মা হবার অনুভূতি তুলনাহীন। নিজের শিশুর যত্ন নিতে ভালবাসেন মায়েরা। খাওয়ানো, গোসল করানো, ঘুম পাড়ানো, বাচ্চার ব্যবহার্য জিনিসপত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মতো কাজ করতে করতে বারবার মনে হয়, যা করছি তা ঠিকঠাক মতো করতে পারছি তো? কোনোভাবে বাচ্চাকে ব্যথা দিয়ে ফেলব না তো? এরকম নানা প্রশ্ন, নানা দ্বিধা কাটিয়ে ওঠার জন্য রইল কিছু পরামর্শ।
সব সময় মনে রাখুন আপনার সন্তানের কাছে কিন্তু আমাদের জগতের সবকিছুই নতুন, অপরিচিত। তাই শিশুর যত্ন ও যেকোন কাজ যেমন: গোসল করানো, খাওয়ানো, পোশাক পরানোর সময় যতটা সম্ভব ধীরেসুস্থে করুন। ওকে প্রত্যেকটি অনুভূতির সাথে ধীরে ধীরে পরিচিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দিন।
শিশুর কোনো ব্যবহারের মধ্যে নির্দিষ্ট ছক খুঁজতে যাবেন না। বড়রা ঘড়ি ধরে ঘুম, খাওয়া বা অন্যান্য কাজ করতে পারেন। কিন্তু নিজেদের সুবিধামতো সেই নিয়মানুবর্তিতা শিশুদের কাছ থেকে আশা করা উচিত নয়। তারা একবারে পেট ভরে নাও খেতে পারে। সারারাত না ঘুমিয়ে জেগেও থাকতে পারে। অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়া জেগেও থাকতে পারে, কোনো কারণ ছাড়াই কান্না শুরু করতে পারে বা থামিয়ে দিতে পারে। এই এসব মেনে নেয়াই ভালো। শিশুর যে সময়ে যা প্রয়োজন তার একটা আন্দাজ করে নিয়ে নিজেদের তৈরি রাখুন শিশুর যত্ন নিতে ।
জন্মের প্রথম ৩-৪ মাস শিশুর প্রয়োজন খুবই সীমিত। ঝকমকে জামাকাপড়, নানা ধরনের খেলনাপাতি, দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী কিনতে হয়তো আপনার ভালো লাগছে। কিন্তু এর মধ্যে কোনোটাই আপনার শিশুর যত্ন নিতে তেমন দরকার নেই। শুধু খেয়াল রাখুন যাতে ওর প্রাথমিক প্রয়োজন যেমন দুধ, উষ্ণতা, পরিচ্ছন্নতা সঠিক সময়ে দেয়া হয়।
শিশুকে সঙ্গ দেয়া দেখাশোনার একটি অন্যতম অঙ্গ। নিজের মুখ বাচ্চার থেকে এক ফুট দূরত্বে এনে ওর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করুন। শান্ত, ধীর লয়ে কথা বা ছড়া অথবা গান করুন যাতে আপনার গলার স্বর শুনে সে স্বস্তি বোধ করে।