টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর এটি। আগের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ছিল ২০০৭ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬২। সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটি হয়েছিল ২০১৮ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগায় ৪৩। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর এটিই। আগের সবচেয়ে কম ছিল দক্ষিণ আফ্রিকায় সবশেষ সফরে, পচেফস্ট্রমে ৯০। ১৯২৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৫ টেস্ট হয়েছে ডারবানের কিংসমিড স্টেডিয়ামে। সবচেয়ে কম দলীয় সংগ্রহ বাংলাদেশের এই ৫৩। আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৯৯৬ সালে ভারতের ৬৬।
১৯ ওভারেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। নিজেদের সবচেয়ে ক্ষণস্থায়ী ইনিংসের রেকর্ড হয়নি একটুর জন্য। ২০১৮ সালে অ্যান্টিগায় ৪৩ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পথে দলটি খেলেছিল ১৮.৪ ওভার। চতুর্থ ইনিংসে এর আগে সবচেয়ে কম স্থায়ী ইনিংস ছিল ২০১৮ সালে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, ২৯.৩ ওভার।
১২টেস্টে ১২ বার ১০০ রানের নিচে অলআউট বাংলাদেশ। বাংলাদেশের অভিষেকের পর টেস্টে সবচেয়ে বেশিবার ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশই। এই সময়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ বার ১০০ রানের নিচে অলআউট পাকিস্তান।
১ম বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা দ্বিতীয় টেস্টে পেয়ার বা জোড়া শূন্য পেলেন খালেদ আহমেদ। টেস্টে একাধিকবার জোড়া শূন্য পাওয়া সপ্তম বাংলাদেশি খালেদ। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ তিনবার জোড়া শূন্য মঞ্জুরুল ইসলামের।
৩ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনাররা তিনবার ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েছেন, তিনবারই ডারবানে। প্রথমবার ১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রথম ইনিংসে টাফটি মান (৬/৫৯) ও অ্যাথল রোয়ান (৪/১০৮) মিলে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট।
১ এশিয়ার বাইরে এই প্রথম বাংলাদেশের ইনিংসের ১০টি উইকেটই পেলেন প্রতিপক্ষের স্পিনাররা। সব মিলিয়ে টেস্টে পাঁচবার বাংলাদেশ স্পিনারদের ১০ উইকেট দিয়েছে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে বোলিং করেছেন শুধু কেশব মহারাজ ও সাইমন হারমার। টেস্টে এই প্রথম মাত্র দুজন বোলার ব্যবহার করেই প্রতিপক্ষকে অলআউট করল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশও এমন কিছুর ভুক্তভোগী হলো এই প্রথম।
২৮ প্রতিপক্ষ অলআউট হয়েছে, এমন ইনিংসে মাত্র দুজনের বোলিং করার ২৮তম উদাহরণ গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২ দক্ষিণ আফ্রিকার কেশভ মহারাজ ও সাইমন হার্মার দুই প্রান্ত থেকে বোলিং করেই শেষ করে দিয়েছেন বাংলাদেশের ইনিংস। মহারাজের শিকার ৭ উইকেট, হার্মারের ৩। দুই বোলার দিয়েই পূর্ণাঙ্গ ইনিংসের ইতি টেস্ট ক্রিকেটে এবার নিয়ে হলো ২৮ বার। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে হলো এবারই প্রথম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫ বার হলেও তারা নিজেরা করতে পারল প্রথমবার।
৭২ বছর পর এক ইনিংসে প্রতিপক্ষের ১০ উইকেটের সবকটি স্পিন দিয়ে নিতে পারল দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেদের ইতিহাসে এটি তারা আগে পেরেছে মাত্র দুইবার। প্রথমবার ছিল ১৯৪৮ সালে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। দ্বিতীয়টি ১৯৫০ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আগের দুইবারও ছিল ডারবানেই!
৭/৩২প্রথম ইনিংসে উইকেটশূন্য কেশভ মহারাজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছেন ৩২ রানে। বাঁহাতি স্পিনে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটি। আগের সেরা ছিল শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথের। ২০১৩ সালে কলম্বোয় তিনি ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ৮৯ রানে।
১২ দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। এই নিয়ে টেস্টে ১২ বার শূন্য রানে আউট হলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। স্পর্শ করলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে এই দুজনের চেয়ে বেশিবার শূন্যতে ফিরেছেন কেবল মোহাম্মদ আশরাফুল, ১৬ বার। খালেদ মাসুদ, মুমিনুল হক ও মাহমুদউল্লাহর এই অভিজ্ঞতা হয়েছে ১১ বার করে। দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি ৮ বার শূন্য রানে বিদায় নিয়েছেন সাবেক পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম, ৭ বার করে মুমিনুল ও মাহমুদউল্লাহ।
জয়ের আশায় বাংলাদেশ শুরু করেছিল টেস্ট। জয়ের আশাতেই শুরু হয়েছিল শেষ দিন। কিন্তু প্রথম ওভার থেকেই দুঃস্বপ্নের শুরু। ৫৫ মিনিটের ঝড়ে সব শেষ ধুলিস্যাৎ। ডারবান টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২২০ রানের পরাজয়ে শুধু সিরিজেই পিছিয়ে পড়েনি বাংলাদেশ, ব্যাটিং ব্যর্থতায় রেকর্ড বইয়ের অনাকাক্সিক্ষত কয়েকটি পাতায়ও উঠে গেছে তাদের নাম