শুক্রবার, ৫ মার্চ 2021 |
,২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৭
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
দায়িত্ব নিলেন পূর্বাঞ্চলের নতুন মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন
চট্টগ্রাম: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নতুন মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন। সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) রেলওয়ের সিআরবি অফিসে তিনি যোগদান করেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রেল উন্নয়নে কাজ করে যাবো। রেলে অনিয়ম-দুর্নীতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বহাল থাকবে। যেহেতু ট্রেন দেশের প্রধান একটি যোগাযোগ মাধ্যম। তাই সবসময় যাত্রীর কল্যাণে কাজ করবে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জাহাঙ্গীর হোসেন এর আগে প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক, অতিরিক্ত প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী, টঙ্গী-ভৈরব ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক ডিগ্রি এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমনওয়েলথ এক্সিকিউটিভ এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
|
চট্টগ্রাম: রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের নতুন মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন। সোমবার (০৭ ডিসেম্বর) রেলওয়ের সিআরবি অফিসে তিনি যোগদান করেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রেল উন্নয়নে কাজ করে যাবো। রেলে অনিয়ম-দুর্নীতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বহাল থাকবে। যেহেতু ট্রেন দেশের প্রধান একটি যোগাযোগ মাধ্যম। তাই সবসময় যাত্রীর কল্যাণে কাজ করবে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
জাহাঙ্গীর হোসেন এর আগে প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক, অতিরিক্ত প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী, টঙ্গী-ভৈরব ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রধান সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী পদে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক ডিগ্রি এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমনওয়েলথ এক্সিকিউটিভ এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
|
|
|
|
করোনা চিকিৎসায় গড়ে তোলা ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারে দায়িত্ব পালনে অনীহা প্রকাশ করায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ১০ চিকিৎসক ও এক স্টোর কিপারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) চসিকের সচিব অব্যাহতির অফিস আদেশে স্বাক্ষর করেন।
অব্যাহতি পাওয়া চিকিৎকরা হচ্ছেন- ডা. সিদ্ধার্থ শংকর দেবনাথ, ডা. ফরিদুল আলম, ডা. আবদুল মজিদ সিকদার, ডা. সেলিনা আক্তার, ডা. বিজয় তালুকদার, ডা. মোহন দাশ, ডা. ইফতেখারুল ইসলাম, ডা. সন্দিপন রুদ্র, ডা. হিমেল আচার্য্য, ডা. প্রসেনজিৎ মিত্র।
এরা সবাই চসিকের মেডিকেল অফিসার। এছাড়া অব্যাহতি পেয়েছেন স্টোর কিপার মহসিন কবির।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, নগরে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতদের চিকিৎসায় আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ ‘সিটি কনভেনশন হল’ নামে কমিউনিটি সেন্টারে ২৫০ শয্যার একটি আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলে সিটি কর্পোরেশন। গত ১৩ জুন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর উদ্বোধন করেন। এ সেন্টারে ১১ জুন চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের ১৬ জন চিকিৎসকসহ ৩০ জনকে পোস্টিং দেয়া হয়।
গত ১৪ জুন থেকে তিন দিনব্যাপি তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। কিন্ত তিনদিনই অনুপস্থিত ছিলেন ১০ চিকিৎসক। পরে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যোগাযোগ করলে তারা আইসোলেশন সেন্টারে চাকরি করতে অনীহা প্রকাশ করে।
এ বিষয়ে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ১৬ জন চিকিৎসককে পোস্টিং দিয়েছিলাম। সেখান থেকে ১০ জন জয়েন করেনি। তাদের সঙ্গে আমাদের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যোগাযোগ করলে তারা যোগ দিবে না বলে জানায়। তাই তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের মানবিক কারণেও করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া উচিত ছিল। সেই জায়গায় প্রাতিষ্ঠানিক আদেশ পালন করেনি। এক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার সুযোগ নাই।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা বলেন, পোস্টিং দেয়ার পর মিটিংয়ে তারা উপস্থিত হয়ে যোগদান করবে বলেছিল। মেয়র মহোদয় তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চাকরি স্থায়ীকরণে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেছিল। এখন যেহেতু তারা প্রাতিষ্ঠানিক আদেশ মানেনি তাই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
|
|
|
|
করোনায় আক্রান্ত হয়ে নগরীর ৩০নং পূর্ব মাদার বাড়ি ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী মারা গেছেন। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার এবং সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের নেতা হিসেবেও তিনি দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মাজহারুল ইসলামের পরিবার জানায়, তিনি রাজধানীর আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন৷ প্রথমে চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছিলেন। সেখান থেকে তাকে সরাসরি আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নেওয়া হয়৷
তার বড় ছেলেও করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
|
|
|
|
এবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও পৌঁছে গেল করোনা। ঘনবসিতপূর্ণ এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতা নিয়ে বার বার সতর্ক করা হলেও এখানে আজ বৃহস্পতিবারই (১৪ মে) প্রথম করোনারোগী শনাক্ত হয়।
করোনা আক্রান্ত দুই রোহিঙ্গাকে স্থানীয় আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে ১২ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয় যাদের মধ্যে বাকি ১০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
করোনা আক্রান্ত রোহিঙ্গা দুইজনের একজন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাকে স্থানীয় এমএসএফ হাসপাতালের ওসিআই আইসোলেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অপর রোহিঙ্গা লাম্বাশিয়া ক্যাম্পের বাসিন্দা। তাকে ২নং ক্যাম্পের আইওএম-এর আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্যদেরও হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
আগামীকাল শুক্রবার কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের আইইডিসিআর-এর ল্যাবে তাদের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে জানান শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা. আবু মো. তোহা।
কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজের (কমেক) অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. অনুপম বড়ুয়া জানান, বৃহস্পতিবার কমেক-এর আইইডিসিআর-এর ল্যাবে ১৮৬ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২ রোহিঙ্গাসহ ১২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এবং অন্যদের রিপোর্ট নেগেটিভ।
করোনা শনাক্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে কক্সবাজার সদরের ৯ জন এবং ১ জন চকরিয়ার।
তিনি জানান, কমেক-এর আইইডিসিআর-এর ল্যাবে কক্সবাজার জেলা ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা এবং বান্দরবান জেলার বাসিন্দাদের জন্য পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ভিন্ন জেলার কোনো বাসিন্দার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২২ জনে।
এরমধ্যে চকরিয়ায় ৩৮ জন, কক্সবাজার সদরে ৩৫ জন, পেকুয়ায় ২০ জন, উখিয়ায় ১৬ জন (২ জন রোহিঙ্গা সহ), মহেশখালীতে ১২ জন, টেকনাফে ৭ জন এবং রামুতে ৪ জন। কুতুবদিয়ায় এখনও করোনারোগী শনাক্ত হয়নি।
তিনি জানান, কক্সবাজারে প্রথম করোনারোগী ধরা পড়ে গত ২৪ মার্চ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। এ প্রথম রোগীসহ ইতোমধ্যে ৩৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
কক্সবাজারের একমাত্র করোনা রোগী মারা যান গত ৩০ এপ্রিল সদর হাসপাতালে। রামুর এ রোগীকে আগের দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
|
|
|
|
করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন থাকা ৬৫ বছর বয়সী এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচ জনে। পাঁচ জনের মধ্যে একজন ৬ বছর বয়সী শিশুও রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল হাসান চৌধুরী। বৃহস্পিতবার করোনা পজিটিভ হওয়া রোগীটি শুক্রবার সকালে মারা গেছে। ভর্তি করানোর পর রোগীটিকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। রোগীর ডায়াবেটিক, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যা ছিল।
|
|
|
|
চট্টগ্রাম নগরে প্রবেশ ও বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর পুলিশ (সিএমপি)। আজ সোমবার সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে চট্টগ্রাম পুলিশ এই সিদ্ধান্ত নেয়। এর আগে চট্টগ্রাম নগরে সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল পুলিশ। সন্ধ্যার পর ওষুধের দোকান ছাড়া নগরের কোনো দোকানপাট ও বিপণিবিতান চালু রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চট্টগ্রাম নগরে কেউ ঢুকতে পারবেন না। আবার কেউ বের হতে পারবেন না। প্রত্যেককে ঘরে থাকতে হবে। এ জন্য চট্টগ্রাম নগরের পাঁচটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। পুলিশ আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে
|
|
|
|
স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের দিকে প্রধানমন্ত্রীর নজর রয়েছে। তাই এই চট্টগ্রামকে আধুনিক নগরীতে রূপান্তরের লক্ষ্যে একের পর এক প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার সময় বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার যে অঙ্গীকার করেছিলেন সরকার ধাপে ধাপে সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ইতোমধ্যেই জাতিসংঘ ঘোষিত মিলিনিয়াম ডেভলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জন করতে পেরেছি যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের জন্য আজ উন্নয়নের মডেল।
শনিবার চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলে চট্টগ্রাম ওয়াসার একটি প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রকল্প ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা স্থাপন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর পরামশর্ক নিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফয়জুল্লাহ, স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম ও মুহাম্মদ ইব্রাহিম, মালেশিয়ার পরামর্শক প্রতিষ্ঠান জেবি এরিঙ্কোর চেয়ারম্যান তানশ্রী আহমেদ জায়েদী বিন লাদেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গ্রামে-গঞ্জে শতভাগ সুপেয় পানি সরবরাহ পৌঁছানোর জন্য আমরা কাজ করছি। সুপেয় পানির উৎস নদীসমূহের দূষণ রোধে প্লাস্টিকসহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়েস্টসমূহ নিয়ন্ত্রণ কল্পে ওয়েস্ট নিয়ে সরকার ভাবছে। পর্যায়ক্রমে বুড়িগঙ্গার পর আমরা চট্টগ্রামেও হাত দিতে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে এসডিজি অর্থাৎ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে সত্যিকারভাবে কাজ করতে হবে।
মন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানসমূহ হচ্ছে, মালয়েশিয়া ভিত্তিক জেবি অফ এরিঙ্কো এবং বাংলাদেশের বিইটিএস কনসাল্টিং সার্ভিস লিমিটেড, ডেভ কনসালট্যান্ট লিমিটেড, ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম)।
উল্লেখ্য, এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৮০৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকার অনুদান হিসেবে তিন হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা, চট্টগ্রাম ওয়াসা দেবে ৫০ কোটি টাকা। পুরো নগরকে ৬টি জোনে ভাগ করে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপে ১১টি ওয়ার্ডের ২০ লাখ নগরবাসীকে পয়ঃ বর্জ্য স্যুয়ারেজ ব্যবস্থার আওতায় আনা হবে। ২০২৩ সালে এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
|
|
|
|
চট্টগ্রামে উষ্ণ অর্ভ্যথনায় সিক্ত হলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো : তাজুল ইসলাম। শুক্রবার দুপুর ১২টায় রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি বিমানে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তখন তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকের উদ্দেশে তিনি চট্টগ্রামে এসেছেন।
শনিবার সকাল ১১টায় সার্কিট হাউজে নগরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। সভায় বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান সভাপতিত্ব করবেন। এছাড়া ওই সভায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামেরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
|
|
|
|
বিশ্বের দীর্ঘতম ও সমুদ্রকন্যা নামে খ্যাত অন্যতম পর্যটন নগরী কক্সবাজার। নয়নাভিরাম দৃশ্য, সাগরের গর্জন এবং সূর্যাস্ত দেখতে প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই দেশি বিদেশি পর্যটকে ভরপুর থাকে এই স্থানটি। বিশ্বের দীর্ঘতম সমূদ্র সৈকত হিসেবে বিশ্বের খাতায় নাম থাকলেও এই পর্যটন এলাকায় নেই রেল যোগাযোগের ব্যবস্থা। দেশের ভ্রমণপিপাসু মানুষের দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারে রেল সংযোগ। দীর্ঘদিন থেকে শুনে আসা রেলযোগাযোগ এবার বাস্তবে রুপ নিচ্ছে।
চট্টগ্রামের দোহাজারী হতে কক্সবাজারের ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিমি রেললাইন বসবে। কাজও চলছে জোরালোভাবে। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ শেষ হলে ২০২২ সালেই চালু হবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুরুতে ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্য ছিল। পরবর্তী সময়ে নকশায় পরিবর্তন এনে বাস্তবায়নের নতুন মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। এই মেগা প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে তৈরি হবে ঝিনুকের আদলে দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন। আর এটি ঘিরে গড়ে তোলা হবে আকর্ষণীয় হোটেল, বাণিজ্যিক ভবন, বিপণি বিতান ও বহুতলবিশিষ্ট আবাসিক ভবন।
এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেলপথের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্য ভূমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে প্রকল্প ব্যয় বাড়তে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এ প্রকল্পে অর্থের জোগান দিচ্ছে।
রেলের প্রকৌশলীরা জানান, প্রকল্পের আওতাধীন চারটি বড় সেতুসহ ২৫টি সেতুর নির্মাণকাজও দ্রুতগতিতে চলছে। তাছাড়া বড় সেতুগুলো নির্মিত হচ্ছে মাতামুহুরী নদী, মাতামুহুরী শাখানদী, খরস্রোতা শঙ্খ এবং বাঁকখালী নদীর ওপর।
জানতে চাইলে রেলের প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দেরি হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজও দেরিতে শুরু হয়। তাছাড়া ৩৯টি সেতুর মধ্যে ২৮টির কাজ শুরু হয়েছে। মাঠি ভরাটের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন রেল লাইনের কাজ শুরু হবে। আশা করি ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময় মানুষ রেলপথে কক্সবাজার যেতে পারবে।
সরেজমিন গেলে দেখা যায়, দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া এলাকায় রেল পথ নির্ধারনের স্থানের মধ্য মাঠি ভরাটের কাজ চলছে। একসাথে অনেক শ্রমিক কাজ করছে। রাতেও চলছে কাজ।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এই প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হবে। ১২৮ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া, কক্সবাজারের চকরিয়া, ডুলাহাজারা, ঈদগাহ, রামু, সদর ও উখিয়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম স্টেশন নির্মাণকাজও শুরু হচ্ছে। কিন্তু রামুতে নতুন সেনানিবাস হওয়ায় রামু-ঘুমধুম রেলপথ নির্মাণকাজ আপাতত থেমে গেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, এই প্রকল্পকে পৃথক দুটি লটে ভাগ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের চকরিয়া পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয় লট হচ্ছে চকরিয়া থেকে কক্সবাজার সদর পর্যন্ত। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই লটের কার্যাদেশ পায়। কাজ শুরুর তিন বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু বাস্তবায়ন কাজ দেরিতে শুরু হওয়ায় ২০২২ সালের আগে নতুন লাইনের ওপর রেলের চাকা ঘোরার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকার প্রকল্পটি প্রথম অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই প্রকল্পে সিঙ্গেল লাইন মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু ট্রান্স এশীয় রেলপথের সঙ্গে সংযুক্ত হতে ব্রডগেজ রেলপথ লাগবে। তাই প্রকল্প সংশোধন করে ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল পাস করা হয়। জমি অধিগ্রহণসহ প্রকল্পের বিভিন্ন অনুষঙ্গে ব্যয় বেড়েছে ১৬ হাজার ১৮২ কোটি টাকা। চট্টগ্রামে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এবং রামু হতে মিয়ানমারের নিকট গুনদুম সীমান্ত পর্যন্ত আরও ২৮ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এ রেলপথে মিটারগেজ ও ব্রডগেজ দুই ধরনে ট্রেন চলতে পারবে
|
|
|
|
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী দেশের ৩৮৯ উপজেলায় এবং নৌবাহিনী ১৮ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে। গতকাল বিকেল থেকে সেনা সদস্যরা অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান নিতে শুরু করেছেন। আজ থেকে তারা নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করবেন। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ১৫টিতে সেনাবাহিনী এবং একটিতে নৌবাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পূর্বে, ভোট গ্রহণের দিন ও পরে আইন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত স্বস্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচন কমিশন অথবা অসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করবে। চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে সন্দ্বীপের দায়িত্ব পালন করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। নৌবাহিনীর সদস্যরা গতকাল সন্দ্বীপে অবস্থান নিয়েছেন বলেও স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। বাকি ১৫টি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া), চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী), চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া), চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) এবং চট্টগ্রাম-৮ এর বোয়ালখালী এলাকার সেনাসদস্যরা আসছেন নবগঠিত কঙবাজার সেনানিবাস থেকে। এছাড়া চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড-আকবর শাহ), চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান), চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া), চট্টগ্রাম-৮ ( চান্দগাঁও-বোয়ালখালী), চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া), চট্টগ্রাম-১০ (হালিশহর-খুলশী) এবং চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের সেনাসদস্যদের মোতায়ন করা হয়েছে চট্টগ্রাম সেনানিবাস থেকে। এক একটি আসনে তিনটি থেকে পাঁচটি পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্প করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা আজ থেকে বিভিন্ন আসনের কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন এবং রাস্তাঘাট পর্যবেক্ষণ করবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পরিপত্রের উদ্বৃতি দিয়ে সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, সেনাবাহিনী স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। তবে রিটার্নিং অফিসার সহায়তা চাইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে ইসির কাজে যাবতীয় সহায়তা দেবে সশস্ত্র বাহিনী। প্রয়োজনে পরিস্থিতি বিবেচনা বা নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই বাহিনী।’ পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিটি জেলায় নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে কম-বেশি করা যাবে। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের বিবেচনায় প্রতিটি স্তরে প্রয়োজনীয়সংখ্যক সেনাসদস্য সংরক্ষিত হিসেবে মোতায়েন থাকবেন। বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয়সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান জননিরাপত্তা বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও বাহিনীগুলোর অনুরোধে উড্ডয়নে সহায়তা করবে।’ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়, ‘যে ছয়টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে, সেখানে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা দেয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা থাকবেন। তবে বাহিনীর পোশাকে থাকবেন কিন্তু কোনো ধরনের অস্ত্র-গোলাবারুদ বহন করবেন না। ইভিএম কেন্দ্রে যেসব সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য থাকবেন, তাদের নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর নিকটতম টহল দল ও স্থানীয় ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেও পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
|
|
|
|
কক্সবাজার শহরতলীর জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ দরিয়ানগর বানরের পাহাড়ে বানরসহ নানা জাতের দেশী পাখির দল ফিরতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে দুরন্ত স্বভাবের বাতাসী পাখির একটি মাঝারী আকারের দল ছাড়াও ঘুঘু, নাচুনি, মাছরাঙা, বুলবুলি, শিকরা, দোয়েল, মুনিয়া, হাঁড়িচাচাসহ আরো কয়েক প্রজাতির পাখি এই পাহাড়ে প্রজননে মেতেছে। প্রতিবছর বর্ষা শেষে শরৎকালে বেশ কয়েক প্রজাতির দেশী পাখি বাচ্চা ফুটাতে এই পাহাড়ের ঢালে গর্ত খুঁড়ে বাসা তৈরি করে।
স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা জানান, আবহাওয়া ও পরিবেশের অনুকূলাবস্থায় প্রতিবছর বর্ষা শেষে ‘দরিয়ানগর বানরের পাহাড়ে’ ফিরে বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বেশ কয়েক দেশী পাখি। এরমধ্যে রয়েছে আইইউসিএন (ইন্টান্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজার্ভ ন্যাচার) এর জরীপে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় থাকা ডোরাকাটা মাছরাঙাও। তবে চলতি মৌসুমে এখনও ডোরাকাটা মাছরাঙার দেখা না মিললেও বাতাসী, ঘুঘু, নাচুনি, নীল রঙা মাছরাঙা, বুলবুলি, শিকরা, দোয়েল, মুনিয়া, হাঁড়িচাচাসহ আরো কয়েক প্রজাতির নতুন পাখি এই পাহাড়ে প্রজননে মেতেছে। এসব পাখি হেমন্ত মাসের শুরুতে ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটাতে শুরু করবে এবং বাচ্চা বড় করে শীতের শেষে অন্যত্র চলে যাবে। এরপর শীতের শেষে বসন্তকালে আসবে সুঁইচোরা, কাঠ শালিক. শালিকসহ কয়েকটি রঙিন পাখি।
কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগরে জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ‘দরিয়ানগর বানরের পাহাড়’কে ঘিরে প্রায় ৩০ একর আয়তনের একটি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গড়ে তুলছে সরকার। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় পাখি পর্যবেক্ষক ও পরিবেশবাদীদের দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার সম্প্রতি শিক্ষা, গবেষণা, পর্যটন ও জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবেলায় জীববৈচিত্র্য সমৃদ্ধ পাহাড়টি রক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে। এটি দেশে নতুন অনুমোদন পাওয়া ৮টি অভয়ারণ্যের একটি বলে জানান কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বন সংরক্ষক মো. আলী কবীর।
তিনি জানান, অভয়ারণ্যের জন্য প্রস্তাবিত জমিটি ১ নং খাস খতিয়ানভূক্ত হলেও বনবিভাগকে জমিটির ইজারা পাওয়ার জন্য একটি প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। এরই পাশাপাশি প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের জন্য জেলা উন্নয়ন কমিটির তালিকায়ও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামীকয়েক মাসের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড় থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দক্ষিণে মেরিন ড্রাইভ ও সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন দরিয়ানগর ‘বানরের পাহাড়’কে ঘিরে বিপন্ন ও বিরল ঘিরে পশু-পাখির মেলা বসে। জীববৈচিত্র সমৃদ্ধ এই পাহাড়ে রয়েছে ঘন বাঁশবন ও সেগুন বাগান ছাড়াও নানা প্রজাতির বৃক্ষ ও গুল্মের সমাহার। পাহাড়ে খাঁজে খাঁজে বাস করে নানা প্রজাতির পাখি। বিভিন্ন গাছেও বাসা বেঁধে থাকে পাখির দল। এরই মাঝে এখানে বাস করে বন্য বানরের কয়েকটি দলও। এছাড়া রাতের বেলায় বিচরণ করে বড় আকারের কয়েকটি প্যাঁচা ও শিয়ালের দল। তাছাড়া গুঁইসাপ ও অজগরসহ কয়েক প্রজাতির সরীসৃপও দেখা যায় পাহাড়টিতে। হাজার হাজার পশু-পাখি প্রজননকাল উপলক্ষে এখানে বাচ্চা ফোটায়।
|
|
|
|
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের হত্যা করে গণকবর দেয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তদন্ত শুরু করলেও থামেনি রোহিঙ্গা নির্যাতন। ফলে এখনো রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে আসছেন। বুচিডংয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের আটক করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় এবং রোহিঙ্গাদের শ্রম আদায় অব্যাহত রয়েছে। রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধনের অভিযোগে জাতিসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যখন মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনো বিশ্ববাসীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এ দিকে রাখাইন থেকে অবশিষ্ট রোহিঙ্গারা যাতে এপারে চলে আসতে না পারে সে ব্যাপারে বিজিবি তৎপর রয়েছে। রাখাইনে প্রতিদিন কোনো না কোনো গ্রামে রোহিঙ্গাদের বাড়িঘর পুড়ছে। গত এক সপ্তাহে বুচিডংয়ের একটি গ্রামে অগ্নিসংযোগ করেছে মিয়ানমারের সেনারা। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে উগ্রবাদী মগেরা।
রোহিঙ্গা সূত্র জানায়, গত সোমবার মধ্যরাতে বুচিডংয়ের হাদং গ্রামে মিয়ানমারের সেনারা অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে চারটি ঘর, একটি ধানের মিল এবং একটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অপর দিকে মংডুর কাজীবিলের ডেলপাড়ার হাজী আবদুর রহমানের বাড়ি নির্মূল করেছে সেনারা। একই দিন একদল সেনা ডেলই পাড়ায় গিয়ে ওই বাড়ির লোকজনকে জোরপূর্বক ঘর থেকে বের করে দেয়। পরে ঘরটি গুঁড়িয়ে দেয়। অন্য দিকে বুচিডংয়ের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহাব মিয়ার ছেলে কামাল উদ্দিন নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় উগ্রবাদী মগের হামলার শিকার হন।
বুচিডংয়ে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের আটক করে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ আদায় এবং সরকারি কাজে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে বিনা পারিশ্রমিকে শ্রম আদায় করছে। রোহিঙ্গাদের সূত্র জানিয়েছে, রাস্তাঘাট ও গ্রাম থেকে সাধারণ রোহিঙ্গাদের ধরে নিয়ে সন্ত্রাসী সাব্যস্ত করে মুক্তিপণ দাবি করে সৈন্যরা। আটকদের স্বজনেরা দাবিকৃত টাকা দিতে সক্ষম হলে মুক্তি মিলে, অন্যথায় নির্যাতন করে মুক্তিপণ দিতে বাধ্য করে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার মিনগিছির বাসিন্দা আবদুল মজিদের ছেলে তোহা শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে তাকে আটক করে সেনারা। যদিও তিনি গ্রাম প্রশাসক থেকে বেড়াতে যাওয়ার অনুমতিপত্র নেন। পরে তংবাজারের সেনা কমান্ডার তিন লাখ কিয়াট আদায় করে তাকে মুক্তি দেয়। একই ঘটনা বুচিডংয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে। অন্য দিকে মিনগিছি ও আশপাশের গ্রামের রোহিঙ্গাদেরকে সেনাবাহিনীর কৃষি ফার্মে জোরপূর্বক কাজ করতে বাধ্য করছে। শ্রমের কোনো মজুরি দেয় না সেনারা। উপরন্তু শ্রম না দিলে কিংবা অসুস্থ হলেও মারধর করা হয়। রাতের বেলা গ্রামে গ্রামে রোহিঙ্গাদেরকে নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করতেও বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ দিকে টেকনাফের ২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্র জানায়, রোহিঙ্গারা নাফ নদের শূন্য রেখা অতিক্রম করে বাংলাদশে ঢুকার চেষ্টা করছে। এ জন্য বিজিবি জাওয়ানরা সীমান্তে সতর্কাবস্থায় রয়েছে বলে জানান ।
মিয়ানমারের সেনাদের গুলিতে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের ১ লাখ ১৫ হাজার ২৬টি ঘর-বাড়ি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে মিয়ানমারের সেনারা। বর্বরতার আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন, মাথা গোঁজার নিরাপদ আশ্রয়স্থল। পাশাপাশি ১ লাখ ১৩ হাজার ২৮২টি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছে, বাড়িতে লুটপাট করেছে।
মিয়ানমারের সেনারা ১৭ হাজার ৭১৮ জন রোহিঙ্গা নারীকে ধর্ষণ করেছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৪১ হাজার ১৯২ জন মানুষ সেনাদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন। ৩৪ হাজার ৪৩৬ জনকে আগুনে পোড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৭২ জন রোহিঙ্গা সেনাদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার এসব মজলুমদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
‘ফোর্সড মাইগ্রেশন অন রোহিঙ্গা: দ্য আনটোল্ড এক্সপেরিয়েন্স’ অর্থাৎ ‘জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা: অব্যক্ত অভিজ্ঞতা’- শীর্ষক গবেষণায় এমন ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে কানাডার অন্টারিওতে নিবন্ধিত বেসরকারি সাহায্য সংস্থা ওন্টারিও ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (ওআইডিএ)। যুক্তরাজ্যের কুইন্স কলেজে টেকসই উন্নয়ন ইস্যুতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ আগস্ট অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট: বহুমাত্রিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক বিশেষ অধিবেশনে কানাডার অন্টারিও ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির সহায়তা গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
|
|
|
|
চট্টগ্রাম শহরকে আধুনিক ও টেকসই নগরী বিনির্মাণের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন। গতকাল সোমবার বিকেলে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সাস্টেইনেবল এন্ড রিনিউএ্যাবল এনার্জি ডেভেলাপমেন্ট অথরিটি (স্রেডা) এবং ইউএনডিপি’র যৌথ আয়োজনে ‘সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট–প্রমোট লীভ্যাবল সিটি’ শীর্ষক সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নগরীর আগ্রাবাদ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এই সভায় দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম ও স্রেডার চেয়ারম্যান মো. হেলাল উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
মেয়র আরো বলেন, বিশ্বমানের নগরী গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। চট্টগ্রাম শহরের উন্নয়নে বর্তমান বাস্তবতা উপলব্ধি করে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি আইনের বাধাকে বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেন। বর্তমান আইন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ব্যতীত কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, একটি নগরের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি খাতকে অর্থায়নে বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। ব্যক্তি খাত ও সরকারি খাত মিলেই পিপিপি নির্ভর অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। এত সব উদ্যোগের সমন্বয় নিশ্চিত করা গেলে চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক ও টেকসই নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। তাই চট্টগ্রাম নগর উন্নয়নে গৃহিত প্রকল্প সমূহ যথাযথ বাস্তবায়নে তিনি সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। চসিকের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, দৈনিক ১৭শ থেকে ১৮শ টন গৃহস্থলি বর্জ্য সিটি কর্পোরেশন ডাম্পিং করে থাকে। এ বর্জ্য বহুমুখি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ, সার ও জ্বালানি উৎপাদন করা সম্ভব। তাছাড়া নগরবাসী দৈনিক ৫শ থেকে ৬শ টন বর্জ্য নালা–নর্দমা ও খালে নিক্ষেপ করে থাকে। এক্ষেত্রে নাগরিক সচেতনতা,দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন মেয়র।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বন্দরনগরী চট্টগ্রাম দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে এর টেকসই উন্নয়নে স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন–টেকসই জ্বালানি এসডিজির অংশ এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শিল্প কারখানায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হবে।
চেম্বার সভাপতি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশীপ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি টেকসই প্রাইভেট সেক্টর প্রয়োজন বলে মনে করেন। তিনি নগরবাসীর সচেতনতা বৃদ্ধিসহ চট্টগ্রামের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে সিটি মেয়রের নেতৃত্বে কো–অর্ডিনেশন সেল গঠন করার প্রস্তাব দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্রেডার চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী ভালো ফলাফল আসে বলে মন্তব্য করে ভবিষ্যতে এনার্জি এফিসিয়েন্ট মেশিনারিজ ও প্রযুক্তি ব্যবহারে শিল্প মালিকদের উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি নেট মিটারিংকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করতে শিল্প কারখানার মালিকদের আহ্বান জানিয়ে স্রেডার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা আশ্বাস প্রদান করেন এবং স্রেডা শীঘ্রই গ্রীন বিল্ডিং রেটিং সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে বলে সভায় জানান।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ ইঞ্জি. মো. শাহীনুর ইসলাম খান, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ–পরিচালক জমির উদ্দিন, লুব–রেফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইউসুফ ও পরিচালক সালাউদ্দিন ইউসুফ, বিএসআরএম’র লীড সিএসআর রুহী মুর্শিদ আহমেদ ও ইউএনডিপির প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট আরিফ এম ফয়সল বক্তব্য রাখেন। নেট মিটারিং এবং এলসিইউডি’র উপর তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন স্রেডার সদস্য(অতিরিক্ত সচিব) সিদ্দিক জোবায়ের ও ইউএনডিপি’র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট আরিফ এম ফয়সাল। এছাড়া সেমিনারে সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
|
|
|
|
ঈদে মহাসড়কে দুর্ভোগের আশংকায় ট্রেনের টিকেটের চাহিদা বেড়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম–ঢাকা এবং চট্টগ্রাম–সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলের রুটের টিকেটের চাহিদা বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। গতকাল চট্টগ্রামের রেল স্টেশনে অগ্রিম টিকেটের জন্য ছিল উপচে পড়া ভিড়। কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারাও বলছেন, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলের লাইনে এবার টিকেট প্রত্যাশীদের ভিড় বেশি। এর আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ট্রেনের অগ্রিম টিকেটের কাউন্টারের সামনে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেলেও চট্টগ্রাম এবং সিলেটগামী বিভিন্ন ট্রেনের কাউন্টারের সামনে ভিড় ছিল কম। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম। টিকেট প্রত্যাশীরাও বলছেন, বেহাল সড়কের কারণে এবার ঈদে ট্রেনের ওপর চাপ বেড়েছে। অগ্রিম টিকেট বিক্রির (১৪ জুনের টিকেট) পঞ্চমদিনে গতকাল চট্টগ্রাম রেল স্টেশন ভোর হতেই লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। আগের দিন রাত থেকে স্টেশনে অবস্থান করে অনেকেই টিকেট পেয়েছেন, আবার অনেকেই পাননি। রেলওয়ের চট্টগ্রামের স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, আজ (গতকাল মঙ্গলবার) সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল । আগের দিন রাত থেকে স্টেশনে লোকজন এসে ভিড় করে। সারারাত অপেক্ষা করে সকালে টিকেট নিয়ে ফিরেছেন অনেকেই। যতক্ষণ টিকেট ছিল ততক্ষণ দেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যাওয়ার সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কেনার জন্য গতকাল সকালে চট্টগ্রাম স্টেশনে এসেছেন চাকরিজীবী সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গতবারও আমি বাসে করে গিয়েছিলাম। এবার ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবস্থা ভালোনা। ভীষণ জ্যাম হতে পারে। তাই ট্রেনে যাওয়ার জন্য টিকেট নিতে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। তিনটি টিকেট নিয়েছি। টিকেট পেয়ে তিনি ভীষণ খুশি। ইকবাল হোসেন নামে আরেক যাত্রী ভোর ৪টায় এসেছেন সোনারবাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেট কেনার জন্য । তিনি বলেন, গতবারও বাসে গিয়েছিলেন। এবার ট্রেনে যাবেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আগে বেশিরভাগ সময় বাসেই যাইতাম। কিন্তু এইবার পরিস্থিতি ভালো না। তিনটা জায়গায় ব্রিজের কাজ হইতেছে। আর ফেনীর ফতেপুর রেলওভারপাসের কাছেও তো জ্যাম লেগেই আছে সবসময়। ঈদের আগেই শুরু হইছে জ্যাম। এজন্য এইবার ট্রেনে বাড়ি যাব।’
১৬ জুন ঈদের সম্ভাব্য দিন। বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস শেষে বাড়ির পথ ধরবেন অনেকে। এজন্য ঈদের দুদিন আগে ট্রেনে সবচেয়ে বেশি ভিড় হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্মকর্তারা। স্টেশন ম্যানেজার মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, ৫ জুন (গতকাল) ১২টি ট্রেনের ৯ হাজার ৫২২টি টিকিট বিক্রির জন্য ছাড়া হয়েছে। এর মধ্যে কাউন্টারে বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ৬৩৬টি। স্পেশাল ট্রেন দুইটিতে টিকিট আছে ৮৯০টি। ১০টি নিয়মিত ট্রেনে ১৬টি এক্সট্রা বগি যুক্ত করেই টিকেট ছাড়া হয়েছে। তিনি জানান, শুক্র, শনি, রবি ও সোমবার যথাক্রমে ৬৫, ৭৫, ৮০ ও ৮৫ শতাংশ ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে।
|
|
|
|
হাটহাজারীতে সিএনজি ও ট্রাকের সংঘর্ষে ছেলে নিহত ও বাবা আহত হয়েছেন। নিহতের নাম মো. জিকু (১৫)। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বাবা মো. হাশেম (৪৫)।
শনিবার সকাল সাতটার দিকে হাটহাজারী থানার বাসস্ট্যান্ড এলাকার কলাবাগানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত জিকুর বাড়ি রাঙামাটি জেলার সেহেরি বাজারে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক পংকজ বড়ুয়া জানান, আজ সকাল সাতটার দিকে সিএনজি ও ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজিতে থাকা বাবা-ছেলে গুরুতর আহত হয়।
এ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবার অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
|
|
|
|
রেলের ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ (মার্কসবাদী)। শুক্রবার নগরীর নিউ মার্কেট চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বাসদের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বক্তব্যে নেতারা বলেন, লোকসান কমানো ও যাত্রীসেবার বাড়ানোর নামে ২০১২ সালে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া বাড়ানো হলেও লোকসানও কমেনি, যাত্রীসেবাও বাড়েনি। ভাড়া বাড়ানোর পর ২০১২ সালে ৮০০ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছিল রেল। বর্তমানে সে লোকসান দাঁড়িয়েছে ৯০০ কোটি টাকায়।
বিভিন্ন সংস্থার কাছে রেলের পাওনা আদায় ও হাজার হাজার একর ভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করলে রেলকে লাভজনক করা সম্ভব বলে সমাবেশে মত প্রকাশ করেন বাসদ নেতারা।
অবিলম্বে বাড়তি ভাড়া বাতিল, চট্টগ্রামে সার্কুলার ট্রেন চালু ও মন্ত্রী-এমপিদের ‘লুটপাট’ বন্ধ করার দাবি জানানো হয় সমাবেশে । পরে একটি মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
|
|
|
|
|
|
|
|
সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আবদুল মালেক, যুগ্ন সম্পাদক: নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া । সম্পাদক র্কতৃক ২৪৪ ( প্রথম তলা ) ৪ নং জাতীয় স্টেডিয়াম, কমলাপুর, ঢাকা -১২১৪ থেকে প্রকাশিত এবং স্যানমিক প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস, ৫২/২ টয়েনবি র্সাকুলার রোড, ঢাকা -১০০০ থেকে মুদ্রিত । ফোন:- ০২-৭২৭৩৪৯৩, মোবাইল: ০১৭৪১-৭৪৯৮২৪, E-mail: info@dailynoboalo.com, noboalo24@gmail.com
Design Developed By :
Dynamic Solution IT
Dynamic Scale BD
BD My Shop
|
|
|