|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি সরকারের সম্পত্তি : হাইকোর্ট   * ঈদ উপলক্ষে ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু   * চলমান প্রকল্প দ্রুত শেষ করে নতুন প্রকল্প নেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী   * পূর্ব-পশ্চিম সবার সাথে সম্পর্ককে আরো গভীর করে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী   * চলতি বছরের মধ্যেই ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হবে : সেতুমন্ত্রী   * ৫ম মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা   * সিইসির জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ আজ সন্ধ্যায়   * বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করা হবে : শেখ হাসিনা   * ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের প্রত্যয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা   * গাজা যুদ্ধ বন্ধের প্রস্তাব অনুমোদনে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের অপেক্ষায় বিশ্ব  

   ফিচার -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
সরিষা ফুলের খোঁজে...

কে এ তানিস :

যতদূর চোখ যায় কেবল হলুদ আর হলুদ। যেন সবুজ মাঠজুড়ে আগুন লেগেছে। বিকেলের ‘কন্যাসুন্দর’ আলোয় হলুদ ফুলগুলোর রূপ যেন আরেকটু খোলে। মিষ্টি বাতাসে দুলে দুলে ওঠে ফুলের ডগা। 

সরিষা ফুলের রাজ্যে

রং ও প্রাণের স্পন্দন নিয়ে আসে সরিষা ফুল। দিগন্ত বিস্তৃত হলুদ সরিষা ফুলে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। নাগরিক জীবনে হাঁপিয়ে উঠলে একটু সময় করে হলুদের রাজ্য থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সরিষা ফুলের হলদে সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। ঢাকার আশেপাশেই পেয়ে যাবেন চমৎকার সব সরিষা ক্ষেত।

ক্ষেতের আইল ধরে হাঁটুন যেন ফুল নষ্ট না হয়

 

কেরানীগঞ্জ হয়ে দোহার নবাবগঞ্জের দিকেও ঢুঁ মারতে পারেন। নরসিংদী বা আমিনবাজার পার হয়ে মানিকগঞ্জেও এখন সরিষা ফুলের মুগ্ধতা।

কেরানীগঞ্জ :

কেরানীগঞ্জের গ্রামগুলোতে পাবেন সরিষা ক্ষেত। তবে এখানে মাইলের পর মাইল সরিষা চাষ হয় না।  কেরানীগঞ্জের অবস্থান ঢাকার ভেতরেই। প্রথমে যেতে হবে মোহাম্মদপুর। এখান থেকে বসিলার বাসে উঠে নামবেন আঁটিবাজারে। এখানে অটো পাবেন। তাদেরকে সরিষা ক্ষেতে যেতে চান বললেই নিয়ে যাবে। তবে অবশ্যই স্থানীয় কারও অটোতে উঠবেন। এখানে বাংলানগর, রোহিতপুরে ইত্যাদি গ্রামে আছে সরিষা ক্ষেত।

নরসিংদী:

দিগন্তজোড়া সর্ষে ক্ষেতের জন্য ইতোমধ্যেই নরসিংদীর চান্দেরপাড়া ভ্রমণকারীদের নজর কেড়েছে। ঢাকা থেকে গেলে সময় লাগবে ২ ঘণ্টার মতো। যাওয?ার পথটাও সহজ। গুলিস্তান বা মহাখালী থেকে নরসিংদীর বাসে উঠুন। নরসিংদী নেমে রিকশা নেবেন সাটিরপাড়াা, রজনীগন্ধার মোড় পর্যন্ত। এখান থেকে ইজি বাইকে চান্দের পাড়াা। যেতে যেতেই দূর থেকে চোখে পড়বে হলুদ রং এর ক্ষেতগুলো। এত ফুল যে আপনি ডুবে যাবেন নিশ্চিত। আর সর্ষে ডুব শেষে ঘুরে আসতে পারেন মেঘনা নদীতে নৌকায?।

ধামরাই:

সরিষা ফুলের সোনালী একটি বিকেল পেতে চলে যান ধামরাই। গুলিস্তান, মহাখালী, গাবতলি যে কোনো জায়গা থেকে উঠুন সাভার ধামরাই এর বাসে। ধামরাই থেকে লেগুনায় ইসলামপুর। এখানেই দেখা মিলবে সরিষা ফুলের।

সরিষা ফুলের খোঁজে...
                                  

কে এ তানিস :

যতদূর চোখ যায় কেবল হলুদ আর হলুদ। যেন সবুজ মাঠজুড়ে আগুন লেগেছে। বিকেলের ‘কন্যাসুন্দর’ আলোয় হলুদ ফুলগুলোর রূপ যেন আরেকটু খোলে। মিষ্টি বাতাসে দুলে দুলে ওঠে ফুলের ডগা। 

সরিষা ফুলের রাজ্যে

রং ও প্রাণের স্পন্দন নিয়ে আসে সরিষা ফুল। দিগন্ত বিস্তৃত হলুদ সরিষা ফুলে সেজে উঠেছে প্রকৃতি। নাগরিক জীবনে হাঁপিয়ে উঠলে একটু সময় করে হলুদের রাজ্য থেকে ঘুরে আসতে পারেন। সরিষা ফুলের হলদে সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবেই। ঢাকার আশেপাশেই পেয়ে যাবেন চমৎকার সব সরিষা ক্ষেত।

ক্ষেতের আইল ধরে হাঁটুন যেন ফুল নষ্ট না হয়

 

কেরানীগঞ্জ হয়ে দোহার নবাবগঞ্জের দিকেও ঢুঁ মারতে পারেন। নরসিংদী বা আমিনবাজার পার হয়ে মানিকগঞ্জেও এখন সরিষা ফুলের মুগ্ধতা।

কেরানীগঞ্জ :

কেরানীগঞ্জের গ্রামগুলোতে পাবেন সরিষা ক্ষেত। তবে এখানে মাইলের পর মাইল সরিষা চাষ হয় না।  কেরানীগঞ্জের অবস্থান ঢাকার ভেতরেই। প্রথমে যেতে হবে মোহাম্মদপুর। এখান থেকে বসিলার বাসে উঠে নামবেন আঁটিবাজারে। এখানে অটো পাবেন। তাদেরকে সরিষা ক্ষেতে যেতে চান বললেই নিয়ে যাবে। তবে অবশ্যই স্থানীয় কারও অটোতে উঠবেন। এখানে বাংলানগর, রোহিতপুরে ইত্যাদি গ্রামে আছে সরিষা ক্ষেত।

নরসিংদী:

দিগন্তজোড়া সর্ষে ক্ষেতের জন্য ইতোমধ্যেই নরসিংদীর চান্দেরপাড়া ভ্রমণকারীদের নজর কেড়েছে। ঢাকা থেকে গেলে সময় লাগবে ২ ঘণ্টার মতো। যাওয?ার পথটাও সহজ। গুলিস্তান বা মহাখালী থেকে নরসিংদীর বাসে উঠুন। নরসিংদী নেমে রিকশা নেবেন সাটিরপাড়াা, রজনীগন্ধার মোড় পর্যন্ত। এখান থেকে ইজি বাইকে চান্দের পাড়াা। যেতে যেতেই দূর থেকে চোখে পড়বে হলুদ রং এর ক্ষেতগুলো। এত ফুল যে আপনি ডুবে যাবেন নিশ্চিত। আর সর্ষে ডুব শেষে ঘুরে আসতে পারেন মেঘনা নদীতে নৌকায?।

ধামরাই:

সরিষা ফুলের সোনালী একটি বিকেল পেতে চলে যান ধামরাই। গুলিস্তান, মহাখালী, গাবতলি যে কোনো জায়গা থেকে উঠুন সাভার ধামরাই এর বাসে। ধামরাই থেকে লেগুনায় ইসলামপুর। এখানেই দেখা মিলবে সরিষা ফুলের।

নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও
                                  

মুন্সীগঞ্জ  প্রতিনিধি :

আমাদের প্রান প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ একটি নদী মাতৃক দেশ। এ দেশর আনাচে কানাচে জালের মত ছড়িয়ে আছে অসংখ্য নদী-নালা হাওর-বাওর খাল-বিল। যে কারনে এদেশ একটি অত্যন্ত সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা দেশ হিসেবে সারা বিশ্বে অত্যন্ত সূপরিচিত। এ দেশের মাঠে মাঠে ফলে সোনালী ধান। তাই এ দেশের নাম সোনার বাংলা। নদী বাহিত পলি দিয়ে গঠিত এ দেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর। এককালে এ দেশের পরিচিতি ছিলো গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু আর পুকুর ভরা মাছ। কিন্তু বর্তমান যান্ত্রিক যুগে এসে ধান থাকলেও কৃষকের গোয়ালে গরু আর পুকুরে মাছ নেই। আগে নদীর সাথে খাল এবং খালের সাথে পুকুরের সংযোগ ছিল। তাই নদী থেকে মাছ খাল বেয়ে পুকুরে আসত। কিন্তু আজ আমাদের কারনেই মুক্ত জলাশয়ে গুলি মাছ শূণ্য। মুন্সীগঞ্জ বাসীর প্রাণ ধলেশ্বরী নদীরও আজ করুন দশা। কল-কারখানার বিষাক্ত কেমিক্যাল আর মানব বর্জে দূষিত বুড়িগঙ্গা আর শীতলক্ষার পানিতে ধলেশ্বরীও দূষিত।

ধলেশ্বরী নদীকে বাঁচাতে করনীয়
ধলেশ্বরী নদীকে দূষনের হাত থেকে বাঁচাতে হলে শুধু ধলেশ্বরীর তীরবর্তি ও আশপাশ এলাকায় শুদ্ধি অভিজান চালালেই তা সম্ভব হবে না।
যদিনা
ধলেশ্বরীর উজানের নদীগুলি বিশেষ করে বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষা নদীকে দূষনমুক্ত করা না যায়।
এজন্য করনীয়
বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষা ও ধলেশ্বরী নদীর আশপাশের কলকারখানার মালিক পক্ষের প্রতি কঠোর অবস্থান গ্রহন করতে হবে এবং এজন্য ঐসব কলকারখানার মালিক পক্ষের কাছ থেকে সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠনগুলিকে ঐসব প্রতিষ্ঠান থেকে সব ধরনের সুবিধা গ্রহন থেকে বিরত থাকতে হবে। কারন, অপ্রিয় সত্য হলো যে, আমি যদি কারো কাছ থেকে কোনো প্রকার সুবিধা গ্রহন করি তাহলে সে যদি কোনো প্রকার অপরাধ করে তবে তার বিরুদ্ধে কোনো কথা বলতে বা প্রতিবাদ করতে পারবনা।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও মিরকাদিম পৌরসভার মানব বর্জ পরিশোধন করে তা নদীতে ফেলার ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
পলিথিন, প্লাস্টিক ও রবার জাতীয় বর্জ্য পদার্থ পুড়িয়ে অথবা অন্যাভাবে ধ্বংস করে ফেলতে হবে।
আমাদেরকে পলিথিন ব্যবহারে আরো সচেতন হতে হবে। অপ্রিয় সত্য হলো যে, আমরা এখন বাজারের ব্যাগ বা থলে ব্যবহারে পুরাপুরি অনভ্যস্থ হয়ে পড়েছি। সুতরাং, আমাদের এ অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে।
কাউকে উপদেশ দেওয়ার আগে নিজে তা পালন করতে হবে।
পরিবেশ সংরক্ষন অধিদপ্তরকে আরো সচেতন হতে হবে।

মন জুড়িয়ে যায় মনতলায়
                                  

ইমরুল হাসান বাবু, টাঙ্গাইল :

দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতে না হতেই মোটরসাইকেল, সিএনজি, অটো রিক্সা বা প্রাইভেট কারে করে ভ্রমণ পিপাসুরা ভীড় জমাতে থাকে মনতলায়। শুধু তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীরাই নয়, পরিবার পরিজন নিয়ে শত শত মানুষ এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাস্তার দুই পাশেই থৈ থৈ পানি। মৃদু বাতাসে ছোট ছোট ঢেউ আছরে পড়ছে রাস্তার পাশে। কেউ কেউ নৌকায় করে পানিতে ভাসছে। তাদের হাসির শব্দ ঢেউয়ের সাথে পাড়ে এসে পড়ছে। কেউ কেউ রাস্তার সাথে স্লুইস গেইটের পাশে জুয়েল মিয়ার দোকানের সামনে রাখা চেয়ারে বসে, কেউবা দাঁড়িয়ে ফুচকা, চটপটি খাচ্ছে আর প্রকৃতির অপরূপ শোভা উপভোগ করছে। এমনই দৃশ্য দেখা যায় মনতলায়।

মনতলায় গিয়ে জানা যায়, প্রায় বছর খানেক আগে ভাটচান্দা গ্রামের মো. জুলহাস মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (৩০) এই মনতলা মোড়ে ফুচকা ও চটপটি বিক্রয় শুরু করে। তখন এখানে ভ্রাম্যমান মোটরসাইকেল আরোহীরা মাঝে মাঝে থেমে ফুচকা-চটপটি খেত। কোনদিন একশ টাকা, কোনদিন দুইশ আবার কোনদিন বিক্রিও হতো না। মাঝে মাঝে কিছু উঠতি বয়সের শহুরে ধনীর দুলাল মোটর সাইকেল নিয়ে এখানে এসে বিকালে আড্ডা দিত। এছাড়া এলাকার কিছু লোক এখানে প্রায় প্রতিদিন বিকালেই তাদের বন্ধু বান্ধব এখানে বসত। এই এরপর থেকে এই মনতলা জনপ্রিয় হতে থাকে। এই মনতলা জনপ্রিয় হওয়ার আরো বড় কারণ হলো শহরের কোলাহল মুক্ত প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ এবং শহরের অতি নিকটে। এরপর চলে আসে বর্ষার পানি। তখন রাস্তার দুইপাশের নিচু জমি পানিতে ভরে গেছে। আর প্রকৃতির সেই অপরূপ সৌন্দর্যে কিছুটা সময় কাটাতেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় করছে প্রকৃতি প্রেমীরা।

কিভাবে যাবেন মনতলা? টাঙ্গাইল ডিস্টিক্ট গেইট থেকে অটো, সিএনজি, মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট কারে করে যেতে পারবেন। অটো এবং সিএনজিতে জনপ্রতি ১৫ টাকা। মটর সাইকেল নিয়ে গেলে শহর থেকে গালা রোডে বিল মাগুরাটা ভাটচান্দা চার রাস্তার মোড়ে অবস্থিত এ মনতলা।

এখানে কি কি আছে? অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নৌকায় করে ভ্রমণের সুযোগ, বটগাছ। এছাড়া আপনি ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে সেই জুয়েল মিয়ার কাছে পাবেন বিভিন্ন ফলের জুস, কফি, সুস্বাধু ফুচকা ও চটপটি। এছাড়াও অন্যান্য দোকানে বিস্কুট, চানাচুর, চা, চিপস ইত্যাদি।

স্থানীয় আলামিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, এখানে সারাদিনে ১ থেকে ২ শ মোটরসাইকেলে করে লোকজন ঘুরতে আসেন, এদের অধিকাংশই উঠতি বয়সের। কেউ আবার অটো বা সিএনজি নিয়ে আসে। প্রকৃতি প্রেমী ভ্রমণ পিপাসুদের নিরাপত্তার জন্য বিকাল ৪ থেকে রাত ৮ পর্যন্ত এই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করলে খুবই ভাল হয়।

শহরের প্যারাডাইস পাড়ার এক দম্পতির সাথে কথা বললে তারা বলেন, সাংবাদিক ভাই টাঙ্গাইলে অনেকগুলো পার্ক রয়েছে, সেগুলোতে পরিবার নিয়ে যাওয়া যায়না। এখানে খোলামেলা পরিবেশ। চারিদিকে পানি আর পানি। নৌকায় ঘুরার ব্যবস্থা আছে। আর এখানকার চটপটির স্বাদ অনেকদিন মুখে লেগে থাকবে। সত্যি মনতলায় এসে মন জুড়িয়ে গেছে।

মনতলায় প্রকৃতি প্রেমীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সদর ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোশারফ হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মানুষের নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের কাজ। টাঙ্গাইলে যেহেতু টুরিস্ট পুলিশ নাই, তাই প্রকৃতি প্রেমী ভ্রমণ পিপাসুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদেরই পালন করতে হয়। আর মনতলায় প্রকৃতি প্রেমীদের সংখ্যা বেড়েছে। এই বিষয়টি আমার নজরেও এসেছে। আমি এসপি স্যারের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেব, যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।

সাপাহারে ঐতিহ্যবাহী জবাই বিল অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত
                                  

সাপাহার(নওগাঁ)প্রতিনিধি :

নওগাঁর সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবাই বিল এখন অতিথি পাখির কিচির মিচির ডাক হাঁক আর কলতানে মুখরিত হয়ে উঠেছে। আবহমান বাংলার চির চেনা দৃশ্য মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়ে চলা সুদর্শনীয় বিহঙ্গের দল,হঠাৎ করেই খাদ্যের সন্ধ্যানে ঝাঁক ধরে নিচের বিলের পানিতে অবাধ বিচরণ দৃশ্য নিজ চোখে দেখতে কার না ভাল লাগে। চলতি মৌসুমে এমনই হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে ঐতিহ্যবাহী জবাই বিল ও পাশের পুর্ণভবা নদীতে। নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী সাপাহার উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৮ কি:মি অদূরে শিরন্টি,গোয়ালা ও আইহাই,পাতাড়ী এই ৪ ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত জবাই বিল এখন হাজার হাজার অতিথি পাখির নিরাপদ বিচরণ ভুমিতে পরিনত হয়েছে।
চলতি বছরে এই ঐতিহ্যবাহী জবাই বিল ও পূর্নভবা নদীতে অতিথি পাখির আগমন অন্যান্য বছরের তুরনায় অনেক বেশী। এই বিল ও নদীতে অতিথি পাখির জন্য পর্যাপ্ত খাবার থাকায় প্রতি বছর শীতের সময় হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমন হয়। এখানে শামুকখোল, বক,কক, বালিহাঁস, চাহা,রাজহাঁস,পাতি সরালী সহ নানা প্রজাতির পাখির কিচিরমিচির কলতানে সব সময় মুখরিত থাকে এই বিলের সর্বত্র। এই বিলের ছোট ছোট মাছ আর শামুকই মূলত এসব পাখির প্রধান খাদ্য। স¤প্রতি এই বিলে অবাধে অতিথি পাখি শিকার শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় ও স্থানীয় বেশ কয়েকটি পত্র পত্রিকায় ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। ফলে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বিলের অতিথি পাখি শিকার প্রতিরোধে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। নির্বাহী অফিসারের সময় উপযোগী পদক্ষেপে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে অসাধু শিকারীগণ ভয়ে বিল এলাকায় তাদের কর্মকান্ড বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়। একই সাথে জবাই বিল জীব বৈচিত্র সংরক্ষন কমিটির সদস্যগণ ও জবাই বিল মৎস্য চাষ উন্নয়ন সমিতির দল নেতাদের অতিথি পাখি শিকার প্রতিরোধে প্রশংসনীয় ভুমিকা দেখা গেছে। জবাই বিল জীব বৈচিত্র সংরক্ষন কমিটির সভাপতি সোহানুর রহমান সবুজ জানান তাদের সংগঠনের সদস্য গণ সেচ্ছায় বিলের বিভিন্ন পয়েন্টে দিন রাত জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে পথ সভা ও প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তার মতে ইতোপুর্বে বিলে এত অতিথি পাখির আগমণ দেখা যায়নি। প্রতি দিন শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে সকাল- সন্ধ্যা বিভিন্ন এলাকা থেকে পাখি প্রেমি নারী পুরুষ দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে। বিলের এই অতিথি পাখির কলতান,মুক্ত আকাশে ডানা মেলে উড়ে চলা,আবার বিলের পানিতে নেমে আসা ও খাবার সন্ধানের অপরুপ দৃশ্য উপভোগ করতে করতে মনের অজান্তেই পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে অতিথি পাখির অবাধ বিচরণের মনোমুগ্ধকর, মোহময় দৃশ্য ধারনের লোভ সম্বরণ করতে পারছেন না দর্শনার্থীগণ। সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী এই বিলের অতিথি পাখি রক্ষা ও কতিথ শিকারীদের অবৈধ কর্মকান্ড কঠোর হ¯েত প্রতিহতের ব্যবস্থা করবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।

হবিগঞ্জ জেলার শিবপাশা গ্রামে গড়ে উঠেছে একটি নয়নাভিরাম ও অর্থকরী বহুমুখী খামার
                                  

সিরাজুল ইসলাম জীবন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামে গড়ে উঠেছে একটি নয়নাভিরাম ও অর্থকরী বহুমুখী খামার। ওই খামারের নাম ‘এমএজি এগ্রো ফার্ম লিমিটেড’।

শিবপাশা গ্রামের জনৈক খালেদ চৌধুরী অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেড়িয়ে গড়ে তোলেছেন এ খামার। ওই খামারে মৎস, হাস-মুরগী, গরু, সবজি ও ফলমূল চাষ করায় আসতে শুরু করেছে সফলতা।

শিবপাশা গ্রামের ৩০ একর জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে এ বহুমুখী খামার। ২০১৪ সালে শুরু করা হয়েছিল খামার প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম। মাত্র ৪ বছরে খালেদ চৌধুরীর মেধা ও পরিশ্রমের ফসল হিসেবে একটি আদর্শ খামারে পরিণত হয়েছে এমএ জি এগ্রো ফার্ম।

তার খামারে রয়েছে ১৪ টি পুকুর। ওই পুকুরগুলোতে চাষ করা হয় তেলাপিয়া, পাঙ্গাস, গ্রাসকার্প, মৃগেল, চিতলসহ নানা জাতের মাছ। পোনা মাছ সংরক্ষন ও বিক্রির জন্য তিনি গড়ে তোলেন কেটি হ্যাচারীও।

পুকুরের পাড় জুড়ে রয়েছে ৪০০ পেয়ারা গাছ। বড় বড় সুস্বাদু পেয়ারার ফলন খামারে নিয়ে এসেছে অভিনব মাত্রা। পেয়ারা ছাড়াও রয়েছে পেপে, আঙ্গুর, চালকুমড়া, ঝিংগা, কলাসহ নানা রকম সবজি ফলমূল। নানা জাতের হাস মুরগী এমনকি গরুও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পালন করা হয় এ খামারে।

খালেদ চৌধুরী তার খামারে ভবিষ্যতে আরো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে চান। আর সেজন্য তার সরকারী সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথাও জানান দৈনিক প্রভাতী খবরকে।
তিনি বলেন সরকারী সহযোগিতা পেলে তিনি তার এ প্রকল্পকে আরো আধুনিক ও লাভজনক হিসেবে গড়ে তোলতে পারবেন এবং অনেক বেকারত্ব যুবকদের কর্মসংস্থানও হবে। তাই সরকারের বিশেষ সহযোগিতা প্রয়োজন।

হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় এই এমএজি এগ্রো ফার্মের মতো আরো খামার গড়ে উঠার রয়েছে উজ্জল সম্ভাবনা। সরকারী সহায়তা ও উৎসাহ উদ্দীপনা পেলে খামার ও কৃষি ক্ষেত্রে ঘটতে পারে যুগান্তকারী বিপ্লব।

তরমুজের বীজ জীবনীশক্তি
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

তরমুজ খেয়ে বীজ ফেলে দিচ্ছেন কী? সেটি করবেন না। বীজটাই আসল। আমেরিকার ক্যান্সার সোসাইটির রিপোর্ট বলছে, খাবারকে এনার্জিতে পরিণত করে ভিটামিন ‘বি’। নিয়াসিনের মতো ভিটামিন ‘বি’ স্নায়ুতন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রকে রক্ষণাবেক্ষণ করে। তরমুজের বীজেই লুকিয়ে জীবনীশক্তি ভিটামিন ‘বি’!

গবেষকরা বলছেন, তরমুজের বীজে এমন এক রাসায়নিক থাকে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী। ডায়াবেটিসে চমকে দেওয়ার মতো ফল দিতে পারে তরমুজের এ বীজ। সারাদিনে যে পরিমাণ প্রোটিন প্রয়োজন, তার ৬০ শতাংশ পাওয়া যায় এক কাপ তরমুজের বীজে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানা ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। তরমুজের বীজে রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের রিপোর্ট বলছে, ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর বীজে রয়েছে প্রচুর আয়রন। চুলের শক্তি বাড়ায়। চুল পড়া কমায়। চুল পাতলা হয় না, শুকনো হয় না। একটি পাত্রে একমুঠো তরমুজের বীজ নিয়ে ৭৫০ মিলিগ্রাম জল দিয়ে অল্প আঁচে ৪৫ মিনিট ফুটিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ঠান্ডা হলে সেই জল খাওয়া যেতে পারে। এক কাপ শুকনো তরমুজের দানায় ৫১ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট বলছে, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফ্যাটি অ্যাসিডে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।

অমর একুশে বাঙ্গালী জাতির কষ্টার্জিত গর্বের দিন
                                  

মুহা.ফখরুদ্দীন ইমন :

বাংলা পৃথিবীর সুপ্রাচীন সমৃদ্ধ এক ভাষা। এ ভাষার রয়েছে অনেক মূল্যবান ঐতিহ্য ও নিদর্শন। ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসুদন দত্ত, মরমী সাধক লালন শাহ্, বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সুকান্ত ভট্যাচার্য্য, মহিয়সি নারী বেগম রোকেয়া, জীবনানন্দ দাস, পল্লী কবি জসিম উদ্দীন সহ অসংখ্য মনিষীর স্পর্শে সমৃদ্ধ বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভান্ডার। “হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন,তা সবে অবোধ আমি অবহেলা করি, পর ধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমণ পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি”। বঙ্গপোসাগরের তীর ঘেষে সবুজ বদ্বীপ অঞ্চল জুড়ে অপরূপ সৌন্দর্য্যরে এক দেশ বাংলাদেশ। আবহমান কাল থেকে এ মাটির মানুষ নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সর্বদা সোচ্চার। তারা বিদেশি শাসন-শোষনে নির্যাতিত হয়েছে বারবার। কিন্তু মাথা নত করেনি কোনদিন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর স্বাধীন পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হলেও বাঙ্গালী তার অধিকার থেকে বঞ্চিত থেকেই যায়। প্রথম আঘাতটি আসে ভাষার উপর। ভাষাবিদ ড. মো.শহিদুল্লাহ্ বললেন, বাংলাদেশের কোর্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার পরিবর্তে উর্দু বা হিন্দি ভাষা গ্রহণ করা হইলে ইহা রাজনৈতিক পরাধীনতারই নামান্তর হইবে। ত্রিপুরা তথা কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত তৎকালীন গণ পরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রস্তাব দিলেন, বাংলাকে গণ পরিষদের ভাষা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হোক। কিন্তু এক্ষেত্রে বাঙ্গালীর সব যৌক্তিক দাবী অগ্রাহ্য হয়। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ, সারাদেশে পালিত হলো প্রথম মাতৃভাষা দিবস। বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে পূর্ব বাংলার তৎকালীন মূখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিম উদ্দীন বাংলাকে অন্যতম রাষ।ট্র ভাষা হিসেবে মেনে নেবার অঙ্গিকার করলেন। কিন্তু ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ, পাকিস্তানের গভর্ণর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ ঢাকা রেইসকোর্স ময়দানে এবং তিন দিন পর ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের কার্জন হলে ঘোষনা দিলেন, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা। পাকিস্তানিরা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলো বাঙ্গালীকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেবে না। আরবী হরফে বাংলা প্রচলনের প্রচেষ্টা চালানো হয়। ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়ে খাজা নাজিম উদ্দীন সাহেব ঢাকায় এসে দম্ভের সাথে ঘোষনা দিলেন, একমাত্র উর্দুই হবে দেশের রাষ্ট্র ভাষা। ৩১ জানুয়ারী প্রতিবাদি ছাত্র নেতারা সর্বদলীয় রাষ্ট্র ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে দীর্ঘ কর্মসূচি ঘোষনা করেন। ২০ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। স্বৈরশাসকের আইন অমান্য করে ২১ ফেব্রুয়ারী ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় জড়ো হন। রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই দাবিতে তারা খন্ড খন্ড দলে মিছিল করে নিয়ে আসেন রাজ পথে। পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্য মন্ত্রী নুরুল আমিনের নির্দেশে ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালানো হয়। নিহত হন আব্দুল জব্বার, রফিক উদ্দীন আহমেদ, আব্দুস সালাম, শফিউর রহমান আবুল বরকত। এই আন্দোলনকে সমর্থন করে কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী টানা বার দিন অনশন করেন। অমর একুশের স্মৃতির স্বারক আমাদের শহীদ মিনার। এই মিনারের সাথে মিশে আছে বাঙ্গালীর অনেক রক্ত ও অশ্রুজল। মিশে আছে তারুন্যের গৌরব গাঁথা। শহীদ মিনার যেন এক অশ্রুসজল গরবিনি মায়ের প্রতীক। মা যেন তার সাহসী সন্তানদের গর্বে গর্বিত, শ্রদ্ধা অবনত। ১৯৫২ সালের একুশ ফেব্রুয়ারী নিহত ছাত্রদের স্মরণে নির্মিত দেশের প্রথম শহীদ মিনার তৎকালীন স্বৈরশাসকের নির্দেশে ২৩ ফেব্রুয়ারী ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। অমর একুশের চেতনা থেকেই বাঙ্গালী তার অধিকার সম্পর্কে আবার নতুন করে ভাবতে শুরু করে। কিছু তরুন প্রাণ এগিয়ে এসেছিলো উদ্দীপ্ত শ্লোগানে। রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই। কিছু উদ্ধত বুলেটের হুঙ্কারে সে শ্লোগান থামেনি। বুলেটের চেয়েও বেশী শক্তিশালী ছিলো সেই শ্লোগান। যে শ্লোগান সুনামীর মত ছড়িয়ে পড়লো দেশ ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে। ভাষার শ্লোগান থেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। বিশ্ব মানচিত্রে ঠাঁই হলো নতুন একটি পতাকার। আমাদের একুশ পেলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি। সাহিত্যে নোবেল, সিনেমায় অস্কার, আন্তর্জাতিক ফোরামে, অনলাইনে-অফলাইনে কিংবা আফ্রিকার সিয়েরা লিয়নে বাংলা এগিয়েছে অনেক। ভিন্ন্ সময়ে ভিন্ন শ্লোগানে বাংলা পৌঁছে গেছে সবখানে। এবার সময়, জাগো বাঙ্গালী নতুন শ্লোগানে। দাবি একটাই, জাতি সংঘে বাংলা চাই, জাতি সংঘে বাংলা চাই। আমাদের সকলের দাবি, জাতি সংঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা হবে বাংলা। আপনিও যোগ দিন নতুন এই শ্লোগানে। আমাদের ভাষা আমাদের গর্ব, আমাদের শেকড়। এ শেকড় রক্তে ¯œাত, চেতনার গভীর গহীনে গ্রথিত। তাই একে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আসুন শুদ্ধ বাংলায় কথা বলি। শুদ্ধ বাংলা ভাষাকে চর্চা করি। অন্যকে বাংলায় কথা বলতে উৎসাহিত করি এবং ভাষাকে ভালোবাসি।

ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

আজ পয়লা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। শীতের শেষে ঋতুচক্রের এই মাস বাঙালির জীবনে প্রকৃতির রুপ বদলে যায়। শুরু হয় অন্যরকম জীবনধারা। ফুল ফুটবার এই দিন। ঝরে পরা শুকনা পাতার মর্মর ধ্বনির দিন। কচি পাতায় আলোর নাচনের মতই বাঙালির মনেও দোলা লাগায়। একই সাথে বাসন্তি রং এর শাড়ি ও পাঞ্জাবি গায়ে জড়িয়ে আনন্দে মেতে ওঠার আবাহন। এ সময়েই শীতের জীর্ণতা সরিয়ে ফুলে ফুলে সেজে ওঠে প্রকৃতি। গাছে গাছে নতুন পাতা, স্নিগ্ধ সবুজ কচি পাতার ধীর গতিতে বাতাসে সঙ্গে বয়ে চলা জানান দেয় নতুন কিছুর। শীতে খোলসে ঢুকে থাকা বনবনানী অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠে। পলাশ, শিমুল গাছে লাগে আগুন রঙের খেলা। প্রকৃতিতে চলে মধুর বসন্তে সাজ সাজ রব। এছাড়াও পাতার আড়ালে আবডালে লুকিয়ে থাকা বসন্তের দূত কোকিলের মধুর কুহুকুহু ডাক, ব্যাকুল করে তুলবে অনেক বিরোহী অন্তর। যদিও এই ব্যাস্ত নগরীতে এ চিত্র দেখা বা শুনা দুস্কর। তবুও কবির ভাষায় ‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত।’ বাংলা সাহিত্যে বসন্ত বন্দনা যেভাবে হয়েছে তেমনি রাজনীতিতেও এ বসন্তের গুরুত্ব কম নয়। এ বসন্তেই ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল। যা পরবর্তিতে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা লাভ কিেছল বসন্ত মানেই পূর্ণতা। বসন্ত মানেই নতুন প্রাণের কলরব। মিলনের এ ঋতু বাসন্তী রঙে সাজায় মনকে, মানুষকে করে আনমনা। অন্যদিকে শহরের নাগরিক জীবনে বসন্তের আগমন বার্তা নিয়ে আসে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্র‍ুয়ারি ও একুশের বইমেলা।

 

সরষের হলুদ ফুলের মোহময় রুপে আটোয়ারী উপজেলা
                                  

মোঃ রাব্বু হক, আটোয়ারী (পঞ্চগড়) থেকে :

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার অন্য বারের চেয়ে এবার সরষের বাম্পার ফলন দেখা গেছে। সরষের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকেরা রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রমও করে যাচ্ছেন। আর এ কারনে উপজেলার অনেকটা এলাকাজুড়ে সরষের হলুদ ফুলে ক্ষেত এখন মোহময় রুপ নিয়েছে। তাই কৃষকেরাও বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, গত বারের চেয়ে আটোয়ারীতে এবার সরষের আবাদ বেশি হয়েছে। উপজেলার ৫৫০ হেক্টর জমিতে এই সরষের আবাদ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কৃষকেরা সরষের অন্য বীজের চেয়ে বারি- ১৪ ও ১৫ বীজ বেশি ব্যবহার করেছেন। অনান্য বছরের চেয়ে এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় পোকা মাকড়ের আক্রমণ তেমন একটা ছিল না। এ ছাড়া সার ঠিকমতো পাওয়ায় কোন বেগ পেতে হয়নি কৃষকদের। এ দিকে পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা কৃষি বিভাগ সার্বক্ষনিক তৎপর ছিল বলে কৃষকরা জানান।
এ দিকে হাজী সমির উদ্দীন গ্রামের কৃষক ইউসুফ আলী, আবুল হোসেন জানান, প্রতি বিঘা সরষে আবাদ করে ১ হাজার থেকে ১হাজার দুইশত টাকা খরচ হয়। আবহাওয়া অনুকুলে ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতা থাকার কারনে বিঘা প্রতি ৬-৭মন করে সরষে ঘরে তুলতে পারবেন বলে তিনার মনে করছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো: শামীম ইকবাল এই প্রতিনিধিকে জানান, সরষে চাষীদের আমার সার্বক্ষনিক সরষে আবাদে উৎসাহ দিয়ে থাকি এবং সবসময়ে আমার উপ-সহকারী কর্মকর্তাদের সরষে চাষীদের সাথে কথা বলার জন্য বলেছি।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর রাজাবাড়ী-দিঘীরপাড়ের পদ্মাচর
                                  

সোহেল টিটু,মুন্সীগঞ্জ থেকে :

শষ্যশ্যামল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মুন্সীগঞ্জের রাজাবাড়ী দিঘীরপাড়ের পদ্মাচর।চারোদিক সবুজায়নে ঘেরা।সরিষা ফুলে মধু আহরণে মৌমাছিদের গুঞ্জন।কাশবনে বাবুই চড়াই পাখিদের কিচিরমিচির গান। দোয়েল ফিঙ্গে শালিক আর সাদা বলাকাদের দল বেঁধে উড়ে চলা।বিদেশি পাখিদের ঝিলের জলে ডুবডুবি খেলা।মাছরাঙ্গা পাখির মাছ শিকারের দৃশ্য।শেষ বিকেলে নদীর জলে সোনালী রবির অবগাহন,আহা! কি অপরূপ নান্দনিক মহিমাময় সৌন্দর্যে সৃষ্টি করেছেন বিধাতা এই পদ্মাচর। পদ্মাচরে পদ্মার শাখা নদীতে পরিবার পরিজন আর প্রিয়জনকে নিয়ে নৌভ্রমণের মজাই এক অন্যরকম আনন্দ।শহরের কোলাহলময় ক্লান্তিকর জীবন থেকে হাঁফ ছেড়ে নিশ্বাস নিতে,সবুজ প্রাকৃতির সতেজ অক্সিজেন গ্রহণ করতে, নিজের আত্মাকে একটু স¦স্তি দিতে,বাংলার ভ’-সর্গীয় আশ্চর্য সৌন্দর্য উপভোগ করতে আর এই নিসর্গীয় শ্যামলীমাময়ের সাথে নিজেকে ফ্রেমে বন্দি করে রাখতে দূরদূরান্ত হতে দৈনন্দিন দর্শনার্থীরা ছুটে আসছেন মুন্সীগঞ্জের এই পদ্মাচরে। সুবিশাল এই পদ্মাচরটি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সর্বশেষ দক্ষিণে অবস্থিত। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ও শিলই ইউনিয়ন এবং টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড়,কামারখাড়া,ও হাসাইর-বানারী ইউনিয়ন নিয়ে পূর্বপশ্চিমে প্রায় ১০-১২ কিলো মিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই পদ্মাচরের।পদ্মাচরের দক্ষিণে মূল পদ্মানদী। আর এই পদ্মানদীর ওপাড়েই শরীয়তপুর জেলা অবস্থিত। এর মধ্যে অন্যতম হলো মোগল আমলে প্রতিষ্ঠিত রাজাবাড়ী দিঘীরপাড়।রাজাবাড়ী দিঘীরপাড় নামে এই এলাকাটি অত্যান্ত পুরানো ইতিহাস সমৃদ্ধশীল একটি এলাকা হিসেবে সুপরিচিত ছিলো। তৎকালীন মোগল আমলে বিক্রমপুরের শহর শ্রীপুরের নিকটেই অবস্থিত ছিলো রাজাবাড়ী দিঘীরপাড়। মোগল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে আড়ফুল বাড়িয়া গ্রামের দুই সহদোর বাঙালী বিপ্লবী চাঁদ রায় ও কেদার রায় বিক্রমপুরের অন্তর্গত পদ্মা তীরবর্তী শ্রীপুর দুর্গ হতে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।১৬০৩ সালে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে শ্রীপুরের সর্বশেষ রাজা কেদার রায় মোগলদের হাতে নিহত হন। আর তখন থেকেই বিলুপ্তি ঘটে বিক্রমপুরের স্বাধীনতা।বিট্রিশ সরকার ১৮৪৫ সালের মার্চ মাসে মুন্সীগঞ্জকে মহকুমায় উন্নীত করে সে সময় শ্রীপুরের হেডকোয়ার্টার ও থানা রাজাবাড়ী দিঘীরপাড়ে নামে ছিলো।অর্থাৎ মুন্সীগঞ্জ, শ্রীনগর,রাজাবাড়ী ও মূলফতগঞ্জে হলো সাবডিভিশন মুন্সীগঞ্জ।রেনেল কর্তৃক অঙ্কিত বিক্রমপুর মানচিত্রে সিরাজাবাদের ঠিক দক্ষিণেই ছিলো রাজাবাড়ী।জিরামপুর,হাতামারী,কার্তিকপুর,সিরাজাবাদ,সরিষাবন,স্বর্ণগ্রাম,কবুতরখোলা,কেদারপুর,(শরীয়তপুর) ডাইনলাঙ্গা,জয়পুর দ্বীপ গুলো নিয়ে রাজাবাড়ী অবস্থিত ছিলো। ১৮৬৯ সালের কোন এক সময় শ্রীপুর শহর ও রাজাবাড়ী পদ্মানদীর কবলে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় ।ফলে দ্বিতীয়বার পুনরায় রাজাবাড়ী দিঘীরপাড় কিছুটা উত্তরে এগিয়ে এসে সমৃদ্ধশালী রাজাবাড়ী দিঘীরপাড় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালে রাজাবাড়ী দিঘীরপাড় নদী গর্ভে বিলিন হযে যায় । ১৯৯৩-৯৪ দিকে তৃতীয়বারের মত আবার কিছুটা উত্তরে এসে বর্তমান দিঘীরপাড় গড়ে উঠে।তবে কালের বিবর্তনে রাজাবাড়ী নাম ও ঐতিহ্যের বিলপ্তি ঘটে। বর্তমানে যে পদ্মাচরটি জেগে উঠেছে এটিই মূলত আসল রাজাবাড়ী দিঘীরপাড়। আর এই বর্তমান পদ্মাচরটি সৃষ্টিকর্তা এক অপরূপ নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।নিঃসন্দেহে মুন্সীগঞ্জের এই পদ্মাচরটি একটি দর্শনীয় স্থান।
সুদূর ঢাকা থেকে আগত দর্শনার্থী মোঃ জহির ইসলাম-এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সত্যিই এই পদ্মাচরটি একটি দর্শনীয় স্থান।সবুজ প্রকৃতি আর পদ্মার সতেজ হাওয়ায় প্রাণ জুড়িয়ে যায়।শহরের শত ব্যস্থতার মাঝে যখনি একটু সময় পাই তখনি চলে আসি এই পদ্মাচরে। প্রকৃতির সবুজায়ন এ যেনো এক ভূ-সর্গ।প্রকৃতির নির্মল সতেজ হাওয়ার স্পর্শ পেলে শরীর ও মন ভালো হয়ে যায়।ইতিহাস সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যবাহী রাজাবাড়ী নামটি ধীরেধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে।শোনেছি রাজাবাড়ী দিঘীরপাড়ে ”রাজাবাড়ীর মঠ” নামে একটি সুউচ্চ মঠ ছিলো। এই ইতিহাস ঐতিহ্যবাহী রাজাবাড়ী দিঘীরপাড়ের শেষ চিহ্ন টুকু বাঁচিয়ে রাখা একান্ত জরুরী।এই দর্শনীয় স্থানটি রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন।কর্তৃপক্ষ যদি এই রাজাবাড়ী দিঘীরপাড় পদ্মাচরটির দিকে একটু নজর দেন,তবে আরো ভালো একটি দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠতে পারে।
দিঘীরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন,রাজাবাড়ী দিঘীরপাড় পদ্মাচরটি ইতিহাস সমৃদ্ধশালী একটি দর্শনীয় স্থান।ঐতিহ্যবাহী রাজাবাড়ীর বেশ কিছ’ অংশ এখনো এই পদ্মাচর জুড়ে অবস্থিত আছে। প্রায় ১৫০ বছরের পুরানো ইতিহাস ঐতিহ্যবাহী স্থান ও পদ্মাচরটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সকলের।১৯৯০ সালে পদ্মানদীতে ভেঙ্গে যাবার কয়েক বছর পর আবার এই চরটি জেগে উঠে।বর্তমানে পদ্মার শাখা নদীর তীর ঘেঁসে যে দিঘীরপাড় বাজারটি আছে,এই বাজারটিই একসময় এখানে অবস্থিত ছিলো।নদী ভাঙ্গার পূর্বে দূরদূরান্তের মানুষ রাজাবাড়ী দিঘীরপাড় নামেই চিনতেন।কখনো প্রত্যাশা করিনি রাজাবাড়ী দিঘীরপাড় এলাকাটি পদ্মানদীতে ভেঙ্গে যাবার পর পুনরায় এতো সুন্দর প্রাকৃতিক রূপ দিয়ে বিধাতা আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিবেন।

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়া হাওরে অতিথি পাখি না আসায় পর্যটক প্রেমিরা হতাশ
                                  

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট টাঙ্গুয়া হাওরে প্রতি বছর এ মৌসুমে সুদূর সাইবেরিয়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো মাইল পথ পাড়ি দিয়ে অতিথি পাখি আসলেও এ বছর অতিথি পাখি এখনো না আসায় পর্যটক প্রেমীরা হতাশ। এ সময়ে টাঙ্গুয়া হাওরে লেনজা হাস, পিং হাস, বালি হাস, সরালি কাইম, গংগা কবুতর, কালাকূড়া, পিয়ারিসহ বিভিন্ন রঙ্গের অতিথি পাখি আসলেও অন্য বছরের তুলনায় খুবই কম। যা ইতিমধ্যে এসেছে তা আবার শিকার করে চুরি করে বিক্রির পায়তারা করছে এক শ্রেনীর অসাধু চক্ররা। পাখি বিশেষজ্ঞ ও এলাকাবাসী মনে করছেন, পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত টাঙ্গুয়া হাওরে পাখির আবাসস্থল তৈরি করতে কার্যকরী কোন উদ্যোগ নিতে না পারায় বিশাল এই হাওর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে টাঙ্গুয়া হাওরকে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২০ জানুয়ারি ইরানের এক সম্মেলনে এ হাওরকে রামসার এলাকাভুক্ত করা হয়। ২০০৩ সালের নভেম্বর থেকে ইজারা প্রথা বাতিল করে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় হাওরের জীব বৈচিত্র্য রক্ষা ও রামসার নীতি বাস্তবায়ন লক্ষে উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। কিন্তু গত ১৮ বছরেও টাঙ্গুয়া হাওরে কোন উন্নয়ন হয়নি বরং যতদিন যাচ্ছে ততই হাওরের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন দায়িত্ব পাওয়ার পর পাখি বিজ্ঞানী ও আইইউসিএনের তত্ব মতে, টাঙ্গুয়া হাওরে দেশি - বিদেশি মিলিয়ে প্রায় ২১৯ প্রজাতির পাখি ছিল। পৃথিবীর বিলুপ্তপ্রায় প্যালাসিস ঈগল পাখিও আছে এ হাওরে। কালেম, পানকৌড়ি, ভূতিহাঁস, পিয়ংহাঁস, খয়রাবগা, লেঞ্জাহাঁস, নেউপিপি, সরালি, রাজসরালি, চখাচখি, পাতি মাছরাঙা, পাকড়া মাছরাঙা, মরিচা ভূতিহাঁস, সাধারণ ভূতিহাঁস, শোভেলার, লালশির, নীলশির, পাতিহাঁস, ডাহুক, বেগুনি কালেম, গাঙচিল, শঙ্কচিল, বালিহাঁস, ডুবুরি, বক, সারসসহ তখনকার হিসেবে মতে প্রায় ২১৯ প্রজাতির দেশি - বিদেশি পাখি থাকার কথা। কিন্তু ২০১১ সালের আইইউসিএনের অপর এক জরিপে টাঙ্গুয়ার হাওরে ৬৪ হাজার পাখির অস্তিত্ব দেখানো হয়েছে। এতে ৮৬ জাতের দেশি এবং ৮৩ জাতের বিদেশি পাখির কথা উল্লেখ করা হয়। ঢাকা থেকে টাঙ্গুয়া হাওর দেখতে আসা মনিরুজ্জামান ও শাহিন নামে দুইজন পর্যটক জানান, গত কয়েক বছর আগে টাঙ্গুয়া হাওরে যে পরিমান অতিথি পাখি দেখা গেছে বর্তমানে তা দেখা যাচ্ছে না। টাঙ্গুয়া হাওর নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের এক্রকিউটিভ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রিট মো. আল আমিন সরকার জানান, এ বছর অতিথি পাখি একটু কম মনে হচ্ছে। তবে, শীত যত ঘনিয়ে আসবে ততই অথিতি পাখি হাওরে বাড়বে। তিনি বলেন, অসাধু চক্ররা যাতে হাওরে পাখি শিকার করতে না পারে সে জন্য পুলিশ, আনসার সার্বক্ষনিক নজর রাখছে।

কেন এই কেন এই বিষণ্নতা ।
                                  

তানিয়া আহম্মেদ :
মানুষ কেন কেন এই বিষণ্নতায় ভোগে এর কোনো সহজ উত্তর নেই। নানা কারণেই কেন এই বিষণ্নতা গ্রাস করতে পারে মনকে। সাধারণভাবে মানসিক চাপ থেকে কেন এই বিষণ্নতায় ভোগে মানুষ। হয়ে পড়ে অবসাদগ্রস্ত। মানসিক সেই চাপ থেকে ভয়াবহ মানসিক রোগে আক্রান্ত হন অনেকেই। তবে মার্কিন সমাজবিজ্ঞানী জিন এম টোয়েঙ্গি বলছেন, অতি স্বাধীনতা, পরিবার বিচ্ছিন্নতা মানুষকে কেন এই বিষণ্নতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যে কোনো সমস্যায় আগে যেমন মানুষ পরিবারের মা-বাবা, দাদা-দাদী, বড় ভাই-বোনদের সঙ্গে আলোচনা করতো এখন সে সুযোগ যেমন কমেছে, তেমনি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবোধ তীব্র হয়ে ওঠায় কেউ নিজের কথা অন্যকে বলতে চাইছে না। মানুষের সামাজিক এই বদলে যাওয়া আচরণও কেন এই বিষণ্নতাকে বাড়িয়ে তুলছে।
আধুনিক বিশ্বে যেদিকেই তাকাই জীবনের ভারে কেন এই বিষণ্ন অবসন্ন মানুষ দেখি। সবাই ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটছে। আরো চাই, কী কী পেলাম না এসব নিয়ে ভাবনা। চাকরি, ব্যবসা, নানা উত্তেজনায় মানুষের ঘুম কমে গেছে, স্মরণশক্তি কমে গেছে। চিন্তার ক্ষমতাও কমে গেছে। মার্কিন সমাজবিদ জিন এম টোয়েঙ্গি তার অপর এক গবেষণায় দুশ্চিন্তা ও কেন এই বিষণ্নতা নিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তের ৭০ লাখ মানুষের ওপরে গবেষণা চালিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে ১৯৮০ সালের তুলনায় ২০১০ সালে ৩৮ শতাংশ মানুষের স্মরণশক্তি কমে গেছে। আর ৭৪ শতাংশ মানুষের রাতে ঘুম আসে না। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শতাংশ ছাত্র বলছে পড়াশোনা তাদের কাছে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা এই চাপ নিতে পারছে না। এই সবকিছুর মূলে দুশ্চিন্তা ও কেন এই বিষণ্নতা।
বর্তমান বিশ্বে ডিজিজ বার্ডেন হিসেবে কেন এই বিষণ্নতার স্থান তৃতীয়। ১৯৯০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে কেন এই বিষণ্নতা বিশ্বে ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২০৩০ সালে কেন এই বিষণ্নতা ডিজিজ বার্ডেন’ তালিকায় প্রথম স্থানে অবস্থান করবে। যে কোনো বয়সে এমনকি শিশুরাও বিষণœতায় আক্রান্ত হতে পারে। তবে পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে কেন এই বিষণ্নতা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। দীর্ঘ মেয়াদী শারীরিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কেন এই বিষণ্নতার ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বেশি।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. মোহিত কামাল বললেন, জীবন যন্ত্রণা থেকে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে কেন এই বিষণ্নতায়। তার আবেগে ধস নামলে জীবনকে শূন্য মনে হয়, আশাহীনতা গ্রাস করে। এই অবস্থা যদি কোনো ব্যক্তির ১৪ দিন চলতে থাকে তবে তাকে কেন এই বিষণ্নতায় আক্রান্ত বলবো। এই অবস্থা আরো ভয়াবহ বলে সেই ব্যক্তি আত্মহত্যার কথা ভাবতে থাকে। মানসিক রোগের মাত্রা আরো বেশি হলে তিনি আত্মহত্যা করেন। এই অবস্থায় পরিবার, বন্ধুদের এগিয়ে আসতে হবে। কেন এই বিষণ্নতায় আক্রান্ত ব্যক্তির পাশে দাঁড়াতে হবে।
 বিষণœ ৩০ কোটি মানুষ: বর্তমানে সারাবিশ্বে ৩০ কোটি মানুষ কেন এই বিষণ্নতায় ভুগছে। সে হিসেবে প্রায় প্রতি ২৫ জনের মধ্যে একজন বিষণœতায় আক্রান্ত। দেশ ভেদে শতকরা তিন থেকে ১৭ শতাংশ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময় কেন এই বিষণ্নতায় আক্রান্ত হয়। ১৫ থেকে ১৮ বছর ও ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে কেন এই বিষণ্নতার ঝুঁকি বেশি। আর ১৫ থেকে ৩০ বছরের জনগোষ্ঠীর মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে প্রতিদিন তিন হাজার মানুষ আত্মহত্যা করে। এ হিসেবে বছরে আত্মহত্যার সংখ্যা দাঁড়ায় ১১ লাখ। এরমধ্যে বেশিরভাগ আত্মহত্যাই ঘটে কেন এই বিষণ্নতাজনিত কারণে।
পেশাগত জটিলতা, পারিবারিক জটিলতা- এসব মানুষের জন্য নতুন কোনো সমস্যা নয়। সবকালে সবসময় এই সমস্যা ছিল। কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষা, পরশ্রীকাতরতা, সামাজিক অন্যায়, অফিস পলিটিক্স- এসব মানুষকে অস্থির, হতোদ্যম, কখনো কখনো অসহায় করে তোলে। এই ধরনের বাজে পরিস্থিতি থেকে একজন ব্যক্তির মুক্তির উপায় ছিল তার পরিবার। এখন সেই পরিবারপ্রথা ভেঙে যাওয়ায় মানুষ তার অসহায় মুহূর্তে আশ্রয় খুঁজে পাচ্ছে না। মার্কিন সমাজবিদ জিন টোয়েঙ্গি তার গবেষণায় আরো বলছেন, আধুনিক জীবন ব্যবস্থা মানুষের মানসিক প্রশান্তির অন্তরায়। যৌথ পরিবার থেকে একক পরিবারে আসায় মানুষের ভাবনার আদান-প্রদান যেমন কমছে তেমনি বিভিন্ন সমস্যার কথা কাউকে বলবার মানুষও কমেছে। এই একাকীত্ব আর ভাবনার আদান-প্রদান করতে না পারার কারণে কেন এই বিষণ্ন মন কেন এই বিষণ্নতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
দেশেও কেন এই বিষণ্নতার চিত্র ভয়াবহ: বাংলাদেশের শহরের সমাজ ব্যবস্থা ও পরিবার কাঠামোও আধুনিক বিশ্বের চাইতে খুব বেশি আলাদা নয়। এখানেও যৌথ পারিবারিক কাঠামো ভেঙে একক পরিবারের মাঝেই এখন মানুষ স্বস্তি খুঁজছে, স্বাধীনতা খুঁজছে। কিন্তু সত্যিই কী মিলছে স্বস্তি, স্বাধীনতা। বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে আত্মহত্যার সংখ্যা বাড়ছে। মানুষ মানসিক চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট পরিচালিত জরিপ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে প্রায় ৭৪ লাখ নারী-পুরুষ কেন এই বিষণ্নতায় ভুগছে, যা মোট জনসংখ্যার ৪.৬ শতাংশ। স্থানীয় জরিপে দেখা গেছে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে মোট মানসিক রোগী ১৬.১ শতাংশ, উদ্বেগাধিক্য ৮.৪ শতাংশ, কেন এই বিষণ্নতা ৪.৬ শতাংশ, গুরুতর মানসিক রোগ ১.১ শতাংশ, মাদকাসক্ত ০.৬ শতাংশ।
 কেন এই বিষণ্নতা নানা মাত্রায় হতে পারে। এটি হতে পারে তীব্র অথবা দীর্ঘমেয়াদী। মানসিক কেন এই বিষণ্নতা বাংলাদেশে খুবই সাধারণ। ঢাকার নিকটবর্তী একটি গ্রামে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, সেখানকার প্রায় ২.৯ শতাংশ লোক কেন এই বিষণ্নতায় ভুগছে। আরেক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঢাকা মহানগরীর এক হাসপাতালে মনোরোগ বহির্বিভাগে আগত রোগীদের এক তৃতীয়াংশ রোগীই সাধারণভাবে কেন এই বিষণ্নতার শিকার।
কেন এই বিষণ্নতার উপসর্গ:কেন এই বিষণ্নতা একজন ব্যক্তির জীবনের যে কোনো একটি অথবা সবকটি ক্ষেত্রকেই প্রভাবিত করে। মারাত্মক অবস্থা, উপসর্গ, কারণ এবং চিকিত্সা অনুসারে এই রোগের ভিন্নতা দেখা যায়। কেন এই বিষণ্নতায় আক্রান্ত ব্যক্তি শুধুমাত্র আবেগসংশ্লিষ্ট মানসিক অশান্তিতেই ভোগে না বরং উদ্বুদ্ধকরণ, চিন্তা-ভাবনা, শারীরিক এবং সাধারণ চলাফেরাতেও তা প্রকাশ পায়। একজন কেন এই বিষণ্নতায় আক্রান্ত মানুষ এক বা একাধিক উপসর্গে ভুগতে পারে। এগুলো হলো- বিষাদময় অনুভূতি, হতাশা বা সবকিছু অর্থহীন ভাবা, অপরাধবোধ, দৈনন্দিন কাজকর্মে আগ্রহ বা আনন্দ হারিয়ে ফেলা, ক্ষুধামন্দা, ওজন কমে যাওয়া, নিদ্রাহীনতা, চলার গতি ধীর হয়ে যাওয়া বা অস্থিরতা, শক্তি এবং উদ্যম কমে যাওয়া, ধীর গতিতে চিন্তা করা বা প্রতিক্রিয়া দেখানো এবং মৃত্যুচিন্তা বা আত্মহত্যার প্রবণতা। পশ্চিমা দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কেন এই বিষণ্নতার উপসর্গসমূহ কিছুটা পৃথক। এগুলো সচরাচর বিষাদময় অনুভূতি এবং অপরাধ বোধের চেয়ে শারীরিক অভিযোগের আকারে বেশি প্রকাশিত হয়। যেমন- কোনো কিছু চেপে বসা, মাথায় তাপ এবং মাথা ব্যথা, দ্রুত হূদস্পন্দন, ঘুমের ব্যাঘাত, যৌন ইচ্ছা বা ক্ষমতা কমে যাওয়া, আন্ত্রিক গোলযোগ ইত্যাদি।
কেন এই বিষণ্নতা থেকে মুক্তির উপায়:মনোবিশেষজ্ঞ ড. মোহিত কামাল জানান, কেন এই বিষণ্নতা প্রতিরোধ করতে হলে নজর দিতে হবে কেন এই বিষণ্নতা কেন হয় সে কারণগুলোর দিকে। কেন এই বিষণ্নতা আমাদের শক্তি, প্রত্যাশা ধ্বংস করে দেয়। তাই কেন এই বিষণ্নতা মোকাবিলা করতে বেশ কিছু কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে জীবনযাত্রায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনতে হয়। যেমন, সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়া, ভালো বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয়-স্বজনদের কাছে যাওয়া, তাদের সঙ্গে সময় কাটানো। বিশেষ করে যারা জীবনকে ইতিবাচকভাবে দেখেন তাদের সঙ্গে কথা বলা, প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানো এবং কিছু সময়ের জন্য রোদে ঘোরাফেরা করা। নিয়ম করে তিনবেলা খাওয়া-দাওয়া করা। সবসময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করা।
 প্রতিটি মানুষের জীবনে মানসিক চাপ আসে। সে জন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখা এবং চাপ মোকাবিলা করা শেখা। প্রতিদিনের কাজের তালিকায় নিজের আনন্দের জন্য অন্তত খেলাধুলা, বই পড়া ভাল। এ ছাড়া নিজের মনোকষ্টের কথাগুলো অপরজনের কাছে খুলে বলা, যিনি বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, বুঝবেন এবং অন্যদের কাছে গোপন রাখবেন। নিজের ভুল বা নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে চিহ্নিত করতে  শেখা ও এগুলোকে ইতিবাচক চিন্তায় রূপান্তর করা।


কলা কমাবে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি!
                                  

অনলাইন ডেস্ক :

ভিটামিন বা খনিজ উপাদান গুণে সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল কলা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে কলা। হার্ট অ্যাটাক কমাতে কলা কেন খাবেন?‌ বিস্তারিত জেনে নিন-

বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক মতামত যারা নিয়মিত কলা খান তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। দিন কয়েক আগে ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের একদল গবেষক জানিয়েছেন, পটাশিয়াম হৃদযন্ত্রের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খনিজ উপাদান। এ ছাড়া রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই পটাশিয়ামের।

গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ছাড়াও যারা নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় ২৭ শতাংশ কম থাকে। কলার মধ্যে এই খনিজ উপাদানের গুণ পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের তৈরি করা তথ্য অনুযায়ী, একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দিনে ৩ হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম থেকে ৪ হাজার ৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম প্রয়োজন। একটি কলায় কম করে ৪৫০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত পটাশিয়াম থাকে। অর্থাৎ দৈনিক পটাশিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারে একটি কলা।

কলা ছাড়াও আলু, অঙ্কুরিত ছোলা, মাছ, পোল্ট্রিজাত দ্রব্যে পটাশিয়াম থাকে। কলার পাশাপাশি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় এইসব খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায় বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

এ ছাড়াও পটাশিয়ামের যোগানের পাশাপাশি কলা হজম করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ফাইবার সম্বৃদ্ধ কলা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তবে সাবধান বেশি কলা খেলে আবার পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়াজনিত সমস্যা হতে পারে।

   Page 1 of 1
     ফিচার
সরিষা ফুলের খোঁজে...
.............................................................................................
নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও
.............................................................................................
মন জুড়িয়ে যায় মনতলায়
.............................................................................................
সাপাহারে ঐতিহ্যবাহী জবাই বিল অতিথি পাখির কলতানে মুখরিত
.............................................................................................
হবিগঞ্জ জেলার শিবপাশা গ্রামে গড়ে উঠেছে একটি নয়নাভিরাম ও অর্থকরী বহুমুখী খামার
.............................................................................................
তরমুজের বীজ জীবনীশক্তি
.............................................................................................
অমর একুশে বাঙ্গালী জাতির কষ্টার্জিত গর্বের দিন
.............................................................................................
ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত
.............................................................................................
সরষের হলুদ ফুলের মোহময় রুপে আটোয়ারী উপজেলা
.............................................................................................
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর রাজাবাড়ী-দিঘীরপাড়ের পদ্মাচর
.............................................................................................
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়া হাওরে অতিথি পাখি না আসায় পর্যটক প্রেমিরা হতাশ
.............................................................................................
কেন এই কেন এই বিষণ্নতা ।
.............................................................................................
কলা কমাবে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি!
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আবদুল মালেক, সুগ্ম সম্পাদক: মো: জাহাঙ্গীর আলম শাহ। সম্পাদক কর্তৃক ২৪৪ (২য় তলা), ৪নং জাতীয় স্টেডিয়াম, কমলাপুর, ঢাকা-১২১৪
থেকে প্রকাশিত এবং স্যানমিক প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস, ৫২/২, টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।
মোবাইল: ০১৮৪১৭৪৯৮২৪, ০১৮৪১৭৪৯৮২৫ ই-মেইল: ই-মেইল: noboalo24@gmail.com,
bmengineering77@gmail.com, ওয়েবসাইট www.dailynoboalo.com


   All Right Reserved By www.dailynoboalo.com Developed By: Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD & BD My Shop    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale