মঙ্গলবার, ২ মার্চ 2021 |
,২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৭
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
করোনা ঠেকাতে ডেটল পান, ৫৯ জনের প্রাণহানি
সারা বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যাও। মরণ ভাইরাস করোনার কোনো প্রতিষেধক না থাকায় মারা যাচ্ছেন মানুষ। এমন অবস্থায় করোনা রুখতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের গুজব। করোনা ঠেকানোর গুজবে কান দিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৯ জন মানুষ।
কেনিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, করোনা ঠেকাতে এক চার্চের পাস্তুর তার অনুসারীদের ডেটল খাওয়ার পরামর্শ দেন। ওই চার্চের পাস্তুরের কথা শোনে কেনিয়ার ৬৩ জন মানুষ ডেটল খান। কিন্তু করোনা ঠেকানোর বদলে উল্টা প্রাণ হারালেন ৫৯ জন। আর চারজন বেঁচে আছেন। তবে তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এই সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। অনেকেই করোনার ঠেকানোর এরকম প্রাণহানিকর পরামর্শ এড়িয়ে চলার জন্য বলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য বার বার বলছে। কিন্তু মানুষ এই কাজগুলো করেই যাচ্ছে। তবে এই নিউজর সত্যতা যাচাই করা যায়নি। অনেকেই বলছেন, এই নিউজটি ‘ফেইক নিউজ’।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে ২১ হাজার একশ ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে গতকাল বুধবার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখন পর্যন্ত ভয়াবহ দিন। সে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ৪৮ জনে ঠেকেছে। তবে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির দাবি, নতুন করে ১৬৪ জনের প্রাণহানির পর যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে নয়শ ৪৪ জন। তবে তিনশ ৯৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারশ ৫৬ জনে। নতুনভাবে আক্রান্ত হয়েছেন আরো দেড় হাজার মানুষ। স্পেনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার চারশ ৩৪ জন।
এদিকে, ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয় হাজার আটশ ২০ জনে ঠেকেছে। অন্যদিকে ফ্রান্সে মারা গেছে ১৩৩১ জন। সার্বিয়াতে দুই শিশু আক্রান্ত হয়েছে। স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। স্পেনে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার ছয়শ ১০ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা গেছে, চীন এবং ইতালির পরেই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের হার ১.৩৮ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৭০ লাখ থেকে দেড় কোটি মানুষ আক্রান্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে।
|
সারা বিশ্বে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যাও। মরণ ভাইরাস করোনার কোনো প্রতিষেধক না থাকায় মারা যাচ্ছেন মানুষ। এমন অবস্থায় করোনা রুখতে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের গুজব। করোনা ঠেকানোর গুজবে কান দিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৯ জন মানুষ।
কেনিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, করোনা ঠেকাতে এক চার্চের পাস্তুর তার অনুসারীদের ডেটল খাওয়ার পরামর্শ দেন। ওই চার্চের পাস্তুরের কথা শোনে কেনিয়ার ৬৩ জন মানুষ ডেটল খান। কিন্তু করোনা ঠেকানোর বদলে উল্টা প্রাণ হারালেন ৫৯ জন। আর চারজন বেঁচে আছেন। তবে তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এই সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। অনেকেই করোনার ঠেকানোর এরকম প্রাণহানিকর পরামর্শ এড়িয়ে চলার জন্য বলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য বার বার বলছে। কিন্তু মানুষ এই কাজগুলো করেই যাচ্ছে। তবে এই নিউজর সত্যতা যাচাই করা যায়নি। অনেকেই বলছেন, এই নিউজটি ‘ফেইক নিউজ’।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে ২১ হাজার একশ ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে গতকাল বুধবার ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এখন পর্যন্ত ভয়াবহ দিন। সে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০ হাজার ৪৮ জনে ঠেকেছে। তবে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির দাবি, নতুন করে ১৬৪ জনের প্রাণহানির পর যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে নয়শ ৪৪ জন। তবে তিনশ ৯৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চারশ ৫৬ জনে। নতুনভাবে আক্রান্ত হয়েছেন আরো দেড় হাজার মানুষ। স্পেনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার চারশ ৩৪ জন।
এদিকে, ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ছয় হাজার আটশ ২০ জনে ঠেকেছে। অন্যদিকে ফ্রান্সে মারা গেছে ১৩৩১ জন। সার্বিয়াতে দুই শিশু আক্রান্ত হয়েছে। স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে। স্পেনে এখন পর্যন্ত ৪৭ হাজার ছয়শ ১০ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখা গেছে, চীন এবং ইতালির পরেই যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের হার ১.৩৮ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ৭০ লাখ থেকে দেড় কোটি মানুষ আক্রান্ত হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে।
|
|
|
|
যুক্তরাজ্যের ব্লেইনহেইম প্রাসাদ থেকে সোনার তৈরি একটি কমোড চুরি হওয়ার দুদিন পরও খোঁজ পাওয়া যায়নি। একদল চোর শনিবার ভোর রাতের দিকে প্রাসাদের ভেতর ঢুকে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি কমোডটি চুরি করে নিয়ে যায় বলে থেমস ভ্যালি পুলিশ জানিয়েছে।
কমোডটির মূল্য এক মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি। বাংলাদেশি টাকায় যা সাড়ে ৯ কোটি টাকার সমান। চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ৬৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এটি আসলে একটি শিল্পকর্ম। ইতালিয়ান শিল্পী মউরিজিও ক্যাটেলান কমোডটি তৈরি করেছিলেন। এর নাম রাখা হয়েছে আমেরিকা। চুরি যাওয়া শিল্পটি রাজপ্রাসাদে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছিল।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, এক দল অপরাধী দুটো গাড়িতে করে এসে টয়লেটটি চুরি করে নিয়ে গেছে বলে তারা ধারণা করছেন। এটি এখনো উদ্ধার হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এটি খুঁজে পেতে সর্বাত্মক তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রাসাদের তত্ত্বাবধায়ক মি হেয়ার চুরি যাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, যা ঘটার তা ঘটে গেছে। আমাদের প্রাসাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।
|
|
|
|
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ভয়ংকর রূপ ধারণ করছে। ইতোপূর্বে শনি অথবা রোববার আঘাত হানার কথা বলা হলেও ঘূর্ণিঝড়ের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় তা শুক্রবার রাতে অথবা শনিবার সকালে আঘাত হানতে পারে।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামীকাল আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
এই আবহাওয়াবিদ জানান, ফণী এখনো ভারতের উড়িষ্যার উপকূলে দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে এর গতি পরিবর্তন হতে পারে। গতি পরিবর্তন হলে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি যদি উড়িষ্যার উপকূলে আঘাত হানে তবে তার প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকে খুলনা বিভাগসহ পুরো উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি হবে।
এদিকে আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী আরো সামা্ন্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আজ সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর/উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
|
|
|
|
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ গভীর নিম্নচাপ আকারে ভারতের উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও ভূমি ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড় নিয়ে শুক্রবার (১২ অক্টোবর) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের উড়িষ্যা এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অবস্থারত ঘূর্ণিঝড়টি অগ্রসর এবং দুর্বল হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্মচাপে পরিণত হয়েছে।
সকাল ৬টায় ভারতের উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, গভীর নিম্মচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমূদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দম্কা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির কারণে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
অাগামী তিনদিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ টেকনাফে ১০৮ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় ১ মিলি, ময়মনসিংহে ১০ মিলি, চট্টগ্রামে ৩৩ মিলি, রাজশাহীতে ৪৮ মিল, রংপুরে ২৭ মিল, খুলনায় ২ মিলি, বরিশালে ২৮ মিলি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
|
|
|
|
বিপজ্জনক জায়গায় ঝুঁকি নিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে বিশ্বে গত ছয় বছরে নিহত হয়েছেন ২৫৯ জন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। অনাকাঙ্খিত এ মৃত্যু এড়াতে বিপজ্জনক জায়গাগুলোকে ‘নো সেলফি জোন’ ঘোষণা করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। মার্কিন ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ সেলফি তুলতে গিয়ে অসাবধানতাবশত পানিতে ডুবে, সড়ক দুর্ঘটনায় বা উঁচু জায়গা থেকে নিচে পড়ে মারা গেছেন। এছাড়া বন্যপ্রাণীর আক্রমণে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বা আগুন লেগে নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। এসব অনাকাঙ্খিত মৃত্যু এড়াতে পর্বতচুড়া, উঁচু ভবন ও জলাধারসহ বিপজ্জনক জায়গাগুলোতে সেলফি তোলা নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।
এ বছরের জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার একটি খাড়া পাহাড়ের উপরে সেলফি তোলার সময় ১৯ বছর বয়সী গ্যাভিন জিমারম্যান নিচে পড়ে মারা যান।
গত মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি পাহাড়ের ওপরে সেলফি তুলতে গিয়ে ২৫০ মিটার গভীর খাদে পড়ে নিহত হন ১৮ বছরের ইসরায়েলি তরুণ টমার ফ্রাঙ্কারফুট। এ ধরনের সংবাদগুলোর ভিত্তিতে ন্যাশনাল লাইব্রেরি অন মেডিসিন তাদের ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটির গবেষণায় দেখা গেছে, সেলফি সংশ্লিষ্ট কারণে মৃত্যুর ঘটনা ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি। এসব ঘটনায় মৃতদের মধ্যে ৭২.৫ শতাংশই পুরুষ।
গবেষকরা বলছেন, বিশ্ব জুড়ে এ ধরণের মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১১ সালে সেলফি সংশ্লিষ্ট কারণে মারা গেছেন মাত্র ৩ জন। কিন্তু কয়েক বছরের ব্যবধানে ২০১৬ সালে এ সংখ্যা ৯৮ জনে পৌঁছেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে মনে করেন গবেষকরা। কেননা সব মৃত্যুর আসল কারণ প্রকাশিত হয় না। যেমন সেলফি তুলতে গিয়ে যদি কেউ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়, তাহলে তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনার কথাই উল্লেখ করা হয়। তাই সেলফি তুলতে গিয়ে নিহতদের সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব নয়।
|
|
|
|
বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে নগরবাসী যখন উৎসবে মেতেছিলেন ঠিক সেই সময়ে বৃষ্টি হানা দিল অনেকটা বেরসিক হয়ে। বৈশাখের প্রথম বেরসিক বৃষ্টিতে সেই উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়েছে। আনন্দে মাতোয়ারা মানুষগুলো তাই এখন গৃহবন্দী আছেন।
আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হয়। শুরুতে বৃষ্টি কম থাকলেও পরে বৃষ্টিপাত বাড়তে থাকে। সেইসঙ্গে ঝড়ো হাওয়াও বইতে থাকে। নগরবাসীর যারা প্রখর খরতাপের কারণে দিনের প্রথমভাগে বের হননি তারা বিকেলে ঘুরতে বেরিয়ে বিপাকে পড়েন।
পহেলা বৈশাখে ঝড়-বৃষ্টিও যেন বাঙালি সংস্কৃতির অংশ, সেটার জানান দেয় বিকেলের বৃষ্টি। তার উপর যদি বৈশাখের মতো বাঙালি উৎসবের দিন হয় তাহলে তো কথাই নেই।
রাজধানীর শাহবাগ, টিএসসি, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান করা মানুষের অনেকে ভিজে যান। কেউ কেউ এ সময় রাস্তা ও ফুটপাতের পাশে দোকানে আশ্রয় নেন।
তবে নগরবাসীর আশা বৃষ্টি থেমে আকাশ পরিষ্কার হলে আবারও সবাই মেতে উঠবেন নববর্ষের আনন্দে।
|
|
|
|
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে সাড়ে সাত ঘণ্টা পর সকাল ৬টা থেকে ফেরিসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে সাড়ে সাত ঘণ্টা সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সালাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাত থেকেই পদ্মায় কুয়াশা পড়তে থাকে। সাড়ে ১০টার দিকে কুয়াশার মাত্রা বেড়ে গেলে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি, লঞ্চসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়।
এদিকে, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ছয় শতাধিক যানবাহন নদীর দুই পাড়ে আটকা পড়ে।
এ সময় পারাপারের অপেক্ষায় আটকা পড়া এসব যানবাহনের যাত্রীরা, বিশেষ করে নারী ও শিশু চরম ভোগান্তির শিকার হন।
|
|
|
|
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে সারা দেশে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ও রোববার (১০ ডিসেম্বর) সারাদিনই থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
তবে প্রধানত গুঁড়ি গুঁড়ি আকারে হলেও কখনো কখনো ভারি বৃষ্টিও হতে পারে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দিনের আকাশ পরিষ্কার হয়ে উঠতে পারে বলে আজ (৯ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ রুহুল আমিন জানান ।
আবহাওয়াবিদ আরো জানান, এখন যে শীত অনুভূত হচ্ছে সেটি মূলত বৃষ্টির কারণে। তবে নিম্নচাপ সরে গেলে মধ্য ডিসেম্বরের পর থেকে এমনিতেই শীতের প্রকোপ একটু বাড়বে।
এদিকে মধ্য পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও উত্তর-পশ্চিম এলাকায় গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঢাকা আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, গভীর নিম্নচাপটি ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এটি পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকা থেকে সরে গিয়ে আরো উত্তর উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
গভীর নিম্নচাপটি আজ (৯ ডিসেম্বর) ভোর ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার তৈরি হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
নিম্নচাপের সৃষ্টির ফলে মোংলা বন্দরসহ আশপাশের উপকূলীয় এলাকাজুড়ে দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে বলে মোংলা থেকে আবু হোসাইন সুমন জানিয়েছেন।
মোংলায় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দিনভর গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি এবং রাতে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর থেকে আবারও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে মাঝারি বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।
মোংলা বন্দরের বন্দরের হারবার বিভাগের অপারেটর শাহজাহান জানান, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বন্দরে অবস্থানরত ১৬টি বিদেশি জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে গতকাল (৮ ডিসেম্বর) রাতে আটটি খাদ্যশস্যবাহী (চাল ও গম) জাহাজে পণ্য ওঠা-নামার কাজ বন্ধ সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এদিকে বন্দরের ফেয়ারওয়ে বয়া ও হাড়বাড়িয়ায় বর্তমানে ২৪টি জাহাজ অবস্থান করছে বলেও তিনি জানান।
বন বিভাগ জানিয়েছেন, নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলে-মাঝিমাল্লারা সুন্দরবনের দুবলারচরসহ বিভিন্ন নদী ও খালে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে।
|
|
|
|
মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ২০১৭, দিনটি কেমন যাবে
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল) : ব্যবসায়িক লেনদেনে আপনার স্বার্থ অক্ষুণœ থাকবে। নতুন কাজে হাত দেওয়ার জন্য দিনটি শুভ। পাওনা আদায়ে প্রভাবশালী কারো সহযোগিতা পেতে পারেন। বিয়ের আলোচনায় অগ্রগতি হবে।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২১ মে) : ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনের জন্য দিনটি শুভ। পাওনা আদায়ে অন্যের সহযোগিতা পেতে পারেন। সামাজিক কর্মকান্ডে ব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। রাজনৈতিক তৎপরতা শুভ।
মিথুন (২২ মে-২১ জুন) : দিনের শুরুতেই আর্থিক বিষয়ে কোনো সুখবর পেতে পারেন। সৃজনশীল কাজের জন্য প্রশংসিত হবেন। পারিবারিক দ্বন্দ্বের অবসান হবে। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। দূরের যাত্রা শুভ।
কর্কট (২২ জুন-২২ জুলাই) : কর্মস্থলে আপনার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন হবে। সামাজিক কর্মব্যস্ততা বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রেমের বিয়েতে অভিভাবকের সম্মতি পাবেন। কোনো আইনি সমস্যার সমাধান হতে পারে।
সিংহ (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট) : পরিবারের বয়স্ক কারো রোগমুক্তি ঘটতে পারে। সৃজনশীল কাজের স্বীকৃতি পাবেন। অসৎ সঙ্গীর কারণে অর্থনাশের আশঙ্কা রয়েছে। দূরের যাত্রা শুভ। ভেঙে যাওয়া প্রেমের সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে।
কন্যা (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর) : বেকারদের কেউ কেউ ঝুঁকিপূর্ণ বিদেশযাত্রায় সফল হবেন। নতুন কাজে হাত দেওয়ার জন্য দিনটি শুভ। প্রেমে সাফল্যের সম্ভাবনা আছে। কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।
তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর) : পারিবারিক সমস্যার সমাধানে কোনো মুরব্বির পরামর্শ নিতে পারবেন। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। প্রেমের ব্যাপারে অন্যের দেওয়া তথ্য যাচাই করে নিন। আজ আপনার অর্থভাগ্য বিশেষ শুভ।
বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর) : কর্মস্থলে অপ্রত্যাশিতভাবে অপরিচিত কারো সহযোগিতা পেতে পারেন। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। প্রিয়জনের মন রক্ষা করা কঠিন হতে পারে। রাজনীতিতে আপনার গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। দূরের যাত্রা শুভ।
ধনু (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর) : কর্মস্থলে কারো প্ররোচনায় ভুল সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে। নতুন কাজে হাত দেওয়ার জন্য দিনটি শুভ। পাওনা আদায় করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে পারেন। বিয়ের আলোচনায় অগ্রগতি হবে।
মকর (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি) : ব্যবসায়িক কর্মে তেজীভাব বিরাজ করবে। সৃজনশীল পেশায় সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে। যাবতীয় কেনাকাটায় লাভবান হবেন। প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য দিনটি বিশেষ শুভ। দূরের যাত্রায় সতর্ক থাকুন।
কুম্ভ (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি) : ব্যবসায়িক লেনদেনে আপনার স্বার্থ অক্ষুণ্ন থাকবে। বাহ্যিক চাকচিক্যে আকৃষ্ট হয়ে কেনাকাটা করতে গিয়ে ঠকতে হতে পারে। আজ কারো কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন। দূরের যাত্রা শুভ।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ) : ব্যবসায়িক ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। যৌথ বিনিয়োগ শুভ। প্রেমের ব্যাপারে ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের কারো কারো বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যাবতীয় কেনাকাটা শুভ।
|
|
|
|
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো এবং তার স্ত্রী জেনি হাওকিও আশা করছেন, শিগগিরই তাদের পরিবারে আসছে নতুন অতিথি। নিনিস্তোর বয়স এখন ৬৯ বছর, আর হাওকিওর ৪০।
আগামী ফেব্রুয়ারিতেই তাদের সন্তানের জন্ম হতে যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। সোমবার নিনিস্তো দম্পতির এক বিবৃতিতে বলা হয়, একটি সন্তানের জন্য আমাদের অপেক্ষা দীর্ঘদিনের।
সাউলি নিনিস্তো ও জেনি হাওকিও সংসার শুরু করেন ২০০৯ সালে। এটাই হবে হাওকিওর প্রথম সন্তান, আর নিনিস্তোর তৃতীয়।
|
|
|
|
দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। আজ আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে একথা বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, উপকূলীয় বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে স্থলভাগের উপর দিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষ ভারতের বিহার, উড়িষ্যা সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের দক্ষিণাংশ অতিক্রম করে উত্তর-পশ্চিম দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ।
সমুদ্র বন্দরসমূহে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর পুনঃ ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের এক সতর্ক বার্তায় আজ এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোসাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে স্থল নিন্মচাপে পরিণত হয়ে আজ সকাল ৯টায় গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনীভূত হয়ে স্থলভাগের উপর দিয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সূত্র : বাসস
|
|
|
|
দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ৯০টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষন অনুযায়ী ৪৭টি পয়েন্টের পানি বৃদ্ধি ও ৩৯টির হ্রাস পেয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৯০টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী সকল পয়েন্টের পানি বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ৪টি পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে। নদ-নদীর পরিস্থিতি সম্পর্কে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীরণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, পদ্মা, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর নদী সমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে গঙ্গা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী সমুহের পানি সমতল বৃদ্ধি আগামী ২৪ ঘন্টা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘন্টায় গঙ্গা পানি সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে। আপরদিকে পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেতে পারে। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি আগামী ২৪ ঘন্টায় অব্যাহত থাকতে পারে। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৯০ মিলিমিটার, চিলমারী ৮৯ মিলিমিটার, কুড়িগ্রাম ৭৮ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ৭৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার ও নাকুয়াগাঁও ৭৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
|
|
|
|
ভারতের উত্তরপ্রদেশের পিলিভিট জেলার সিরসা সর্দা সারহাই গ্রামে বেশিরভাগ বাড়িতে এখনও টয়লেট নেই। স্থানীয় কর্মকর্তারা গ্রামবাসীকে নির্দেশ দিয়েছেন, মাঠে ঘাটে মলত্যাগের পর তা কোদাল দিয়ে মাটিচাপা দিতে, যাতে কারও চোখে না পড়ে। তাই এখন থেকে মলত্যাগের সময় শুধু পানিই নয় সঙ্গে কোদাল ও বেলচা নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, আগামী বছর অক্টোবরের মধ্যে রাজ্যকে খোলা জায়গায় মলত্যাগ মুক্ত করতে হবে। অথচ পিলিভিটের প্রতিটি বাড়িতে টয়লেট তৈরির সময় নেই, নেই দরকারি টাকাও। এখনও তৈরি করা বাকি এক লাখ ৩৩ হাজার টয়লেট।
সিরসা সর্দা গ্রামে বাড়ির সংখ্যা ১০২ এর মত। কিন্তু ১০টার বেশি বাড়িতে টয়লেট নেই। সরকারি নির্দেশে বাধ্য হয়ে মলত্যাগের সময় পানির বোতলের পাশাপাশি কোদাল, বেলচা নিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন গ্রামবাসী।
গ্রাম প্রধান বলছেন, সরকার টয়লেট পিছু মাত্র ১২ হাজার টাকা দিচ্ছে। এত কম টাকায় টয়লেট তৈরি হয় না। কিছুদিন আগে তারা ৩৫টা টয়লেট তৈরির টাকা বরাদ্দ করেছে কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই ক্ষেতে খামারে কাজ করেন, টয়লেট তৈরির সামর্থ্য নেই তাদের।
প্রশাসন জানিয়েছে, সার্ভে করে প্রথমে তারা সব থেকে দরিদ্র পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করেছে। সেই বাড়িগুলোতে সরকার থেকে তৈরি হচ্ছে টয়লেট। যেহেতু সব পরিবারকে এভাবে সাহায্য করা সম্ভব নয়, তাই গ্রামবাসীদের বোঝানো হচ্ছে; যেন নিজেরাই বাড়িতে টয়লেট তৈরি করেন তারা।
|
|
|
|
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধার সামনে রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হঠাৎ করেই দাঁড়ালেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তার উদ্যোগে পুলিশ সেখানে উল্টো পথে চলা গাড়ি ও মোটরসাইকেল আটকানো শুরু করল। দুই ঘণ্টা ধরে চলা এ অভিযানে মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে ৫০টি যানবাহনকে। এর মধ্যে ৪০টিই সরকারি গাড়ি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে যেসব গাড়ির জরিমানা ও মামলা করা হয়েছে তার মধ্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের গাড়ি থেকে শুরু করে সচিব, বিচারক, সরকারি দলের নেতা, পুলিশ ও সাংবাদিকদের গাড়িও রয়েছে।
পুলিশের ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিকের রমনা অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. আলাউদ্দিন জানান, বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলা অভিযানে ৫০টির মতো গাড়ির জরিমানা করা হয়েছে ও মামলা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০টিই সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের গাড়ি।
অভিযান চলাকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মোসলেহ উদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
দিল্লির বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে বেশ কিছুদিন ধরে বেড়ে গিয়েছিল মোবাইল চুরির ঘটনা। এর মধ্যে এক দিনে ২০-২৫টা চুরিরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। আশঙ্কাজনকভাবে চুরি বেড়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিশ।
এক পর্যায়ে গত সোমবার পুলিশের অভিযানে ধরা পড়ে এক চোর। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য শুনে তদন্তকারীরাও চমকে যায়। সে জানায়, ১৪ জনের একটি দল বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন স্টেশনে চুরি করে আসছেল এবং তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। আটককৃতদের মধ্যে কয়েক জন নাবালকও রয়েছে।
দিল্লি মেট্রো পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সোমবার দুপুরে বচ্চন সিংহ নামে একজনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে চুরির কথা স্বীকার করে জানায়, চক্রটিতে ছয় জন নাবালকসহ একই পরিবারের ১৪ জন রয়েছে।
পুলিশকে বচ্চন জানান, তার সঙ্গীরা সবজি মান্ডি থানার কাছে একটি পার্কে দিনের একটা সময়ে বিশ্রাম নিতে যায়। এরপর কাশ্মীরি গেট মেট্রো পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে বাকি ১৩ জনকেও আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা আগরার কাছে বিষ্ণুপুরা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশের দাবি, আটক ১৪ জন জানিয়েছে, তাদের গ্রামের অনেকে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় চুরি করে থাকে। অন্য সময়ে চাষাবাদ বা মুচির কাজ করে। তবে মোবাইল ফোন চুরিই তাদের আসল পেশা।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মাস কয়েক আগে তাদের পরিবারের কয়েক জন দিল্লিতে এসে বুঝতে পারে, মেট্রো রেল যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চুরি করা সহজ। এরপর পরিবারের সবাই মেট্রো রেলে মোবাইল ফোন চুরির পরিকল্পনা করে। ৫-৬ জন করে দুটি দলে ভাগ হয়ে তারা এ কাজ করত। একজনকে টার্গেট করা হতো প্রথমে। এরপর তাদের দলের একজন তাকে অন্যমনস্ক করে দিতো এবং অন্য একজন মোবাইল চুরি করে দলের অপর সদস্যের কাছে পাচার করে দিতো
|
|
|
|
শনিবার রাত থেকে বৃষ্টি আর চার লেনের কাজ চলার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চাপ বেড়ে গাড়ির ধীর গতি এবং থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট ভোগড়া বাইপাস পার হয়ে পূর্বদিকে মিরের বাজার ও উলুখোলা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ফলে ওই সড়কে চলাচলকারী পণ্যবাহী গাড়িগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের চালকরা।
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হোসেন সরকার জানান, রাতে বৃষ্টির কারণে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকা থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত টাঙ্গাইল মহাসড়কে ওই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে গাড়ির চালকরা সাইডরোড ইউজ না করে সিঙ্গেল লাইনে চলতে গিয়ে গাড়ি স্বাভাবিক গতিতে চালাতে পারছে না।
এছাড়া ওই মহাসড়কে চার লেনের কাজ চলতে থাকায় স্থানে স্থানে গাড়ির চাপ বেড়ে গিয়ে গাড়ি চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে, মাঝেমধ্যেই যানজট হচ্ছে। তিনি আরও জানান, রাতে বৃষ্টির কারণে মহাসড়কে যানজট বাড়তে থাকে। কিন্তু সকালে রোদ ওঠায় যানজট কমতে শুরু করেছে। এদিকে টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে থেমে থেকে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা যানজট নিরসনে সড়কে কাজ করে যাচ্ছেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবদুল মালেক, যুগ্ন সম্পাদক: নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া । সম্পাদক র্কতৃক ২৪৪ ( প্রথম তলা ) ৪ নং জাতীয় স্টেডিয়াম, কমলাপুর, ঢাকা -১২১৪ থেকে প্রকাশিত এবং স্যানমিক প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস, ৫২/২ টয়েনবি র্সাকুলার রোড, ঢাকা -১০০০ থেকে মুদ্রিত । ফোন:- ০২-৭২৭৩৪৯৩, মোবাইল: ০১৭৪১-৭৪৯৮২৪, E-mail: info@dailynoboalo.com, noboalo24@gmail.com
Design Developed By :
Dynamic Solution IT
Dynamic Scale BD
BD My Shop
|
|
|