আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বুয়েট শিক্ষার্থী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা দ্রুত বিচার আইনে ১৩৫ দিনে শেষ করা হবে। ১৮ নভেম্বর (সোমবার) থেকে শুরু করা হবে প্রসিকিউশনের কাজ।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আবেদন আসলেই দ্রুত বিচার আইনের কার্যক্রম শুরু হবে। সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দ্রুত আবেদন পাঠাতে বলা হবে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে বুয়েট শিক্ষার্থী ফাহাদ আবরার হত্যার চার্জশিট দাখিলের পর গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, দ্রুত বিচার আইন, ২০০০ এ বিচার করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করব। সেটা যখন আইন মন্ত্রণালয়ে আসবে তখন আমরা দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে এ মামলার বিচার করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।
শিগগিরই আবরার হত্যা মামলার বিচার শেষ হবে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এবং জনগণের চাহিদা অনুযায়ী এই হত্যাকাণ্ডের বিচার যথা শিগগিরই করা হবে।
এর আগে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই ২৫ জনের মধ্যে ১১ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। বাকি ১৪ জনের বিরুদ্ধে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
বুধবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং করে এ কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
চার্জশিটে যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অমিত সাহা, মাজেদুল ইসলাম, মুজাহিদুর রহমান, তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. জিসান, আকাশ হোসেন, শামীম বিল্লাহ, এএসএম নাজমুস সাদাত, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মো. মোর্শেদ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না মোশতুবা রাফি এবং এসএম মাহমুদ সেতু।
প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে ৫ অক্টোবর বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ।
এর জের ধরে ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে শিবিরকর্মী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।
তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।