|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শীতে ঠোঁটের চামড়া ওঠা ও ফাটা রোধের ৩ উপায়
শীত আসতেই ত্বক, ঠোঁট, চুল, হাত-পা সবই হয়ে ওঠে শুষ্ক। এ সময়ের ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই শীতে চায় ত্বকের বাড়তি যত্ন। বিশেষ করে শীতে ঠোঁটের চামড়া ওঠা ও ফাটার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। বারবার ঠোঁট শুষ্ক হওয়ায় লিপজেল বা বাম ব্যবহার করলেও কিছুক্ষণ পর তা গায়েব হয়ে যায় ঠোঁট থেকে। পরবর্তীতে আবারও ঠোঁট হয়ে পড়ে শুষ্ক। আবার অনেকেই ঠোঁটের চামড়া উঠলে তা হাত দিয়ে খুচিয়ে তোলার কারণে ঠোঁটে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে তা ঘায়ে রূপ নেয়। এসব সমস্যার সমাধানে শীত আসতেই ঠোঁট ভালো রাখতে ব্যবহার করুন স্ক্রাব। এজন্য ঘরেই তৈরি করে নিন লিপ স্ক্রাব। নিয়মিত ঠোঁট স্ক্রাব করার ফলে মৃতকোষ দূর হবে। ফলে চামড়া ওঠার সমস্যা আর থাকবে না। আবার ঠোঁট ফাটাও রোধ হবে। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে অন্তত দুবার ঠোঁট ভালো রাখতে স্ক্রাব করা জরুরি। এজন্য খুব সহজেই ঘরে তৈরি করতে পারবেন লিপ স্ক্রাব। জেনে নিন দু’ধরনের লিপ স্ক্রাবের রেসিপি- ব্রাউন সুগার স্ক্রাব ব্রাউন সুগার শরীরের জন্যও যেমন উপকারী ঠিক তেমনই ত্বক এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও কাজ করে। এটি গ্লাইকোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ত্বক এক্সফোলিয়েশন করে। এতে আরও আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, ঠোঁটকে করে মসৃণ ও উজ্জ্বল। এই স্ক্রাব তৈরি করতে লাগবে ব্রাউন সুগার, মধু ও নারকেল তেল। ১ টেবিল চামচ বাদামি চিনির সঙ্গে আধা টেবিল চামচ মধু ও তেল মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণ ঠোঁটে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। তবে বেশি জোরে জোরে ঘষবেন না। আলতো হাতে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ঠোঁট কতটা নরম হয়ে গেছে। এরপর ঠোঁটে লিপজেল ব্যবহার করুন। গ্রিন টি স্ক্রাব গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, হওয়ায় ত্বক দূষণমুক্ত করে। এজন্য গ্রিন টির সঙ্গে আধা টেবিল চামচ টকদই, সমপরিমাণ অলিভ অয়েল ও চিনি মিশিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি গ্রিন টি স্ক্রাব। এবার এই মিশ্রণ ঠোঁটে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। দেখবেন ঠোঁটের মৃতকোষ উঠে যাবে। ফলে ঠোঁটের চামড়াও আর উঠবে না আর ফোঁটও ফাটবে না। কফি স্ক্রাব কফি দিয়ে রূপচর্চা বিষয়টি সবারই জানা। কফি সত্যিই ত্বকের যত্নে দুর্দান্ত কাজ করে। কফি একটি চমৎকার এক্সফোলিয়েটর। ঠোঁটের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বাড়ায় এটি। ক্যাফেইন রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, ফলে ঠোঁটের গোলাপি আভা ফিরে আসে। কফি স্ক্রাব তৈরি করতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কফি পাউডার মিশিয়ে নিন। এরপর ঠোঁট স্ক্রাব করুন। নিয়মিত কফি স্কাব ব্যবহারে ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে, ঠোঁটের চামড়া ওঠা ও ফাটাও রোধ হবে। মনে রাখবেন >> সব সময় সঙ্গে একটি লিপ বাম বা লিপ জেল রাখুন। ঠোঁট শুষ্ক হতেই লিপ বাম ব্যবহার করুন। >> কখনো ঠোঁটে মানহীন লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। এতে ঠোঁট কালচে হয়ে যায় ও চামড়া উঠতে পারে। বিশেষ করে শীতে ঠোঁটে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহাপর করবেন না। >> ঠোঁটের শুষ্কতা রোধে সব সময় ঠোঁট চাটা এড়িয়ে চলুন। এটি ঠোঁট ফাটা সমস্যার মূল কারণ হতে পারে। >> এসব স্ক্রাব যখন ব্যবহার করবেন ঠিক তার আগেই তৈরি করে নেবেন। তৈরি করে বেশিদিন ফ্রিজে রাখলে এর কার্যকারিতা হারাবে।
|
শীত আসতেই ত্বক, ঠোঁট, চুল, হাত-পা সবই হয়ে ওঠে শুষ্ক। এ সময়ের ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। তাই শীতে চায় ত্বকের বাড়তি যত্ন। বিশেষ করে শীতে ঠোঁটের চামড়া ওঠা ও ফাটার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। বারবার ঠোঁট শুষ্ক হওয়ায় লিপজেল বা বাম ব্যবহার করলেও কিছুক্ষণ পর তা গায়েব হয়ে যায় ঠোঁট থেকে। পরবর্তীতে আবারও ঠোঁট হয়ে পড়ে শুষ্ক। আবার অনেকেই ঠোঁটের চামড়া উঠলে তা হাত দিয়ে খুচিয়ে তোলার কারণে ঠোঁটে ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তীতে তা ঘায়ে রূপ নেয়। এসব সমস্যার সমাধানে শীত আসতেই ঠোঁট ভালো রাখতে ব্যবহার করুন স্ক্রাব। এজন্য ঘরেই তৈরি করে নিন লিপ স্ক্রাব। নিয়মিত ঠোঁট স্ক্রাব করার ফলে মৃতকোষ দূর হবে। ফলে চামড়া ওঠার সমস্যা আর থাকবে না। আবার ঠোঁট ফাটাও রোধ হবে। প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে অন্তত দুবার ঠোঁট ভালো রাখতে স্ক্রাব করা জরুরি। এজন্য খুব সহজেই ঘরে তৈরি করতে পারবেন লিপ স্ক্রাব। জেনে নিন দু’ধরনের লিপ স্ক্রাবের রেসিপি- ব্রাউন সুগার স্ক্রাব ব্রাউন সুগার শরীরের জন্যও যেমন উপকারী ঠিক তেমনই ত্বক এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও কাজ করে। এটি গ্লাইকোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা ত্বক এক্সফোলিয়েশন করে। এতে আরও আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য, ঠোঁটকে করে মসৃণ ও উজ্জ্বল। এই স্ক্রাব তৈরি করতে লাগবে ব্রাউন সুগার, মধু ও নারকেল তেল। ১ টেবিল চামচ বাদামি চিনির সঙ্গে আধা টেবিল চামচ মধু ও তেল মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণ ঠোঁটে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। তবে বেশি জোরে জোরে ঘষবেন না। আলতো হাতে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ঠোঁট কতটা নরম হয়ে গেছে। এরপর ঠোঁটে লিপজেল ব্যবহার করুন। গ্রিন টি স্ক্রাব গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, হওয়ায় ত্বক দূষণমুক্ত করে। এজন্য গ্রিন টির সঙ্গে আধা টেবিল চামচ টকদই, সমপরিমাণ অলিভ অয়েল ও চিনি মিশিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি গ্রিন টি স্ক্রাব। এবার এই মিশ্রণ ঠোঁটে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। দেখবেন ঠোঁটের মৃতকোষ উঠে যাবে। ফলে ঠোঁটের চামড়াও আর উঠবে না আর ফোঁটও ফাটবে না। কফি স্ক্রাব কফি দিয়ে রূপচর্চা বিষয়টি সবারই জানা। কফি সত্যিই ত্বকের যত্নে দুর্দান্ত কাজ করে। কফি একটি চমৎকার এক্সফোলিয়েটর। ঠোঁটের উজ্জ্বলতা ও কোমলতা বাড়ায় এটি। ক্যাফেইন রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, ফলে ঠোঁটের গোলাপি আভা ফিরে আসে। কফি স্ক্রাব তৈরি করতে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কফি পাউডার মিশিয়ে নিন। এরপর ঠোঁট স্ক্রাব করুন। নিয়মিত কফি স্কাব ব্যবহারে ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে, ঠোঁটের চামড়া ওঠা ও ফাটাও রোধ হবে। মনে রাখবেন >> সব সময় সঙ্গে একটি লিপ বাম বা লিপ জেল রাখুন। ঠোঁট শুষ্ক হতেই লিপ বাম ব্যবহার করুন। >> কখনো ঠোঁটে মানহীন লিপস্টিক ব্যবহার করবেন না। এতে ঠোঁট কালচে হয়ে যায় ও চামড়া উঠতে পারে। বিশেষ করে শীতে ঠোঁটে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহাপর করবেন না। >> ঠোঁটের শুষ্কতা রোধে সব সময় ঠোঁট চাটা এড়িয়ে চলুন। এটি ঠোঁট ফাটা সমস্যার মূল কারণ হতে পারে। >> এসব স্ক্রাব যখন ব্যবহার করবেন ঠিক তার আগেই তৈরি করে নেবেন। তৈরি করে বেশিদিন ফ্রিজে রাখলে এর কার্যকারিতা হারাবে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
রমজানে ইফতার অন্যতম একটি ইবাদত। সারাদিন রোজা শেষে ইফতার দিয়েই রোজা পূর্ণ করেন মুমিনরা। আর এ ইফতারে একটু বুঝেশুনে খাওয়া উচিত, না হলে গ্যাস্ট্রিকসহ নানা অসুবিধা হতে পারে। চলুন দেখে নেয়া যাক ইফতারে কী খাবেন আর কী খাবেন না-
১. ইফতারে অবশ্যই শরবত রাখুন। চিনি ও লেবুর শরবত খেতে পারেন। শরবত খাওয়ার পর বিভিন্ন ফল যেমন, পাকা আম, খেজুর, কলা খাওয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে মুড়ি, ছোলা প্রভৃতি খেতে পারেন।
২. অনেকেই ইফতারের খাবার একত্রিত মাখিয়ে খেতে পছন্দ করেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে মরিচ ও পেঁয়াজের পরিমান বেশি না হয়। কারণ অধিক স্বাদের জন্য বেশি পরিমাণ মরিচ-পেঁয়াজ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৩. অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল যেমন কাঁচা আম, আপেল, তেঁতুল, লেবু, বাতাবি লেবু, কামরাঙ্গা ইফতারের শুরুতে না খেয়ে শেষে খাওয়া ভালো। এতে আপনার শরীর চাঙ্গা হয়ে যাবে।
৪. সারাদিন না খেয়ে থাকার পর ইফতারে অধিক ভাজা ও তেল সমৃদ্ধ খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তেলে ভাজা খাবার কম খাওয়াই ভালো।
৫. ইফতারে কম মশলাযুক্ত খাবার খান। অধিক মশলাযুক্ত খাবার পেটে গ্যাস্ট্রিকের কারণে সৃষ্ট ক্ষত বাড়িয়ে তোলে এবং যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়।
৬. ইফতারে খাওয়ার মাঝামাঝি পানি পান থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে হজমে সহায়ক উপাদান সঠিকভাবে নিঃসৃত হবে।
৭. ইফতারে খালি পেটে চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। চা-কফি পেটে গ্যাস্ট্রিকের ব্যাথা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
ঘুমের ত্বকের সম্পর্ক রয়েছে। চোখের নিচে কালি দেখলেই বলে দেয়া যায়, ঘুম কম হয়েছে! ঘুম কম হলে ত্বকে ক্লান্তভাব ফুটে ওঠে। আমাদের সচল ও সজীব রাখার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ঘুম। ঘুম ভালো হলে সারাদিন নিজেকে চাঙ্গা মনে হয়, পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে আমাদের ত্বকও। ঘুমের সমস্যা আমাদের ত্বককে প্রভাবিত করতে পারে; ব্রণ, ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, ত্বকে অ্যালার্জি ইত্যাদির মতো বিভিন্ন সমস্যাগুলোকে বাড়াতে পারে। বোল্ডস্কাই জানাচ্ছে ঘুম কম হলে তা ত্বকে কীভাবে প্রভাব ফেলে-
যখন পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তখন আমাদের ত্বক উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলে এবং নিস্তেজ ও শুষ্ক হয়ে যায়। কারণ ঘুমের অভাবে করটিসলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। এটি একটি হরমোন যা, ত্বকে প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং ত্বককে নিস্তেজ করে তোলে।
নিদ্রাহীনতার একটি বড় প্রভাব হলো - ত্বকে ব্রণ, পিম্পল ইত্যাদি হওয়া। ঘুমের অভাব প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয় এবং এর ফলে ত্বকে ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়। এছাড়াও, ঘুমের অভাবে ত্বকের প্রদাহ বৃদ্ধি পায়।
ঘুমের সমস্যার কারণে ত্বকের ধরনও খারাপ হতে পারে। সুতরাং, আপনি যদি ব্রণ বা অন্য কোনো ত্বকের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে আপনার ঘুমের বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। রাতে ভালো ঘুম হলে ত্বক দ্রুত নিরাময় হবে।
ত্বককে সতেজ করতে এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সঠিক ঘুম জরুরি। কম ঘুম ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন হ্রাস করে এবং ত্বকের বার্ধক্যজনিত লক্ষণ ফুটে উঠতে পারে।
চোখের নিচের অংশ সংবেদনশীল তাই এটি সহজেই আক্রান্ত হয়। ঘুমের অভাব হলে তা সাধারণত চোখের নিচের অংশেই প্রতিফলিত হয়। সাধারণত চোখের তলায় কালি বেশি দেখা যায়। এটি আপনার পুরো চেহারাকে নষ্ট করতে পারে, তাই এগুলি হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়।
ঘুমের সমস্যা আপনার ওজনকে প্রভাবিত করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঘুমের অভাব স্থূলতার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। কারণ, ঘুমের অভাব আরও বেশি ক্ষুধার্ত করে তোলে। এসব কিছু আমাদের ওজন বাড়াতে পারে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক, ফাইল ছবি :
দাম্পত্য জীবনে সামান্য ঝগড়াঝাঁটি হলেও সব স্ত্রীই চান সুখী রাখতে। এমন নারী কিন্তু খুবেই কম আছেন যিনি স্বামীকে ভালো রাখতে চান না। কিন্তু ভালো রাখার সূত্রটি হয়তো খুঁজে পান না। ১০টি উপায়ে আপনি স্বামীকে খুশি রাখতে পারেন। জেনে নিন এই ১০টি উপায়।
প্রথমত: সবসময় ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন। হাসিখুশি থাকুন। কাজের পর বাড়ি ফিরে আপনার হাসি মুখ দেখে স্বামীরও ভালো লাগবে। তবে না সংসার সুখে-শান্তিতে থাকবে।
দ্বিতীয়ত: প্রত্যেক মানুষেই একান্ত বন্ধুর সঙ্গ কামনা করে। তাই বাড়িতে স্বামীর বন্ধুবান্ধব এলে বা তাদের সঙ্গে যতো সময়েই কাটান না কেন কখনও অভিযোগ করবেন না। বরং স্বামীর বন্ধু ও তাদের পরিবারকে আপন করে নিন। বন্ধুত্ব করে ফেলুন স্বামীর বন্ধুদের স্ত্রীদের সঙ্গে।
তৃতীয়ত: স্বামীর শখকে নিজের শখ করে নিন। সেটা যাই হোক না কেন। এতে করে আপনার প্রতি স্বামীর ভালোবাসা অনেক বেড়ে যাবে।
চতুর্থত: স্বামী কোনও ধরনের ভুল সিদ্ধান্ত নিলে তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন। তবে তার মতামতকে গুরুত্ব দিন। গুরুতর কোনও বিষয় না হলে স্বামীর মতামতের বিরোধিতা করবেন না।
পঞ্চমত: আপনি সব ধরনের রান্না না পারলেও ছুটির দিনে এমন কিছু রান্না করুন যাতে করে আপনার স্বামী অবাক হয়ে যায়। কারণ বউয়ের রান্নার প্রশংসা করেন না এমন স্বামী খুব কমই আছেন।
ষষ্ঠত: মাঝরাত্তিরে স্বামীর ফোনে কল এলেও কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না। যতক্ষণ না তিনি নিজে কিছু বলছেন। স্বামী লুকিয়ে প্রেম করলেও চেঁচামেচি করে কোনও লাভ নেই। মাঝখান থেকে নিজের আত্মসম্মান খোয়াবেন। বরং স্বামীর সঙ্গে আচরণ করুন। আরও ভালোবাসুন। এতেও না ফিরলে দুজনে মিলে শান্তভাবে সিদ্ধান্ত নিন কী করবেন।
সপ্তমত: প্রত্যেক স্বামীই তার স্ত্রী সৌন্দর্য নিয়ে গর্ব করে। তাই নিজেকে সবসময় আকর্ষণীয় রাখুন। এজন্য যে পার্লারে যেতে হবে এমন কোনও কথা নেই। বাড়িতেই নিয়মিত টোটকা ব্যবহার করুন। আর সবসময় পরিচ্ছন্ন, প্রিম অ্যান্ড প্রপার থাকুন। স্বামী হুট করে কফি খেতে যাওয়া বা সিনেমা দেখার প্ল্যান করলে যাতে বেরিয়ে পড়তে পারেন।
অষ্টমত: বিছানায় স্বামীকে যথাসম্ভব খুশি রাখুন। নিজের ইনহিবিশন থেকে বেরিয়ে আসুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধরনধারণও পাল্টে গিয়েছে। সেসব বিষয়ে জানুন। বিশেষ করে ওরাল ও রোল প্লে ইত্যাদি প্রয়োগ করুন। যে স্বামী বিছানায় তৃপ্ত থাকেন তিনি দাম্পত্য অটুট রাখতে চান।
নবমত: দাসীর মনোভাব নিয়ে নয় অন্তর থেকে স্বামীর সেবাযত্ন করুন। কারণ তিনি আপনার ভালোবাসার মানুষ।
দশমত: দাম্পত্য জীবনে সবচে বড় ভয়ঙ্কর ব্যাপারটি হচ্ছে মিথ্যা কথা। তাই স্বামীকে কখনও মিথ্যা বলবেন না। আর এমন কিছু করবেন না যা স্বামীকে বলতে পারবেন না। সূত্র: ভারতীয় গণমাধ্যম এবেলা।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
চলমান করোনা মহামারীর এ সময়ে অনেকে গলাব্যথার সমস্যায় ভুগছেন। অনেকেই গলা ব্যাথা হলেই ভাবেন করোনা হয়েছে কিনা। তবে গলাব্যথা মানে আপনি কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এমন হয়।
ঋতু পরিবর্তনের কারণেও অনেকে এই সময় গলাব্যথার সমস্যায় ভুগছেন। এ রকম গলা ব্যথা ঘরে বসেই সেরে নেওয়া যায় কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
চলোন তাহলে জেনে নেই কি সেই পক্রিয়া গুলো -
লবণপানিতে গার্গল
গলাব্যথা কমাতে লবণপানিতে গার্গল করা খুবই উপকারী। জীবাণু দূর করার এ পদ্ধতির গলাব্যথা কমাতে খুবই কার্যকর।
উপকার পেতে দিনে তিনবার ও সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন গার্গল করতে হবে। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও লবণপানি দিয়ে গার্গল করুন।
যষ্টিমধু
আয়ুর্বেদিক গুণসমৃদ্ধ যষ্টিমধু খান চায়ের সঙ্গে। গলাব্যথার সঙ্গে আসা চুলকানি বা অস্বস্তি দূর করবে যষ্টিমধু।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার
সর্দিকাশি সারাতে ব্যবহৃত কিছু ভেষজ ওষুধের প্রধান উপকরণ এই ভিনিগার। গলাব্যথা ও অ্যাসিড সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়া ধ্বংস করে। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করলেই উপকার পাওয়া যায়।
আদা ও মধু
গলাব্যথা সারাতে খুবই কার্যকর হচ্ছে আদা ও মধু। মধু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আদা ও মধুর মিশ্রণ ‘এক্সপেক্টোরান্ট’ হিসেবে অর্থাৎ শ্বাসতন্ত্রে লালা নিঃসরণ বাড়ায়। এ ছাড়া এটি ‘সাইনাস’ খুলে দেয়, ‘মিউকাস’ বা শ্লেষ্মা পরিষ্কার করে। এ ছাড়া গলা থেকে অস্বস্তি সৃষ্টিকারী উপাদান পরিষ্কার করে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
শীতের আগমন প্রথমেই টের পায় আমাদের ত্বক। এদিক থেকে ঠোঁটে টান টান বোধ হয় সবার আগে। সতর্ক না হলে চামড়া ফেটে রক্ত পর্যন্ত বেরিয়ে আসতে পারে। প্রথমেই দেহের ভিতর থেকে ঠোঁটের পুষ্টি যোগাতে হবে।
দেহের ত্বকের মতো ঠোঁটেরও হাইড্রেশন দরকার। তাই শীতের অলসতায় পানি খাওয়া কমিয়ে দেওয়া যাবে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, ফল ও সবজি খেতে হবে।
শীতের শুরুতেই ভালো মানের পেট্রোলিয়াম জেলি, নারকেল তেল বা গ্লিসারিন ঠোঁট ও ঠোঁটের চারদিকে লাগাতে হবে। যারা সব সময় বাইরে থাকেন, তারা সাথে লিপ বাম বা লিপ জেল রাখতে পারেন। শীতকালে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে পারলে ত্বককে সুস্থ রাখা সম্ভব।
এ সময় খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের পাশাপাশি সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। টক জাতীয় ফল যেমন-লেবু, জাম্বুরা, কমলা, বরই ভিটামিন সি-এর ঘাটতি কমায় ও ত্বক সুস্থ রাখে। অনেকে ঠোঁট ফাটা থেকে রক্ষা পেতে একটু পর পর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে থাকে। এই কাজ করা যাবে না।
লেখক : ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
শীতে এমনিতেই পানি খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। শরীর থেকে ঘাম হয়ে পানি বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া কিছুটা কমে যাওয়ার কারণে পানির চাহিদা তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তবে শরীর কিন্তু গরমে কাজ করতে যতটা পানি কাজে লাগায়, শীতেও জৈবিক কাজ সারতে ততটাই পানির প্রয়োজন হয়।
সমস্যা হয় শীতকালে মানুষের পানির অভাব খুব একটা অনুভব হয় না। তবে শীতকালে পানি কম খেলে তার কিছু লক্ষণ ঠিকই প্রকাশ পায়। এই যেমন কোনো অসুখ ছাড়াই মাথা যন্ত্রণা ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর কিংবা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়তে হয়।
শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে এক প্রকারের মাথা যন্ত্রণা দেখা দেয়। এমনিতে মাইগ্রেন বা চোখের কোনো সমস্যা না থাকলেও হঠাৎ মাথা ধরলে বুঝবেন ‘ওয়াটার থেরাপি’ দরকার। অল্পতেই শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়লে বুঝতে হবে শরীরে পানির অভাব হচ্ছে। অনেকটা শ্রমের কাজ বা গা-ঘামানো কোনো কাজে ব্যস্ত থাকলে ফাঁকে ফাঁকে একটু বিরাম নিয়ে পানি খেলে শরীর ক্লান্ত হওয়া বন্ধ হবে। মূত্রের মাধ্যমে শরীরের অনেকটা টক্সিন বেরিয়ে যায়। কিন্তু পানি কম খেতে থাকলে শরীর তার পর্যাপ্ত টক্সিন বয়ে নিয়ে যাওয়ার উপকরণ পায় না। তাই মূত্র কম তো হয়ই, সঙ্গে তাতে জ্বালাভাবও থাকে। পানি কম খাওয়ার আরেকটি লক্ষণ কোষ্ঠকাঠিন্য।
কিছু খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আবার খিদে অনুভব হলে বুঝতে হবে শরীরে পানির অভাব রয়েছে। পানির অভাবে শরীরে টক্সিন জমলে অবধারিতভাবে তা ত্বককে নিষ্প্রাণ করে তুলবে। তাই ত্বক শুষ্ক হয়ে উঠলেও বুঝতে হবে শরীরে পানির অভাব হয়েছে। সূত্র: আনন্দবাজার
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
অনেকে অস্বীকার করলেও এটাই বাস্তব যে অনেকেই টয়লেটে বসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। সম্প্রতি এক গবেষণায়ও দেখা গেছে, ৫৭ শতাংশ ব্রিটিশই টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন এবং ৮ শতাংশ বলেছেন তারা সর্বদাই ব্যবহার করেন।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, কেউ যদি টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। তবে তা ওই ব্যক্তির জন্য ভয়ংকর পরিণতি নিয়ে আসতে পারে। কারণ এই কারণে তার পাইলসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা অনেকাংশেই বেড়ে যায়।
পেসেন্ট ডট ইনফোর ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর ডা. সারা জার্ভিস বলেন, মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণে আপনি বেশি সময় ধরে টয়লেটে অবস্থান করেন যেই কারণে আপনি পাইলসে আক্রান্ত হতে পারেন।
আপনি টয়লেটে যত বেশি সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন ততো বেশি সময় আপনি সেখানে অবস্থান করবেন। এই কারণে শিরা ও মলদ্বারে চাপ বৃদ্ধি পায় যা পাইলসের অন্যতম কারণ।
এই পাইলসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা কমাতে টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছেন ডা. সারা।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
ওজন কমাতে শুধু শারীরিক ব্যায়াম করে ফল পাবেন না, সেইসঙ্গে প্রয়োজন সঠিক ডায়েট মেনে চলা। তবে ডায়েট করার সময়ে বাড়িতে তৈরি কাস্টমাইজড খাবার খাওয়াই উচিত। কিন্তু বিভিন্ন কাজের ব্যস্ততায় এটা মেনে চলা সম্ভব হয় না।
অনেকেই আছেন যারা কাজের ফাঁকে হাতের কাছে যা পান তাড়াতাড়ি সেটিই খেয়ে নেন। ক্রমাগত এমনটা করার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে আসতেই চায় না। তখন মনে হতে পারে, তাহলে এর থেকে বাঁচার উপায় কী? সেই সমাধান খুবই সহজ। ডায়েটের বাইরে কিছু খাওয়ার আগে নিজেকে মাত্র চারটি প্রশ্ন করুন।
এবার চলুন জেনে নিই সেই চারটি প্রশ্ন-
আমার কি সত্যিই খিদে পেয়েছে?
এই প্রশ্নটি খুবই প্রাসঙ্গিক। অনেক সময় আমরা খুব বোর হলে বা স্ট্রেসড হলে সান্ত্বনার জন্যে খাবারের দিকেই হাত বাড়াই। মন খারাপ হলেও এমনটি হয়। কিন্তু সত্যিই তখন খিদে পায় না। আপনারও এমনটা হলে, আগে একগ্লাস পানি পান করুন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। দেখবেন এই খিদে খিদে ভাবটা কমে গেছে।
খাবারটি কি আদৌ স্বাস্থ্যকর?
প্লেটে খাবার তোলার আগে তার কতটা পুষ্টিগুণ রয়েছে সে সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যান। ফাস্টফুডে কিন্তু কোনো পুষ্টি পাবেন না। চেষ্টা করুন এমন খাবার খেতে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন, ভিটামিন এ, পটশিয়াম রয়েছে।
খাবারের পরিমাণ ঠিক আছে তো
খিদে পেলে আমরা একটু বেশিই খেয়ে ফেলি। আর এতেই হয় বিপত্তি। ডায়েট মানে শুধু কম ক্যালরি এবং পুষ্টিতে ভরপুর খাবার নয়, ডায়েট মানে পরিমাণ নিয়ন্ত্রণও বটে। খাবার সময়ে বড় প্লেটে খাবার না নিয়ে ছোট প্লেট এবং বাটিতে সুন্দর করে খাবার সাজিয়ে খেতে বসুন। এতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে খাবারের পরিমাণ।
খাবার কি আরও স্বাস্থ্যকর করা যায়?
ফাস্টফুড এবং জাঙ্কফুড থেকে দূরে থাকুন।এ সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার একেবারে ডায়েট থেকে বাদ দিন। এ ছাড়া অতিরিক্ত তেল, ঘি, মসলা দেওয়া খাবার যতই সুস্বাদু এবং বাড়িতে তৈরি হোক না কেন, তার থেকে দূরে থাকুন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা পান না করলে যেন ঘুমের ঘোরটাই কাটতে চায় না! সকাল-বিকেল কাজের ফাঁকে এক কাপ চায়ে গলা না ভেজালে যেন শরীরটা চাঙ্গা হতে চায়না। এছাড়া যারা বাড়িতে চটপট চায়ের তেষ্টা মেটাতে অনেকেই টি-ব্যাগের উপরেই ভরসা রাখেন। তবে টি-ব্যাগের মাধ্যমে শরীরে ঢুকছে কোটি কোটি বিষাক্ত প্লাস্টিক কণা। সমীক্ষায় এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। চলতি মাসেই ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’ নামের মার্কিন পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য সামনে এসেছে।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক নাথালি টুফেঙ্কজি পরীক্ষা করে দেখেন, প্লাস্টিক উপাদান মিশ্রিত টি-ব্যাগগুলো গরম জলে ডোবালে সেগুলো থেকে গরম চায়ের মধ্যে অসংখ্য প্লাস্টিকের কণা মিশে যায়। তিনি ও তার সহকারী গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেন, একটি টি-ব্যাগের থেকেই চায়ের সঙ্গে মেশে ১,১০০ কোটি (১১ বিলিয়ন) মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং ৩০০ কোটি ন্যানোপ্লাস্টিক কণা।
অধ্যাপক টুফেঙ্কজি জানান, বেশ কয়েকটি সংস্থা কাগজের পরিবর্তে প্লাস্টিক উপাদান মিশ্রিত টি-ব্যাগ বানাচ্ছে। আর এই সব টি-ব্যাগ থেকেই আমাদের শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিকের বিষ। এছাড়া কিছু ক্ষেত্রে কার্সিনোজেনের উপস্থিতিও লক্ষ্য করেছেন তারা।
অধ্যাপক টুফেঙ্কজির মতে, টি-ব্যাগে যে পিনের সাহায্যে সুতো আটকানো থাকে সেই পিনও আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ঘাতক হতে পারে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্যান্ডার্ড অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা এফএসএসআই-ও এ বিষয়ে অধ্যাপক টুফেঙ্কজির সঙ্গে একমত হয়ে টি-ব্যাগের পিনের বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দিয়েছে চা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোকে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকও টি-ব্যাগ ব্যবহারে বিপদের আশঙ্কা করছেন। নিউ ক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এক সপ্তাহে একজন ব্যক্তির শরীরে প্রায় ৫ গ্রাম প্লাস্টিক প্রবেশ করে টি-ব্যাগের সাহায্যে। সুতরাং টি-ব্যাগে ব্যবহৃত উপাদান সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
কি জিভে পানি চলে এসেছে? ফলটিই এমন যে, এর নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। চাটনি হোক কী আচার। সব যুগের সব বয়সী নারীর সবচেয়ে লোভনীয় ফল যে তেঁতুল সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে শুধু স্বাদের দিক থেকেই নয়, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও এই ফলটি অসাধারণ।
শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর কর্মক্ষমতা বাড়াতে তেঁতুলের জুড়ি মেলা ভার। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা দেহের প্রদাহ কমিয়ে বিভিন্ন রোগ দূরে রাখে। দৃষ্টিশক্তি, ত্বক বা শারীরিক নানা সমস্যায় ফলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই রোগ মুক্ত সুস্থ শরীরের জন্য নিয়মিত তেঁতুল খাওয়া যেতেই পারে।
তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, ই এবং বি। সেই সঙ্গে রয়েছে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং ডায়াটারি ফাইবার। শক্তাশালী সব অ্যান্টিঅক্সিডন্টও রয়েছে ফলটিতে। টানা ১ মাস তেঁতুল খেলে আমাদের দেহে এমন সব পরিবর্তন আসে যা অকল্পনীয়। এবার চলুন জেনে নিই কি সেই পরিবর্তনগুলো।
১. হজম ক্ষমতা বাড়ায়
বহুকাল ভারি খাবার খাওয়ার পর টক জাতীয় খাবার খেয়ে আসছে মানুষ। তবে সবচেয়ে কার্যকরী যে টক, সেটা হলো তেঁতুল। তেঁতুলের ডায়াটারি ফাইবার হজমে সহায়ক অ্যাসিডের ক্ষরণ নিশ্চিৎ করে। ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও তেঁতুলের বিলিয়াস সাবস্টেন্সও আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত এবং বদ-হজমের আশঙ্কা হ্রাস করে। ক্রনিক কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা দূর করতেও তেঁতুল দারুন কাজে আসে। এক কথায় পেটের ভিতরে ঘটে চলা ছোট-বড় প্রতিটি কাজের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে এই ফলটি। ফলে যে কোনও ধরনের পেটের রোগ হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
২. হৃৎপিণ্ড চাঙ্গা হয়ে ওঠে
রক্তচাপ বেড়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তেঁতুল খাওয়াতে বলেন বড়রা। কিন্তু এতে কোনো উপকার হয় বলে জানা যায় না। কিন্তু নিয়মিত খেলে উপকার পাওয়া যায় এটা প্রমাণিত। তেঁতুলের বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তে উপস্থিত বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে, হার্টের কর্মক্ষমতা কমাতে ব্লাড প্রেসার এবং কোলেস্টেরল নেতিবাচক ভূমিকা রাখে। তাই শরীর যখন এই দুই ক্ষতিকর রোগ থেকে দূরে থাকে, তখন স্বাভাবিকভাবেই হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন তেঁতুল খাওয়া কতটা উপকারী।
৩. রক্ত প্রবাহের উন্নতি ঘটে
তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ বাড়ায়। ফলে দেহে রক্তস্বল্পতা দূর করে। আমাদের দেশের সিংহভাগই নারীই অ্যানিমিয়ার শিকার। তাই এদেশে তেঁতুল খাওয়া প্রয়োজনীয়তা যেন আরও অনেক বেশি। আর তেঁতুল যেহেতু নারীদের খুব পছন্দের তাই রক্তস্বল্পতা আক্রান্ত হওয়ার আগেই নিয়মিত তেঁতুল খেয়ে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
৪. নার্ভের কর্মক্ষমতা বাড়ে
বি কমপ্লেক্স হল এমন ভিটামিন, যা ব্রেইন ফাংশনের উন্নত করার কাজে অংশ নেয়। এই ভিটামিনটি দেহের স্নায়ুকোষের শক্তি বাড়ায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কগনেটিভ ফাংশনে উন্নতি ঘটে। সঙ্গে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তিও বাড়তে শুরু করে। আর তেঁতুলে বি কমপ্লেক্স ভিটামনিটি রয়েছে প্রচুর মাত্রায়।
৫. ওজন হ্রাসে সাহায্য করে
তেঁতুল আমাদের দেহে হাইড্রোক্সিসিট্রিক অ্যাসিড বা এইচ সি এ-এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। এই উপাদানটি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এখানেই শেষ নয়, তেঁতুল খাওয়া শুরু করলে এর ফাইবারে খিদে কমিয়ে দেয়। তাই যারা ওজন কমতে চেষ্টা করছেন তারা নিয়মিত তেঁতুল খেতে পারেন।
৬. ডায়াবেটি সনিয়ন্ত্রণে রাখে
সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে তেঁতুল দারুনভাবে কাজ করে। ফলটি কার্বোহাইড্রেটের শোষণ মাত্রা কমিয়ে দিতে সক্ষম। ফল ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। এখন প্রশ্ন করতে পারেন কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে সুগারের কী সম্পর্ক? শরীরে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা বাড়তে থাকলে তা ভেঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রাও বৃদ্ধি করে। সে কারণেই অনিয়ন্ত্রত মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার খেতে মানা করেন চিকিৎসকরা।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আর ও শক্তিশালী হয়ে ওঠে
প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি থাকায় তেঁতুল শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে শুধু সংক্রমণ নয়, ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
অনেকেই বলেন তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায়। এমন ধারণা একদমই অমূলক। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আর যারা মনে করেন তেঁতুল শুধু মেয়েদের ফল, তারা লজ্জা ভেঙ্গে তেঁতুল খেতে শুরু করুন। তাহলে বুঝবেন মেয়েরা তেঁতুল খেয়ে আপনাদের চেয়ে এগিয়ে আছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
কাঁঠালকে বলা হয় জাতীয় ফল। এ ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, আয়রন, থায়ামিন, রাইবোফ্লোবিন, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম। যা শারীরিক নানা রোগ প্রতিরোধ করে। এখন বাজারে কাঁঠাল খুব সহজেই পাওয়া সম্ভব। এই ফল কাঁচা বা পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। চলুন জেনে নেয়া যাক আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের স্বাস্থ্যগুণগুলো সম্পর্কে-
১. কাঁঠাল রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে।
২. কাঁঠালে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলনের বিষাক্ত অংশ (টক্সিক উপাদান) পরিষ্কার করে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এতে থাকা উচ্চমাত্রার আঁশ জাতীয় উপাদান কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধ করে পাইলসের ঝুঁকি কমায়।
৩. কাঁঠালে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্ট। যাতে রয়েছে স্বাস্থ্য রক্ষার গুণাবলী এবং এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক।
৪. হজমের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে কাঁঠাল খুব উপকারি। এই ফলে রয়েছে এমন সব উপাদান, যা পাকস্থলির আলসার প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এ ছাড়া কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে কাঁঠাল অত্যন্ত কার্যকর।
৫. কাঁঠাল শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া কাঁঠাল রক্তের শ্বেতকনিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৬. এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রেখে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
৭. কাঁঠাল হাঁপানি নিরাময়ের মহা ঔষধ। কাঁঠালের শিকড় পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি পান করা হলে হাঁপানির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৮. কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ, যা থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কাঁঠাল পথ্য হিসেবে খেতে পারেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
লিচু সুস্বাদু ফল সন্দেহ নেই। কিন্তু যখন শিশুরা লিচু খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে তখনই হিসেবটা অন্যরকম হয়ে যায়। গত কয়েক বছর ধরেই লিচু খাওয়ার ফলে শিশু মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশিত হচ্ছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। বাংলাদেশে এই মৃত্যুর হার খুব বেশি না হলেও ভারতে এই ফল খাওয়ার ফলে শিশু মৃত্যুর হার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
জানা গেছে, গত ১০ দিনে ভারতের উত্তরাঞ্চলে লিচু খেয়ে অন্তত ১০৩ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দেশটির বিহার প্রদেশের মুজাফফরপুর জেলায় মৃত্যু হওয়া এসব শিশুর অধিকাংশের বয়স ১০ বছরের নিচে। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এ ফল খেয়ে রহস্যজনকভাবে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে কমপক্ষে ১০০০ জন শিশু৷
শুধু ভারতেই নয়, লিচু খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশেও। ২০১২ সালে দিনাজপুরে ১৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছিল লিচু খাওয়ার ফলে। ২০১৫ সালে একই কারণে একই জেলাতেই ১১ শিশুর মৃত্যু ঘটে। এসব মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই এই ফলটি শিশুর অভিভাবকদের কাছে ভীতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু কেনই বা লিচু খাওয়ার কারণে শিশুরা মারা যাচ্ছে? অনেকেই ভেবে থাকেন লিচুতে বিষ প্রয়োগ করার কারণে অথবা, এতে কেমিক্যাল দেওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটে। অনেকেই আবার মনে করেন ভাইরাসবাহিত পোকা-মাকড় লিচুকে স্পর্শ করার কারণে লিচুর ভাইরাস শিশুদের আক্রান্ত করে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, হাইপোগ্লাইসিনের নামের বিষাক্ত পদার্থ এবং লিচুতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে বাচ্চারা মারাত্মক হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় ভোগে, কখনো খিচুনি ওঠে অথবা হাইপোগ্লাইসিনের কারণে তারা মারা যায়। এটা মূলত উত্তর ভারতের দিকেই হয়, যেখানে অভাবের কারণে বাচ্চারা একবেলা না খেয়ে থাকে, আর লিচু সেখানে খুবই সস্তা বলে রাতের খাবারের পরিবর্তে তারা লিচু খায়।
তবে বাংলাদেশের শিশুদেরও এতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রবলভাবে আছে। তাই শিশুর অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে চিকিৎসকরা বলেন, রাতে বা দিনে খালি পেটে লিচু না খাওয়া ভালো। খেলেও যেন সঙ্গে অন্য খাবার খায়, যাতে ব্লাড সুগার লেভেল না কমে যায়। এছাড়া গ্রামের যেসব শিশুরা ম্যালনিউট্রশনে ভুগছে তাদেরকে খালি পেটে লিচু না খাওয়ানোরও কথা বলা হয়ে থাকে।
এদিকে, ভারতের ন্যাশনাল সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং আটলান্টায় অবস্থিত ভারতীয় অফিস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভেনশনের যৌথ অনুসন্ধান করে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে বলা হয় গ্রীস্মকালীন ফল লিচু এ অসুখের জন্য দায়ী। অপুষ্টিতে ভোগা কোনো শিশু খালি পেটে লিচু খেলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
২০১৫ সালে অন্য আরেক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তারা শিশুর বাবা-মা কে পরামর্শ দেন তারা যেন লিচু কম খাওয়ায়। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন শিশুদের অবশ্যই রাতের খাবার ঠিকমত খেতে হবে এবং লিচু থাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে। এ বিষয়ে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
টাটকা অ্যালোভেরার শরবতের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এ ছাড়া ত্বক ও চুলচর্চায়ও এই ভেষজের জুড়ি মেলা ভার। টাটকা অ্যালোভেরা যদি হাতের কাছে পেতে চান, তাহলে টবেই লাগিয়ে ফেলতে পারেন অ্যালোভেরা গাছ। অ্যালোভেরার একটি পাতা থেকেই হবে গাছ। খুব বেশি যতœআত্তিরও প্রয়োজন নেই এই গাছের।
চাষের জন্য কয়েকটি অ্যালোভেরার পাতা সংগ্রহ করুন। লক্ষ রাখবেন যেন নিচের দিকের সাদা অংশটি থাকে পাতার সঙ্গে। এবার সাধারণ মাটির মাঝে গর্ত করে বসিয়ে দিন অ্যালোভেরার পাতা। পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিন মাটি। শেকড় গজাতে শুরু করলে বড় পাত্রে সরিয়ে দিতে পারেন পাতা। চাইলে একবারেও বড় টবে লাগাতে পারেন। আরেকটি উপায়ে অ্যালোভেরার পাতা থেকে গাছ গজাবে। অ্যালোভেরার পাতা মাঝখান থেকে কেটে নিন ধারালো ছুরির সাহায্যে। দুই সপ্তাহ উষ্ণ স্থানে রেখে দিন পাতা। বাদামি রং হয়ে আসলে টবে লাগান। তবে নিচে যেন ছিদ্র থাকে সেদিকে লক্ষ রাখবেন। ঝরঝরে মাটি দিয়ে দিন টবে। মাটির মাঝে অ্যালোভেরার পাতা গুঁজে পানি দিয়ে দিন। এমন জায়গায় রাখবেন যেখানে সরাসরি রোদ আসে। পানি দিতে হবে প্রতিদিন। ৪ সপ্তাহের মধ্যেই বাড়তে শুরু করবে অ্যালোভেরা গাছ। অ্যালোভেরা গাছ দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক সার ব্যবহার করতে পারেন। সার তৈরির জন্য ৪/৫টি ডিমের খোসা চূর্ণ করে নিন। মুঠোভর্তি আলুর খোসা, কয়েকটি কলার খোসা ও ডিমের খোসা দেড় লিটার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পাত্র ঢেকে রাখবেন। ৩ দিন পর ফেনা উঠে গেলে মিশ্রণটি ছেঁকে পানি আলাদা করুন। অ্যালোভেরা গাছে প্রতি ১৫ দিন পর পর এই পানি দিন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
খাবার সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে অনেক্ষণ ভালো রাখা যায়।
জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে দীর্ঘ সময় খাবার ভালো রাখার কয়েকটি উপায় এখানে দেওয়া হল। টমেটো ভাজা রাখা: টমেটো টাটকা রাখতে টুকরা করে ভেজে রাখুন। ভাজা টমেটো জলপাইয়ের তেলে সংরক্ষণ করতে পারেন। টমেটো রেফ্রিজারেইটরের তাপ মাত্রায় এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। মধু কাচের পাত্রে রাখা: মধু দীর্ঘদিন ভালো রাখতে গাঢ় কোনো কাচের পাত্রে বায়ু রুদ্ধ অবস্থায় রাখুন। ধাতব, এনামেল বা দস্তার প্রলেপ দেওয়া পাত্র বা ঢাকনার বোতলে মধু সংরক্ষণ করবেন না। কারণ এতে ‘অক্সিডাইজ’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভেষজ সংরক্ষণ করুন ফুলের তোড়ার মতো: ভেষজ যেমন- তুলসি, ধনে পাতা ও পার্সলে ইত্যাদি ফুলের তোড়ার মতো সংরক্ষণ করুন। এগুলো গুচ্ছাকারে বেঁধে কাচের পাত্রে পানি ভরে সংরক্ষণ করুন। পানি একদিন পর পর পরিবর্তন করুন। ভেষজগুলো হালকা ভাবে প্লাস্টিকের জিপ লক ব্যাগ রেখে দিতে পারেন। এতে আর্দ্রতা বজায় থাকবে। ময়দা সংরক্ষণ: ময়দা নষ্ট না করে বাড়তি ময়দা তেল মাখিয়ে জিপ লক ব্যাগে বায়ুরোধীভাবে রেফ্রিজারেইটরে সংরক্ষণ করতে পারেন। চাইলে ময়দায় তেল বা ঘি লাগিয়েও রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করতে পারেন। কলা সংরক্ষণ: কলার উপরের অংশ প্লাস্টিকে পেঁচিয়ে রেখে দিলে অনেকদিন ভালো থাকে। কলা প্রাকৃতিকভাবেই ইথায়লিন গ্যাস ছাড়ে যা দ্রুত ফল পাকাতে সাহায্য করে। এই ফল দীর্ঘদিন ভালো রাখতে কলা গুচ্ছ থেকে এড়িয়ে আলাদাভাবে পেঁচিয়ে রাখুন।
|
|
|
|
লাইফস্টাইল ডেস্ক :
বেকিং সোডা, লবণ, নারিকেল তেল ইত্যাদি গৃহস্থালী উপকরণ দিয়েই তৈরি করা যায় মাউথওয়াশ।
দাঁত ও মাঢ়ির সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে তা নিয়মিত পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় মুখের দুর্গন্ধ, ‘ক্যাভিটি’, ‘প্লাক’ জমা, ‘এনামেল’য়ের আস্তর নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করার যে গুরুত্বপূর্ণ তা প্রত্যেকটি মানুষই জানেন, কিন্তু তা কতোটা মেনে চলেন তা নিজেকেই প্রশ্ন করে নিন। আর শুধু দাঁত ব্রাশ করলেই নিশ্চিন্ত হওয়া যায় না, সঙ্গে চাই ‘ফ্লসিং’ ও মাউথওয়াশ। রোজার মাসে মাউথওয়াশের গুরুত্ব একটু বেশি। কারণ সেহেরি খাওয়া পর থেকে ইফতার পর্যন্ত দাঁত ব্রাশ করা যায় না এবং সকল প্রকার খাবার গ্রহন বন্ধ। যার কারণে মুখে বেশ বাজে দুর্গন্ধ তৈরি হয়। তাই সাবধানে মাউথওয়াশ দিয়ে কুলি করে নিলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়া থেকে বাঁচবেন। বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি বিভিন্ন ধরনের মাউথওয়াশ পাওয়া যায়। তবে যদি ঘরেই বানিয়ে নেওয়া যায় তবে অযথা বাড়তি খরচের কি দরকার। স্বাস্থ্যবিষয়ক এক ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অবলম্বনে কিভাবে তা তৈরি করবেন তা জানানো হলো। বেকিং সোডা: আধা চা চামচ বেকিং সোডা আধা গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিলেই একধরনের মাউথওয়াশ তৈরি হয়ে গেলো। দাঁত ব্রাশ করার পর কিংবা দিনের যেকোনো সময় শুধু এই মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিতে পারে। মুখের দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে বেকিং সোডা অত্যন্ত কার্যকরী। পাশাপাশি এটি ক্ষারীয় প্রকৃতির হওয়ায় তা লালারসের অম্ল-ক্ষারের মাত্রা বাড়ায়। নারিকেল তেল: এই পদ্ধতির নাম ‘ওয়েল পুলিং’, যার জন্য চাই এক চা চামচ নারিকেল তেল, ‘ভার্জিন’ জাতীয় হলে বেশি ভালো। তেলটুকু মুখে নিয়ে কিছুক্ষণ কুলি করতে হবে। পরে তেল ফেলে দিয়ে পানি দিয়ে ভালোভাবে কুচি করতে হবে। মুখ পরিষ্কারের পাশাপাশি শরীরের বিষাক্ত উপাদান অপসারণেও সহায়ক ভূমিকা রাখে এই পদ্ধতি। দাঁতে ‘প্লাক’ জমাও রোধ করে। লবণ: লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করা সম্পর্কে অনেকেই জানেন। এখানেও চাই আধা গ্লাস কুসুম গরম পানি আর আধা চা চামচ লবণ। একসঙ্গে মিশিয়ে নিলেই কাজ শেষ। বাজারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাউথওয়াশের মতোই কার্যকরী এটি। অ্যালোভেরা: আধা কাপ অ্যালোভেরা আর আধা কাপ ‘ডিসটিলড’ পানি একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। প্রতিবার দাঁত ব্রাশ করার হয় এই মিশ্রণ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে। দাঁতে ‘প্লাক’ জমা রোধ করে এবং মাঢ়ি থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে এই মিশ্রণ। দারুচিনি আর লবঙ্গের তেল: এক কাপ ‘ডিসটিলড’ পানিতে ১০ ফোঁটা দারুচিনির তেল আর ১০ ফোঁটা লবঙ্গের তেল যোগ করতে হবে। উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং সাধারণ মাউথওয়াশের মতো করেই ব্যবহার করতে পারবেন। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এই মিশ্রণ, তাই একসঙ্গে বেশি করে বানিয়ে রেখে দিতে পারেন।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আবদুল মালেক, সুগ্ম সম্পাদক: মো: জাহাঙ্গীর আলম শাহ। সম্পাদক কর্তৃক ২৪৪ (২য় তলা), ৪নং জাতীয় স্টেডিয়াম, কমলাপুর, ঢাকা-১২১৪
থেকে প্রকাশিত এবং স্যানমিক প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস, ৫২/২, টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।
মোবাইল: ০১৮৪১৭৪৯৮২৪, ০১৮৪১৭৪৯৮২৫
ই-মেইল: ই-মেইল: noboalo24@gmail.com,
bmengineering77@gmail.com, ওয়েবসাইট www.dailynoboalo.com
|
|
|
|