কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার সাথে জয়ে কিছুটা স্বস্তিতে ছিল ব্রাজিল। কিন্তু নেইমার ও দানিলোর ইনজুরিতে চিন্তার ভাঁজ কোচ তিতের কপালে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে তাই অনুমিতভাবেই দুটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল। আর নেইমার বিহীণ এ ম্যাচে শিঙ্কা ছিল ভ্রাজিল সমর্থকদের মনেও।
অবশেষে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিল চিন্তামুক্ত করলো কাসেমিরো। ডান পায়ের দুরন্ত শটে ভাঙল সুইস রক্ষণ। গোল করে দলকে মূল্যবান ৩ পয়েন্ট এনে দেন তিনি। এই জয়ের পরে দু’ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ জি-র শীর্ষে ব্রাজিল। `জি` গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যাসিমিরোর একমাত্র গোলে সুইজাল্যান্ডকে হারিয়ে নক আউটে চলে গেল পাঁচ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।
সোমবার কাতারের ১৯৭৪ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শক্তিশালী ব্রাজিলের মুখোমু্খি হয় সুইজারল্যান্ড। ম্যাচের শুর থেকে দারুণ আধিপত্য বজায় রেখে পাওয়ার ফুটবল উপহার দেয় দু`দল।
প্রথমার্ধে কোনও দলই গোলমুখ খুলতে পারেনি। তবে ম্যাচের ২৬ মিনিটের মাথায় রাফিনহোর ক্রস থেকে গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন ভিনিসিয়াস। তার হেড বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক সোমের। ব্রাজিলের খেলায় অন্তত প্রথমার্ধে আগের দিনের মতো ধার ছিল না। নেইমার না থাকায় ব্রাজিলের রোমিং ফুটবলারের ভূমিকাটা পালন করতে পারছিলেন না ফ্রেড।
বিরতি থেকে ফিরে শুরুতেই লুকাসকে তুলে নিয়ে রদ্রিগোকে নামান কোচ তিতে। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে ভিনিসিয়াস প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ালেও ভার প্রযুক্তি নিশ্চিত করে, রিচার্লিসন সক্রিয়ভাবে ছিলেন অফ সাইড পজিশনে। সরে এলেও রক্ষা পাননি। আগের দিন জোড়া গোলের নায়ক রিচারলিসন একটি হাফ চান্স পেয়েছিলেন। কিন্তু সঠিক সময়ে পা বাড়াতে না পারার কারণে গোল হয়নি।
রিচারলিসনকে তুলে নিয়ে গ্যাবরিয়েল জেসুস এবং এন্টনিকে নামানো হয়। সুইস ডিফেন্সকে প্রান্তিক আক্রমণ দিয়ে স্ট্রেচ করার চেষ্টা করল ব্রাজিল। ৮৩ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পেয়ে গেল ব্রাজিল। ভিনির পা হয়ে অ্যান্টনির একটি ফ্লিক রিসিভ না করেই দুর্দান্ত শটে জালে পাঠালেন ক্যাসেমিরো। গোলরক্ষক শুধু দেখলেন। বিশ্বকাপে শেষ ষোল নিশ্চিত করে ফেলল সাম্বা বাহিনী।