আক্ষেপ ও অভিযোগ নিয়ে ভারতের বিপক্ষে হেরেছে বাংলাদেশ। ৫ রানের জন্য জয় না পেলেও চোখ জুড়ানো ব্যাটিং দেখিয়েছেন লিটন কুমার দাস। ছন্দময় ব্যাটিংয়ে ভারতীয় বোলারদের নাভিশ্বাস তুলে ফেলেছিলেন টাইগার ওপেনার। আর এখান থেকেই ভারতীয় বোলারদের শিক্ষা নেয়ার পরামর্শ দিলেন সুরেশ রায়না। ভারতের সাবেক ক্রিকেটারের ভাষ্য, সেমি কিংবা ফাইনালে ভালো পারফর্ম করতে চাইলে বোলিংয়ে আরো উন্নতি করতে হবে আর্শদীপ-ভুবনেশ্বরদের। ভারতের দেয়া টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ভুবনেশ্বর কুমারের করা প্রথম ওভারে ২ রান নেয় বাংলাদেশ। পরের দুই ওভারে তাণ্ডব চালান লিটন দাস। হাঁকান ৬টি বাউন্ডারি। ভারতীয় পেসার আর্শদীপ সিংয়ের করা দ্বিতীয় ওভারে তিনটি চার হাঁকান টাইগার ওপেনার। তৃতীয় ওভারে ভুবনেশ্বরের বলে ফের ১ ছক্কা ও ২টি চার হাঁকান লিটন। যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ভারতীয় বোলারদের বেধড়ক পিটিয়েছেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে মাত্র ২৭ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রান করেন টাইগার ওপেনার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘আজতক’-এ দেয়া সাক্ষাৎকারে সুরেশ রায়না বলেন, ‘বাংলাদেশ যেভাবে লড়াই করেছে, বৃষ্টি না হলে ম্যাচটা তাদের নাগালেই ছিল। প্রথম ৭ ওভারে ভারতের বোলিং (উইকেটের) চারপাশেই মার খেয়েছে। যেটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষা।’ রায়না বলেন, ‘আমরা হয়তো জিতেছি, তবে রোহিত শর্মাও কিন্তু ম্যাচশেষে স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশ আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে।’ তবে উল্টো মত ভারতের সাবেক ক্রিকেটার বীরেন্দর শেওয়াগের। বরাবরের মতোই অশোভন মন্তব্য তার। সাবেক ব্যাটসম্যান শেওয়াগের বক্তব্য, বৃষ্টি একরকম বাঁচিয়েই দিয়েছে বাংলাদেশকে। এটা না হলে হারের ব্যবধান আরও বড় হতো। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের এক অনুষ্ঠানে শেওয়াগ বলেন, ‘সবকিছুই মরার আগে ওড়ে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে (পাওয়ার প্লেতে)। সব প্রদীপই একসময় নিভে যায়। আর এটাই হয়েছে। তারা চার রানে (আসলে পাঁচ) হেরেছে শুধুমাত্র বৃষ্টির কারণে, নয়তো ৪০ রানে হারতো।