হবিগঞ্জ খোয়াই নদীর চরে কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শীতকালীন সবজি চাষে। প্রতি বছর এ নদীর চর থেকে আহরিত হয় বিপুল পরিমান সাক-সবজি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হবিগঞ্জ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীর দৈর্ঘ্য ৭০ কিলোমিটার। হবিগঞ্জ শহরের পাশে খোয়াই নদী রয়েছে সাড়ে ছয় কিলোমিটার জুড়ে। বিভিন্ন এলাকায় খোয়াই নদীর চর জুড়ে দেখা যায় শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। প্রতিবছর খোয়াই নদীর চরে ফলন হয় নানা জাতের শীতকালীন সবজি। এর মধ্যে রয়েছে মিষ্টি কুমড়া, আলু, টমেটো, খিড়া, মুলাসহ আরো অনেক ধরনের সবজি।
হবিগঞ্জ শহরতলীর তেঘরিয়া এলাকার কৃষক সামছু মিয়া জানান তিনি এক বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করেছেন। তার মতে এক বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন খরচ লাগে প্রায় দশ হাজার টাকা। উৎপাদন খরচ বাদ দিলে এক বিঘা জমিতে প্রতি মওসুমে আয় হয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা।
কৃষকরা জানান, এলাকায় ৩৩ শতক জমি নিয়ে এক বিঘার হিসেব হয়। এক বিঘা জমিতে কোন পোকা ও ছত্রাকের আক্রমন না হলে প্রায় ১২ শ মিষ্টি কুমড়া ফলে। সবচেয়ে বড় মিষ্টি কুমড়ার মূল্য হয় সর্বোচ্চ ২ শ ৫০ টাকা। আর সবচেয়ে ছোট মিষ্টি কুমড়ার দাম র্সবনি¤œ দশটাকা পর্যন্ত হয়। তারা বলেন এ দর তখন পর্যন্ত তারা পান যখন পর্যন্ত জেলার বাইরে থেকে ব্যাপক হারে মিষ্টি কুমড়া না আসে। কিন্তু জেলা বাইরে থেকে ব্যাপক হারে মিষ্টি কুমড়ার আমদানী হলে স্থানীয় ফসলের দরপতন ঘটে। আর এ কারনেই তাদেরকে থাকতে হয় অনেকটা অনিশ্চয়তার মাঝে।
একই এলাকার কৃষক ফয়েজ জানান প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবারও খোয়াই নদীর চরে ভাল সবজি ফলন হবে। কৃষি অফিসের কর্মকর্তা অলক কুমার চন্দ অপু দৈনিক প্রভাতী খবরকে জানান প্রতি বছর বর্ষায় খোয়াই নদীতে প্লাবন দেখা দেয়ায় চর এলাকায় পলি জমে। পলিমাটি জমার কারনে এবারো শীতকালীন সবজির ভাল ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
যতই দিন যাচ্ছে খোয়াই নদীর চরে শীতকালীন সবজি চাষে উৎসাহী উঠছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে অব্যবহৃত চরের অংশগুলোকে চাষের আওতায় এনে ফসল আরো বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন অনেকেই।
ক্যাপশন ঃ হবিগঞ্জ খোয়াই নদীর চরে কৃষকদেরকে তাদের জমি চাষে ব্যস্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে ।