বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়েছিল শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ১২ মিনিটে। পরে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ডিবির পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। অন্যদিকে তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবীরা।
পরে শুনানি শেষে আদালত মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সন্ধ্যা ৫টা ২২ মিনিটে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সাদা মাইক্রোবাসে আদালত চত্বর ছাড়েন তারা।
এসময়ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা আদালত চত্বরে মিছিল করেন। তারা ‘খালেদা জিয়া, খালেদা জিয়া’; ‘জিয়ার সৈনিক গড়ে তোলা একতা’; ‘জিয়ার সৈনিক এক হও লড়াই কর’; ‘আগামীকালের সমাবেশে যোগ দিন, সফল করুন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে আদালতে তোলার আগে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো রকমের অরাজক পরিস্থিতি এড়াতে এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. মুহিত কবীর সেরনিয়াবাত।
তিনি বলেন, আদালতে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।