|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী   * টেকসই রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত ও নতুন বাজার খোঁজার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর   * উন্নয়নের প্রতিটি খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে সোচ্চার হবার নির্দেশনা রাষ্ট্রপতির   * শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও অবকাঠামো খাতে আরও এডিবি সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী   * বৈশ্বিক অর্থনীতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উন্নয়ন অংশীদারদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান অব্যাহত রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর   * বৈশ্বিক অর্থনীতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত উন্নয়ন অংশীদারদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান অব্যাহত রাখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর   * এমবিবিএস প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ   * নির্বাচন পরিচালনায় ইসি সম্পূর্ণ স্বাধীন: প্রধানমন্ত্রী   * ঢাকায় সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী   * প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধন করবেন  

   খেলাধূলা -
                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                 
নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা

নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। এর আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপেও ডাচদের টাইব্রেকারে হারিয়েছিল লিওনেল মেসির দল। শেষ মুহূর্তে ২-২ গোলে সমতা হওয়ার পর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে প্রথম দুটি মিস করে নেদারল্যান্ডস। সেখানেই পিছিয়ে যায় ডাচরা। দুটি গোলই বাঁচিয়ে দেন এমি মার্টিনেজ। তার অসাধারণ গোলকিপিংয়ে কাতার বিশ্বকাপের শেষ চারে উঠে আলবিসেলেস্তেরা। ২ গোলে গিয়ে পিছিয়ে থেকে সমতা আনে নেদারল্যান্ডস। ৮৩ মিনিট ও যোগ করা সময়ে দুটি গোলই করে ডাচ ফুটবলার বেগহোর্স্ট। আর আর্জনেটিনার হয়ে প্রথম গোল দেন মোলিনা দ্বিতীয় গোল দেন পেনাল্টি থেকে মেসি। সেমিতে মেসিদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া।

 
টাইব্রেকারে ম্যাচ

১২০ মিনিট শেষেও সমতা, টাইব্রেকারে গড়ালো ম্যাচ। সেখানে ৪-৩ গোলে হেরে যায় নেদারল্যান্ডস।

১৫ মিনিট শেষেও দুই দলের সমতা

অতিরিক্ত সময়ের ১৫ মিনিট শেষেও ২-২ গোলে সমতায়। ম্যাচ গড়াচ্ছে ট্রাইবেকারের দিকে। এর আগে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারায় ক্রোয়েশিয়া।

শেষ মুহূর্তে ডাচদের সমতা, ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে

যোগ করা সময়ের গোলে ২-২ গোলে সমতা। প্রথম গোল দেওয়া বেগহোর্স্টই এই গোলের নায়ক। ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে।

৮৩ মিনিটের ডাচদের গোল

৮৩ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের গোল। এগিয়ে দেন বেগহোর্স্ট। ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় টোটাল ফুটবলের জনকরা। ২-১ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।

এবার পেনাল্টি থেকে মেসির গোল

৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে মেসির গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।

১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে মেসির আর্জেন্টিনা

১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে মেসির আর্জেন্টিনা। ৩৫ মিনিটে মেসির সহায়তায় গোলটি করেন ডিফেন্ডার মোলিনা। ডিফেন্সিভ খেলার চেষ্টা করছে ডাচরা। বল রাখছে নিজেদের পায়ে পায়ে। এরমধ্যেই আর্জেন্টিনা আক্রমণ করে ৫টি। যারমধ্যে ৩টিই ছিল অনটার্গেট।

৩৫ মিনিটে এগিয়ে আর্জেন্টিনা

৩৫ মিনিটে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। মেসির সহায়তায় গোল দেন মোলিনা।

গোলের দেখা পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস

ম্যাচের ৩০ মিনিট পার হয়ে গেলেও আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের কেউ গোলের দেখা পাচ্ছে না। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও আর্জেন্টিনার সঙ্গে আক্রমণে পিছিয়ে ডাচরা। আর্জেন্টিনার বিপরীতে মেসিরা শট নিয়েছেন ১টি। ৫৮ শতাংশ সময় ডাচদের পায়ে বল।

ডাচরা প্রতিশোধ নিতে পারবে?

তিন তিনবার ফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ ট্রফি জেতা হয়নি নেদারল্যান্ডসের। এর মধ্যে একবার তাদের স্বপ্ন ভেঙেছে আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ সালের ফাইনালে স্বাগতিকদের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল ডাচরা। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত তাদের শেষ বিশ্বকাপ ২০১৪-তে এই আর্জেন্টাইনদের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে হেরে সেমিফাইনালে নিতে হয় বিদায়।

ডাচদের বিশ্বকাপ যাত্রা

অপেক্ষাকৃত সহজ গ্রুপে সেনেগালকে ২-০ গোলে হারায় নেদারল্যান্ডস। ইকুয়েডরের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র আর শেষ ম্যাচে কাতারকে ২-০ তে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে ওঠে তারা। রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলায় কম সমালোচনা শুনতে হয়নি কোচ লুইস ফন গালকে। নকআউটে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সমালোচকদের মন কিছুটা হলেও গলাতে পেরেছে ডাচরা।

আর্জেন্টিনার যাত্রা হয় হারে

অন্যদিকে আর্জেন্টিনা সৌদি আরবের কাছে হেরে গ্রুপ পর্বে বিদায়ের সাইরেন শুনতে পাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত মেক্সিকো ও পোল্যান্ডকে হারিয়ে মেসির অধরা বিশ্বকাপ ছোঁয়ার মিশন বাঁচিয়ে রাখে আলবিসেলেস্তেরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতলেও সকারুরা গোল শোধ করায় সম্ভবত শেষ কয়েক মিনিট দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল লিওনেল স্কালোনির দলের।

ছাড় দেবে না কেউ কাউকে

সে যাই হোক, দুই দলই একে অন্যের কাছ থেকে পাচ্ছে সমীহ। তবে আলোচনায় মেসিকে থামানোর কী কৌশল অবলম্বন করছেন ফন গাল। ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে সেটি প্রকাশ করে বোকামি করতে চাইলেন না বিশ্বকাপ শেষে ডাচদের দায়িত্ব ছাড়তে যাওয়া কোচ, ‘বোকা নাকি, আমরা আপনাদের কাছে আমাদের ট্যাকটিকস প্রকাশ করবো? (মেসিকে) ব্লক করা এবং পাস লাইন বন্ধ করতেই তো চাইবেন। আমি মনে করি না এনিয়ে বেশি বেশি কথা বলার প্রয়োজন।’

মেসি বনাম ডাচ ডিফেন্ডার

নেদারল্যান্ডসের ডিফেন্ডাররাও মেসি চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে ভীত নয়। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর মুখোমুখি হওয়ার আগে কাঁপছেন না জুরিয়েন ট্রিম্বার, আরেক ডিফেন্ডার নাথান আকেকে পাশে নিয়ে তিনি বললেন, ‘আমি কি কাঁপছি (মেসির মুখোমুখি হওয়া নিয়ে)? সৌভাগ্যবশত না। তার বিরুদ্ধে খেলা দারুণ চ্যালেঞ্জ। মেসি চমৎকার ফুটবলার। কিন্তু আমরা শুধু মেসির বিপক্ষে খেলবো না। এই সমস্যার সমাধান শুধু আমরা দুজন করবো না। পুরো দল নিয়ে করতে হবে।’

আকে বললেন, ‘তাকে থামানো খুব কঠিন। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় সম্ভবত সে কিন্তু আমাদের অন্য খেলোয়াড়দের নিয়েও ভাবতে হবে।’ ডাচদের রক্ষণের আরেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ভার্জিল ফন ডাইক, ‘এটা মেসি বনাম আমার কিংবা নেদারল্যান্ডসের নয়, লড়াইটা নেদারল্যান্ডস বনাম আর্জেন্টিনার।’ মেসিকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু আর্জেন্টিনা ম্যাচে কী করতে পারে সেটা নিয়ে সতর্ক। তারা অসাধারণ খেলোয়াড়দের নিয়ে দারুণ একটি দল। ম্যাচের সব বিভাগে আমাদের ভালো করতে হবে।’

মুখোমুখি লড়াই সব মিলিয়ে দুই দলের দেখা হয়েছে ৯ বার, ৪-৩ এ এগিয়ে ডাচরা। বিশ্বকাপে তো তারা চেনা প্রতিদ্বন্দ্বী, এনিয়ে ষষ্ঠবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল, যার শুরু ১৯৭৪ সালে। গ্রুপ ম্যাচে ৪-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। চার বছর পরের বিশ্বকাপ ফাইনালে ডাচদের হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে তারা। আর ৯৮-এর কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় আলবিসেলেস্তেদের। এরপর বিশ্বমঞ্চে শেষ দুইবারের দেখায় নির্ধারিত সময় হয়েছে ড্র। ২০০৬ সালে গ্রুপ পর্বে গোলশূন্য ড্র হয়। ২০১৪-তে গোলশূন্য নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে পেনাল্টিতে ৪-২ গোলে জেতে আলবিসেলেস্তেরা। এবারের ফল কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার অপেক্ষা।

 

 
নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
                                  

নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা। এর আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপেও ডাচদের টাইব্রেকারে হারিয়েছিল লিওনেল মেসির দল। শেষ মুহূর্তে ২-২ গোলে সমতা হওয়ার পর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে প্রথম দুটি মিস করে নেদারল্যান্ডস। সেখানেই পিছিয়ে যায় ডাচরা। দুটি গোলই বাঁচিয়ে দেন এমি মার্টিনেজ। তার অসাধারণ গোলকিপিংয়ে কাতার বিশ্বকাপের শেষ চারে উঠে আলবিসেলেস্তেরা। ২ গোলে গিয়ে পিছিয়ে থেকে সমতা আনে নেদারল্যান্ডস। ৮৩ মিনিট ও যোগ করা সময়ে দুটি গোলই করে ডাচ ফুটবলার বেগহোর্স্ট। আর আর্জনেটিনার হয়ে প্রথম গোল দেন মোলিনা দ্বিতীয় গোল দেন পেনাল্টি থেকে মেসি। সেমিতে মেসিদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া।

 
টাইব্রেকারে ম্যাচ

১২০ মিনিট শেষেও সমতা, টাইব্রেকারে গড়ালো ম্যাচ। সেখানে ৪-৩ গোলে হেরে যায় নেদারল্যান্ডস।

১৫ মিনিট শেষেও দুই দলের সমতা

অতিরিক্ত সময়ের ১৫ মিনিট শেষেও ২-২ গোলে সমতায়। ম্যাচ গড়াচ্ছে ট্রাইবেকারের দিকে। এর আগে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারায় ক্রোয়েশিয়া।

শেষ মুহূর্তে ডাচদের সমতা, ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে

যোগ করা সময়ের গোলে ২-২ গোলে সমতা। প্রথম গোল দেওয়া বেগহোর্স্টই এই গোলের নায়ক। ম্যাচ গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে।

৮৩ মিনিটের ডাচদের গোল

৮৩ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের গোল। এগিয়ে দেন বেগহোর্স্ট। ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় টোটাল ফুটবলের জনকরা। ২-১ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।

এবার পেনাল্টি থেকে মেসির গোল

৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে মেসির গোল। ২-০ গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা।

১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে মেসির আর্জেন্টিনা

১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে মেসির আর্জেন্টিনা। ৩৫ মিনিটে মেসির সহায়তায় গোলটি করেন ডিফেন্ডার মোলিনা। ডিফেন্সিভ খেলার চেষ্টা করছে ডাচরা। বল রাখছে নিজেদের পায়ে পায়ে। এরমধ্যেই আর্জেন্টিনা আক্রমণ করে ৫টি। যারমধ্যে ৩টিই ছিল অনটার্গেট।

৩৫ মিনিটে এগিয়ে আর্জেন্টিনা

৩৫ মিনিটে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। মেসির সহায়তায় গোল দেন মোলিনা।

গোলের দেখা পাচ্ছে না আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস

ম্যাচের ৩০ মিনিট পার হয়ে গেলেও আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের কেউ গোলের দেখা পাচ্ছে না। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও আর্জেন্টিনার সঙ্গে আক্রমণে পিছিয়ে ডাচরা। আর্জেন্টিনার বিপরীতে মেসিরা শট নিয়েছেন ১টি। ৫৮ শতাংশ সময় ডাচদের পায়ে বল।

ডাচরা প্রতিশোধ নিতে পারবে?

তিন তিনবার ফাইনালে হেরে বিশ্বকাপ ট্রফি জেতা হয়নি নেদারল্যান্ডসের। এর মধ্যে একবার তাদের স্বপ্ন ভেঙেছে আর্জেন্টিনা। ১৯৭৮ সালের ফাইনালে স্বাগতিকদের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছিল ডাচরা। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত তাদের শেষ বিশ্বকাপ ২০১৪-তে এই আর্জেন্টাইনদের কাছে পেনাল্টি শুটআউটে হেরে সেমিফাইনালে নিতে হয় বিদায়।

ডাচদের বিশ্বকাপ যাত্রা

অপেক্ষাকৃত সহজ গ্রুপে সেনেগালকে ২-০ গোলে হারায় নেদারল্যান্ডস। ইকুয়েডরের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র আর শেষ ম্যাচে কাতারকে ২-০ তে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে ওঠে তারা। রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলায় কম সমালোচনা শুনতে হয়নি কোচ লুইস ফন গালকে। নকআউটে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সমালোচকদের মন কিছুটা হলেও গলাতে পেরেছে ডাচরা।

আর্জেন্টিনার যাত্রা হয় হারে

অন্যদিকে আর্জেন্টিনা সৌদি আরবের কাছে হেরে গ্রুপ পর্বে বিদায়ের সাইরেন শুনতে পাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত মেক্সিকো ও পোল্যান্ডকে হারিয়ে মেসির অধরা বিশ্বকাপ ছোঁয়ার মিশন বাঁচিয়ে রাখে আলবিসেলেস্তেরা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতলেও সকারুরা গোল শোধ করায় সম্ভবত শেষ কয়েক মিনিট দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল লিওনেল স্কালোনির দলের।

ছাড় দেবে না কেউ কাউকে

সে যাই হোক, দুই দলই একে অন্যের কাছ থেকে পাচ্ছে সমীহ। তবে আলোচনায় মেসিকে থামানোর কী কৌশল অবলম্বন করছেন ফন গাল। ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে সেটি প্রকাশ করে বোকামি করতে চাইলেন না বিশ্বকাপ শেষে ডাচদের দায়িত্ব ছাড়তে যাওয়া কোচ, ‘বোকা নাকি, আমরা আপনাদের কাছে আমাদের ট্যাকটিকস প্রকাশ করবো? (মেসিকে) ব্লক করা এবং পাস লাইন বন্ধ করতেই তো চাইবেন। আমি মনে করি না এনিয়ে বেশি বেশি কথা বলার প্রয়োজন।’

মেসি বনাম ডাচ ডিফেন্ডার

নেদারল্যান্ডসের ডিফেন্ডাররাও মেসি চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়িয়ে ভীত নয়। সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর মুখোমুখি হওয়ার আগে কাঁপছেন না জুরিয়েন ট্রিম্বার, আরেক ডিফেন্ডার নাথান আকেকে পাশে নিয়ে তিনি বললেন, ‘আমি কি কাঁপছি (মেসির মুখোমুখি হওয়া নিয়ে)? সৌভাগ্যবশত না। তার বিরুদ্ধে খেলা দারুণ চ্যালেঞ্জ। মেসি চমৎকার ফুটবলার। কিন্তু আমরা শুধু মেসির বিপক্ষে খেলবো না। এই সমস্যার সমাধান শুধু আমরা দুজন করবো না। পুরো দল নিয়ে করতে হবে।’

আকে বললেন, ‘তাকে থামানো খুব কঠিন। বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় সম্ভবত সে কিন্তু আমাদের অন্য খেলোয়াড়দের নিয়েও ভাবতে হবে।’ ডাচদের রক্ষণের আরেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ভার্জিল ফন ডাইক, ‘এটা মেসি বনাম আমার কিংবা নেদারল্যান্ডসের নয়, লড়াইটা নেদারল্যান্ডস বনাম আর্জেন্টিনার।’ মেসিকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় কি না প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু আর্জেন্টিনা ম্যাচে কী করতে পারে সেটা নিয়ে সতর্ক। তারা অসাধারণ খেলোয়াড়দের নিয়ে দারুণ একটি দল। ম্যাচের সব বিভাগে আমাদের ভালো করতে হবে।’

মুখোমুখি লড়াই সব মিলিয়ে দুই দলের দেখা হয়েছে ৯ বার, ৪-৩ এ এগিয়ে ডাচরা। বিশ্বকাপে তো তারা চেনা প্রতিদ্বন্দ্বী, এনিয়ে ষষ্ঠবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল, যার শুরু ১৯৭৪ সালে। গ্রুপ ম্যাচে ৪-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। চার বছর পরের বিশ্বকাপ ফাইনালে ডাচদের হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ জেতে তারা। আর ৯৮-এর কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় আলবিসেলেস্তেদের। এরপর বিশ্বমঞ্চে শেষ দুইবারের দেখায় নির্ধারিত সময় হয়েছে ড্র। ২০০৬ সালে গ্রুপ পর্বে গোলশূন্য ড্র হয়। ২০১৪-তে গোলশূন্য নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় শেষে পেনাল্টিতে ৪-২ গোলে জেতে আলবিসেলেস্তেরা। এবারের ফল কোনদিকে গড়ায় সেটাই দেখার অপেক্ষা।

 

 
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে টাইগারদের সিরিজ জয়
                                  

 মেহেদি হাসান মিরাজের প্রথম সেঞ্চুরিতে ভারতের বিপক্ষে এক ম্যাচ বাকী রেখেই ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ।
আজ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ৫ রানে হারিয়েছে ভারতকে। এতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয়ের সাথে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। একই সাথে ভারতের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয় করলো  টাইগাররা। প্রথম ও সর্বশেষ ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
ম্যাচ সেরা নি র্বাচিত হওয়া মিরাজের অপরাজিত ১০০ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৭৭ রানের সুবাদে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭১ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬৬ রান করে হার বরণ করে ভারত। ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত ইনিংসের পর বল হাওে ২টি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচের মত এবারও টস জিতেন বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস। এবার প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন লিটন। আগের ম্যাচ থেকে একটি পরিবর্তন- পেসার হাসান মাহমুদের জায়গায় স্পিনার নাসুম আহমেদকে অন্তর্ভুক্ত করে একাদষ সাজায় বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে দু’টি চার মারেন ওপেনার হিসেবে খেলতে নামা এনামুল হক বিজয়।  ওভারের চতুর্থ বলে স্লিপে রোহিত শর্মাকে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান তিনি। বিজয়ের  ক্যাচ মিস করার পাশাপাশি আঙুলে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন রোাহিত। পেসার মোহাম্মদ সিরাজের পরের বলেই লেগ বিফোর আউট হন বিজয়। রিভিউ নিয়েও টিকতে  না পারলে ৯ বলে ১১ রান  ইতি ঘটে  বিজয়ের ইনিংসের।
বিজয়কে  হারানোর পর তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন লিটন। দেখেশুনে খেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। দশম ওভারে লিটন-শান্তর জুটি ভাঙ্গেন সিরাজ। টেস্ট মেজাজে খেলা লিটন সিরাজের বলে  বোল্ড আউট হওয়ার আগে  ১টি চারে ২৩ বল খেলে ৭ রান করেন ।
অধিনায়ক ফেরার কিছুক্ষণ পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন শান্তও। ভারতের পেসার উমরান মালিকের অফ-স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে বলের লাইনে পা না নিয়ে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন শান্ত। ৩টি চারে ৩৫ বল খেলে ২১ রান করেন তিনি।
৫২ রানে ৩ উইকেট পতনের পর ক্রিজে জুটি বাঁধেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। উইকেট সেট হতে সময় নিচ্ছিলেন তারা। ভারতের দুই পেসার সিরাজ ও মালিকের বল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন সাকিব।
আত্মবিশ^াস ফিরে পেতে ১৭তম ওভারে ভারতের স্পিনার ওয়াশিংটন সুন্দরের উপর চড়াও হতে বিদায় নেন সাকিব। তবে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিস টাইমিংয়ে শর্ট ফাইন লেগে শিখর ধাওয়ানকে ক্যাচ দেন ২০ বলে ১টি চারে ৮ রান করা সাকিব।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে সাকিবকে ফেরানোর পর তৃতীয় ওভারে মুশফিক ও আফিফ হোসেনকে থামান সুন্দর।
সুন্দরের ডেলিভারি ডিফেন্স করতে গিয়ে লেগ স্লিপে ধাওয়ানকে ক্যাচ দেন মুশফিক। রিভিউতে বিদায় হয় ২টি চারে ২৪ বলে ১২ রান করা মুশফিকের।  অফ-স্ট্যাম্পে করা পরের  ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হন আফিফ। ১ বল খেলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত খালি হাতে ফিরেন তিনি।
১৯তম ওভারে ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে মহাচাপে পড়ে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় পরিস্থিতির সাথে দ্রুত মানিয়ে নিয়ে বাংলাদেশের রানের চাকা সচল করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও আগের ম্যাচের হিরো মেহেদি হাসান মিরাজ। ২৪তম ওভারে ১শ ও ৩৬তম ওভারে দলের রান দেড়শ পূর্ণ করেন তারা। স্বাচ্ছন্দ্যে উইকেটের চারপাশ থেকে রান তুলেছেন মাহমুদুল্লাহ-মিরাজ জুটি। বাহারি সব শটে বলকে সীমানা ছাড়াও করেছেন তারা।
৩৮তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তৃতীয় ও ভারতের বিপক্ষে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান  মিরাজ। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি  পুর্ন করেন তিনি। ৪০তম ওভারে জুটিতে ১শ পূর্ণ হয় মিরাজ ও মাহমুদুল্লাহর।
পরের ওভারে ৭৪তম বলে ২১৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৭তম ও ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মাহমুদুল্লাহ। ৪৫তম ওভারে বাংলাদেশের রান ২শ স্পর্শ করে।
অবশেষে ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ২১৭ রানে মাহমুদুল্লাহ-মিরাজ জুটি ভাঙ্গতে পারে ভারত। মালিকের বলে আপার কাট শট মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মাহমুদুল্লাহ।
খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলে সপ্তম উইকেটে মিরাজের সাথে ১৬৫ বলে ১৪৮ রান যোগ করেন মাহমুদুল্লাহ। ভারতের বিপক্ষে যেকোন উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। ৭টি চারে ৯৬ বলে ৭৭ রান করেন মাহমুদুল্লাহ।  
মাহমুদুল্লাহ’র আউটের পর অষ্টম উইকেটে ২৩ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৪ রান তুলে দলকে শক্তপোক্ত সংগ্রহ এনে দেন মিরাজ ও নাসুম আহমেদ। ৭ উইকেটে ২৭১ রান করে টাইগাররা।
ইনিংসের শেষ ওভারে ২টি ছক্কায় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগান মিরাজ। শেষ বলে ১ রান নিয়ে ৬৬ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করেন মিরাজ। টেস্টেও ১টি সেঞ্চুরি রয়েছে মিরাজের। ৮৩ বল খেলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কায় অপরাজিত ১০০ রান করেন মিরাজ। ২টি চার ও ১টি ছয়ে ১১ বলে অপরাজিত ১৮ রান করেন নাসুম। ভারতের সুন্দর ৩টি, সিরাজ ও মালিক ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ২৭২ রানের জবাবে খেলতে নেমে  অধিনায়ক রোহিত শর্মার  আঙুলের ইনজুরির কারণে  ধাওয়ানের সাথে ইনিংস শুরু করেন কোহলি। দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশী  পেসার এবাদত হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ৫ রানে থামেন কোহলি। পরের ওভারে ধাওয়ানকে ৮ রানে থামান মুস্তাফিজুর রহমান। ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে ভারত।
দশম ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসেই উইকেট শিকার করেন সাকিব। চার নম্বরে নামা সুন্দরকে ১১ রানে বিদায় দেন তিনি।
উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। মিরাজের বলে লেগ বিফোর হয়ে ১৪ রানে আউট হন তিনি।
৬৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ভারত।তবে পঞ্চম উইকেটে জুটি বেঁধে ভারতকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা শুরু করেন শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল। বাংলাদেশ বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলে  এ জুটি।
আইয়ার-প্যাটেলের জুটিতে ৩২তম ওভারে ভারতের রান দেড়শ স্পর্শ করে। এই জুটি ভাঙতে বারবার বোলিং পরিবর্তন করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন। অবশেষে ৩৫তম ওভারে আইয়ার-প্যাটেল জুটি ভাঙেন মিরাজ। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০২ বলে ৮২ রান করা  আইয়ার শিকার হন মিরাজের। প্যাটেলের সাথে জুটি বেঁধে ১০১ বলে ১০৭ রান যোগ করেন  আইয়ার।
আইয়ারের পর প্যাটেলকে বিদায় দেন এবাদত। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৬ বলে ৫৬ রান করেন তিনি।
এরপ শারদুলকে ৭ রানে সাকিব ও চাহারকে ১১ রানে আউট করেন এবাদত। আঙুলের ব্যান্ডেজ নিয়ে নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত। এবাদতের করা ৪৬তম ওভারে ২টি ছক্কা ও ১টি চারে ১৮ রান তুলেন রোহিত। ৪৮তম ওভারে মেডেন নেন মুস্তাফিজ। স্ট্রাইকে ছিলেন সিরাজ। শেষ ২ ওভারে ৪০ রান দরকার পড়ে ভারতের।  
মাহমুদুল্লাহর করা ৪৯তম ওভারে দু’বার রোহিতের ক্যাচ ফেলেন এবাদত ও বিজয়। তারপরও ঐ ওভারে রোহিতের দুই ছক্কায় ২০ রান পায় ভারত। ওভারের শেষ বলে সিরাজ বোল্ড হন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ২০ রান দরকার পড়ে ভারতের।
মুস্তাফিজের করা শেষ ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ১৪ রান নেন রোহিত। শেষ বলে ৬ রান দরকার পড়ে ভারতের। শেষ বল ডট দেন ফিজ। ৩টি চার ও ৫টি ছক্কায় ২৮ বলে অপরাজিত ৫১ রান করেন রোহিত। বাংলাদেশের এবাদত ৩টি, মিরাজ-সাকিব ২টি করে উইকেট নেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।
স্কোর কার্ড :
বাংলাদেশ ইনিংস :
এনামুল হক বিজয়  এলবিডব্লু ব সিরাজ ১১
লিটন বোল্ড ব সিরাজ ৭
শান্ত বোল্ড ব মালিক ২১
সাকিব ক ধাওয়ান ব সুন্দর ৮
মুশফিক ক ধাওয়ান ব সুন্দর ১২
মাহমুদুল্লাহ ক রাহুল ব মালিক ৭৭
আফিফ বোল্ড ব সুন্দর ০
মিরাজ অপরাজিত ১০০
নাসুম অপরাজিত ১৮
অতিরিক্ত (বা-১, লে বা-৩, নো-২, ও-১১) ১৭
মোট (৭ উইকেট, ৫০ ওভার) ২৭১
উইকেট পতন : ১/১১ (এনামুল), ২/৩৯ (লিটন), ৩/৫২ (শান্ত), ৪/৬৬ (সাকিব), ৫/৬৯ (মুশফিক), ৬/৬৯ (আফিফ), ৭/২১৭ (মাহমুদুল্লাহ)।
ভারত বোলিং :
চাহার : ৩-০-১২-০,
সিরাজ : ১০-০-৭৩-২ (ও-৪, নো-১),
শারদুল : ১০-১-৪৭-০ (ও-২),
মালিক : ১০-২-৫৮-২ (ও-১, নো-১),
সুন্দর : ১০-০-৩৭-৩,
প্যাটেল : ৭-০-৪০-০।
ভারত ইনিংস :
কোহলি বোল্ড ব এবাদত ৫
ধাওয়ান ক মিরাজ ব মুস্তাফিজ ৮
আইয়ার ক আফিফ ব মিরাজ ৮২
সুন্দর ক লিটন ব সাকিব ১১
রাহুল এলবিডব্লু ব মিরাজ ১৪
প্যাটেল ক সাকিব ব এবাদত ৫৬
শারদুল স্টাম্প মুশফিক ব সাকিব ৭
চাহার ক শান্ত ব এবাদত ১১
রোহিত অপরাজিত ৫১
সিরাজ বোল্ড ব মাহমুদুল্লাহ ২
মালিক অপরাজিত ০
অতিরিক্ত (বা-৪, লে বা-২, নো-২, ও-১১) ১৯
মোট (৯ উইকেট, ৫০ ওভার) ২৬৬
উইকেট পতন : ১/৭ (ধাওয়ান), ২/১৩ (রোহিত), ৩/৩৯ (কোহলি), ৪/৬৫ (আইয়ার), ৫/১৭২ (সুন্দর), ৬/১৮৯ (প্যাটেল), ৭/২০৭ (শারদুল), ৮/২১৩ (চাহার), ৯/২৫২ (সিরাজ)।
বাংলাদেশ বোলিং :
মিরাজ : ৬.১-০-৪৬-২ (নো-২),
এবাদত : ১০-০-৪৫-৩ (ও-২),
মুস্তাফিজুর : ১০-১-৪৩-১ (ও-১),
নাসুম : ১০-০-৫৪-০ (ও-৩),
সাকিব : ১০-১-৩৯-২ (ও-১),
মাহমুদুল্লাহ : ৩.৫-০-৩৩-১ (ও-১)।
ফল : বাংলাদেশ ৪ রানে জয়ী।
সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ কোরিয়াকে বিধ্বস্ত করে কোয়ার্টার ফাইনালে নেইমারের ব্রাজিল
                                  

দক্ষিণ কোরিয়াকে বিধ্বস্ত করে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। এর মাধ্যমে ১৯৯০ পর বিশ্বকাপের সবগুলো আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে ব্রাজিল।
আজ শেষ ষোলর  ম্যাচে ব্রাজিল ৪-১ গোলে হারিয়েছে এশিয়ার দল  দক্ষিণ কোরিয়াকে। ম্যাচের ৩৬ মিনিটের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে এক হালি গোল দিয়ে ম্যাচ জয়ের পথ নিশ্চিত করে  ব্রাজিল।
ব্রাজিলের পক্ষে গোল চারটি করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, নেইমার, রিচার্লিসন ও লুকাস পাকুয়েটা। দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষে একমাত্র গোলটি আসে পাইক সেয়াং-হোর পা থেকে।
দোহার ৯৭৪ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নেইমার ও ডানিলোকে নিয়েই খেলতে নামে ব্রাজিল। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে গোড়ালির ইনজুরিতে পড়েছিলেন তারা। নেইমার-ডানিলোকে পেয়ে যেন উজ্জীবিত হয়ে উঠে ব্রাজিল। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক খেলতে থাকে দক্ষিণ আমেরিকার দলটি। ১৩ মিনিটের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার জালে ব্রাজিলের ২ গোল।
সপ্তম মিনিটে ডান-প্রান্ত দিয়ে আক্রমন রচনা করেন রাফিনহা। দক্ষিণ কোরিয়ার বক্সের ভেতর প্রবেশ করে বাঁ-দিকে পাস দেন তিনি। বক্সের ভেতর মাঝের দিকে থাকা  নেইমার-রিচার্লিসন বলের নাগাল পাননি । এতে বল চলে যায় পেছনে থাকা স্ট্রাইকার ভিনিসিয়াস জুনিয়রের কাছে। বলকে থামিয়ে সময় নিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন ভিনিসিয়াস(১-০)
এরপর ওপেনাল্টি থেকে ১৩ মিনিটে গোলের ব্যবধান দ্বিগুন করে ব্রাজিল। ডি বক্সের ভেতরে রিচার্লিসনকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ব্রাজিল। বলে শট নিতে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার মিডফিল্ডার জুং উ-ইয়ংয়ের পা রিচার্লিসনের পায়ে লাগায় পেনাল্টির নির্দেশ দেন  রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্রাজিলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন দলের সেরা তারকা নেইমার। যা ছিল এবারের  বিশ^কাপে নেইমারের  প্রথম গোল। এই গোলের মাধ্যমে   করে অনন্য এক নজির গড়েছেন নেইমার।
ব্রাজিলের তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপের ভিন্ন তিনটি আসরে গোল করলে নজির সৃস্টি করেন নেইমার। ২০১০ আসরে না পররলেও  ২০১৪ এবং ২০১৮ বিশ্বকাপের পর এবার বিশ্বকাপে  গোল করলেন নেইমার। নেইমারের আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন তারই দেশের দুই দুই কিংবদন্তী  পেলে ও রোনালদো।
এই গোলের মাধ্যমে কিংবদন্তি পেলের ঘাড়ে এখন  নিশ্বাস খেলছেন   নেইমার। ব্রাজিলের জার্সিতে পেলের গোল সংখ্যা ৭৭, নেইমারের ৭৬।  
২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও ক্ষান্ত হয়নি ব্রাজিল। বরং  দক্ষিণ কোরিয়াকে আরো চেপে ধরে  ।  তবে এরমাঝেও গোলের জন্য মরিয়া ছিলো দক্ষিণ কোরিয়া। ১৭ মিনিটে ব্রাজিলের গোলরক্ষক এ্যালিসনের দৃঢ়তায় নিশ্চিত গোল বঞ্চিত হয় দক্ষিণ কোরিয়া। ২৫ গজ দূর থেকে বাতাসে ভাসানো শট নিয়েছিলেন মিডফিল্ডার হুয়াং হি-চান। তার শট বাঁ-দিকে ঝাপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন এ্যালিসন।
 তবে পাল্টা আক্রমন থেকে ২৯ মিনিটে আবারও গোলের আনন্দে মেতে উঠে ব্রাজিল। গোলটি ছিলো চমৎকার ওয়ান-টু-ওয়ান পাসে। ডি বক্সের বাইরে থেকে মার্কুইনহোসকে পাস দিয়ে ভেতরে ঢুকেন পড়েন রিচার্লিসন। মার্কুনইহোসের কাছ থেকে বল পান থিয়াগো সিলভা। ততক্ষণ দক্ষিণ কোরিয়ার বক্সের ভেতর ফাকাঁয় রিচার্লিসন। তাকে উদ্দেশ্য করে বল দেন থিয়াগো সিলভা। বলকে ডান পায়ে থামিয়ে বাঁ-পায়ের শটে গোল করেন রিচার্লিসন(৩-০)।
৩-০ গোলের ব্যবধানে  এগিয়ে থেকেও আক্রমনাত্মক খেলা অব্যাহত রাখে  ব্রাজিল। গোলের ক্ষুধা ফুটে উঠে সাম্বার ছন্দময় ফুটবলে। এরপর  চতুর্থ গোল পেতেও বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বক্সের ভেতর ঢুকে সময়ক্ষেপন না করে ক্রস করেন প্রথম গোলের মালিক ভিনিসিয়াস। উড়ে আসা বলে ডান-পায়ের শটে দক্ষিণ কোরিয়ার গোলরক্ষক কিম সেয়াং-গাইয়ুকে বোকা বানান মিডফিল্ডার লুকাস পাকুয়েটা(৪-০)। দক্ষিণ কোরিয়ার জালে এক হালি গোল পূর্ণ করে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ করে ব্রাজিল।
প্রথমার্ধ শেষে ৪-০ গোলে এগিয়ে ব্রাজিল। এতে ফিরে আসে ১৯৫৪ সালের স্মৃতি। সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত  ঐ আসরে মেক্সিকোর বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিলো ব্রাজিল। ৬৮ বছর পর বিশ^কাপের মঞ্চে ম্যাচে প্রথমার্ধেই প্রতিপক্ষের জালে এক হালি গোল দেয়ার নজির গড়লেন নেইমার- রিচার্লিসনরা। প্রথমার্ধে ৫৭ শতাংশ বল দখলে রেখেছে ব্রাজিল।
বিরতির পর প্রথম আক্রমনেই গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে দক্ষিণ কোরিয়া। ডিফেন্ডার কিম ইয়ং-গুনের অ্যাসিস্ট থেকে শট নিয়েছিলেন মিডফিল্ডার সন হেয়াং-মিন।  কিন্ত সেটি  আটকে দেন ব্রাজিলের গোলরকক্ষক এ্যালিসন।
এরপর ৬৮ মিনিটেও একবার  দক্ষিণ কোরিয়াকে গোল বঞ্চিত করেন এ্যালিসন। ব্রাজিলের বক্সের জটলার মধ্যে গোলমুখে শট নিয়েছিলেন মিডফিল্ডার হুয়াং হি-চান। ডান-দিকে ঝাপিয়ে সেই শট রুখে দেন এ্যালিসন।
তবে ৭৬ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রথম গোলের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করতে পারেননি এ্যালিসন। ফ্রি-কিক থেকে  উড়ে আসা একটি বল বক্সের বাইরে পেয়ে যান মিডফিল্ডার পাইক সেয়াং-হো। প্রায় ২০ গজ থেকে দূরপাল্লার দুর্দান্ত বলকে ব্রাজিলের জালে পাঠান পাইক(১-৪)। ব্যবধান ৪-১ করে দক্ষিণ কোরিয়া।
শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলেই ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। ম্যাচ জয়ের পর ব্রাজিলের কিংবদন্তি পেলের ছবি নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন নেইমার-ভিনিসিয়াস-রিচার্লিসনরা।
কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ  জাপানকে হারানো  ক্রোয়েশিয়া।

রূপকথা লিখে দ্বিতীয় রাউন্ডে কোরিয়া
                                  

কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে রোনালদোরা হেরেছে ২-১ গোলে। দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে গোল করেছেন কিম ইউং ওন ও হুয়াং হে চান। পর্তুগালের হয়ে গোল করেছেন রিকার্ডো হোর্তা।

এদিন শুরুতে আক্রমণে যায় ফার্নান্দো সান্তোসের শিষ্যরা। এর ফলও তারা পেয়ে যায় ম্যাচের ৫ মিনিটের মাথায়। এ সময় দৃষ্টিনন্দন এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন রিকার্ডো হোর্তা। অবশ্য গোলটি তৈরির প্রধান কারিগর দিয়োগো দালত। লম্বা পাস টেনে নিয়ে হোর্তাকে বল বাড়িয়ে দেন দালত। বল জালে জড়াতে ভুল করেননি হোর্তা।

ম্যাচের ২৫তম মিনিটে স্কোরলাইন বড় করার সুযোগ নষ্ট করে পর্তুগাল। উল্টো ২ মিনিট পরই সমতায় ফেরে দক্ষিণ কোরিয়া। পর্তুগাল রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগেই গোলটি করেন কিম ইউং ওন। ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে সুযোগ নষ্ট করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ভিতিনহার বাড়ানো বল হেডে রিসিভ করে জালে জড়াতে পারেননি সিআরসেভেন।

বিরতি থেকে ফিরেই আক্রমণে গিয়েছিল পর্তুগাল। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার জালে যথাযথ শট নেওয়ার আগেই সহযোগী রেফারি অফসাইডের পতাকা তুলেন। ৬৫ মিনিটে একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনে পর্তুগাল। এ সময় উঠিয়ে নেওয়া হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও। তার বদলে মাঠে নামেন আন্দ্রে সিলভা।

৭০ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। কিম জিন সুর কাছ থেকে ফাঁকায় বল পান সন হিয়ং মিন। কিন্তু তার নেয়া শট ফিরিয়ে দেন পর্তুগালের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় জোয়াও ক্যান্সেলো।

ক্যাসিমিরোর দুর্দান্ত গোলে দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিল
                                  

কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার সাথে জয়ে কিছুটা স্বস্তিতে ছিল ব্রাজিল। কিন্তু নেইমার ও দানিলোর ইনজুরিতে চিন্তার ভাঁজ কোচ তিতের কপালে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তাই অনুমিতভাবেই দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। আর নেইমার বিহীণ এ ম্যাচে শিঙ্কা ছিল ভ্রাজিল সমর্থকদের মনেও।

 অবশেষে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিল চিন্তামুক্ত করলো কাসেমিরো। ডান পায়ের দুরন্ত শটে ভাঙল সুইস রক্ষণ। গোল করে দলকে মূল্যবান ৩ পয়েন্ট এনে দেন তিনি। এই জয়ের পরে দু’ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ জি-র শীর্ষে ব্রাজিল। `জি` গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যাসিমিরোর একমাত্র গোলে সুইজাল্যান্ডকে হারিয়ে নক আউটে চলে গেল পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

সোমবার কাতারের ১৯৭৪ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শক্তিশালী ব্রাজিলের মুখোমু্খি হয় সুইজারল্যান্ড। ম্যাচের শুর থেকে দারুণ আধিপত্য বজায় রেখে পাওয়ার ফুটবল উপহার দেয় দু`দল।

প্রথমার্ধে কোনও দলই গোলমুখ খুলতে পারেনি। তবে ম্যাচের ২৬ মিনিটের মাথায় রাফিনহোর ক্রস থেকে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন ভিনিসিয়াস। তার হেড বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক সোমের। ব্রাজিলের খেলায় অন্তত প্রথমার্ধে আগের দিনের মতো ধার ছিল না। নেইমার না থাকায় ব্রাজিলের রোমিং ফুটবলারের ভূমিকাটা পালন করতে পারছিলেন না ফ্রেড।

বিরতি থেকে ফিরে শুরুতেই লুকাসকে তুলে নিয়ে রদ্রিগোকে নামান কোচ তিতে। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ভিনিসিয়াস প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ালেও ভার প্রযুক্তি নিশ্চিত করে, রিচার্লিসন সক্রিয়ভাবে ছিলেন অফ সাইড পজিশনে। সরে এলেও রক্ষা পাননি। আগের দিন জোড়া গোলের নায়ক রিচারলিসন একটি হাফ চান্স পেয়েছিলেন। কিন্তু সঠিক সময়ে পা বাড়াতে না পারার কারণে গোল হয়নি।

রিচারলিসনকে তুলে নিয়ে গ্যাবরিয়েল জেসুস এবং এন্টনিকে নামানো হয়। সুইস ডিফেন্সকে প্রান্তিক আক্রমণ দিয়ে স্ট্রেচ করার চেষ্টা করল ব্রাজিল। ৮৩ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পেয়ে গেল ব্রাজিল। ভিনির পা হয়ে অ্যান্টনির একটি ফ্লিক রিসিভ না করেই দুর্দান্ত শটে জালে পাঠালেন ক্যাসেমিরো। গোলরক্ষক শুধু দেখলেন। বিশ্বকাপে শেষ ষোল নিশ্চিত করে ফেলল সাম্বা বাহিনী।

চার বিশ্বকাপজয়ী জার্মানিকে হারিয়ে চমক জাপানের
                                  

চারবারের বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানিকে হারিয়ে চমক দেখালো জাপান। ফুটবল পরাশক্তি জার্মানির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পায় এশিয়ার এই দলটি। প্রথমার্ধে জার্মানি ১ গোলে এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধের ৭৫ মিনিটে গোল পরিশোধ করে জাপান। পরে ৮৪ মিনিটের মাথায় জার্মান দুর্গ কাঁপিয়ে আরও এক গোল করে এগিয়ে যায় এশিয়ার এ দলটি। কাতার বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চারবার বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামে জাপান। খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় এ লড়াই। পরপর দু’দিন বড় অঘটন দেখলো এবারের বিশ্ব। এবার জার্মানি ২-১ গোলে হেরে গেলো জাপানের কাছে। জাপানের প্রত্যাবর্তনের গল্পটা আর্জেন্টিনা-সৌদি আরবের ম্যাচের মতোই। পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যাওয়া আর্জেন্টিনার বিপক্ষে যেভাবে দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল দিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল সৌদি আরব, ঠিক একইভাবে জিতলো জাপানও।

 

ইকুয়েডর-কাতার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল
                                  

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বিশ্বকাপ। কাতারের আল-খোরের আল-বায়াত স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে গ্রুপ-এ’র দুই দল ইকুয়েডুর ও স্বাগতিক কাতার। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এর মাধ্যমে শুরু হয়ে যাবে মাসব্যপী বিশ্বকাপের জমাট লড়াই। 
এই প্রথমবারের মত মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশ হিসেবে কাতারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ^কাপ। বিশ^কাপে কাতারের এটি প্রথম অংশগ্রহণ। স্বাগতিক হিসেবে কাতার সরাসরি বিশ^কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জণ করেছে। 
অন্যদিকে আট বছর অনুপস্থিত থাকার পর বিশ^কাপে ফিরেছে ইকুয়েডর। কাগজে কলমে কাতারের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে ইকুয়েডর। যে কারনে ম্যাচটিতে জয়ের সম্ভাবনায়ও এগিয়ে রয়েছে সফরকারীরা। দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে কঠিন চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে ইকুয়েডর চতর্থ স্থান লাভ করেছিল। ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে বাজিকরদেও কাছে ৭/৫ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ইকুয়েডর। 
কিন্তু স্বাগতিক হিসেবে ঘরের মাঠের বাড়তি সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগাতে কাতারও প্রস্তুত। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে এ পর্যন্ত কোন স্বাগতিক দল পরাজিত হয়নি। ইতিহাস এদিক থেকে কিছুটা হলেও কাতারের পক্ষে রয়েছে। ১৯৭৮ সালের পর বিশ^কাপে উদ্বোধনী কোন ম্যাচ গোলশুন্য ভাবে শেষ হয়নি। কাতার এ পর্যন্ত টানা পাঁচ ম্যাচে অপরাচিজত রয়েছে। সেপ্টেম্বরে চিলির সাথে ২-২ গোলে করার পর একে একে কাতার হারিয়েছে গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, পানাম ও আলবেনিয়াকে। এসবই কাতারকে বাড়তি আত্মবিশ^াস যোগাচ্ছে। 
গত পাঁচ বছর ধরে স্প্যানিশ কোচ ফেলিক্স সানচেজ বাসের অধীনে কাতার নিজেদের ধীরে ধীরে প্রস্তুত করেছে। এত বড় আসরে অতীতে খেলার অভিজ্ঞতা না থাকায় অনেক কিছুতেই তাদের মানিয়ে নেয়াটাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। গ্রুপ-এ’র অপর দুটি দল হচ্ছে সেনেগাল ও নেদারল্যান্ড। কাতারের লক্ষ্য স্বাগতিক হিসেবে নিজেদের সেরাটা দিয়ে যতটা সম্ভব সবাইকে আকৃষ্ট করা, ভাল খেলা উপহার দেয়া।
আফ্রিকান নেশন্স াকপ বিজয়ী সেনেগাল ও ২০১০ বিশ^কাপের ফাইনালিস্ট নেদারল্যান্ডকে মোকাবেলা করা বিশে^ও ৫০তম র‌্যাঙ্কধারী দলটির পক্ষে কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়। কিন্তু অক্টোবরের চারটি প্রীতি ম্যাচের জয় কাতারকে দারুন আত্মবিশ^াসী করে তুলেছে। শেষ ম্যাচে আলবেনিয়ার বিপক্ষে একমাত্র গোলটি করেছিলেন তারকা স্ট্রাইকার আলমোয়েজ আলি। দেশের হয়ে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৪২ গোল করেছেন আলি। 
২০০২ সালে ঐ সময়কার চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে সেনেগাল উদ্বোধনী ম্যাচে অভিষিক্ত দল হিসেবে যে রেকর্ড গড়েছিল তার পুনরাবৃত্তি করতে চায় কাতার। একইসাথে বিশ^কাপে দ্বিতীয় স্বাগতিক হিসেবে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়ে ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ডটা স্পর্শ করতে চায়না মেরুনরা। কালকের ম্যাচে জয়ী হতে পারলে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)’র একমাত্র দেশ হিসেবে বিশ^কাপে কোন ম্যাচে জয়ে ইতিহাস গড়বে কাতার। 
বল মাঠে গড়নোর আগে বিশ^ জুড়ে অভিবাসী শ্রমিকদের নায্য পাওনাসহ অন্যান্য আরো কিছু ইস্যুতে কাতারকে নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। তবে পাশাাশি অবৈধ খেলোয়াড় বাছাইর্বে খেলানোর অভিযোগে ইকুয়েডরও সমালোচনার জন্ম দেয়। যদিও শেষ পর্যন্ত ঐ অভিযোগের কোন সত্যতা মিলেনি। এর আগে ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৪ সালে তিনবার বিশ^কাপে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে ইকুয়েডর প্রথম থেকেই এগিয়ে যেতে চায়। ১৬ বছর আগে তারা শেষ ১৬’তে গিয়েছিল, বাকি দুটি আসর গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। 
বিশ^কাপের আগে প্রীতি ম্যাচে খেলঅ পাঁচটি ম্যাচের কোনটিতেই কোন গোল হজম করেনি ইকুয়েডর। শনিবার সর্বশেষ ইরাকের বিপক্ষে গোলশুন্য ড্র করেছে। দুই বছর আগে দলের দায়িত্ব পাওয়া আর্জেন্টাইন কোচ গুস্তাভো আলফারোর অধীনে এভাবেই পুরো ইকুয়েডর বিশ^কাপের আগে আত্মবিশ^াস বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। 
কাতার এর আগে তিনবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলেছে যার মধ্যে একটিতে জয়, একটি ড্র ও একটি পরাজিত হয়েছে। আলবেনিয়ার বিপক্ষে শেষ প্রীতি ম্যাচে এ্যাটাকার আহমেদ আয়েলদিন ইনজুরিতে পড়ে ২৬ মিনিটে মাঠ ছাড়েন। এই একটি ইনজুরি ছাড়া আপাতত কোন ঝুঁকি নেই কাতার শিবিরে। যদিও কাতারের মেডিকেল টিম আশ্বস্থ করেছন আয়েলদিনের ইনজুরি ততটা গুরুতর নয়।

বৃষ্টি না হলে ম্যাচটা বাংলাদেশই জিততো’
                                  

আক্ষেপ ও অভিযোগ নিয়ে ভারতের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ। ৫ রানের জন্য জয় না পেলেও চোখ জুড়ানো ব্যাটিং দেখিয়েছেন লিটন কুমার দাস। ছন্দময় ব্যাটিংয়ে ভারতীয় বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে ফেলেছিলেন টাইগার ওপেনার। আর এখান থেকেই ভারতীয় বোলারদের শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ দিলেন সুরেশ রায়না। ভারতের সাবেক ক্রিকেটারের ভাষ্য, সেমি কিংবা ফাইনালে ভালো পারফর্ম করতে চাইলে বোলিংয়ে আরো উন্নতি করতে হবে আর্শদীপ-ভুবনেশ্বরদের। ভারতের দেয়া টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ভুবনেশ্বর কুমারের করা প্রথম ওভারে ২ রান নেয় বাংলাদেশ। পরের দুই ওভারে তাণ্ডব চালান লিটন দাস। হাঁকান ৬টি বাউন্ডারি। ভারতীয় পেসার আর্শদীপ সিংয়ের করা দ্বিতীয় ওভারে তিনটি চার হাঁকান টাইগার ওপেনার। তৃতীয় ওভারে ভুবনেশ্বরের বলে ফের ১ ছক্কা ও ২টি চার হাঁকান লিটন। যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ভারতীয় বোলারদের বেধড়ক পিটিয়েছেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ২৭ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রান করেন টাইগার ওপেনার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘আজতক’-এ দেয়া সাক্ষাৎকারে সুরেশ রায়না বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে লড়াই করেছে, বৃষ্টি না হলে ম্যাচটা তাদের নাগালেই ছিল। প্রথম ৭ ওভারে ভারতের বোলিং (উইকেটের) চারপাশেই মার খেয়েছে। যেটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষা।’  রায়না বলেন, ‘আমরা হয়তো জিতেছি, তবে রোহিত শর্মাও কিন্তু ম্যাচশেষে স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশ আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে।’  তবে উল্টো মত ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দর শেওয়াগের। বরাবরের মতোই অশোভন মন্তব্য তার। সাবেক ব্যাটসম্যান শেওয়াগের বক্তব্য, বৃষ্টি একরকম বাঁচিয়েই দিয়েছে বাংলাদেশকে। এটা না হলে হারের ব্যবধান আরও বড় হতো।   ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের এক অনুষ্ঠানে শেওয়াগ বলেন, ‘সবকিছুই মরার আগে ওড়ে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে (পাওয়ার প্লেতে)। সব প্রদীপই একসময় নিভে যায়। আর এটাই হয়েছে। তারা চার রানে (আসলে পাঁচ) হেরেছে শুধুমাত্র বৃষ্টির কারণে, নয়তো ৪০ রানে হারতো। 

মাহমুদউল্লাহকে ছাড়াই বিশ্বকাপ দল
                                  

দেশের ক্রিকেটে এখন আলোচনার বিষয় কেমন হচ্ছে টি২০ বিশ্বকাপ দল। সে কৌতূহল মেটাতে আজ দুপুরে দল ঘোষণা করবে বিসিবি। ততক্ষণ পর্যন্ত সমর্থকদের মনে অনেক প্রশ্ন উঁকি দেওয়া স্বাভাবিক। বিশেষ করে বিশ্বকাপ দলে মাহমুদউল্লাহর থাকা না থাকা নিয়ে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গতকাল সংবাদ সম্মেলনে যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে মাহমুদউল্লাহর থাকার সম্ভাবনা কম। দল ঘোষণার আগে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু কথা বলবেন বলে জানান একজন পরিচালক। এ থেকেও একটা বিষয় পরিস্কার- বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় মাহমুদউল্লাহ হয়তো নেই। ১৫ জনের স্কোয়াডে নেওয়া হলে প্রধান নির্বাচকের কথা বলার প্রয়োজন হতো না। শেষ মুহূর্তে নাটকীয় কিছু না ঘটলে মাহমুদউল্লাহকে ছাড়াই দেখা যেতে পারে টি২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াড।

৫৩ রান, ৫৫ মিনিট, ১৯ ওভার, ২ বোলার
                                  

টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। আগের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ছিল ২০০৭ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬২। সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি হয়েছিল ২০১৮ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগায় ৪৩। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর এটিই। আগের সবচেয়ে কম ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় সবশেষ সফরে, পচেফস্ট্রমে ৯০।
১৯২৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৫ টেস্ট হয়েছে ডারবানের কিংসমিড স্টেডিয়ামে। সবচেয়ে কম দলীয় সংগ্রহ বাংলাদেশের এই ৫৩। আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৯৯৬ সালে ভারতের ৬৬।

১৯ ওভারেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের সবচেয়ে ক্ষণস্থায়ী ইনিংসের রেকর্ড হয়নি একটুর জন্য। ২০১৮ সালে অ্যান্টিগায় ৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পথে দলটি খেলেছিল ১৮.৪ ওভার। চতুর্থ ইনিংসে এর আগে সবচেয়ে কম স্থায়ী ইনিংস ছিল ২০১৮ সালে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ২৯.৩ ওভার।

 ১২টেস্টে ১২ বার ১০০ রানের নিচে অলআউট বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অভিষেকের পর টেস্টে সবচেয়ে বেশিবার ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশই। এই সময়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ বার ১০০ রানের নিচে অলআউট পাকিস্তান।

১ম
বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা দ্বিতীয় টেস্টে পেয়ার বা জোড়া শূন্য পেলেন খালেদ আহমেদ। টেস্টে একাধিকবার জোড়া শূন্য পাওয়া সপ্তম বাংলাদেশি খালেদ। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনবার জোড়া শূন্য মঞ্জুরুল ইসলামের।


টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা তিনবার ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছেন, তিনবারই ডারবানে। প্রথমবার ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথম ইনিংসে টাফটি মান (৬/৫৯) ও অ্যাথল রোয়ান (৪/১০৮) মিলে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট।


এশিয়ার বাইরে এই প্রথম বাংলাদেশের ইনিংসের ১০টি উইকেটই পেলেন প্রতিপক্ষের স্পিনাররা। সব মিলিয়ে টেস্টে পাঁচবার বাংলাদেশ স্পিনারদের ১০ উইকেট দিয়েছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করেছেন শুধু কেশব মহারাজ ও সাইমন হারমার। টেস্টে এই প্রথম মাত্র দুজন বোলার ব্যবহার করেই প্রতিপক্ষকে অলআউট করল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশও এমন কিছুর ভুক্তভোগী হলো এই প্রথম।

২৮
প্রতিপক্ষ অলআউট হয়েছে, এমন ইনিংসে মাত্র দুজনের বোলিং করার ২৮তম উদাহরণ গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।


দক্ষিণ আফ্রিকার কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মার দুই প্রান্ত থেকে বোলিং করেই শেষ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ইনিংস। মহারাজের শিকার ৭ উইকেট, হার্মারের ৩। দুই বোলার দিয়েই পূর্ণাঙ্গ ইনিংসের ইতি টেস্ট ক্রিকেটে এবার নিয়ে হলো ২৮ বার। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে হলো এবারই প্রথম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ বার হলেও তারা নিজেরা করতে পারল প্রথমবার।

৭২ বছর পর এক ইনিংসে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের সবকটি স্পিন দিয়ে নিতে পারল দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের ইতিহাসে এটি তারা আগে পেরেছে মাত্র দুইবার। প্রথমবার ছিল ১৯৪৮ সালে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। দ্বিতীয়টি ১৯৫০ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আগের দুইবারও ছিল ডারবানেই!

৭/৩২প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য কেশভ মহারাজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন ৩২ রানে। বাঁহাতি স্পিনে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। আগের সেরা ছিল শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথের। ২০১৩ সালে কলম্বোয় তিনি ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ৮৯ রানে।

১২
দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই নিয়ে টেস্টে ১২ বার শূন্য রানে আউট হলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। স্পর্শ করলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে এই দুজনের চেয়ে বেশিবার শূন্যতে ফিরেছেন কেবল মোহাম্মদ আশরাফুল, ১৬ বার। খালেদ মাসুদ, মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহর এই অভিজ্ঞতা হয়েছে ১১ বার করে। দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি ৮ বার শূন্য রানে বিদায় নিয়েছেন সাবেক পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম, ৭ বার করে মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহ।

জয়ের আশায় বাংলাদেশ শুরু করেছিল টেস্ট। জয়ের আশাতেই শুরু হয়েছিল শেষ দিন। কিন্তু প্রথম ওভার থেকেই দুঃস্বপ্নের শুরু। ৫৫ মিনিটের ঝড়ে সব শেষ ধুলিস্যাৎ। ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২২০ রানের পরাজয়ে শুধু সিরিজেই পিছিয়ে পড়েনি বাংলাদেশ, ব্যাটিং ব্যর্থতায় রেকর্ড বইয়ের অনাকাক্সিক্ষত কয়েকটি পাতায়ও উঠে গেছে তাদের নাম

খেলাধুলার জন্য ড্যাপে প্রয়োজনীয় মাঠ রাখা হয়েছে : তাজুল
                                  

রাজধানীকে কেন্দ্র করে ঢাকা ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান-ড্যাপসহ যে সকল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে, সেসব পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় খেলার মাঠের স্থান রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ‘ঢাকা মেয়র কাপ আন্তঃওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২২’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।

 

তাজুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে খেলার জন্য যত মাঠ দরকার তা পূরণের জন্য ঢাকার দুই সিটি করর্পোরেশনের মেয়ররা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দুই মেয়র যেখানেই সুযোগ পাচ্ছেন ছোট পরিসর হলেও ছেলে-মেয়েদের জন্য নতুন নতুন খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে খেলার মাঠ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লিনিক-হাসপাতালসহ নগরবাসীর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সকল ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সঙ্গে নিয়ে এ ধরনের একটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করায় দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মের শারীরিক, মানসিক এবং সাংস্কৃতিক বিকাশের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। তাই যেখানেই খোলা জায়গা থাকবে সেখানেই খেলার মাঠ সৃষ্টিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

 

তিনি বলেন, শুধু আবাসিক ভবন করলেই হবে না, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, হাসপাতাল, বাজার, জলাশয় এবং সবুজায়নের জন্য প্রয়োজনীয় গাছ-পালা দরকার। এসব কিছু মাথায় রেখে একটি পরিকল্পিত নগরী গড়ার জন্য সরকার অঙ্গিকারাবদ্ধ।

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস আগামীতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ঢাকার ছেলেরা নেতৃত্ব দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেকটি ওয়ার্ডেই জায়গা চিহ্নিত করছি, খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টি করছি এবং সেগুলোকে খেলার মাঠ হিসেবে উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। আমি চাই, আমাদের সন্তানেরা আবার ক্রীড়ামুখী হোক, খেলাধুলায় ফিরে আসুক। আমাদের এই আয়োজনের মাধ্যমেই আগামীতে ঢাকার ছেলেরা ফুটবলে, ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণ করবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেতৃত্ব দেবে।

এই টুর্নামেন্টে শুধু ঢাকার ছেলেরাই অংশ নিচ্ছে জানিয়ে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ঢাকার অধিবাসী, ঢাকা ভোটার, ঢাকার খেলোয়াড়, ঢাকার তরুণেরা আমাদের মাঠে খেলাধুলা করবে। ঢাকার ছেলেদের নিয়েই এবারের আয়োজনে ৬২টি ফুটবল দল এবং ৪৮টি ক্রিকেট দল গঠন করা হয়েছে। পুরো মার্চ মাস জুড়ে তারা ঢাকার বিভিন্ন মাঠে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে এই ঢাকা শহরে খেলামুখী একটি প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করবে। এই দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার ছেলে-মেয়েদেও মধ্যে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবে। তাদেরকে ক্রীড়ামোমোদী হতে উদ্দীপনা যোগাবে।

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির এবং দক্ষিণ সিটির ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোহাদ্দেস হোসেন জাহিদ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। 

বিশ্বকাপ জিতে ৫০ লাখ করে টাকা পাচ্ছেন ভারতের যুবারা
                                  

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। এতে প্রশংসায় ভাসছেন যুব ক্রিকেটাররা। অ্যান্টিগায় কাল রাতে ইংল্যান্ডকে চার উইকেটে হারিয়ে পাওয়া এ সাফল্যকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলী বলছেন, ‘অমূল্য।’তবে ভারতের যুবাদের এ সাফল্যকে শুধু ‘অমূল্য’ বলেই থেমে থাকেননি সৌরভ। বিসিসিআই সভাপতি এ সাফল্যের ‘মূল্য’ দেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। দেশকে এমন সাফল্য এনে দেওয়ার জন্য এবারের বিশ্বকাপে খেলা ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৪০ লাখ ভারতীয় রুপি উপহার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সৌরভ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৫০ লাখ টাকা। সৌরভ এ পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন টুইটারে। তিনি লিখেছেন, ‘ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সব খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফদের অভিনন্দন। এমন দুর্দান্তভাবে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য দলের নির্বাচকদেরও অভিনন্দন...তাদের অসাধারণ এ প্রচেষ্টা আসলে অমূল্য। তবে আমরা আমাদের পক্ষ তাদের এ সাফল্যের স্মারক হিসেবে ৪০ লাখ রুপি করে ছোট একটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।’

ইনজুরিতে শেষ তাসকিনের বিপিএল
                                  

বপিএিলরে সলিটে র্পবে বকিলেে মাঠে নামছে খুলনা টাইর্গাস ও সলিটে সানরাইর্জাস। তবে এর আগইে দুঃসংবাদ সলিটে শবিরি।ে বপিএিলরে বাকি ম্যাচগুলি থকেে ছটিকে গলেনে সলিটে সানরাইর্জাসরে তারকা পসোর তাসকনি আহমদে। ব্যাক ইনজুররি কারণে বপিএিলরে বাকি ম্যাচগুলো আর খলো হচ্ছনো তাসকনিরে।

ভারতের বিদায়ী কোচের সুরে তাল মেলালেন বাবর
                                  

টানা বায়ো-বাবল খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলেছে, বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ থেকে ভারতের বাদ পড়া প্রসঙ্গে এমন দাবি করেছিলেন দলটির সদ্য বিদায়ী কোচ রবি শাস্ত্রি। বিষয়টিকে অনেকে খোঁড়া যুক্তি হিসেবে নিলেও, এবার শাস্ত্রির কথার সুরে তাল মেলালেন ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। দীর্ঘদিন বায়ো-বাবলের মধ্যে আছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলও। বায়ো-বাবলে থাকার চ্যালেঞ্জটা তাদেরও মোকাবিলা করতে হচ্ছে জানিয়ে বাবর বলেছেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটে উত্থান-পতন আসা স্বাভাবিক। তবে টানা বায়ো-বাবলে থাকলে খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা একঘেয়েমি চলে আসে।’ এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল ভারত। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ভারত বাজেভাবে হারে। বিরাট কোহলির দলের এমন পারফরম্যান্সের পেছনে বাবর দেখছেন, বায়ো-বাবলের হাত। বায়ো-বাবল কীভাবে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলছে তার ব্যাখ্যায় বাবর বলছিলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্রামের পাশাপাশি চাপ সামাল দেওয়াও আপনাকে শিখতে হবে। যখন কোনোকিছু আপনার পক্ষে যায় না, তখন একটু প্রশান্তির দরকার হয়। কিন্তু বায়ো-বাবলে থাকলে তা সম্ভব হয় না। এটাই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে বাজে প্রভাব ফেলে।’ দুবাইয়ে আগামীকাল চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচকে সামনে রেখে সতীর্থদের সঙ্গে সময়টা উপভোগ করছেন জানিয়ে পাকিস্তানি অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলে সময় কাটাচ্ছি। যাতে তারা কোনো বিরক্তিবোধ না করে উৎসাহবোধ করে।’

বিসিবির নির্বাচন আজ
                                  

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন তখনও শেষ হয়নি, তার আগেই মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে নাজমুল হাসান পাপন পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হচ্ছেন সেই পোস্টার, ব্যানার টানানো শুরু হয়। গতকাল নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মিরপুরে ছিল একটিই স্লোগান, `ক্রিকেট...পাপন`। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। যৌথভাবে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নাজমুল হাসান নির্বাচিত হয়েছেন। আজ তার পুনরায় সভাপতি হওয়া চূড়ান্ত হবে। পরিচালনা পরিষদে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ভোটে নির্বাচিত হন সভাপতি। ২৫ পরিচালক আজ ভোট দিয়ে আগামী ৪ বছরের বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত করবেন। সভাপতি হিসেবে পরিচালকদের একমাত্র পছন্দ নাজমুল হাসানই। কারণ ২৫ পরিচালকের মধ্যে ১৯ জনই পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। বাকিরা নতুন মুখ। প্রত্যেকেই নাজমুল হাসানের আশীর্বাদপুষ্ট। তাই তো তার সভাপতি হওয়া শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা। টানা চতুর্থবার দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন নাজমুল হাসান। আগের তিন মেয়াদে একবার সরকারের মনোনয়নে ও দুইবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবার ভোটে দাঁড়িয়ে, সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিসিবির হট চেয়ারে বসতে যাচ্ছেন এই ক্রীড়া সংগঠক। নতুন মেয়াদে নিশ্চিতভাবেই তার সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। সামনের পথটুকুতে তিনি কতটা সফল হতে পারেন তা সময়ই বলে দেবে।

শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা
                                  

অনলাইন ডেস্ক:

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এর আগে কখনোই ওয়ানডে সিরিজ জিততে পারেনি টাইগাররা। দীর্ঘদিনের সেই আক্ষেপ অবশেষে ঘুচে গেল। লঙ্কানদের বিপক্ষে নতুন ইতিহাস গড়লেন তামিম-মুশফিকরা। মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে বৃষ্টি আইনে ১০৩ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। বৃষ্টি বাধায় খেলার দৈর্ঘ্য নেমে আসে ৪০ ওভারে। লঙ্কানদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪৫ রান। কিন্তু সফরকারীরা ৯ উইকেট হারিয়ে থামে ১৪১ রানে।

প্রথম ম্যাচে তামিমবাহিনী জিতেছিল ৩৩ রানে। টানা দ্বিতীয় এই জয়ে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই লঙ্কানদের বিপক্ষে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সিরিজ ঘরে তুললো টাইগাররা।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৮টি ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা জিতেছে ৬ সিরিজ। দুটি সিরিজ ১-১ এ অমীমাংসিত থেকে গেছে। অবশেষে নবম সিরিজে এসে উদযাপনের উপলক্ষ্য পেল বাংলাদেশ।

টসে জিতে এদিন শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহমানের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভর করে সব উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রানের মাঝারি সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে ১৪১ রানে থামে শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ২৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। স্বাগতিক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে খাবি খেয়েছেন লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। অধিকাংশ লঙ্কান ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক ছোঁয়ার পর বিদায় নিয়েছেন।

শুরুটা করেন অভিষেক ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে নামা শরিফুল ইসলাম। তার প্রথম শিকার হন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল পেরেরা (১৪)। বাংলাদেশের তরুণ পেসারের তৃতীয় ওভারে তুলে মারতে গিয়ে তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ তুলে দেন লঙ্কান ওপেনার।

শুরুর সেই ধাক্কা ধীরে ধীরে সামলে উঠছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ঠিক এমন সময় আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। ফিজের করা ইনিংসের ১৪তম ওভারের শেষ বলে স্কয়ার কাট করেছিলেন দানুশকা গুনাথিলাকা (২৪)। কিন্তু বল গিয়ে জমা হয় ডিপ পয়েন্টে থাকা সাকিবের তালুতে।

শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজের পর বল হাতে আঘাত হানলেন সাকিব ও মিরাজ। সাকিবের কুইকারে পুল করেছিলেন পাথুম নিসাঙ্কা (২০)। বল বাতাসে ভাসা অবস্থায় পেছন দিকে কিছুটা দৌড়ে দারুণভাবে তালুবন্দি করেন মিড উইকেটে থাকা তামিম। এরপর মিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন কুশল মেন্ডিস (১৫)। মেন্ডিস অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।

সফরকারীদের বিপদ বাড়িয়ে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে (১০) বিদায় করেন সাকিব এবং দাসুন শানাকাকে (১১) ফেরান মিরাজ। ১০৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কাকে আরও বিপদে ফেলে মিরাজের তৃতীয় শিকার হয়ে বিদায় নেন ওয়ানিন্দু হারাঙ্গা। এরপর দ্রুত বান্দারা ও লক্ষণ সান্দাকানকে ফিরিয়ে লঙ্কানদের ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে ফেলেন মোস্তাফিজ।

মাঝে বৃষ্টি হানায় কিছুক্ষণ স্থগিত থাকার পর ফের খেলা শুরু হলেও লঙ্কানদের জন্য লক্ষ্য তখনও বহু দূরে। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। মিরাজের ঝুলিতেও গেছে ৩ উইকেট। সাকিব ২ ও শরিফুল ১ উইকেট দখল করেছেন।

এর আগে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশও বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল। ইনিংসের প্রথম ওভারে ৩টি চারে ১৩ রান করা আক্রমণাত্মক তামিম দ্বিতীয় ওভারে আসা দুশমন্থ চামিরার প্রথম বলেই এলবির ফাঁদে পড়েন। একই ওভারের চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত শূন্য রানে লেগ বিফোর হয়ে ফেরেন সাকিবও।

তামিম-সাকিবের দ্রুত বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন লিটন দাস। তবে ১২তম ওভারে এসে ধৈর্য হারান এই ওপেনার। লক্ষণ সান্দাকানের সাধারণ মানের বলটি শর্টে ফিল্ডিং করা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার হাতে তুলে দেন। ৪২ বলে ২টি চারে ২৫ রান করেছেন লিটন।

লিটন বিদায় নেওয়ার পর মুশফিককে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন মোসাদ্দেক। সান্দাকানের বলে লেগ সাইডে খোঁচা দিতে গিয়ে উইকেটরক্ষক কুশল পেরেরার তালুবন্দি হন মোসাদ্দেক (১০)। ৭৪ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর মুশফিকের সঙ্গে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৮৭ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ৫৮ বলে ব্যক্তিগত ৪১ রানে স্কুপ করতে গিয়ে সান্দাকানের শিকার হন তিনি। ব্যাটিংয়ে থাকা মুশফিক অবশ্য ব্যাক টু ব্যাক হাফসেঞ্চুরির দেখা পান।

রিয়াদের বিদায়ের পর আরও একবার বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দুই ওভারের ব্যবধানে বিদায় নেন আফিফ হোসেন ধ্রুব (১০) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (০)। এমন চাপের মাঝে সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মুশফিক। ধীরেসুস্থে ১১৪ বল খেলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরিও। সিরিজের প্রথম ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৮৪ রান।

ইনিংসের শেষদিকে বৃষ্টি হানায় বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ ছিল। ফের খেলা শুরুর পর মুশফিক সেঞ্চুরি পেলেও টেল এন্ডারদের কেউই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। এর মধ্যে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিলেও মেন্ডিসের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে বিদায় নেন। ৩০ বল খেলে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। সাইফউদ্দিন পরে আর বোলিংয়ে নামতে পারেননি। তার বদলে কনকাশন সাব হিসেবে নামেন মূল একাদশের বাইরে থাকা তাসকিন আহমেদ।

মুশফিক সেঞ্চুরি ছোঁয়ার পর কিছুটা আগ্রাসী হয়ে ওঠেন। সেঞ্চুরির আগে তিনি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন ৬টি, পরে আরও ৪টি। ৪৮তম ওভারে শরিফুল (০) বিদায় নেন। এর পরের ওভারের প্রথম বলেই অফ সাইডে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বান্দারার হাতে ক্যাচ তুলে দিলে শেষ হয় মুশফিকের ১২৭ বলে ১২৫ রানের লড়াকু ইনিংস।

বল হাতে শ্রীলঙ্কার চামিরা ও সান্দাকান ৩টি করে, উদানা ২টি এবং হাসারাঙ্গা ১টি উইকেট নিয়েছেন।


   Page 1 of 20
     খেলাধূলা
নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
.............................................................................................
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে টাইগারদের সিরিজ জয়
.............................................................................................
দক্ষিণ কোরিয়াকে বিধ্বস্ত করে কোয়ার্টার ফাইনালে নেইমারের ব্রাজিল
.............................................................................................
রূপকথা লিখে দ্বিতীয় রাউন্ডে কোরিয়া
.............................................................................................
ক্যাসিমিরোর দুর্দান্ত গোলে দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিল
.............................................................................................
চার বিশ্বকাপজয়ী জার্মানিকে হারিয়ে চমক জাপানের
.............................................................................................
ইকুয়েডর-কাতার ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবল
.............................................................................................
বৃষ্টি না হলে ম্যাচটা বাংলাদেশই জিততো’
.............................................................................................
মাহমুদউল্লাহকে ছাড়াই বিশ্বকাপ দল
.............................................................................................
৫৩ রান, ৫৫ মিনিট, ১৯ ওভার, ২ বোলার
.............................................................................................
খেলাধুলার জন্য ড্যাপে প্রয়োজনীয় মাঠ রাখা হয়েছে : তাজুল
.............................................................................................
বিশ্বকাপ জিতে ৫০ লাখ করে টাকা পাচ্ছেন ভারতের যুবারা
.............................................................................................
ইনজুরিতে শেষ তাসকিনের বিপিএল
.............................................................................................
ভারতের বিদায়ী কোচের সুরে তাল মেলালেন বাবর
.............................................................................................
বিসিবির নির্বাচন আজ
.............................................................................................
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা
.............................................................................................
রোববার দেশে ফিরছেন বাংলাদেশ দল
.............................................................................................
ম্যারাডোনার সম্পত্তি নিয়ে লড়াইয়ে ছয় নারীর ১০ সন্তান!
.............................................................................................
ম্যারাডোনার মৃত্যুতে আর্জেন্টিনায় ৩ দিনের শোক
.............................................................................................
সাকিবের নিরাপত্তায় ‘গান ম্যান’
.............................................................................................
বাংলাদেশের শ্রীলংকা সফর স্থগিত
.............................................................................................
মাশরাফির ফের করোনা পজিটিভ
.............................................................................................
আকাশ ছোঁয়া দামে মুশফিকের ব্যাট কিনলেন আফ্রিদি
.............................................................................................
সাকিবই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার: তামিম
.............................................................................................
রোনালদিনহোর কোনো দোষ দেখছেন না ম্যারাডোনা
.............................................................................................
সতর্ক অবস্থানে ক্রিকেটাররা
.............................................................................................
সেলফ আইসোলেশনে সাকিব আল হাসান
.............................................................................................
ওয়ানডে দল ঘোষণা, অধিনায়ক মাশরাফি
.............................................................................................
যুবাদের লাল গালিচা সংবর্ধনা
.............................................................................................
যুবাদের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি, মাসে বেতন এক লাখ টাকা
.............................................................................................
যুবাদের এই প্রাপ্তির সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না: পাপন
.............................................................................................
দেশে ফিরলো বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটাররা
.............................................................................................
বিশ্বকাপে প্রথম শিরোপা জয় বাংলাদেশের
.............................................................................................
পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লো টিম বাংলাদেশ
.............................................................................................
শ্রীলংকাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
.............................................................................................
মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে পাকিস্তান যাচ্ছে বাংলাদেশ দল
.............................................................................................
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে টাইগাররা, সূচি চূড়ান্ত
.............................................................................................
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়লেন মাশরাফী
.............................................................................................
ওয়ানডে ছাড়তে পারেন ধোনি
.............................................................................................
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশে আসতে পারেন ম্যারাডোনা
.............................................................................................
কোচ-কিছু ক্রিকেটার পাকিস্তান যেতে রাজি নন: পাপন
.............................................................................................
সিলেটকে ২৪ রানে হারালো ঢাকা
.............................................................................................
এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
.............................................................................................
আজ নেপালে শুরু হচ্ছে এসএ গেমসের ১৩তম আসর
.............................................................................................
সানিকে পিটিয়ে ৫ বছর নিষিদ্ধ শাহাদাত
.............................................................................................
আইসিসি র‍্যাংকিংয়ের কোথাও নেই সাকিব!
.............................................................................................
খেলায় ফিরেছে বাংলাদেশ
.............................................................................................
ঘূর্ণিঝড়ের কবলে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় দ্বিতীয় টি-২০
.............................................................................................
সাকিবকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া কে এই জুয়াড়ি?
.............................................................................................
দিল্লি পৌঁছেছে টাইগাররা
.............................................................................................

|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|

সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: আবদুল মালেক, সুগ্ম সম্পাদক: মো: জাহাঙ্গীর আলম শাহ। সম্পাদক কর্তৃক ২৪৪ (২য় তলা), ৪নং জাতীয় স্টেডিয়াম, কমলাপুর, ঢাকা-১২১৪
থেকে প্রকাশিত এবং স্যানমিক প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজেস, ৫২/২, টয়েনবি সার্কুলার রোড, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত।
মোবাইল: ০১৮৪১৭৪৯৮২৪, ০১৮৪১৭৪৯৮২৫ ই-মেইল: ই-মেইল: noboalo24@gmail.com,
bmengineering77@gmail.com, ওয়েবসাইট www.dailynoboalo.com


   All Right Reserved By www.dailynoboalo.com Developed By: Dynamic Solution IT Dynamic Scale BD & BD My Shop    
Dynamic SOlution IT Dynamic POS | Super Shop | Dealer Ship | Show Room Software | Trading Software | Inventory Management Software Computer | Mobile | Electronics Item Software Accounts,HR & Payroll Software Hospital | Clinic Management Software Dynamic Scale BD Digital Truck Scale | Platform Scale | Weighing Bridge Scale Digital Load Cell Digital Indicator Digital Score Board Junction Box | Chequer Plate | Girder Digital Scale | Digital Floor Scale