আর্দ্রতা রক্ষা এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সরবরাহ করার মাধ্যমে ত্বকের পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান সরবরাহ নিশ্চিত করে ভিটামিন ই। শীতের শুষ্কতায় ত্বক হারায় আর্দ্রতা। এই ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ত্বককে আর্দ্রতার অভাব দূর করতে পারে ভিটামিন ই। দ্য বডি শপ ইন্ডিয়ার প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধান শিখি আগারওয়াল এবং দ্য শাহনাজ হুসাইন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনাজ হুসাইন জানিয়েছেন ভিটামিন ই’য়ের গুণাগুণ সম্পর্কে।
* দিনের শুরু হবে ত্বককে বাইরের আবহাওয়ার জন্য প্রস্তুত করার মধ্য দিয়ে। আর এজন্য চাই ‘এক্সফোলিয়েটিং’। যা ত্বকের মরা চামড়া তুলে ফেলতে সাহায্য করে। তাই ব্যবহার করতে পারেন ‘ক্রিম ক্লেঞ্জার’ কিংবা মৃদু মাত্রার ‘ফেইশল ওয়াশ’। এরপর ব্যবহার করতে পারেন ভিটামিন ই সমৃদ্ধ টোনার, যা অবশিষ্ট ‘ক্লেঞ্জার’, ময়লা, মেইকআপ ধুয়ে ফেলবে, পাশাপাশি ত্বকও অতিরিক্ত শুষ্ক হবে না।
* বাইরের দুষিত আবহাওয়া এবং অতিবেগুনি রশ্মীর সংস্পর্শে আসার আগেই ত্বককে প্রচুর পরিমাণে আর্দ্র করতে হবে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার দিয়ে। সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে হায়ালরনিক অ্যাসিড, যাতে থাকবে পরিমিত মাত্রার ‘এসপিএফ’ ও ‘ইউভি ইন্ডেক্স’। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মী থেকে এটি ত্বককে রক্ষা করবে।
* রোদপোড়াভাব এবং কালো ছোপ দূর করতে দুতিনটি ভিটামিন ই ক্যাপ্সুল খুলে তেল বের করে পাকা পেঁপে ও আধা চা-চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে প্রয়োগ করতে হবে। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে। ব্রণের দাগ দূর করতেও ভিটামিন ই ক্যাপসুল অত্যন্ত কার্যকর।
* সুস্থ ত্বকের জন্য আট ঘণ্টার নির্ভেজাল ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ এবং ‘হুইটজার্ম অয়েল’ যুক্ত নাইট মাস্ক এবং আর্দ্রতা বর্ধক হায়ালরনিক অ্যাসিড যা শতভাগ হওয়া চাই প্রাকৃতিক। সব ধরনের ত্বকের জন্যই এই পদ্ধতি কার্যকর। ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে রাতে। আর বাড়তি ক্রিম ভেজা তুলা দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
* সূর্যমুখীর তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই থাকে। গোসলের আগে এই তেল মাখতে পারেন পুরো শরীরে।