চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন বাচ্চু
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুকে। সোমবার (৩ জুলাই) দিনগত রাতে গণভবনে দলটির মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ৮ জুন ২০তম কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী এ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামীকাল, ৪ জুলাই। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৬ জুলাই, আপিল দায়ের করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই, আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১১ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ জুলাই। সব কেন্দ্রে ইভিএমে ব্যবহার হবে।
আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর-খুলশী-কাতালগঞ্জ) আসনটি গত ৪ জুন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত গেজেটে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ- সদস্য মো. আফছারুল আমীন গত ২ জুন মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২৮৭ চট্টগ্রাম-১০ আসনটি উক্ত তারিখে শূন্য হয়।
|
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী করা হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুকে। সোমবার (৩ জুলাই) দিনগত রাতে গণভবনে দলটির মনোনয়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ৮ জুন ২০তম কমিশন বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী এ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় আগামীকাল, ৪ জুলাই। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৬ জুলাই, আপিল দায়ের করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই, আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১১ জুলাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই, প্রতীক বরাদ্দ ১৩ জুলাই। সব কেন্দ্রে ইভিএমে ব্যবহার হবে।
আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর-খুলশী-কাতালগঞ্জ) আসনটি গত ৪ জুন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত গেজেটে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদ- সদস্য মো. আফছারুল আমীন গত ২ জুন মৃত্যুবরণ করায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২৮৭ চট্টগ্রাম-১০ আসনটি উক্ত তারিখে শূন্য হয়।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগ সম্পাদকমন্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সমূহের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথসভা আগামীকাল রোববার বিকাল ৪ টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে। দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এতে সভাপতিত্ব করবেন । সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
|
|
|
|
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান বলেছেন, আমি পরাজয় মেনে নিয়েছি। কেউ সহযোগিতা চাইলে বিবেচনা করা হবে। ভোটের পরদিন শুক্রবার সকালে টঙ্গীতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। আজমত উল্লাহ খান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমি রায় মেনে নিয়েছি। তবে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কিছু ত্রুটি ছিল ইভিএমে। অনেকে ভোট দিতে পারে নাই। পরাজয়ের কারণ পর্যালোচনা করা হবে। পরাজয়ের কি কি কারণ ছিল তা জানানো হবে। বিজয়ী মেয়র জায়েদা খাতুন আপনার সহযোগিতা চাইবেন বলে জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আজমত উল্লাহ বলেন, কেউ যদি সহযোগিতা চায় তা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান নৌকা প্রতীকে ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট পেয়েছেন। ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটের ব্যবধানে জায়েদা খাতুন জয় লাভ করেন।
|
|
|
|
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গাজীপুরের নির্বাচনটা আমাদের কাছে অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এর আগে এত বড় পরিসরের একটা নির্বাচন জাতীয়ভাবে অনেক গুরুত্ব বহন করবে বলে আমরা মনে করি। এজন্যই গাজীপুর নির্বাচনটা একটা মডেল হোক। এই নির্বাচনটা নিয়ে যেন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারি। আমরা যেন একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আমাদের নির্বাচন নিয়ে কথা বলছে। আমরা তাদের মুখ চেপে ধরতে পারছি না। আমাদের নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, ইউনাইটেড নেশনসহ বিভিন্ন দেশ কথা বলছে। গতকাল দুপুরে গাজীপুরের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার অডিটোরিয়ামে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গাজীপুর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাদিরুল ইসলাম, মহানগর পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম| নির্বাচনের অংশ নেয়া মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, মাঠে যখন খেলা হবে দুই পক্ষকেই খেলতে হবে। আমি যদি কালো টাকা বিতরণ করে থাকি আরেক জনকে এই কালো টাকা বিতরণ প্রতিহত করার চেষ্টা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনার এসে, পুলিশ এসে রাতারাতি সেটা করতে পারবে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হবে না। তবে কালো সংস্কৃতি থেকে আমাদের ধীরে ধীরে উঠে আসতে হবে। আমাদের নির্বাচনের ব্যবস্থা এখনো অনেক অপসংস্কৃতি ও কালো সংস্কৃতি রয়ে গেছে। আপনাদের চেষ্টায় হয়তো একটা সময় আসবে সবাই সুশৃঙ্খলভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, কালো টাকা নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবেন না। কালো টাকা যতই বিতরণ করা হোক। তাহলে কালো টাকা গ্রহণকারীদের বলে দেবেন, কালো টাকা নিলেও নিয়েন ভোটটা কিন্তু স্বাধীনভাবে দিয়েন। আপনি যাকে বিশ্বাস করেন, যাকে ভালো মনে করেন ভোটটা তাকেই দিয়েন। কারণ ভোট প্রদানের সময় তো আর প্রার্থী থাকবে না। সভার শুরুতেই নির্বাচনের আচরণবিধির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন জেলা নির্বাচন অফিসার কামরুল হাসান।
|
|
|
|
যাত্রীদের জন্য মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণে আইন ও বিধিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং উত্তরা থেকে মতিঝিল ২০ কিলোমিটারের ভাড়া ১০০ টাকা নির্ধারণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।
সোমবার রাতে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়ার পরিমাণ দেশের বেসরকারি বাসভাড়ারও দ্বিগুণ। এমনকী, ভারত এবং পাকিস্তানের মেট্রোরেলের ভাড়ার চেয়ে ২ থেকে ৫ গুণ বেশি। ঢাকা মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই ও লাহোরের ভাড়ার দ্বিগুণ এবং কলকাতা মেট্রোরেলের ৩ গুণ। ঢাকার ২০ কিলোমিটারের ভাড়া কলকাতার ৪ গুণ, নয়াদিল্লি, মুম্বাই ও চেন্নাইয়ের ৩ গুণ এবং লাহোরের ভাড়ার চেয়ে সাড়ে ৫ গুণ বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে দেশের প্রবীণ প্রকৌশলী পানি ও নদী বিশেষজ্ঞ ম ইনামুল হককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ও টকশো সঞ্চালক সাংবাদিক জিল্লুর রহমানকে পুলিশি হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান নজরুল ইসলাম খান।
প্রসঙ্গত, আগামীকাল প্রথমবারের মতো দেশে চালু হতে যাচ্ছে মেট্রোরেল সার্ভিস। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর ২৯ ডিসেম্বর থেকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নাগরিকদের জন্য টিকিটের বিনিময়ে চালু করা হবে মেট্রোরেল।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজুদ্দিন নসু, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ।
|
|
|
|
অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার অথবা জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন’ ও ‘রাষ্ট্র মেরামতে জাতীয় ঐকমত্য’ এই দুই দফা দাবি আদায়ে ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, ‘যুগপৎ নয়, স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে ২ দফা দাবিতে সর্বাত্মক আন্দোলন চালিয়ে যাবে এবি পার্টি। অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, অথবা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন ও রাষ্ট্র মেরামতে জাতীয় ঐকমত্যের দুই দফা দাবিতে ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করা হবে।’
দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘গত ১৪ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন আজ দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে ঠেকিয়েছে। দুঃশাসন, আর্থিক খাতে অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও লুটপাটে দেশের মানুষের আজ নাকাল অবস্থা।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে গত শনিবার ঢাকার শাহবাগে খ্যাতিমান প্রকৌশলী এবং একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান ম ইনামুল হকের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
বিএনপির ১০ দফা ও ২৭ দফাকে স্বাগত জানিয়ে মন্জু বলেন, ‘মূলত, এই মুহূর্তে দেশের মানুষের মৌলিক দাবি দুটি। একটি হলো স্বৈরশাসন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে এই সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সেই সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। প্রয়োজনে এই নির্বাচন জাতিসংঘের অধীনে করার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি। দ্বিতীয়টি হলো—বাংলাদেশ রাষ্ট্র মেরামত করার জন্য একটি ঐকমত্যের রূপরেখা। যা হবে সব দলের সম্মতিতে একটি জাতীয় অঙ্গীকার এবং তা হতে হবে অলঙ্ঘনীয়।
|
|
|
|
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের সব ইউনিটের নেতাকর্মীর প্রতি ১০ নির্দেশনা ঃ
১. সংগঠনের ব্যানার, পোস্টার ও অন্যান্য ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কোনো ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
২. জেলা, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সম্মেলন ছাড়া তাদের অধীনে কোনো ইউনিটের কমিটি গঠন করবে না। যেসব ইউনিটের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি, দ্রুত তাদের কেন্দ্র বা সংশ্লিষ্ট ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমাদানের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সংখ্যার অধিক সদস্য নিয়ে কোনো ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে না।
৩. গঠনতন্ত্রে উল্লেখিত সময়ে প্রতিটি ইউনিটকে অবশ্যই নিয়মিত নির্বাহী সভা আয়োজন করতে হবে।
৪. সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নেতাদের অবশ্যই নিজ নিজ ইউনিটে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকতে হবে এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে উত্তরোত্তর গতিশীলতা বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
৫. দেশের সব স্তরের নেতাকর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও নিয়মিত সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড প্রচার করবে এবং দেশবিরোধী সব অপচেষ্টা ও গুজব-প্রোপাগান্ডার সমুচিত জবাব দেবে।
৬. বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসাসহ প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাডেমিক পরিবেশ বজায় রেখে সাংগঠনিক কর্মসূচি পরিচালনা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিটি বিষয়ের প্রতি দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
৭. ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের জন্য প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে স্মার্ট ক্যাম্পাসে রূপদান করতে হবে, শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক কর্মসূচি হাতে নিতে হবে এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
৮. স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, মৌলবাদ-জঙ্গিবাদে সংশ্লিষ্টরা যেন নামে-বেনামে শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে না পারে, সেজন্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও সাহিত্য কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে।
৯. শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করতে নানামুখী উৎসব, প্রতিযোগিতা, সেমিনার, কর্মশালা, প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্যোগ নিতে হবে।
১০. জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট মোকাবিলায় বৃক্ষরোপণ, বায়ু-পানি-মাটি-পরিবেশ-শব্দদূষণ রোধে ভূমিকা রাখা, অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ, জ্বালানি সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস-তেলের ব্যবহারে যত্নশীল হওয়া, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবিলায় সাংগঠনিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে মিতব্যয়ী হওয়াসহ ইত্যাদি বিষয়ে প্রতিটি ইউনিট শিক্ষার্থী ও তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করবে।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন ক্রিকেটার মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। আজ সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, সভাপতিমন্ডলীর দু’টি পদ, সম্পাদক ও উপ-সম্পাদকের একটি করে পদ, কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি সদস্য পদ পূর্ণাঙ্গ করার দায়িত্ব সভাপতিমন্ডলীর বৈঠকে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়েছিল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ১২ মিনিটে। পরে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ডিবির পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। অন্যদিকে তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবীরা।
পরে শুনানি শেষে আদালত মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সন্ধ্যা ৫টা ২২ মিনিটে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সাদা মাইক্রোবাসে আদালত চত্বর ছাড়েন তারা।
এসময়ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালত চত্বরে মিছিল করেন। তারা ‘খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়া’; ‘জিয়ার সৈনিক গড়ে তোলা একতা’; ‘জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই কর’; ‘আগামীকালের সমাবেশে যোগ দিন, সফল করুন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে আদালতে তোলার আগে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো রকমের অরাজক পরিস্থিতি এড়াতে এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. মুহিত কবীর সেরনিয়াবাত।
তিনি বলেন, আদালতে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
|
|
|
|
বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে কী? পল্টনে গেলেন না? গেলেন না? হাফ ডিফিট হয়ে গেছে।’
শনিবার সাভারের রেডিও কলোনি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নয়াপল্টনেই সমাবেশ করা হবে- বিএনপি নেতাদের এমন হুঙ্কার বক্তব্যের পর নানান ঘটনা আর নাটকীয়তা শেষে আজ (শনিবার) বিকল্প ভেন্যু রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করেছে দলটি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নয়াপল্টনের অফিস… ১০ তারিখে সমাবেশ, অনুমতি পায়নি। অনুমতি পাওয়ার আগেই তারা কী করেছে? তারা সেখানে প্রস্তুতি নিয়েছে। পুলিশ পরে তল্লাশি করে সেখানে কী পেল? ১৬০ বস্তা চাল, ওই যে হান্ডি-পাতিল, মশারি-বিছানা, সব নিয়ে পিকনিক পার্টি শুরু করেছে এই নয়াপল্টনকে ঘিরে।’
এ সময় ওবায়দুল কাদের সমাবেশ ঘিরে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, পুলিশের ওপর বিএনপিই হামলা করে সেদিন। পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশ কি দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবে? পুলিশের ওপর হামলা চালাবে, পুলিশ কি দাঁড়িয়ে চুপ করে থাকবে? আত্মরক্ষা তাদেরও করতে হবে।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগেই রাজপথে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করেছে। তারা আজ পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে। আজ বুধবার কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি একথা বলেন। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নাকি রাজপথ ও ঢাকা দখল করবে। ১০ ডিসেম্বরের আগেই তারা নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তারা কেন নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় তা জনগণ জানে। কারণ সেখান থেকে দ্রুত অস্ত্র আর আগুন সন্ত্রাস করতে পারে তারা।’ বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, ঢাকা দখলের হুমকি দিবেন না। আমাদের নেতা-কর্মীরা মহানগর, জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লায় পাহারায় থাকবেন।’ দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই আমাদের অস্তিত্বের জন্য। আমি কারও অন্ধ সমর্থক নই। কাজ করে যারা, আমি তাদের পক্ষে বলি। জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘এই ডিসেম্বরে খেলা হবে, আগামী নির্বাচনে খেলা হবে, আন্দোলনে খেলা হবে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে টাকা চুরির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।’ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ।
|
|
|
|
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল। সম্মেলন ঘিরে ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংগঠনটি। ছাত্রলীগের ৩০ তম জাতীয় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকাল সকালে সাড়ে ১০ টায় এই সম্মেলন শুরু হবে। সম্মেলনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা সম্মেলনের সর্বপ্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের আবেদনপত্র নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীশেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই নতুন কমিটি হবে। ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। ওই বছরের জুলাইয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব পান। তারা পদ হারালে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সভাপতি পদে আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক পদে লেখক ভট্টাচার্য আসেন। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ‘ভারমুক্ত’ হন তারা।
|
|
|
|
আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে আর আগুন নিয়ে খেলতে দেয়া হবে না। জনগণ তাদের প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি আবার আগুন নিয়ে খেলতে চাইলে তা জনগণ প্রতিহত করবে। ডিসেম্বর মাসজুড়ে আমাদের মাঠে থাকতে হবে। তাই সকল নেতাকর্মীদের এখনই প্রস্তুতি স¤পন্ন করতে হবে। ডিসেম্বর মাসজুড়ে ভোট চোর, দুর্নীতিবাজ, এবং জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। বিএনপির ফাঁকা বুলিতে আওয়ামী লীগ ভয় পায় না।’ বরগুনার সার্কিট হাউজ ময়দানে আজ জেলা আওয়ামী লীগের ৮ম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি’র সভাপতিত্বে এসময় বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ স¤পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক স¤পাদক আফজাল হোসেন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক স¤পাদক সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য আনিসুর রহমান, গোলাম রাব্বানী চিনু, শওকত হাচানুর রহমান রিমন এমপি ও নাদিরা সুলতানা এমপি। সম্মেলনে জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্ধসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক জাহাঙ্গীর কবির। মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টাকার বস্তার উপর বসে ছিলেন মির্জা ফখরুল, এখন টাকা ফুরিয়ে গেছে তাই তার কণ্ঠস্বর নরম হয়েছে। বিএনপি কাপুরুষের দল।’ তিনি বলেন, ‘৭৫ সালের পর শেখ হাসিনার মতো আর কোন নেতা এত জনপ্রিয় হয়নি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে তাঁর সততা। কিন্তু এখন দলের মধ্যে কর্মী থেকে নেতা বেশি। মশারির মধ্যে মশারি খাটাবেন না। দলে কোনভাবেই দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, মাদক সেবী এবং বিএনপি-জামাতের লোক ঢুকতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ অচিরেই ফরিদপুর-কুয়াকাটা সড়কের ৬ লেনের কাজ শুরু হবে বলে সমাবেশে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী জানান। এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের ৮ম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ এমপি। সুত্রঃবাসস
|
|
|
|
আগামী ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে। সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় চার নেতার সঙ্গে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে। তিনটি সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে তারিখেই সময় দেবেন সেদিনই চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া তারিখ জানাবেন।
|
|
|
|
আট বছর পর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ২টা ২৫ মিনিটে দলীয় পতাকা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্য মেলার পুরাতন মাঠে দলটির নেতাকর্মীদের ঢল দেখা গেছে। সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রীতিমত জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে। দোহার, সাভার, ধামরাই, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ইউনিট গঠিত। দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে তৈরি মঞ্চকে ঘিরে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হতে থাকেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এসেছেন জেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি। প্রধান অতিথি হিসেবে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন।
|
|
|
|
কোনো বাধাই বিএনপির অন্দোলনকে থামিয়ে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বিএনপি একটি লিবারেল ডেমোক্রেটি পার্টি। তারা সংবিধানের বিধান মেনে রাজনীতি করে৷ সংসদে যাওয়ার জন্য নির্বাচন করে। এটা লিবারেল ডেমোক্রেসির একটা কর্মসূচি।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে কথা বলার স্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, সভা, মিছিল সংগঠনের স্বাধীনতা। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই। আগে আমরা বলতাম বাকি দলগুলো বলতো। এখন আওয়ামী লীগের সহযোগী দল জাপার প্রধান কাদের সাহেবও বলছেন দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। একনায়কতন্ত্র চলছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা লিবারেল ডেমোক্রেটি দল হিসেবে আন্দোলন করছি। ইউনিয়ন পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি নিয়ে গেছি। দেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করছি। আমরা দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে আন্দোলন করেছি, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের জন্য করেছি।
|
|
|
|
|
|
|