|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করছে সরকার   * বাংলাদেশের পুলিশ সংস্কারে সহায়তা করবে ইতালি : রাষ্ট্রদূত   * ডোনাল্ড লু’র নেতৃত্বে কাল ঢাকা আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল   * আমাদের সফল হতেই হবে : জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা   * বাংলাদেশের আর্থিক স্থিতিশীলতাকে প্রধান্য দেবে মার্কিন প্রতিনিধি দল : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর   * গাজা যুদ্ধে ক্ষুদ্ধ জাতিসংঘ কর্মকর্তা বিশ্ব ‘মানবতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন   * অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় সাশ্রয় করেছে ১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা : মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান   * জাতিসংঘের মানবাধিকার ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং টিম বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের সুপারিশ করবে : মুখপাত্র   * প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন   * বন্যায় দেশের ১২ জেলায় প্রায় ৪৮ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত, ১৫ জনের মৃত্যু  

   কৃষি সংবাদ -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
কুমিল্লায় বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ হচ্ছে

 সুস্বাদু দামি ড্রাগন ফল এখন চাষ হচ্ছে কুমিল্লার চান্দিনায়। অল্প সময়ে অল্প পুঁজিতে ড্রাগন ফল চাষ করে বেকার যুবকদের কোটিপতি হওয়ার বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে।

মিষ্টি ও টক-মিষ্টি স্বাদের ড্রাগনে স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং প্রসাধনী গুণ থাকায় দিনদিন কুমিল্লায় এর চাহিদা বাড়ছে। কুমিল্লার মাটি ও আবহাওয়া এর অনুকূলে হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু হয়েছে এ ক্যাকটাস প্রজাতীয় ফলের।

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার গেলেই কাদুটির চাঁদসার গ্রামে গেলেই চোখ পড়ে নাছিমা বেগমের  ড্রাগন বাগান। দূর থেকে দেখলে মনে হয় স্ব-যতেœ ক্যাকটাস লাগিয়েছে কেউ। একটু পাশে যেতেই চোখ ধাঁধিয়ে যাবে অন্য রকম দেখতে এক লাল ফলে। প্রতিটি গাছে রয়েছে ফুল, মুকুল এবং পাকা ড্রাগন। ২০১৯ সালে নাছিমা বেগম এ বাগানের সূচনা করেন। মাত্র ১০টি চারা দিয়ে। যেখানে এখন পায় ৫ হাজার গাছ রয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে গাছের চারা। সেই সঙ্গে সপ্তাহে ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে ২/৩ মণ। যা বাজারে পাইকারী কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা দরে। আর প্রতিটি চারা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। তার এই চারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যাচ্ছে ।

কুমিল্লা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ দেশের আবহাওয়া লাল, হলুদ এবং সাদা ড্রাগন ফল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এটি লতানো কাটাযুক্ত গাছ, যদিও এর কোনো পাতা নেই। গাছ দেখতে অনেকটা সবুজ ক্যাকটাসের মতো। ড্রাগন গাছে শুধুমাত্র রাতে স্বপরাগায়িত ফুল ফোটে। ফুল লম্বাটে সাদা ও হলুদ রঙয়ের হয়। তবে মাছি, মৌমাছি ও পোকা-মাকড় পরাগায়ন ত্বরান্বিত করে। এ গাছকে ওপরের দিকে ধরে রাখার জন্য সিমেন্টের/বাঁশের খুঁটির সঙ্গে ওপরের দিকে তুলে দেয়া হয়।
ড্রাগনের চারা বা কাটিং রোপণের ১০ থেকে ১৫ মাসের মধ্যেই ফল সংগ্রহ করা যায়। এপ্রিল-মে মাসে ফুল আসে আর শেষ হয় নভেম্বর মাসে। ফুল আসার ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়। নভেম্বর মাস পর্যন্ত ফুল ফোটা এবং ফল ধরা অব্যাহত থাকে। এক একটি ফলের ওজন ২৫০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। একটি পূর্ণাঙ্গ গাছ থেকে ১শ’ থেকে ১৩০টি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে একটি গাছ হতে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব।
ড্রাগন চাষি নাছিমা বেগম বাসসকে বলেন, নাটোর থেকে মাত্র ১০টি চারা দিয়ে ড্রাগন চাষাবাদ শুরু করি। গত বছর মাত্র ২১ শতাংশ জমিতে বিক্রি হয়েছিল দুই লাখ টাকা। আর এ বছর ৮০ শতাংশ জমিতে ড্রাগনের চাষাবাদ করেছি। ড্রাগন চাষ করে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এ বছর আশা করছি ৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে। প্রতিদিন এলাকার অনেক কৌতুহলী মানুষ আসে বাগান দেখতে। অনেকেই চারা কিনছেন, চাষাবাদও করছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, ড্রাগন ফল কুমিল্লার আবহাওয়া এবং মাটি এটি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কুমিল্লায় বাউ-১,  বাউ-২ জাতের ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। ড্রাগন গাছে একটানা ৬/৭ মাস ফল পাওয়া যায়। এর বাজার মূল্য বেশি এবং অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ায় কুমিল্লায় চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এ ফল চোখকে সুস্থ রাখে, শরীরের চর্বি কমায়, রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, উচ্চ রক্তচাপ কমানোসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। স্থানীয় বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে এ ফল চাষে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে।

কুমিল্লায় বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ হচ্ছে
                                  

 সুস্বাদু দামি ড্রাগন ফল এখন চাষ হচ্ছে কুমিল্লার চান্দিনায়। অল্প সময়ে অল্প পুঁজিতে ড্রাগন ফল চাষ করে বেকার যুবকদের কোটিপতি হওয়ার বিশাল সুযোগ তৈরি হয়েছে।

মিষ্টি ও টক-মিষ্টি স্বাদের ড্রাগনে স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং প্রসাধনী গুণ থাকায় দিনদিন কুমিল্লায় এর চাহিদা বাড়ছে। কুমিল্লার মাটি ও আবহাওয়া এর অনুকূলে হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ শুরু হয়েছে এ ক্যাকটাস প্রজাতীয় ফলের।

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার গেলেই কাদুটির চাঁদসার গ্রামে গেলেই চোখ পড়ে নাছিমা বেগমের  ড্রাগন বাগান। দূর থেকে দেখলে মনে হয় স্ব-যতেœ ক্যাকটাস লাগিয়েছে কেউ। একটু পাশে যেতেই চোখ ধাঁধিয়ে যাবে অন্য রকম দেখতে এক লাল ফলে। প্রতিটি গাছে রয়েছে ফুল, মুকুল এবং পাকা ড্রাগন। ২০১৯ সালে নাছিমা বেগম এ বাগানের সূচনা করেন। মাত্র ১০টি চারা দিয়ে। যেখানে এখন পায় ৫ হাজার গাছ রয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে গাছের চারা। সেই সঙ্গে সপ্তাহে ড্রাগন ফল বিক্রি হচ্ছে ২/৩ মণ। যা বাজারে পাইকারী কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা দরে। আর প্রতিটি চারা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। তার এই চারা দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় যাচ্ছে ।

কুমিল্লা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ দেশের আবহাওয়া লাল, হলুদ এবং সাদা ড্রাগন ফল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এটি লতানো কাটাযুক্ত গাছ, যদিও এর কোনো পাতা নেই। গাছ দেখতে অনেকটা সবুজ ক্যাকটাসের মতো। ড্রাগন গাছে শুধুমাত্র রাতে স্বপরাগায়িত ফুল ফোটে। ফুল লম্বাটে সাদা ও হলুদ রঙয়ের হয়। তবে মাছি, মৌমাছি ও পোকা-মাকড় পরাগায়ন ত্বরান্বিত করে। এ গাছকে ওপরের দিকে ধরে রাখার জন্য সিমেন্টের/বাঁশের খুঁটির সঙ্গে ওপরের দিকে তুলে দেয়া হয়।
ড্রাগনের চারা বা কাটিং রোপণের ১০ থেকে ১৫ মাসের মধ্যেই ফল সংগ্রহ করা যায়। এপ্রিল-মে মাসে ফুল আসে আর শেষ হয় নভেম্বর মাসে। ফুল আসার ৩০ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়। নভেম্বর মাস পর্যন্ত ফুল ফোটা এবং ফল ধরা অব্যাহত থাকে। এক একটি ফলের ওজন ২৫০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। একটি পূর্ণাঙ্গ গাছ থেকে ১শ’ থেকে ১৩০টি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে একটি গাছ হতে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ফলন পাওয়া সম্ভব।
ড্রাগন চাষি নাছিমা বেগম বাসসকে বলেন, নাটোর থেকে মাত্র ১০টি চারা দিয়ে ড্রাগন চাষাবাদ শুরু করি। গত বছর মাত্র ২১ শতাংশ জমিতে বিক্রি হয়েছিল দুই লাখ টাকা। আর এ বছর ৮০ শতাংশ জমিতে ড্রাগনের চাষাবাদ করেছি। ড্রাগন চাষ করে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এ বছর আশা করছি ৫ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে। প্রতিদিন এলাকার অনেক কৌতুহলী মানুষ আসে বাগান দেখতে। অনেকেই চারা কিনছেন, চাষাবাদও করছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগের উপপরিচালক মিজানুর রহমান বাসসকে বলেন, ড্রাগন ফল কুমিল্লার আবহাওয়া এবং মাটি এটি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কুমিল্লায় বাউ-১,  বাউ-২ জাতের ড্রাগনের চাষ হচ্ছে। ড্রাগন গাছে একটানা ৬/৭ মাস ফল পাওয়া যায়। এর বাজার মূল্য বেশি এবং অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ হওয়ায় কুমিল্লায় চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এ ফল চোখকে সুস্থ রাখে, শরীরের চর্বি কমায়, রক্তের কোলেস্টেরল কমায়, উচ্চ রক্তচাপ কমানোসহ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। স্থানীয় বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে এ ফল চাষে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে।

ধান উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়াকে হটিয়ে বাংলাদেশ তৃতীয়
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

ধারাবাহিকভাবে কয়েক বছর ধরে ধান উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ইন্দোনেশিয়াকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এতদিন ধরে চীন ও ভারতের পরই তৃতীয় স্থানে ছিল ইন্দোনেশিয়া। তবে এবার ইন্দোনেশিয়াকে টপকে সেই অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) পূর্বাভাস বলছে, চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) ধান উৎপাদন ৩ কোটি ৬০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধান উৎপাদনকারী দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বৈশ্বিক কৃষি উৎপাদন পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়ে গত বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় হওয়ার এ পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। প্রতিবেদনে বৈশ্বিক কৃষি উৎপাদন পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কৃষিপণ্যের উৎপাদনের তুলনা করা হয়েছে।

চলতি বোরো মৌসুমে সাড়ে চার লাখ টন বাড়তে পারে ধানের উৎপাদন। তার আগে চলতি অর্থবছরে আমন মৌসুমে রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। আবার আউশ মৌসুমেও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই তিন মৌসুমে উৎপাদন বৃদ্ধির সম্মিলিত ফলাফলই শীর্ষ তিনে চলে আসার মূল কারণ বলে জানা গেছে।

দেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেড়েছে চালের উৎপাদন। দীর্ঘদিন ধরেই খাদ্যশস্যটি উৎপাদনে বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থান ছিল চতুর্থ। তবে এবার ইন্দোনেশিয়াকে টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে।

ইউএসডিএর প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারা বিশ্বে ৫০ কোটি ২০ লাখ টন ছাড়াতে পারে ধানের উৎপাদন, যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে চীন সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন করবে। দেশটি চলতি অর্থবছরে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টন চাল উৎপাদনের মাধ্যমে শীর্ষস্থানে থাকবে। চীনের পরই পাশের দেশ ভারতের অবস্থান। ভারত চাল উৎপাদন করবে ১১ কোটি ৮০ লাখ টন।

এরপরই ৩ কোটি ৬০ লাখ টন উৎপাদন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসবে বাংলাদেশ। অপরদিকে দীর্ঘদিন ধরেই তিন নম্বর স্থানটি দখলে রাখা ইন্দোনেশিয়া এবার চতুর্থ অবস্থানে নেমে আসবে। দেশটিতে চালের উৎপাদন হবে ৩ কোটি ৪৯ লাখ টন।

ইউএসডিএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এবার চাল উৎপাদনের শীর্ষ ১২টি দেশের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার পরই থাকছে ভিয়েতনাম। দেশটিতে এবার উৎপাদন দাঁড়াবে দুই কোটি ৭৫ লাখ টন। এছাড়া থাইল্যান্ডে দুই কোটি চার লাখ টন, মিয়ানমারে এক কোটি ৩১ লাখ টন, ফিলিপাইনে এক কোটি ১০ লাখ টন, জাপানে ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টন, পাকিস্তানে ৭৫ লাখ টন, ব্রাজিলে ৬৯ লাখ ও কম্বোডিয়ার প্রায় ৫৮ লাখ টন চাল উৎপাদন হবে। 

সাতক্ষীরা সদরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের মাঝে বীজ ও নগদ সহায়তা প্রদান
                                  

শরিফুল ইসলাম জুয়েল, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও ভূট্টা বীজ, মুগ বীজ এবং পরিচর্যা বাবদ নগদ সহায়তা (মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।

রবিবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলা চত্বরে, সদর উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি জি এম নুর ইসলাম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামার বাড়ি সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আমজাদ হোসেন, উপসহকারি কৃষি অফিসার অমল ব্যানার্জী, রঘুজিৎ কুমোর গুহ, আব্দুস সাত্তার ও সদর উপজেলা রাইচ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বাবু প্রমুখ।

এসময় সদর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এ ক্ষতিগ্রস্থ ১১শ’৫০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও ভূট্টা বীজ, মুগ বীজ এবং পরিচর্যা বাবদ নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সদর উপজেলা ৫০০ জন ভূট্টা চাষীর মধ্যে জনপ্রতি ০২ কেজি ভূটাটা বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং পরিচর্যা বাবদ ৫০০ টাকা, ২০০ জন শীতকালীন/গ্রীষ্মকালীন মুগ চাষীদের মধ্যে জনপ্রতি ০৫ কেজি মুগ বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার, পরিচর্যা বাবদ ৫০০ টাকা এবং ৪৫০ জন বসতবাড়িতে শাক সবজি চাষীদের মধ্যে জনপ্রতি ০.০২ কেজি শাক বীজ, ০.০২ কেজি করলা বীজ, ০.০৩ কেজি ঝিঙ্গা বীজ, ০.০১ কেজি বেগুন বীজ ও ০.০৩ কেজি মিষ্টি কুমড়া বীজ এবং ১ কেজি ডিএপি সার, ও ১০ কেজি এমওপি সার ও পরিচর্যা বাবদ ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়।

এসময় সদর উপজেলার কৃষি অফিসার ও ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এ ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকিকরণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকিকরণ ও বহুমুখীকরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করে রফতানি করা হবে। এজন্য জাপানের সহযোগিতা প্রয়োজন।

রবিবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. নোকি ইতো’র সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে পাশে থাকা জাপান এবার কৃষি উন্নয়নেও বাংলাদেশের পাশে থাকবে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ কাজের সহযোগিতার জন্য জাপানের রাষ্ট্রদূতকে তিনি ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, এ টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এতে সরকার দেবে ৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি অর্থ আসবে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে। জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসং একটি কনসোর্টিয়াম হিসেবে টার্মিনালের নির্মাণকাজ করবে।

টমেটো চাষে লাভ বেশি : কৃষিমন্ত্রী
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রজ্জাক বলেন- পেঁয়াজ সংকট সাময়িক। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে এ সংকটের নিরসন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন এবার কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য দেওয়া সম্ভব হয়নি নানা কারণে। তবে আগামি বছর বেশি দামে ধান ক্রয় করা হবে। ক্ষেত খামারে কামলা মজুরের সংকট দেখা দেওয়ায় কৃষিকে অধিক যান্ত্রিকীকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামে গ্রীষ্মকালিন টমেটো চাষ উপলক্ষে কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট আয়োজিত মাঠ দিবস কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন- জলবায়ু ক্ষতি ও জলাবদ্ধতার শিকার সাতক্ষীরার লবণাক্ত জমিতে হাইব্রীড জাতের লাভজনক টমেটোর ফলন চোখে পড়ার মতো। এর চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

এই চাষ বাড়িয়ে দিতে আরও কর্মসূচি হাতে নেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন- ভারত থেকে নিম্নমানের টমেটো আসছে। কৃষকরা এই টমেটো আমদানি নিরুৎসাহিত করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন দেশে হাইব্রীড জাতের অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ টমেটো চাষ বাড়ানো গেলে তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি করা যাবে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী অন্যান্য সবজির কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন এককভাবে ধান চাষ না করে কৃষকদের শস্যবহুমুখী করণের ওপর আগ্রহী করে তুলবার চেষ্টা চলছে।

দেশজুড়ে ক্যাসিনো ও দুর্নীতি বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এতে যে দলেরই হোক জড়িত থাকলে তিনি ছাড় পাবেন না। পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন সেই সব দুর্নীতিবাজ ও ক্যাসিনো সম্রাটরা সাতক্ষীরার টমেটোর ক্ষেতে এসে চাষ শিখে আরও বেশি অর্থ ও সম্মান লাভ করতে পারেন। যারা কারাগারে আটক আছে তাদের এখানে এনে এই শিক্ষা দিলে ভালো হয়। কেউ আইনের উর্ধেনন, এমনকি আমার দলের লোক কিংবা আমার আত্মীয় স্বজন এমনকি আমিও। একথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন দুর্নীতি ও ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা আছে দুর্নীতি বিরোধী সমাজ গড়ে তোলা।

ধানের দাম বাড়াতে কাজ করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষকের ধানের দাম কীভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয় নিয়ে সরকার চিন্তাভাবনা করছে। এ বিষয়টি স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই নির্দেশনা দিয়েছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। আমরা এর সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি যাতে চাষিরা লাভবান হয়। গতকাল রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের ধানের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। খাদ্যমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভা করা হবে বিষয়টি ফয়সলা করা হবে। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

 

কৃষির আধুনিকায়নই তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করবে : কৃষিমন্ত্রী
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিতকরণে উৎপাদিত অন্য সব কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে। কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কৃষির আধুনিকায়ন, যান্ত্রিকিকরণ এবং রপ্তানির বাজার অপরিহার্য। সামগ্রীক অর্থে কৃষির আধুনিকায়নই তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করবে চাষিদের।

গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) মিলনায়তনে তামাক বিরোধী জাতীয় প্ল্যাটফর্ম-এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘সেমিনার ও তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক-২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পিকেএসএফ-এর সভাপতি ড. খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় আধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আবদুল মালিক। অনুষ্ঠানে তামাক বিরোধী জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভ‚মিকার জন্য চার জনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
কৃষিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আরও বলেন, তামাক ও তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো থেকে প্রতিবছর সরকারের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হচ্ছে। আর পরোক্ষভাবে তার চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত লোকদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয়ের জন্য। শুধু যারা ঢাকায় বসবাস করে, তারা সঠিকভাবে তাদের কর দিলে তামাক কোম্পানির এই কর পরিহার করা সহজ হবে এবং তামাক উৎপাদনও বন্ধকরা যাবে।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক কৃষি ও আধুনিক কৃষি করা গেলে ২০৪০ সালের আগেই তামাক মুক্ত সমাজ গড়া যাবে। এরই মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে সকলের অংশগ্রহণ জরুরী।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বের তামাক উৎপাদনকারি ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম, আর প্রথমে আছে চীন। বাংলাদেশের মধ্যে তামাক উৎপাদনকারী জেলার মধ্যে প্রথম হচ্ছে কুষ্টিয়া জেলা। তামাক চাষের নিবিড়তা ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৪৫% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২১৩% হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, সামগ্রীকভাবে তামাক চাষের চেয়ে সবজি চাষ লাভজনক। তামাক উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধ করা গেলে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র ভেঙ্গে কৃষি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা সম্ভব।

বোরোর বাম্পার ফলনেও দাম নিয়ে হতাশ কৃষক
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

দেশজুড়ে এবার বোরোর বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে কৃষকরা হতাশ। ফণীর প্রভাবে ঝড়বৃষ্টিতে শত শত একর জমির পাকা ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না। ক্রেতা নেই। আর বর্তমানে বাজারে ধানের যে দাম তাতে লাভ তো দূরের কথা কৃষকের ৎ্পাদন খরচই উঠছে না। বরং কৃষককে প্রতি মণ ধানে ন্যূনতম ২০০ টাকা করে লোকসান হচ্ছে। কারণ দেশে সার, সেচ, কৃষি যন্ত্রপাতির দাম বেশি। আর এখন এক মণ ধানের দামে একদিনের জন্য একজন শ্রমিকও পাওয়া যায় না। এমন অবস্থায় কৃষির আধুনিকায়ন ছাড়া বিকল্প নেই বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কৃষক এবং কৃষি বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি বছর প্রতি কেজি বোরো ধান উৎপাদনে খরচ হয়েছে সাড়ে ২৪ টাকা। আর প্রতি কেজি চালের উৎপাদন খরচ পড়েছে ৩৬ টাকা। ওই হিসেবে প্রতি মণ (কেজির হিসেবে) ধানের উৎপাদন খরচ হয়েছে ৯০৬ টাকা ৫০ পয়সা। অথচ বর্তমানে দেশের হাট-বাজারগুলোতে প্রতি মণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ৫শ থেকে সর্বোচ্চ ৭শ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি মণ ধানে কৃষকের প্রায় ২শ থেকে ৪শ টাকা লোকসান দাঁড়াচ্ছে। ফলে বর্তমান দরে কৃষক তার কষ্টার্জিত ফসল বিক্রি করে স্বচ্ছলতার মুখ দেখা-তো দূরের কথা, জীবিকা চালানোই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অথচ গত এক দশক ধরেই ধানের উৎপাদন ক্রমাগত বাড়িয়ে চলেছেন কৃষক। চলতি বছরের শুরুতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিষয়ক সংস্থা ইউএসডিএ বলেছে, বিশ্বে এ বছর বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন সবচেয়ে বেড়েছে।
সূত্র জানায়, বিগত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশে মোট চাল উৎপাদন হয় ৩ কোটি ৪৭ লাখ টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩ কোটি ৩৮ লাখ টন আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উৎপাদন হয় ৩ কোটি ৬২ লাখ টন। আর এ বছর চালের উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। চলতি অর্থবছরে আউশ, আমন ও বোরো মিলে মোট ৩ কোটি ৬৪ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। তার মধ্যে চলতি অর্থবছরে আউশ মৌসুমে ২৯ লাখ ২০ হাজার টন ও আমনে এক কোটি ৪৩ লাখ টন চাল উৎপাদিত হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংকের মতে, পরপর কয়েক বছর ধানের বাম্পার ফলনের ফলে বাংলাদেশের কৃষিতে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। কিন্তু কৃষকের জীবনমানের কোনো উন্নতি নেই। তাদের ভাগ্য বদলাচ্ছে না। বিগত ১৯৯৬ সালের কৃষিশুমারি অনুযায়ী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক, মাঝারি ও বড় কৃষকের সংখ্যা যথাক্রমে ৭৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ১৭ দশমিক ৬১ ও ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ করে ফসল ফলান। তারা ফসল ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তা বিক্রি করে দেন। এ সময় যদি ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়া যায় তাহলে তারা একদম পথে বসে যায়। মূলত অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহের কার্যকর ব্যবস্থাপনা গড়ে না ওঠায় তা কৃষকের কোনো কাজে আসছে না। গত আমন মৌসুমেও ৮ লাখ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহ করেও বাজারে ধানের দামে কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। এ বছর বোরো মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান ও ৩৬ টাকা কেজি দরে ১২ লাখ টন চাল কিনবে সরকার। কিন্তু কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি না কেনায় তাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না। অথচ ২০০৬ সালের জাতীয় খাদ্য নীতিতেও অতিরিক্ত উৎস হিসেবে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে খাদ্যশস্য সংগ্রহের নির্দেশনা রয়েছে।
এদিকে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এদেশের জমিগুলো ছোট ছোট। সেজন্য উৎপাদন খরচ বেশি পড়ে। যদি কৃষকরা একত্র হয়ে একসঙ্গে জমি চাষ করে তাহলে উৎপাদন খরচ কমে আসবে। তারা লাভবান হবে। একই সঙ্গে সরকারের অভ্যন্তরীণ ধান-চাল সংগ্রহ পদ্ধতি নিয়ে ভাবতে হবে। তাতে কৃষকের কোনো লাভ হচ্ছে না। বাজারেও কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না। ফণীর আঘাতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু শস্য বীমা না থাকায় কৃষক কোনো ক্ষতিপূরণ পাবে না। এসব বিষয় নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে।
অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানান, সরকার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে প্রতি বছর যে ধান-চাল সংগ্রহ করে তাতে কিছু পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিস্ট, মিলার ও ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছে। তাতে কৃষকের কোনো লাভ নেই। এবারও বোরো মৌসুমে ধানের দাম কম। বিষয়টা নিয়ে সরকার সিরিয়াসলি ভাবছে। এ ব্যাপারে খুব শিগগির কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বসে করণীয় ঠিক করবে। কারণ বর্তমানে দেশে এখন সাড়ে ৩ কোটি টনের বেশি চাল উৎপাদন হয়। সেখানে ১০ লাখ টন চাল সংগ্রহ করলে বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না। প্রয়োজনে উদ্বৃত্ত চাল রফতানি করা হবে। তাহলে কৃষক লাভবান হবে।

ফণীতে ৬৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত : কৃষিমন্ত্রী
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

 ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ৩৫ জেলার প্রায় ৬৩ হাজার ৬৩ হেক্টর জমির ফসল আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুর রাজ্জাক। এসব ফসলের মধ্যে ধান, ভুট্টা, সবজি, পাট ও পান রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক মূল্য ৩৮ কোটি ৫৪ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা বলে জানান মন্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১৩ হাজার ৬৩১ জন। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের সংগৃহীত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী এ ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফসলের এই ক্ষতিতে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জনিয়েছেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আক্রান্ত ফসলি জমির মধ্যে বোরো ধান ৫৫ হাজার ৬০৯ হেক্টর, সবজি তিন হাজার ৬৬০ হেক্টর, ভুট্টা ৬৭৭ হেক্টর, পাট দুই হাজার ৩৮২ হেক্টর ও ৭৩৫ হেক্টর পান রয়েছে।
আক্রান্ত ৩৫ জেলা হচ্ছে- নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, ল²ীপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বগুড়া, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, গাইবান্ধা, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরিয়তপুর, বরিশাল, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর।
ক্ষতির ধরন ও শতকরা হার তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ বোরো ধান হার্ড ডাফ ও পরিপক্ব অবস্থায় বাতাসে হেলে পড়েছে। যার দুই শতাংশ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। সবজির ক্ষেত্রে মাচা ভেঙে ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া বাতাসের কারণে শাক-সবজি ক্ষতি হয়েছে যার ৯ শতাংশ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অধিকাংশ ভুট্টা মোচা অবস্থায় বাতাসে হেলে পড়েছে, এর ১৫ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। দমকা বাতাসে পাট হেলে বা ভেঙে পড়েছে। যা শতকরা হারে পাঁচ শতাংশ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া দমকা বাতাসে পানের বরজ ভেঙে পড়েছে। যার এক শতাংশ ক্ষতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড় ফণী আসার আগে ও চলাকালীন কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীন সংস্থাগুলোর কার্যক্রম তুলে ধরেন আবদুর রাজ্জাক।
ফণী চলে যাওয়ার পর বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের অঞ্চল, জেলা, উপজেলা ও বøক পর্যায় থেকে আক্রান্ত ফসলি জমির তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে যাতে আটকে যাওয়া পানি জমি থেকে দ্রæত নেমে যায় সে জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। শতকরা ৮০ ভাগ পরিপক্ব অবস্থায় আছে এমন ধান কেটে ফেলা ও হেলে পড়া ধান দ্রæত কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আউস ক্ষেতে গ্যাপ পূরণের জন্য ঘণগোছা থেকে চারা উত্তোলন করে ফাঁকা জায়গায় রোপণ, পানের বরজের বেড়া নির্মাণ এবং লতা কাঠিতে তুলে দেয়া, সবজি ক্ষেতের জমে থাকা পানি দ্রæত নিষ্কাশনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সবজি ক্ষেতের চালা বা মাচা মেরামতের পরামর্শ দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে সবজি বিষ কেনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নষ্ট হওয়া গাছের গোড়ায় নতুন চারা লাগিয়ে শূন্যস্থান পূরণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে পরামর্শগুলো বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় বীজ, সার ও আর্থিক সহায়তা দেয়ার কর্মসূচি নেয়া হবে। পরবর্তী খরিপ ২০১৯-২০ মৌসুমে রোপা আমন ধানের বীজ বা চারা উৎপাদন ও বীজ বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করার পরিকল্পনা আছে।
তিনি আরও বলেন, রবি ২০২৯-২০ মৌসুমে বিনামূল্যে বোরো ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনা বাদাম, মুগ চাষের জন্য বীজ ও সার বিতরণের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি নেয়া হবে। এ ছাড়া শীতকালীন সবজি চাষের জন্য পারিবারিক পুষ্টির অংশ হিসেবে বিনামূলে বিভিন্ন সবজি বীজ বিতরণ কর্মসূচি নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ফণী ভারতের ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে গত ৪ মে সকালে কিছুটা দুর্বল অবস্থায় খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ঢাকা-ফরিদপুর অঞ্চল পেরিয়ে সন্ধ্যা নাগাদ এটি লঘুচাপে পরিণত হয়।
ফণী ধেয়ে আসায় পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ মে সকাল থেকে পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর ও চট্টগ্রাম বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত জারি করা হয়।

বোরোর বাম্পার ফলন ঝড়বৃষ্টির আগেই ঘরে তোলার চেষ্টায় কৃষক
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

বোরোর বাম্পার ফলনে ভরে গেছের কৃষকের মাঠ। দেশজুড়েই মাঠজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সোনালি ধান বাতাসে দোল খাচ্ছে। কৃষক এখন ওই সোনালী ফলন ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় কৃষি জমি থেকে ধান কাটা উৎসবে মেতেছে সবাই। দেশে এবার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ। ইতিমধ্যে মাঠের ৯০ শতাংশেরও বেশি ধান পেকে গেছে। এখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এড়িয়ে কষ্টার্জিত ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত চাষীরা। ইতিমধ্যেই অনেক জায়গায় ধান কাটা শুরু হলেও কোথাও কোথাও শুরু হয়নি। কোথাও আবার রয়েছে শ্রমিক সঙ্কটও। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়েও কৃষকদের মনে শঙ্কা বিরাজ করছে। যে কোন সময় শিলা বৃষ্টি বা ঝড় ধানের ক্ষতিতে তাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে যেতে পারে। তাই তো তীব্র দাবদাহের মধ্যেও  গ্রামের মানুষ ঘরে নেই। শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ সবাই দাবদাহ উপেক্ষা করে বোরো ধান ঘরে তুলতে মাঠে কাজ করছে। আর দিন-রাত সমানতালে কাজ চলছে। কৃষকদের কামনা আআরো কয়েকটা দিন রৌদ্রোজ্জ্বল থাকুক। তা নাহলে বোরোর পুরো ফলন ঘরে উঠানো যাবে না। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, সরকারের নানামুখী উদ্যোগে দেশজুড়েই বোরো উৎপাদনের আওতা বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নতুন জাতগুলোকে ৩ বছরের মধ্যে একটি কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মাঠে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাতে কৃষকরা চাষাবাদের মাধ্যমে ভাল ফলন পাচ্ছে। এবার বোরো আবাদের জন্য জমির পরিমাণ ধরা হয়েছিল ৪৮ লাখ ৪২ হাজার হেক্টর। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা ছিল ৪৭ লাখ ২৫ হাজার হেক্টর। কিন্তু এবার প্রায় ৪৯ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। আর এ বছর সরকার বোরোর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এক কোটি ৯৬ লাখ ২৩ হাজার টন। এখন পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে যে ফলন দেখা যাচ্ছে তাতে আশা করা যায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি ফলন পাওয়া যাবে। তবে ধানের বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। ধানের উপযুক্ত মূল্য না হলে আগামীতে ধান চাষ ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন তারা।
সূত্র জানায়, দেশের হাওড়াঞ্চলে প্রতি বছরই উৎসবের মাধ্যমে ধান কাটা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সঙ্কট। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে বালু পাথর কোয়ারির শ্রমিকদের ধান কাটার কাজে সহায়তা করার আহŸান জানানো হয়েছে। হাওড়গুলোতে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাওড়জুড়ে এখন শুধু পাকা ধানের রঙিন ঝিলিক আর ম ম ঘ্রাণ। ধানের এমন ফলনে খুশি কৃষকরা। প্রচÐ দাবদাহেও কণ্ঠে ভাটিয়ালি গান ধরে ধান কাটছেন কৃষকরা। বসে নেই নারীরাও। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে ধান তোলার ব্যস্ততা। এখন পর্যন্ত হাওড়ে ৪০ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। আশা করা যায় মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হাওড়ে সব ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।
সূত্র আরো জানায়, হাওড়াঞ্চলের কোথাও কোথাও  এ বছর বোরো (ব্রি ধান-২৮ জাতের) ধানে চিটা হওয়ায় ফসলে ক্ষতি হয়েছে। নেত্রকোনা জেলার পাঁচটি হাওড় উপজেলাসহ ১০টি উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার ৯৫২ হেক্টর জমি। শেষ পর্যন্ত আবাদ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমি। কিন্তু এ বছর পাহাড়ী ঢল ও আগাম বন্যা দেখা না দিলেও মোহনগঞ্জ উপজেলার ডিঙ্গাপুতা হাওড়, শনির হাওড়, তেঁতুলিয়া, গাগলাজুর, সুয়াইর, হাটনাইয়া, আদর্শনগর, খালিয়াজুরী উপজেলার চাকুয়া, জগন্নাথপুর, পাংগাসিয়া, কির্তনখোলা, কটিচাপরা, সেনের বিল, জালর বন, সোনাতোলা, বল্লীর চৌতরা, জগন্নাথপুরের বড় হাওড়, বাজোয়াইল, পাঁচহাট, নগর, বোয়ালী, মদন উপজেলার মাঘান, হাওড়সহ বিভিন্ন হাওরে ধানে ব্যাপক চিটা দেখা দিয়েছে। উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের মতে, এটা শীতজনিত সমস্যা। খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ, মদন এবং কলমাকান্দা উপজেলার হাওড়াঞ্চলের প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির বোরো ধান কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছে। বিষয়টি সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাছাড়া কোথাও কোথাও নতুন ধানের বাজার মূল্য কম থাকায় হতাশ কৃষকরা। কারণ বিদ্যমান দামে কৃষকের উৎপাদন ব্যয়ও উঠবে না। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের হাওর এলাকা থেকে প্রতিদিন ভৈরব বাজারে হাজার হাজার মণ নতুন ধান আসছে। তবে দাম খুবই কম। ভৈরববাজারে প্রতিমণ মোটা ধান বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা। তবে চিকন ধানের বাজার দর ৫০০ টাকা। কৃষকরা বলছেন, প্রতিমণ ধান উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে ৬০০-৬৫০ টাকা। বর্তমান বাজার দরে ধান বিক্রি করে কৃষকরা লোকসানে পড়ছে। পাশাপাশি তীব্র শ্রমিক সঙ্কটের কারণে বর্তমানে ধান কাটতে দিনমজুরের প্রতিদিনের মজুরি দিতে হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা।
এদিকে আড়তদাররা বলছেন, প্রতি বছরই বৈশাখ মাসে নতুন ধানের দাম কমই থাকে। কারণ এখন আমদানি করা ধান আধা শুকনা ও ভেজা। পুরোপুরি শুকনা ধান এখনো আমদানি শুরু হয়নি। কৃষকরা জমিতে ধান কাটার পর আধা শুকনা ধান বিক্রি করতে বাজারে নিয়ে আসছে। তাছাড়া আশপাশের রাইস মিলগুলো এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। সরকারি গুদামগুলোও নতুন ধান কেনা শুরু করেনি। মে-জুন মাসে সরকার নতুন ধান কেনা শুরু করলে ধানের দাম আরো বাড়বে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে বাজার দর কম থাকাটা দুঃখজনক।
অন্যদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা কোন কোন স্থানে বোরো চাষীদের দ্রæত ধান কাটার জন্য আগাম সতর্কতামূলক পরামর্শ দিচ্ছে। মূলত প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পাকা ধানের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে কৃষকদের সাবধান করতেই এমন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কারণ বিগত ২০১৭ সালে আগাম বন্যায় কৃষকরা লোকসান গুনেছিল। অবশ্য বাম্পার ফলন হওয়াতে পরের বছরই ওই লোকসান অনেকটাই কেটে যায়। এবারও ভাল ফলন হবে শুরু থেকেই আশায় বুক বেঁধেছিল কৃষকরা। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকেও বোরো আবাদে কৃষকদের নানা পরামর্শ সহায়তা দেয়া হয়। যার সুফল হলো এই ফলন। সরকার ফলন বৃদ্ধিতে যে বার্তা দিচ্ছে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের কৃষকের কাছে সেই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। বর্তমানে দেশের কিছু কিছু জায়গায় অল্প করে হলেও বৃষ্টি হচ্ছে। মে মাসে একটি নি¤œচাপ আছে। যা ইতোমধ্যেই গভীর নি¤œচাপে পরিণত হয়েছে। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা আছে। তাছাড়া আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী মে মাসের প্রথম দিকে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।
এ প্রসঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান জানান, এবার বোরো উৎপাদনের আবহাওয়া খুবই ভাল ছিল। না একটু কম, না একটু বেশি। সব দিক থেকে এমন পারফেক্ট আবহাওয়া পাওয়া যায় না। এবার খুবই ভালো ছিল। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। সেখান থেকে ১ কোটি ৯৬ লাখ টন চাল সংগ্রহ হবে। যদিও ঠাÐার কারণে কিছু এলাকায় আবাদকৃত ধানের ভেতরে চিটা হয়েছে। তবে তকাতে সার্বিক উৎপাদনে কোন প্রভাব ফেলবে না।

শেরপুরে সবার নজর কাড়ছে বেগুনি ধান
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

শেরপুরের নকলা উপজেলার বারইকান্দি গ্রামের কৃষক শামছুর রহমান আবুল ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ভেদীক‚ড়া গ্রামের শাহিনুর আলম বেগুনি রঙের ধানের ক্ষেতের আবাদ করে সবার নজর কেড়েছেন। এটি এমন একটি ধানের জাত যার পাতা ও কান্ডের রঙ বেগুনী। শুধু ধান গাছ নয়, চালের রং বেগুনী বলে জানিয়েছেন চাষী। তাই কৃষকদের কাছে এখনও পর্যন্ত এ ধানের পরিচিতি বেগুনী রঙের ধান বা পার্পল পেডি। পরীক্ষাম‚লক এ ধান চাষে আবুল ও শাহিনুরকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে নিয়মিত সার্বিক পরামর্শ প্রদানসহ ধান ক্ষেত বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ভিন্ন রঙের ধান ক্ষেতটি সড়কের পাশে হওয়ায় পথচারীদের দৃষ্টি কাড়ছে প্রতিনিয়ত। কৃষক শামছুর রহমান আবুল ও শাহিনুর আলম জানান, গত বছর পত্রিকার একটি খবরে এ ধানের খোঁজ তারা জানতে পারেন। পরে স্থানীয় (নকলা-নালিতাবাড়ী) অফিসে যোগাযোগ করলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় চলতি বোরো মৌসুমে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কৃষক মঞ্জুরুলের কাছ থেকে ১০ কেজি বেগুনি রঙের ধানবীজ এনে জমিতে আবাদ করেন। ক্ষেতে ধান গাছের বর্তমান অবস্থা দেখে চাষী ও কৃষি কর্তকর্তারা আশা করছেন, অন্যান্য ধানের তুলনায় ফলন ভালো হবে। নজর কাড়া বেগুনি রঙের এ ধানে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলছে। কৃষি অফিস জানায়, মাঠপর্যায়ের অবস্থা বিবেচনায় ধানটির জীবনকাল ১৪৫-১৫৫ দিন। ফলন একরে ৫৫-৬০ মণ। কৃষি কর্মকর্তারা প্রত্যাশা করছেন, চালের রং শতভাগ বেগুনী হলে ধানটি উচ্চ ম‚ল্যের হবে। নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, বেগুনি রঙের ধান চাষি শামছুর রহমান আবুলকে সব ধরনের পরামর্শসহ নিয়মিত ধানক্ষেতটি তদারকি করা হচ্ছে। ফলন ভালো হলে এর বিস্তার ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য কৃষকরাও বেগুনি রঙের এ ধান সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে। নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরীফ ইকবাল বলেন, এলাকায় এই বেগুনি জাতের ধান নতুন, তাই কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। চলতি বোরো মৌসুমে পরীক্ষাম‚লকভাবে চাষ করা হয়েছে। ফসল কাটার পর এর পুষ্টিগুণ যাচাই করে আগামীতে কৃষকদের মধ্যে এর বিস্তার ঘটানো হবে। শেরপুর কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশরাফ উদ্দিন জানান, বেগুনি রঙের এই ধান বিদেশি নয়। এটা আমাদের দেশি জাতের ধান। আগে অন্যান্য জেলায় চাষ হয়েছে, এবার শেরপুরে আবাদ হচ্ছে। নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলায় দুই একর জমিতে বেগুনি ধান লাগানো হয়েছে। বেগুনি রঙের এ ধান গাছ মানুষকে মোহিত করেছে। ফলন ভাল হলে উৎপাদিত ধানগুলো বীজ আকারে রাখা হবে। এর চাল বেগুনি ও সুস্বাদু হবে বলে জানা গেছে। তবে এর ফলন সম্পর্কে জানতে ধান কাঁটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

 

দক্ষিণাঞ্চলে তরমুজের বাম্পার ফলন
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

দক্ষিণাঞ্চলে রসালো মৌসুমী ফল তরমুজ ও ফুটির (বাঙ্গি) বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি রবি মৌসুমে এ অঞ্চলে ৩৮ হাজার ৩৩৯ হেক্টর জমিতে ফলেছে তরমুজ ও ফুটি। যারমধ্যে ১৩ হাজার ২৭ হেক্টর জমিতে উৎপাদিত তরমুজ ও ফুটি ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে। বাকি জমির ফলনও বাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে প্রান্তিক চাষীদের দাবি, ফলন ভালো হলেও ন্যায্যমূল্য থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। মধ্যস্বত্তভোগী আর আড়তদাররা কমমূল্যে চাষীদের কাছ থেকে তরমুজ আর ফুটি ক্রয় করে চড়া দামে বাজারে বিক্রি করছেন। বরিশাল কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলায় তরমুজ ও ফুটি আবাদ লাভজনক হয়ে ওঠায় চাষীরা মৌসুমী ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ কারণে বিগত বছরের তুলনার তরমুজ ও ফুটি আবাদ এবং ফলন দুটোই বেড়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে তরমুজের আবাদ। বিভাগের ছয় জেলায় ৩৬ হাজার ৯১১ হেক্টর জমিতে তরমুজ এবং এক হাজার ৪২৮ হেক্টর জমিতে ফুটির আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে ছয় জেলার ১২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমির তরমুজ ও ৬৭৭ হেক্টর জমির ফুটি বাজারে এসেছে। কৃষি বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, বিভাগের ছয় জেলার মধ্যে পটুয়াখালীতে তরমুজ ও ফুটি উৎপাদন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ জেলার ২১ হাজার ৬৮২ হেক্টর জমিতে তরমুজ এবং ৬৪৩ হেক্টর জমিতে ফুটি আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির তরমুজ ও ৪৫০ হেক্টর জমির ফুটি বাজারে এসেছে। বিভাগের মধ্যে তরমুজ ও ফুটি উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভোলা। ওই জেলায় চলতি মৌসুমে ১০ হাজার ৪৯১ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও ৩২৭ হেক্টর জমিতে ফুটি আবাদ হয়েছে। ছয় হাজার হেক্টর জমির তরমুজ ও ১৫০ হেক্টর জমির ফুটি ইতোমধ্যে বাজারে এসেছে। বরগুনা জেলায় এ বছর চার হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ এবং ১৮৩ হেক্টর জমিতে ফুটি আবাদ হয়েছে। ঝালকাঠি জেলায় তরমুজ ও ফুটি আবাদ হয়েছে সব থেকে কম। ওই জেলায় ফলনও তুলনামূলকভাবে কমেছে। চলতি বছরে ঝালকাঠিতে ২০ হেক্টর জমিতে তরমুজ এবং ৩০ হেক্টর জমিতে ফুটি আবাদ হয়েছে। গত রবি মৌসুমে ঝালকাঠি জেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে তরমুজ উৎপাদন হয়েছিলো। বরিশাল জেলায় এবার ৩৯৭ হেক্টর জমিতে তরমুজ এবং ১৫৭ হেক্টর জমিতে ফুটি আবাদ হয়েছে। পিরোজপুর জেলায় ১২১ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও ৮৮ হেক্টর জমিতে ফুটি আবাদ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক তাওফিকুল আলম জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে তরমুজ ও ফুটির আবাদ এবং ফলন দুটোই বেড়েছে। এবছর আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় ফলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে গত কয়েকদিনের বৃস্টিতে তরমুজের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে তাই মধ্যবর্তী সময়ে তরমুজ ও ফুটি বাজারজাত করা হয়েছে। উপ-পরিচালক আরও বলেন, বরিশাল অঞ্চলে দূর্যোগের ঝুঁকি রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির আশংকাও বেশি। কিন্তু তার মধ্যেও গোটা দক্ষিণাঞ্চলে মৌসুমী ফল তরমুজ ও ফুটির আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ ও ফুটি উৎপাদনের জন্য উপযোগী। বিশেষ করে ভোলা, পটুয়াখালী এবং বরগুনা জেলার মাটি তরমুজ চাষীদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।

 

নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর: কৃষিমন্ত্রী
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, শিক্ষা না থাকলে দেশ সেবায় অংশ নেওয়া যায় না। উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভবিষৎ প্রজন্মকে মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে একটি শিক্ষিত ও মেধাবী জাতি উপহার দেওয়ার দায়িত্ব শিক্ষকদের। মেধাবী ও কর্মঠ জাতি গঠনের জন্য প্রয়োজন নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য। সরকার নির্বাচনি ইশতেহারে বর্ণিত নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকেরা সমাজের প্রাণ। দেশ-জাতি-সমাজ-রাষ্ট্রের দুঃসময়ে সবার চেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে জাতিমুক্তির কাÐারি হিসেবে শিক্ষকসমাজ গুরুদায়িত্ব পালন করে আসছে। তাই পৃথিবীতে যত সম্মানজনক পেশা আছে, তার মধ্যে শিক্ষকতা সর্বোচ্চ সম্মানিত পেশা। সেজন্য সরকারি-বেসরকারি উভয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধানে আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। একটা সময় আসবে, যখন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের মধ্যে কোনও তারতম্য থাকবে না। বংলদেশকে এখনও বহুদূর যেতে হবে একটি উন্নত রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভের জন্য। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন-২০১৯’ শীর্ষক অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো. আখতারুজ্জামান।

নতুন জাত উদ্ভাবনে দেশে বাড়বে পাটের উৎপাদন
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

কৃষি বিজ্ঞানীরা সোনালি আঁশ পাটের নতুন একটি জাত উদ্ভাবন করেছে। ফলে পাটের ওই নতুন জাতটি দেশের উদ্ভাবিত যে কোনো জাতের চেয়ে ২০ থেকে ২৪ ভাগ বেশি ফলন দেবে। এমনকি নির্দিষ্ট সময়ের আগে বীজ সংগ্রহ করা হলেও তাতে ফলন কমবে না। আর বাড়তি ফলনের জন্য ভারত থেকে যে জাতের বীজ আমদানি করা হয়, তার চেয়েও নতুন উদ্ভাবিত জাতের ফলন ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি হবে। জাতীয় বীজ বোড ইতোমধ্যে নতুন ওই জাতটির অনুমোদন দিয়েছে। নতুন ওই জাতটির নাম বিজেআরআই তোষা পাট-৮। সেটি পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিজেআরআই) ৫১তম জাত। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বাংলাদেশে সাড়ে ৬ লাখ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়। আর উৎপাদন হচ্ছে ৭২ লাখ বেল। হেক্টর প্রতি ফলন সোয়া ১২ বেল। কিন্তু নতুন জাতের মাধ্যমে হেক্টর প্রতি ফলন বাড়বে ৩ বেল। আর সার্বিক উৎপাদন বাড়বে প্রায় ১৮ লাখ বেল। দেশের চাহিদার পাট বীজের প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভরশীল। বাংলাদেশে পাট বীজের চাহিদা ৬ হাজার টন। তার মধ্যে ভারত থেকে ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টন পাট বীজ আমদানি করতে হয়। তবে উদ্ভাবিত নতুন জাতের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন করে আমদানি নির্ভরতা অনেকটাই কমানো যাবে। এমনকি ধীরে ধীরে আমদানি শূন্যের কোটায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে ভারত থেকে জেআরও ৫২৪ জাতের পাট বীজ আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা বীজের চেয়েও নতুন উদ্ভাবিত জাতের ফলন ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি হবে। নতুন জাতটির গাছ লম্বা, গাঢ় মসৃণ ও দ্রæত বর্ধনশীল। জাতটি ২০১৮-১৯ মৌসুমে ঢাকা, খুলনা ও রংপুরসহ তিনটি অঞ্চলের ১২টি স্থানে ট্রায়াল হয়েছে। সব স্থানেই ফলন বেশি পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কাঁচাপাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ১০২ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার। বর্তমানে বাংলাদেশে উৎপাদিত পাট ও পাটপণ্য তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে কেবল পাটজাত ব্যাগের চাহিদা ১০ কোটি থেকে ৭০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। তাছাড়া দেশে অন্যান্য পাটপণ্যের চাহিদা রয়েছে প্রায় ৭শ ১৬ দশমিক ৫২ কোটি টাকার। পাট দিয়ে তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি, খেলনা, গহনা ও গহনার বক্সসহ ২৮৫ ধরনের পণ্য দেশে ও বিদেশে বাজারজাত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পাট এখন পশ্চিমা বিশ্বের গাড়ি নির্মাণ, পেপার অ্যান্ড পাম্প, জিওটেক্সটাইল হেলথ কেয়ার, ফুটওয়্যার, উড়োজাহাজ, কম্পিউটারের বডি তৈরি, ইলেকট্রনিক্স, মেরিন ও স্পোর্টস শিল্পেও ব্যবহৃত হচ্ছে। পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার আগামি দ্ইু থেকে তিন বছরের মধ্যেই সারা বিশ্বে ৩গুণ বেড়ে যাবে। নতুন জাতের আবাদের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়িয়ে এ সুযোগটিও কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ।
এদিকে এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রধান বীজতত্ত¡বিদ কৃষিবিদ আজিম উদ্দিন জানান, নতুন জাতটি আগামি মৌসুম থেকে বিএডিসি বীজ উৎপাদন থেকে শুরু করে মাঠে কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করলে পাট বীজের আমদানি নির্ভরতা কমবে। তাতে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা।
অন্যদিকে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ মনজুরুল আলম জানান, পাটের আবাদের এলাকা বাড়ানোর সুযোগ কম। তাই ফলন বাড়িয়ে মোট উৎপাদন বাড়াতে হবে।

গোবিন্দগঞ্জে ভূট্টার বাম্পার ফলনের আশাবাদী কৃষক
                                  

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি :
গোবিন্দগঞ্জে এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে ভূট্টা চাষ করা হয়েছে। ভূট্টা বাম্পার ফলনের আশাবাদী কৃষকরা।আবহাওয়া অনুকুল ও আধূনিক কৃষি প্রযুক্তিতে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি হওয়ায় স্বল্প খরচে ভূট্টার অধিক ফলন পাবে বলে অভিজ্ঞ মহল ধারনা করছেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষিসম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি ভূট্টা মৌসুমে ১০টি ইউনিয়ন কাটাবাড়ী, সাপমারা,দরবস্ত,গুমানীগঞ্জ,ফুলবাড়ী,তালুককানুপুর, রাখালবুরুজ, কোচাশহর,মহিমাগঞ্জসহ ১০টি ইউনিয়নের কৃষক লাভজনক ফসল ভূট্টা চাষ করেছেন।এবছর ইউনিয়ন গুলিতে মোট ২ হাজার , ৩শ’ হেক্টর জমিতে ভূট্টা চাষ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, লাল মাটি (কাঠাল)ও চরাঞ্চলের মাটি ভূট্টা চাষের উপযুগি বলে এ অঞ্চলের কৃষক কম খরচে অধিক লাভজনক ফসল হওয়ায় ভূট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে।এই কর্মকর্তার মতে অর্জন কৃর্ত সংহ ভাগ ভূট্টা চাষ হয়েছে কাটাবাড়ীতে ।
উপজেলার কাটাবাড়ীর মালেকাবাদ গ্রামের কৃষক ও সাংবাদিক তাজুল ইসলাম প্রধান বলেন,
লালমাটি এলাকার জমিতে ইরি-বোরো চাষে জন্য অনপযুগি তাই কৃষকের উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। যখন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয় তখন মাড়াই কাজের সাথে সংশ্লিষ্ঠ শ্রমিক মিলেনা। তার পর ধান নিয়ে বাজারে গেলে ন্যায্যমুল্য না পেয়ে পানির দামে বিক্রয় করতে হয়। তাতে উৎপাদন খরচেই উঠে না। সে ক্ষেত্রে ভূট্টা চাষের জন্য খরচও কম দামও বেশি ।এ জন্য আমরা ভূট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছি। আশা করছি ফলনও বাম্পার হবে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান,আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় অন্যবারের তুলনায় এবার ভূট্টা চাষ বেশি হয়েছে। এ মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশায় নিয়োমিত কৃষকদের নিকট গিয়ে পরার্মশ প্রদান সহ বিভিন্ন রোগবালাই দমনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরার্মশ দিয়ে আসছেন।

সুনামগঞ্জের হাওরে পানির অভাবে বোরো আবাদে শঙ্কা
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

সুনামগঞ্জের হাওরে পানির অভাবে বোরো আবাদে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। গত বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় এ বছর পানির অভাব হচ্ছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে। দেখা গেছে, এবার সব জায়গায় অন্য বছরের মত প্রাকৃতিক পানি না থাকায় ডোবা ও নদী থেকে পানি নিয়ে সেচ দিচ্ছে অনেকে; কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। কোথাও কোথাও সেচযন্ত্র ব্যবহার করা হলেও তাতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে। দেখার হাওরের’ হোসেন মিয়া বলেন, বোরো লাগিয়েছি কিন্তু পানির সংকট খুব বেশি। ঠিকমত পানি যদি না পাই তাহলে চারাগুলো বড় হবে না। এতে করে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। মেশিন দিয়ে পানি দেয়ার সামর্থ্য আমার নাই। দেখার হাওরে তিন একর জমিতে বোরো চাষ করছেন এমন এক কৃষক বলেন, মেশিন দিয়ে সেচ দিচ্ছি। কিন্তু এতে আমাদের যা খরচ হয় তা অনেক বেশি। যদি ধান ভালোমত হয়ও, তবুও লাভের মুখ দেখব না। হাওরে পানি নাই। তাই আমাদের এখন সেচই একমাত্র ভরসা। কিন্তু এটাও কয় দিন দিতে পারব তার ঠিক নেই। করচার হাওরের লালপুর এলাকার আরেক কৃষক বলেন, আমাদের এখানে কোনো টিউবওয়েল নাই। যদি সরকার থেকে টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় তাহলে সেচ দিতে পারব। কিন্তু এই সংকট যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমাদের না খেয়ে মরা ছাড়া আর রাস্তা থাকবে না। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বশির আহমদ বলেন, গত বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। তাছাড়া পানি তাড়াতাড়ি নিষ্কাষিত হওয়ায় এ বছর পানির অভাব পড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে সেচযন্ত্র বসানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ জেলায় এ বছর ১১টি উপজেলায় ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদেরর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।


   Page 1 of 4
     কৃষি সংবাদ
কুমিল্লায় বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ হচ্ছে
.............................................................................................
ধান উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়াকে হটিয়ে বাংলাদেশ তৃতীয়
.............................................................................................
সাতক্ষীরা সদরে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের মাঝে বীজ ও নগদ সহায়তা প্রদান
.............................................................................................
কৃষিকে শতভাগ যান্ত্রিকিকরণ করা হবে : কৃষিমন্ত্রী
.............................................................................................
টমেটো চাষে লাভ বেশি : কৃষিমন্ত্রী
.............................................................................................
ধানের দাম বাড়াতে কাজ করছে সরকার: কৃষিমন্ত্রী
.............................................................................................
কৃষির আধুনিকায়নই তামাক চাষে নিরুৎসাহিত করবে : কৃষিমন্ত্রী
.............................................................................................
বোরোর বাম্পার ফলনেও দাম নিয়ে হতাশ কৃষক
.............................................................................................
ফণীতে ৬৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত : কৃষিমন্ত্রী
.............................................................................................
বোরোর বাম্পার ফলন ঝড়বৃষ্টির আগেই ঘরে তোলার চেষ্টায় কৃষক
.............................................................................................
শেরপুরে সবার নজর কাড়ছে বেগুনি ধান
.............................................................................................
দক্ষিণাঞ্চলে তরমুজের বাম্পার ফলন
.............................................................................................
নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর: কৃষিমন্ত্রী
.............................................................................................
নতুন জাত উদ্ভাবনে দেশে বাড়বে পাটের উৎপাদন
.............................................................................................
গোবিন্দগঞ্জে ভূট্টার বাম্পার ফলনের আশাবাদী কৃষক
.............................................................................................
সুনামগঞ্জের হাওরে পানির অভাবে বোরো আবাদে শঙ্কা
.............................................................................................
দেশে ধান উৎপাদনে প্রতিবছরই কৃষকের পানির ব্যয় বাড়ছে
.............................................................................................
ভাঙ্গায় বিস্তীর্ণ মাঠে সরিষার আবাদ,বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
.............................................................................................
ফরিদপুরে উচ্চ ফলনশীল জাতে সরিষার বাম্পার ফলন আশা করছে চাষীরা
.............................................................................................
ধামরাই সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত ফসলের মাঠ
.............................................................................................
হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর চরে কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শীতকালীন সবজি চাষে
.............................................................................................
চাহিদার মাত্র ৩ শতাংশ তুলা দেশে উৎপাদিত হয়
.............................................................................................
বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছে নবাবগঞ্জের কৃষকেরা
.............................................................................................
রাজবাড়ীতে বাড়ছে পেঁয়াজের চাষ
.............................................................................................
চলন বিলে আমন ধানের বাম্পার ফলন মাঠে মাঠে ধান কাটার উৎসব
.............................................................................................
কৃষি উন্নয়নে দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষক সেবা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ
.............................................................................................
লেবুর গন্ধে মোহিত শেরপুরের চারাঞ্চল
.............................................................................................
ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অগভীর নলকূপে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক
.............................................................................................
বেনাপোলে আউষ ধানে বাম্পার ফলন
.............................................................................................
পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না বদরগঞ্জের কৃষকরা
.............................................................................................
নতুন পাটের অপেক্ষায় ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকেরা
.............................................................................................
কমে গেছে দেশের ধান ও গম আবাদ
.............................................................................................
বদলগাছীতে পানি সংকট আমন চাষে দিশেহারা কৃষকরা
.............................................................................................
ধান ফলিয়ে বিপদে হাওরের কৃষক
.............................................................................................
বাংলাদেশের অগ্রগতি কৃষির মাধ্যমেই
.............................................................................................
বাগেরহাটে ফাতেমা ধানের বাম্পার ফলন, প্রতি কেজি ৪০০ টাকা
.............................................................................................
বোরোর বাম্পার ফলনেও কৃষকের মুখে হাসি নেই
.............................................................................................
চৌদ্দগ্রামে শ্রমিক সংকট ও বৈরি আবহাওয়ায় নষ্ট হওয়ার আশংকায় বোরো ধান
.............................................................................................
শার্শায় এবার রেকর্ড বোরো ফলনের আশা
.............................................................................................
ফরিদপুরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন
.............................................................................................
কৃষকের বাড়ল ২ টাকা, মিলারের ৪ টাকা
.............................................................................................
রসুনের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে হতাশ কৃষক
.............................................................................................
কালিয়াকৈরে লাউ চাষে লাভবান কৃষক
.............................................................................................
শার্শায় বেড়েছে ভুট্টার চাষ, দ্বিগুণ লাভ দেখছেন চাষিরা
.............................................................................................
নিরাপদ সবজি উৎপাদনের লক্ষে শার্শায় শতাধিক কৃষকের মধ্যে ফাঁদ বিতরন
.............................................................................................
শিগগিরই জাতীয় কৃষিনীতি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে সরকার
.............................................................................................
মধু উৎপাদন বৃদ্ধি ও মৌমাছির নতুন প্রজাতি উদ্ভাবনে গবেষণার তাগিদ কৃষিমন্ত্রীর
.............................................................................................
আউশ চাষে বিনামূল্যে ৪০ কোটি টাকার বীজ ও রাসায়নিক সার দেবে সরকার
.............................................................................................
গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন দিনাজপুরের কৃষকেরা
.............................................................................................
টুঙ্গিপাড়ায় ব্রোকলী চাষ করে সফলতা পেয়েছে কৃষক শক্তি
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আবদুল মালেক, সুগ্ম সম্পাদক: মো: জাহাঙ্গীর আলম শাহ। সম্পাদক কর্তৃক ২৪৪ (২য় তলা), ৪নং জাতীয় স্টেডিয়াম, কমলাপুর, ঢাকা-১২১৪
থেকে প্রকাশিত এবং স্যানমিক প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস, ৫২/২, টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।
মোবাইল: ০১৮৪১৭৪৯৮২৪, ০১৮৪১৭৪৯৮২৫ ই-মেইল: ই-মেইল: noboalo24@gmail.com,
bmengineering77@gmail.com, ওয়েবসাইট www.dailynoboalo.com


   All Right Reserved By www.dailynoboalo.com Developed By: Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD & BD My Shop    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale