কোনো ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ ছাড়াই বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে সাকিব আল হাসানকে অ্যাখায়িত করলেন তামিম ইকবাল। অবশ্য তামিমের নিজেরও রয়েছে বেশ সমৃদ্ধ ক্যারিয়ার। দেশের পক্ষে তিন ফরম্যাটেই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম । সব ফরম্যাটেই বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরির মালিকও তিনি। কিন্তু সাকিব এমন একজন অল রাউন্ডার যিনি দেশের হয়ে ব্যাটি-বোলিং দুই বিভাগেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তবে অনেক ক্রিকেটারের মতেই মাঠে সাকিবের উপস্থিতি দলকে উজ্জীবিত ও সাহসী করে তোলে, হাই ভোল্টেজ ম্যাচে খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষাই বদলে দেয়। ব্যাটিং রেকর্ড হিসেবে তিন ফরম্যাটেই তামিমের পরই দ্বিতীয়স্থানে আছেন সাকিব। কিন্তু বোলিং-এ তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের পক্ষে এক নম্বর স্থানে সাকিব। তার রয়েছে সমৃদ্ধ রেকর্ড। সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে বিশ্বে মাত্র তিনজন খেলোয়াড়ের এক ম্যাচে দুইবার দশ উইকেট ও সেঞ্চুরি রয়েছে। সাকিবের রয়েছে সকল টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে এক আসরে তার আছে ৬শ রান ও ১০টিরও বেশি উইকেট।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি লাইভ কথোপকথনে সাকিবকে নিয়ে কথা বলেছিলেন তামিম। তিনি বলেন, অন্যান্য সকল ক্রিকেটারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, আমি মনে করি বাংলাদেশে যত ক্রিকেটার তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে সাকিব আল হাসান সর্বকালের সেরা। বাংলাদেশের ক্রিকেটের মধ্যে সে এখন পর্যন্ত সেরা ক্রিকেটার।
জুয়াড়ির তথ্য গোপন করায় আইসিসি কর্তৃক দুই বছরের নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন সাকিব। এর মধ্যে এক বছর কমানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে এ বছরের অক্টোবরে সাকিব মাঠে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তামিম বলেন, সাকিবের মত খেলোয়াড় দলে থাকাটা একটা আশীর্বাদ। তিনি এমন একজন খেলোয়াড়র যাকে সব অধিনায়কই দলে চাইবেন।
তামিম বলেন, সকলেই সাকিবের মত প্রতিভাবান ক্রিকেটার দলে চাইবে। অক্টোবর আসতে এখনো দুমাস বাকী এবং আমি নিশ্চিত, সে দারুণভাবে ফিরে আসবে। যখন তার নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে, আমি নিশ্চিত, এমন কোন অধিনায়ক নেই যে, তাকে দলে চাইবে না।
লাইভ সেশন কথোপকথনে, তামিম তিন জন বোলারের নাম উল্লেখ করেন, যাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলতে অস্বস্তিবোধ করতেন। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে পাকিস্তানের অফ-স্পিনার সাইদ আজমল, ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মরনে মরকেলের নাম বলেন তামিম। তিনি বলেন, আজমল ও অশ্বিনকে খেলতে গিয়ে আমি মাঝে মাঝে দোটানায় পড়ে যেতাম। এই দুস্পিনারের জন্য আমাকে ক্রিজে কঠিন সময় পার করতে হতো। মরকেলকে খেলাও কঠিন ছিলো, বিশেষভাবে আমার মত বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যানের।
সম্প্রতি তিন কঠিন তিন বোলার হিসবে মুত্তিয়া মুরালিধরন, মরনে মরকেল ও জোফরা আর্চারের নাম উল্লেখ করেছেন সাকিব।