ব্যাপারে পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরণ রায় বলেন, বিষয়ািট আমি শুনেছি। তবে সরেজমিন না দেখা পর্যন্ত কিছু বলতে পারছি না।
এলাকাবাসী বারবার এই দুর্ঘটনার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের চরম গাফলতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলাকেই দায়ী করছেন।
স্থানীয় একজন প্রকৌশলী জানান, নির্মাণ ত্রুটির কারণেই বেইলি ব্রিজটি বার বার ভেঙে পড়ছে।
|
|
|
|
সিলেট থেকে ঢাকাগামী ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর শুক্রবার বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ফের সারাদেশের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ১১টি বগি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাতগাঁও স্টেশনের অদূরে লাইনচ্যুত হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ‘উপবন এক্সপ্রেস’ ট্রেনে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানও ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পরে তাকে একটি প্রাইভেটকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঢাকায় পাঠায়।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘উপবন এক্সপ্রেস’ রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে শ্রীমঙ্গল স্টেশন ছেড়ে যায়। এরপর সাতগাঁও স্টেশনের আউট সিগন্যালের কাছে ট্রেনটির ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
খবর পেয়ে ভোর ৪টায় এসে রিলিফ ট্রেন উদ্ধারকাজ শুরু করে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ‘উপবন এক্সপ্রেসের’ যাত্রী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত ১টার দিকে একটি বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। এরপরই দেখি ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে গেছে।’
খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে আসেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. শাহ জালাল। উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উপবন এক্সপ্রেসের ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি কেএম নজরুল জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশের চারটি টিম মোতায়েন রাখা হয়।
|
|
|
|
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়ার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল শনিবার। এ উপলক্ষে ঢাকা ও হবিগঞ্জে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শোক র্যালি, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা। এছাড়া ঢাকার বনানীতে মরহুমের সমাধিতে সকাল ৯টায় পুস্পস্তবক অর্পণ করবে কিবরিয়া পরিবার। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি বিকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন হবিগঞ্জ-৩ আসনের তৎকালীন জাতীয় সংসদ সদস্য শাহ এএমএস কিবরিয়া। ওই জনসভায় তিনি ছিলেন প্রধান অতিথি। ওই গ্রেনেড হামলায় শাহ এএমএস কিবরিয়া এবং তার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী প্রাণ হারান। আহত হন কমপক্ষে ৭০ জন নেতাকর্মী। এ ঘটনার পরদিন ২৮ জানুয়ারি হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমান সাধারণ সম্পাদক) অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান এমপি বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে ছিল দেশী-বিদেশী বিভিন্ন সংস্থা। সিআইডি’র তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার মুন্সি আতিকুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে ১০ জনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২০ মার্চ ১ম অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে তৎকালীন জিয়া স্মৃতি ও গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবদুল কাইয়ুম, বিএনপির কর্মী ও ব্যাংক কর্মকর্তা আয়াত আলী, কাজল মিয়া, তাজুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন জালাল, জমির আলী, জয়নাল আবেদীন মোমিন ও ছাত্রদল কর্মী মহিবুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, জিয়া স্মৃতি গবেষণা পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আব্দুল কাইয়ুমের স্বীকারোক্তির জন্য তাকে ৪৭ দিন রিমান্ডে নেয়া হয়। বর্তমানে এই হত্যা মামলাটি সিলেটের দ্রুত বিচার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলায় ইতোমধ্যে ১৭১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
|
|
|
|
দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে রোহিঙ্গাদের সাহায্যের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া । আজ রোববার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ত্রাণ মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের জন্য এক হাজার প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও শিক্ষার্থীদের অর্থ দিয়ে এই ত্রাণসামগ্রী দেয়া হয়। এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়া সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মীজানুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ্ কামাল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় সম্পূর্ণ মানবিক কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের এসব নাগরিক যে ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করেছে তা সভ্য সমাজে সম্পূর্ণ অমানবিক ও অকল্পণীয়। মানুষ হিসেবে এদের আশ্রয় দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত দেশি বিদেশি সাহায্য দিয়েই আশ্রয় গ্রহণকারী পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গার সার্বিক ত্রাণ কার্য পরিচালিত হচ্ছে। এদের প্রায় সকলের জন্য থাকার শেড নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। ক্যাম্প এলাকায় রাস্তা নির্মাণ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সরকার এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এদের চিকিৎসা ও স্যানিটেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করছে। মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে তা আজ দেশ বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।
|
|
|
|
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) আগামীকাল থেকে ঈদ স্পেশাল সার্ভিস শুরু করবে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাতায়ত নির্বিঘœ করতে এ বিশেষ সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। এবারে সংস্থার ৬টি নিয়মিত জাহাজ পিএস মাহসুদ, লেপচা, টার্ন ও মধুমতী, এমভি বাঙালি ও অষ্ট্রিচ যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত থাকবে। এসব জাহাজ ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল-ঝালকাঠী, কাউখালি, পিরোজপুর, হুলারহাট ও মোরলগঞ্জ রুটে চলাচল করবে। এই নৌ-সার্ভিস চলবে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে যাত্রী সমাগম বেশি থাকলে আরো সময় বাড়ানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। বরিশাল বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ বাসস’কে বলেন, আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে সংস্থার ঈদের বিশেষ স্পেশাল সার্ভিস। এদিন ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৬টায় জাহাজ লেপচা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অষ্ট্রিচ ছেড়ে আসবে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ইতোমধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে জাহাজের ৫০ ভাগ টিকেট’র আবেদন অনলাইনে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বরিশাল অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটে বিআইডব্লিউটিসি’র ৫টি সি-ট্রাক নিয়মিত চলাচল করবে। এগুলো হলো, বরিশাল-মজু চৌধুরীর হাট রুটে খিজির-৮। ইলিশা-মজু চৌধুরীর হাট সুকান্ত বাবু, খিজির-৫ এবং খিজির-৭। এছাড়া মনপুরা থেকে শশিগঞ্জ রুটে শেখ কামাল যাত্রী পরিবহনে নিয়োজিত থাকবে।
|
|
|
|
ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন ও তেজগাঁও স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায় রেললাইন ভেঙে যাওয়ায় কমলাপুর স্টেশন থেকে দেরি করে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। ফলে ঈদের আগাম টিকেটের প্রথম দিনের যাত্রার তিনটি ট্রেন বিলম্বিত হয়েছে।
রোববার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়। তবে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ট্রেন স্বাভাবিক ছিল। সে সময় পর্যন্ত ১৮টি ট্রেন স্টেশন ছেড়ে যায়।
কিন্তু লাইন ডাউন হওয়ার কারণে বেশ দেরি করে ছেড়ে যায় নীলসাগর এক্সপ্রেস। এছাড়া একতা ও অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসও দেরি করে ছাড়বে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, লাইনে সমস্যা হওয়ায় ট্রেন আসতে দেরি হচ্ছে। ফলে স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যেতে দেরি হবে।
তিনি জানান, বর্তমানে দুই লাইনের পরিবর্তে এক লাইনে ট্রেন চলাচল করছে। লাইন মেরামতের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। দ্রুতই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
|
|
|
|
আগামীকাল সোমবার সকালের মধ্যে ঢাকার সাথে উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি আজ দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বন্যার পানির প্রবল চাপে ক্ষতিগ্রস্ত পৌলী রেলসেতু পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের একথা জানান। ঘটনাস্থলে মেরামত কাজ পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে রেলওয়ে বিভাগের সকল দক্ষ কর্মী মেরামত কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। রেল লাইন মেরামতের জন্য যত সরঞ্জাম লাগবে তা আনা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সরঞ্জাম আনা হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নিদের্শনা রয়েছে ঈদে ঘরমুখী মানুষ যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে। ঈদে যেন মানুষের কষ্ট না হয়। এজন্য এ পথে দ্রুতই রেল চলাচল স্বাভাবিক করা হবে। নদীর মধ্যে যদি কেউ ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে থাকে তবে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রেলপথ সচিব মোফাজ্জল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন, পুলিশ সুপার মাহবুব আলম, টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান সিরাজ, কালিহাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু, কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু নাসার উদ্দিন, এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র শাফি খানসহ রেলওয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এ সময় মন্ত্রীর সাথে ছিলেন। এদিকে দূর্ঘটনার খবর পেয়ে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী, বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার অসীম কুমার তালুকদার, পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ আছাদুল হক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। বন্যার পানির প্রবল চাপে পৌলী রেলসেতুর এ্যাপ্রোচ সড়কের মাটি সরে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে মাটি প্রায় ২০ ফুট ধসে গেছে। ফলে ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও ভারতের মৈত্রী এক্সপ্রেস রেলসহ সকল রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রোববার ভোর পৌনে ৫টার দিকে স্থানীয় লোকজন রেল সেতুর এপ্রোচের মাটি সরে যেতে দেখে। পরে তারা লাল কাপড় দিয়ে নিশানা টাঙায়। বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় পরবর্তী নীলসাগর ট্রেনটি। এলাকার লোকজন স্থানীয় প্রশাসন ও রেলকর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে স্থানীয় প্রশাসনসহ রেলওয়ের স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, এখানে মাটি সরে গিয়ে প্রায় ২০ ফুট গভীর হয়েছে। রেললাইনের নিচে ১০ থেকে ১২টি কাঠের স্লীপার ভেঙ্গে পানিতে পড়ে গেছে। ঢাকা ও পাকশী থেকে প্রকৌশলী দল এসেছে। পুরোদমে বালির বস্তা ও মাটি ফেলে এ্যাপ্রোচ তৈরি করা হচ্ছে।
|
|
|
|
কোরবানির ঈদে রেলপথে প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার যাত্রীর সুষ্ঠু ও নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করতে ট্রেনের ১ হাজার ২৯৬টি কোচ চলাচল করবে। গত বছরের চেয়ে এ বছর কোচের সংখ্যা ৭৪টি বাড়নো হচ্ছে। ২০১৬ সালের কোরবানির ঈদের সময় মোট ১ হাজার ২শ’ ২২টি কোচ চলাচল করেছে। পূর্বাঞ্চলে ১শ’ ১৬টি ও পশ্চিমাঞ্চলে ১শ’ ১১টি মিলিয়ে মোট ২২৯টি লোকোমোটিভের (রেল ইঞ্জিন) মাধ্যমে এসব কোচ চালানো হবে। গত বছর কোরবানির ঈদের সময় ২শ’ ২৭টি লোকোমোটিভ চলাচল করে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক আজ রাজধানীতে রেল ভবনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান। যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সুবিধার্থে ঈদের ৩ দিন আগে থেকে কনটেইনার ও জ্বালানি তেলবাহী ট্রেন ছাড়া কোন গুডস ট্রেন চলাচল করবে না উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী বলেন,ঈদ-উল-আজহার দিন বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কতিপয় মেইল-এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। তবে কোন আন্তঃনগর ট্রেন চলবে না। তিনি ট্রেনযাত্রা নিরাপদ করার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, চলন্ত ট্রেনে, স্টেশনে বা রেললাইনে নাশকতামূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধকল্পে আরএনবি, জিআরপি ও রেলওয়ে কর্মচারীদের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। এ ছাড়া র্যাব, বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতায় নাশকতাকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন। রেলমন্ত্রী জানান, ঈদ ফেরত যাত্রীদের ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকেট রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট স্টেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় আগামী ২৫ আগস্ট থেকে বিক্রি করা হবে। তিনি বলেন, ঈদে ট্রেনযাত্রায় যাত্রীদের সুবিধার্থে আগামী ২৯ আগস্ট হতে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী এবং পার্বতীপুর-ঢাকা-পার্বতীপুরের মধ্যে ২ জোড়া বিশেষ ট্রেনসহ মোট ৭ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানো হবে। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব ট্রেন চলবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
|
|
|
|
বিপর্যয়ের তিন দিন পর পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলায় এই দুর্যোগে এ পর্যন্ত ১৫৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রাঙামাটিতে সর্বোচ্চ ১১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
গত সোমবার রাত থেকে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি ঢল ও ভূমিধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রেক্ষাপটে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, জেলা প্রশাসন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা।
আজ শুক্রবার বিকাল পৌনে ছয়টায় এক সংবাদ সম্মেলনে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ঢাকায় দুর্যোগ ব্যবস্থানা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, পাহাড় ধসে রঙামাটিতে ১১০ জন, চট্টগ্রামে ২৩ জন, বান্দরবানে ছয় জন, কক্সবাজারের দুই জন ও খাগড়াছড়িতে এক জনের প্রাণহানির তথ্য তাদের সংগ্রহে রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে ঢলে ভেসে গিয়ে, গাছ ও দেয়ালচাপায় এবং বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৪ জনের।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মানজারুল মান্নান বলেন,“এটা দুর্ভাগ্যজনক। ভূমি ধসের বিষয়টি প্রাকৃতিক। বৈশ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তন ও ভারি বর্ষণে এ ঘটনা ঘটেছে। এবারের ভারি বর্ষণে রাঙামাটির সব পাহাড়ের চূড়া ভেঙে গেছে। এটা ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা। আমরা সচেতন থাকব।”
উদ্ধার কাজে জেলা প্রশাসনসহ সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় তরুণ-যুবা ও বিভিন্ন সংগঠন সহায়তা করেছে বলে জানান তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজও উপস্থিত ছিলেন এ সংবাদ সম্মেলনে।
|
|
|
|
আষাঢ়ের রয়েছে সৌন্দর্য, পাশাপাশি তার আশীর্বাদে প্রকৃতি ভরে ওঠে ফুলে-ফসলে। ঋতু বৈচিত্র্যে আষাঢ়ের এমন স্বরূপ বর্ণিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের এই গানটিতে। ষড়ঋতুর একটি উল্লেখযোগ্য বর্ষা। বর্ষার প্রথম মাস আষাঢ়। আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। সারাদিন ঝরঝর বৃষ্টি, মাঠঘাট পানিতে থই থই, খাল বিল নদ নদী পানিতে ভরে যায়। ব্যাঙের ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ডাক, কদম কেয়া আর বেলি ফুলের সমারোহ-এ সবই আষাঢ়ের বৈশিষ্ট্য। জ্যৈষ্ঠের খরতাপে যখন মাটি ফেটে চৌচির, কাঠফাটা রোদে পিপাসায় পথিকের ছাতি ফেটে যায়। ঠিক সেই সময় স্বস্তির বার্তা নিয়ে আসে আষাঢ়। আরো নিয়ে আসে ফুল ও ফসলের বার্তা। রসসিক্ত হয়ে ওঠে প্রকৃতি, উর্বর মাটিতে বৃক্ষ জন্মে। সবুজ হয়ে ওঠে দেশ। এসবই আষাঢ়ের অবদান। কিন্তু নগর জীবনে আষাঢ়ের বৃষ্টি আশীর্বাদের বদলে বয়ে আনে দুর্ভোগ। বিশেষত রাজধানী ঢাকাতে সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। আর ভারী বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। কয়েক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টি হলে সড়কে জমে হাঁটু পানি, কোথাও কোথাও কোমর পানি। নর্দমার নোংরা পানির সঙ্গে বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে যায়। চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। একই পরিস্থিতি রাজধানীর বাইরে চট্টগ্রামেও দেখা যায়। সেখানেও সামান্য বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ এলাকা চলে যায় পানির নিচে। জনজীবনে নেমে আসে সীমাহীন কষ্ট আর দুর্ভোগ। তাই যতই গুণ থাকুক, বাংলাদেশে নগরজীবন আষাঢ়বান্ধব নয়। এ ছাড়া এ সময়ে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি বজ্রপাতের ঘটনা এত বেশি ঘটতে দেখা গেছে যে, প্রতিদিন এতে প্রচুর মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই বজ্রপাতকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাই আষাঢ় আমাদের কাছে কখনো আশীর্বাদ, কখনো অভিশাপ। তবে অভিশাপটি মানবসৃষ্ট, এতে আষাঢ়ের ওপর দায় চাপানো অবিচার
|
|
|
|
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় থাকায় আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এর প্রভাবে আজ থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ফলে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ফের ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা বৃষ্টি হওয়ায় দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হওয়ায় দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে রাঙামাটিতে ধসে পড়া পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আরও তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে কেবল রাঙামাটিতেই নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৯ জনে।
এছাড়া এখন পর্যন্ত বান্দরবানে সাতজন এবং চট্টগ্রামে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৬ জনে। আশঙ্কা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে।
|
|
|
|
প্রবল বর্ষণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৫-এ পৌঁছেছে। অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। তাদের সন্ধানে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয় লোকজন কাজ করছেন।
আজ বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা দলিল উদ্দিন জানান, পাহাড় ধসের ঘটনায় বুধবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাঙামাটিতে ১০০ জন, চট্টগ্রামে ২৯ জন, বান্দরবানে ৬ জন, কক্সবাজারে দুইজন এবং খাগড়াছড়িতে একজনের লাশ উদ্ধারের তথ্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রামে গাছ চাপা, দেয়াল চাপা ও পানিতে ভেসে আরও সাতজনের তথ্য এসেছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে গত রোববার থেকে দেশের দক্ষিণ পূর্বের জেলাগুলোতে ভারি বৃষ্টির কারণে মাটি সরে গিয়ে সোমবার রাত থেকে এই তিন জেলার বিভিন্ন পাহাড়ে ধস নামে। সেই সঙ্গে পাহাড়ি ঢলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে দেখা দেয় ভয়াবহ বিপর্যয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা বৃষ্টির মধ্যেই মঙ্গলবার ভোর থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন।
ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জাল হোসেন মায়া, সচিব শাহ কামালসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে রয়েছেন।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকেও নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
এছাড়া তিন জেলায় ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে চার থেকে সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে সেখানে রাখা হয়েছে বলে আগের দিনই এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ত্রাণমন্ত্রী।
|
|
|
|
সন্ন ঈদুল ফিতরে নৌপথে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে অবিলম্বে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম জোরদারসহ ১০ দফা জরুরি সুপারিশ উত্থাপন করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। সোমবার (০৫ জুন) সকালে নৌ-পরিবহন সচিবকে লেখা এক পত্রে অবিলম্বে এই সুপারিশমালা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সংগঠনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে স্বাক্ষরিত পত্রে এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সুপারিশসহ ওই পত্রের অনুলিপি নৌ-পরিবহনমন্ত্রী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষর (বিআইডাব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানকেও পাঠানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয় কমিটির সুপারিশে ত্রুটিপূর্ণ, সার্ভেবিহীন ও অনিবন্ধিত লঞ্চসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডাব্লিউটিএর নিয়মিত অভিযান পরিচালনা, আইন লঙ্ঘনকারী নৌযান, মালিক, মাস্টার ও ড্রাইভারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় টেলিভিশন- বেতারে ও সকল টার্মিনালে লাউড স্পিকারে প্রতি ঘণ্টায় আবহাওয়া বার্তা প্রচার, সকল নৌযানকে আবহাওয়া বার্তা মেনে চলতে বাধ্য করা, জননিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভ্রাম্যমাণ আদালত গঠন, সার্ভেবিহীন অথবা ইতিমধ্যে সার্ভের মেয়াদোত্তীর্ণ লঞ্চগুলোকে ঈদ-পূর্ববর্তী ১৫ দিনের মধ্যে বার্ষিক সার্ভে সনদ না দেওয়া, কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশের পাশাপাশি উপক‚লীয় জেলাগুলোর পুলিশ প্রশাসনকে নৌ নিরাপত্তার কাজে সম্পৃক্তকরণ, ঈদের ১৫ দিন আগে সকল টার্মিনাল ও গুরুত্বপূর্ণ লঞ্চঘাটে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপনসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং সকল টার্মিনালের শৌচাগারে পর্যাপ্ত পানিসহ সেগুলো পরিচ্ছন্ন রাখা ও ইফতারির জন্য বিশুদ্ধ পানির বন্দোবস্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
লিখিত পত্রে জানানো হয়েছে, চলমান দুর্যোগ মৌসুম এবং পবিত্র ঈদুল ফিতরকে অগ্রাধিকার দিয়ে নৌ-পরিবহন বিশেষজ্ঞ, রাজনীতিক, সাংবাদিক এবং পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে এই সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব ও দুর্ঘটনার ঝুঁকিমুক্ত একটি আধুনিক নৌ-পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে জাতীয় কমিটির এই ১০ দফা সুপারিশ অতি গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি করা হয়েছে।
|
|
|
|
ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার শক্তির ঝড়ো হাওয়া নিয়ে এ ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও হাতিয়া হয়ে উপকূল রেখা অতিক্রম করতে পারে। আজ সোমবার রাতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঘড় ‘মোরা’র কারণে দেশের উপকূলজুড়ে মহাবিপদ সংকেত দেখা বলা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দুপুর বারোটার বুলেটিনে বলা হয়েছিল, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় মোরা। আর মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে।
এটি এখন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে অবস্থান করছিলো। এটি আরও ঘণীভূত ও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল নাগাদ চট্রগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
সন্ধ্যা ছয়টার বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ’মোরা’ এর অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া সহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬২ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্দ রয়েছে।
যার কারণে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর আওতায় উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ থাকবে।
মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ সংকেতের আওতায় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ।
|
|
|
|
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী দু’দিনের সরকারি সফরে বর্তমানে অস্ট্রিয়া রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম ভিয়েনা থেকে ফোনে বাসস’কে বলেন, শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রশাসনকে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেস সচিব বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এবং সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ৬০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে অস্ট্রিয়ার রাজধানীতে পৌঁছেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবদুল মালেক, যুগ্ন সম্পাদক: নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া । সম্পাদক র্কতৃক ২৪৪ ( প্রথম তলা ) ৪ নং জাতীয় স্টেডিয়াম, কমলাপুর, ঢাকা -১২১৪ থেকে প্রকাশিত এবং স্যানমিক প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস, ৫২/২ টয়েনবি র্সাকুলার রোড, ঢাকা -১০০০ থেকে মুদ্রিত । ফোন:- ০২-৭২৭৩৪৯৩, মোবাইল: ০১৭৪১-৭৪৯৮২৪, E-mail: info@dailynoboalo.com, noboalo24@gmail.com
Design Developed By :
Dynamic Solution IT
Dynamic Scale BD
BD My Shop
|
|
|