গরমের তীব্রতা জাহান্নামের উত্তাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়
দেশের ৫২ জেলায় মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান এই তাপপ্রবাহ আরো এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের সব অঞ্চলে বর্ষা না আসা পর্যন্ত তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নেই বলে মত আবহাওয়াবিদদের। দেশব্যাপী চলমান দাবদাহে অতিষ্ট মানুষ।গরমের তীব্রতায় করণীয় সম্পর্কে বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গরমে সবাইকে সচেতন হতে বলেছেন। আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দেশ জুড়ে তীব্র দাবদাহ চলছে। নিকট অতীতে এই ধরনের গরম পরিলক্ষিত হয়নি। সবাই বেশি করে পানি পান করি। খেটে খাওয়া শ্রমিকদের প্রতি সদয় হই। গরমের তীব্রতা আমাদেরকে জাহান্নামের উত্তাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সুরা রুমের মধ্যে মহান আল্লাহ বলেছেন, জলে-স্থলে যত বিপর্যয় ঘটে, সব মানুষের হাতের কামাই।একদিকে আমাদের জাগতিক বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের কারণে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। অপর দিকে আমাদের গুনাহের কারণে আল্লাহ প্রাকৃতিক শাস্তি দেন। এমতাবস্থায় জাহান্নামের কথা স্মরণ করে আমাদের তাওবা ও গুনাহ বর্জন করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনাবৃষ্টি ও গরমের কারণ চিহ্নিত করে জাগতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের মাধ্যমে ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। এতে আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছি।সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যাপকভিত্তিক বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে ধাবিত না হলে দাবদাহের এই অভিশাপ থেকে আমরা সহজে পরিত্রাণ পাব না। খাদ্যের জন্য এখনো আমাদেরকে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তার উপর খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হলে একদিকে দরিদ্র কৃষকেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমরাও খাদ্য সংকটে পড়ব। তাই আসুন, আমরা গুনাহ বর্জন করি| হে আল্লাহ, আমাদের উপর উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন। কৃষিনির্ভর এই ছোট্ট দেশটিকে আপনার রহমত দিয়ে সজীব বানিয়ে দিন। আমীন
|
দেশের ৫২ জেলায় মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান এই তাপপ্রবাহ আরো এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। দেশের সব অঞ্চলে বর্ষা না আসা পর্যন্ত তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নেই বলে মত আবহাওয়াবিদদের। দেশব্যাপী চলমান দাবদাহে অতিষ্ট মানুষ।গরমের তীব্রতায় করণীয় সম্পর্কে বলছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গরমে সবাইকে সচেতন হতে বলেছেন। আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, দেশ জুড়ে তীব্র দাবদাহ চলছে। নিকট অতীতে এই ধরনের গরম পরিলক্ষিত হয়নি। সবাই বেশি করে পানি পান করি। খেটে খাওয়া শ্রমিকদের প্রতি সদয় হই। গরমের তীব্রতা আমাদেরকে জাহান্নামের উত্তাপের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সুরা রুমের মধ্যে মহান আল্লাহ বলেছেন, জলে-স্থলে যত বিপর্যয় ঘটে, সব মানুষের হাতের কামাই।একদিকে আমাদের জাগতিক বিশৃঙ্খলা ও অনিয়মের কারণে প্রকৃতি তার ভারসাম্য হারিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করে। অপর দিকে আমাদের গুনাহের কারণে আল্লাহ প্রাকৃতিক শাস্তি দেন। এমতাবস্থায় জাহান্নামের কথা স্মরণ করে আমাদের তাওবা ও গুনাহ বর্জন করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনাবৃষ্টি ও গরমের কারণ চিহ্নিত করে জাগতিক পদক্ষেপ নিতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণের মাধ্যমে ব্যাপক হারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে। এতে আমরা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনছি।সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যাপকভিত্তিক বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ এবং পরিকল্পিত নগরায়ণের দিকে ধাবিত না হলে দাবদাহের এই অভিশাপ থেকে আমরা সহজে পরিত্রাণ পাব না। খাদ্যের জন্য এখনো আমাদেরকে আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয়। তার উপর খরা ও অনাবৃষ্টির কারণে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হলে একদিকে দরিদ্র কৃষকেরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, আমরাও খাদ্য সংকটে পড়ব। তাই আসুন, আমরা গুনাহ বর্জন করি| হে আল্লাহ, আমাদের উপর উপকারী বৃষ্টি বর্ষণ করুন। কৃষিনির্ভর এই ছোট্ট দেশটিকে আপনার রহমত দিয়ে সজীব বানিয়ে দিন। আমীন
|
|
|
|
মুসলিম উম্মাহর কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের অমিয় বার্তা নিয়ে আবার শুভাগমন করলো পবিত্র মাহে রমজান। আগামীকাল শুক্রবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। আজ বাদ এশা দেশের মসজিদে মসজিদে তারাবির নামাজ শুরু হবে এবং দিবাগত ভোর রাতে সেহরি খেয়ে রোজা রাখা শুরু করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। কাল হবে প্রথম রোজা। এই হিসেবে আগামী ১৮ এপ্রিল (২৬ রমজান) মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে। বুধবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। দীর্ঘ এগার মাসের পাপ পঙ্কিল থেকে মুক্ত হওয়ার অপূর্ব সুযোগ এনে দেয় এই রমজান। পবিত্র রমজানের আগমনে মুসলিম সমাজ ও ইসলামী জীবন ধারায় এক বিরাট সাফল্যের সৃষ্টি হয়। রমজান মাস হলো ইবাদতের বসন্তকাল। আল্লাহপাক ইবাদতপাগল বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য সব আয়োজন করে রাখেন। এ মাসে একটি ফরজ আমলের মূল্য অন্য সময় ৭০টি ফরজ আমলের সমপরিমাণ। পবিত্র রমজান মাসে সারা দেশের সকল মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করে খতমে তারাবীহ্ পড়ার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সকল মসজিদে খতমে তারাবীহ্ নামাজে প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ও পরবর্তী ২১ দিনে এক পারা করে তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র শবে কদরে কুরআন খতমের জন্য সারা দেশের সকল মসজিদের খতিব, ইমাম, মসজিদ কমিটি, মুসল্লি এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। রমজানে দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এবং কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে এ জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থা কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করবে। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডিসি ও ইউএনওদের সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে চালের কোন অভাব নেই। চালের কৃত্রিম সংকট তৈরী করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মঙ্গলবার খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে রমজান মাসে চালের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ বার্তা দেন। এদিকে, পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে রাজধানীতে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থায় বিক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। রাজধানীর ২০টি স্থানে পহেলা রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে। এ কার্যক্রমে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হবে। সচিবালয় সংলগ্ন আব্দুল গণি রোড, খামারবাড়ি, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ৬০ ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুন বাজার, মিরপুরের কালশী, খিলগাঁও রেলগেট, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুরের বসিলা, উত্তরার দিয়াবাড়ি, যাত্রাবাড়ি, গাবতলী, হাজারীবাগ, বনানীর কড়াইল বস্তি, কামরাঙ্গীরচর এবং রামপুরায় এ বিক্রয় কার্যক্রম চালু থাকবে।
|
|
|
|
পবিত্র শবে মেরাজ আগামীকাল। আগামীকাল শনিবার রাতে মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে-মসজিদে, নিজগৃহে কিংবা ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কোরআনখানি, জিকির-আজগার এবং ইবাদত-বন্দেগীর মধ্যদিয়ে পবিত্র শবে মেরাজ উদযাপন করবে। ইসলাম ধর্মে শবে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ, এই মেরাজের মধ্য দিয়েই সালাত বা নামাজ মুসলমানদের জন্য ফরজ করা হয় এবং এ রাতেই প্রতিদিন ৫ বার নামাজ আদায় করার বিধান নিয়ে আসেন প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)। এদিকে, আজ এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে, পবিত্র শব-ই-মিরাজ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আগামীকাল দুপুর দেড়টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মুকাররাম জাতীয় মসজিদে ‘পবিত্র শবে মেরাজ’র গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মহাঃ বশিরুল আলম। আলোচক হিসাবে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো: আবদুল কাদির।
|
|
|
|
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ’র দুনিয়া ও আখেরাতের শান্তি এবং দেশের কল্যাণ কামনার মধ্য দিয়ে আজ রোববার শেষ হয়েছে তাবলিগ জামাত আয়োজিত ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এবার মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ব তাবলিগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় বাংলাদেশের মাওলানা হাফেজ জুবায়ের। আরবি, উর্দু ও বাংলা ভাষায় মোনাজাত করা হয়। ভোর থেকে দিক-নির্দেশনামূলক বয়ানের পর লাখ লাখ মুসল্লীর প্রতীক্ষার অবসান ঘটে। ২৩ মিনিটের মোনাজাতে বিশাল এ জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। যে যেখানে ছিলেন সেখানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। প্রথম ১০ মিনিট ব্যাপী মোনাজাতে মাওলানা জুবায়ের পবিত্র কোরআনে বর্ণিত দোয়ার আয়াতগুলো উচ্চারণ করেন। পরে ১৩ মিনিট বাংলা ভাষায় মোনাজাত করেন। মোবাইল ফোন ও স্যাটেলাইট টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারের সুবাদে দেশ-বিদেশের আরও লাখ লাখ মানুষ একসঙ্গে হাত তোলেন আল্লাহর দরবারে। অনেকে বিমানবন্দর গোল চত্বর কিংবা উত্তরা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এ আখেরি মোনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজতে লাখ লাখ মুসল্লি আকুতি জানান। এ সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে ওঠে। এদিকে বিশ্ব ইজতেমায় শুধু আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ছুটে আসতে থাকেন শনিবার থেকেই। বাস, ট্রাক, মিনিবাস, কারসহ বিভিন্ন পরিবহনে করে টঙ্গীতে পৌঁছে অবস্থান নিতে শুরু করেন মুসল্লিরা। রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন ভিড় এড়াতে শীত, কুয়াশা ও নানা ঝক্কি ঝামেলা উপেক্ষা করে রাতেই টঙ্গীমুখী হন। রোববার সকালেও চারদিক মুসল্লি পায়ে হেঁটেই টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা স্থলে পৌঁছেন। সকাল ৮টার আগেই ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলি, বিভিন্ন ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে কয়েক লাখ মানুষ কামারপাড়া সড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন। আজ ভোর থেকেই ফজরের নামাজ ও আখেরি মোনাজাতের জন্য পুরানো খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন সিট বিছিয়ে বসে পড়েন। এছাড়া পার্শ্ববর্তী বাসা-বাড়ি-কলকারখানা-অফিস-দোকানের ছাঁদে, যানবাহনের ছাঁদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নেন। যে দিকেই চোখ যায় সে দিকেই দেখা যায় শুধু টুপি-পাঞ্জাবি পড়া মানুষ। আখেরি মোনাজাতের জন্য রোববার আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে ছিল ছুটি। কোন কোনো প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা না করলেও কর্মকর্তাদের মোনাজাতে অংশ নিতে বাধা ছিল না। নানা বয়সী ও পেশার মানুষ এমনকি নারীরাও ভিড় ঠেলে মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার সকালেই টঙ্গী এলাকায় পৌঁছান। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে গাজীপুর ও টঙ্গীর সব কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। ফলে এবার এসব কারখানার শ্রমিকদের ইজতেমায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে সমস্যা হয়নি। বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে বিপুল সংখ্যক নারীরা অংশ নিয়েছেন। ইজতেমায় নারীদের অংশ নেওয়ার বিধান নেই। তবে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার নারী আগের দিন রাত থেকে ইজতেমা ময়দানের আশপাশ, বিভিন্ন মিলকারখানা, বাসা-বাড়িতে অবস্থান নেন। আখেরি মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থান থেকে আশা মানুষ নিজ গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করেন। এতে টঙ্গীর কামারপাড়া সড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী- কালীগঞ্জ সড়কের আহসান উল্লাহ মাষ্টার উড়াল সেতু ও আশপাশের সড়ক-মহাসড়ক এবং সংযোগ সড়ক গুলোতে দীর্ঘ জনজট ও যানজট দেখা দেয়। চার দিন বিরতি দিয়ে আগামী ২০ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ বছরের বিশ্ব ইজতেমা।
|
|
|
|
আগামীকাল রোববার ১২ রবিউল আউয়াল। ৫৭০ সালের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.) এর শুভ আবির্ভাবের দিন। এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ সালের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ গোত্রে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। এক সময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং করত মূর্তিপূজা। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রেরণ করেন এই ধরাধমে। মহানবী(সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেম অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজা নামের এক ধর্ণাঢ্য মহিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রাপ্ত হন। আল্লাহতাআলার নৈকট্য লাভ করেন। পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না’। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এসব বাণীতে তাঁরা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ সকল কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। আজ শনিবার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এই অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন। এর আগে তিনি বাদ আসর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্ত্বরে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলার উদ্বোধন করেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে পবিত্র কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, ১৫ দিনব্যাপী ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, বাংলাদেশ বেতারের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় সেমিনার, ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না’ত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুলে নৈতিকতা ও চরিত্র গঠন বিষয়ক সেমিনার, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ। এছাড়াও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সা.) ১৪৪৪ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫০টি ইসলামিক মিশন ও ৭টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমীতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
|
|
|
|
দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে পবিত্র জুমাতুল বিদা পালন করেছেন। দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং শান্তি কামনা করে দোয়া ও মৃত ব্যক্তিদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার ‘জুমাতুল বিদা’হিসাবে পালিত হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য এ দিনটি অতিব মূল্যবান। ‘জুমাতুল বিদা’য় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা মহান আল্লাহর দরবারে মাগফিরাত কামনা করেন। জুমাতুল বিদা উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের মসজিদগুলোতে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি নামাজে অংশ নেন। বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মাওলানা রুহুল আমিন বিশেষ মোনাজাত করেন। তিনি দেশের কল্যাণ এবং বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া করেন।
|
|
|
|
দেশের আকাশে আজ শনিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে রোববার (৩ এপ্রিল)।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
এবার ২৯ দিনেই শেষ হলো শাবান মাস। রমজান মাস শেষেই আসবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।
সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদফতর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে হিজরি ১৪৪৩ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। রোববার থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস। আগামী ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে (রমজানের ২৭তম রাত) পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে বলেও জানান তিনি।
শনিবার রাতেই এশার নামাজের পর ২০ রাকাত বিশিষ্ট তারাবি নামাজ শুরু হবে। রোজা রাখতে শেষরাতে সেহরি খাবেন মুসলমানরা। ঢাকায় প্রথম দিন সেহরির শেষ সময় রাত ৪টা ২৭ মিনিট। রোববার প্রথম রোজার ইফতারের সময় ৬টা ১৯মিনিট।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে রমজান সংযম, আত্মশুদ্ধি এবং ত্যাগের মাস। রমজান রহমত (আল্লাহর অনুগ্রহ), মাগফিরাত (ক্ষমা) ও নাজাত (দোজখের আগুন থেকে মুক্তি)- এ তিন অংশে বিভক্ত। এ মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্বামী-স্ত্রীর সহবাস ও যে কোনো ধরনের পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে রোজা পালন করেন মুসলমানরা।
এ মাসের শেষ অংশে রয়েছে হাজার মাসের এবাদতের চেয়েও উত্তম লাইলাতুল কদরের রাত। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ পাক ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন।
অপরদিকে, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে শনিবার থেকে রমজান শুরু হয়েছে।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে গত দু’বছর রমজানে বিধিনিষেধ ছিল। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উন্নীত হওয়ায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে উঠে যায় বিধিনিষেধ, স্বাভাবিক হয়ে যায় সবকিছু। দু’বছর পর এবারই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এলো রমজান মাস।
|
|
|
|
পবিত্র শবে বরাতে আতশবাজি ও পটকা সব ধরণের বিস্ফোরক নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (১৬ মার্চ) ডিএমপির কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আগামী ১৮ মার্চ (শুক্রবার) (১৪ শাবান ১৪৪৩ হিজরি) দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শবে বরাতের পবিত্রতা রক্ষার্থে এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৮ ধারার ক্ষমতাবলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম আগামী ১৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৯ মার্চ ভোর ৬টা পর্যন্ত বিস্ফোরক দ্রব্য, আতশবাজি, পটকা, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
|
|
|
|
দেশের আকাশে আজ বৃহস্পতিবার কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। আগামী ৫ মার্চ শনিবার থেকে শাবান মাসের গণনা শুরু হবে।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। আজ দেশের কোথাও শাবান মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী ১৮ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত উদ্যাপিত হবে।
হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত রাতটি মুসলিমরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে উদ্যাপন করে থাকেন। এই রাতে মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জন্য অশেষ রহমতের দরজা খুলে দেন।
মহিমান্বিত এই রজনীতে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন। শবে বরাত মাহে রমজানেরও আগমনী বার্তা দেয়।
|
|
|
|
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) কবে, তা জানা যাবে আজ (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায়। পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ উঠেছে কিনা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।আজ সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে আগামী ১৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হবে। আর আজ চাঁদ দেখা না গেলে আগামী শনিবার (৯ অক্টোবর) রবিউল আউয়াল মাস শুরু হবে। সে হিসেবে আগামী ২০ অক্টোবর (বুধবার) ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপিত হবে। বাংলাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন রাষ্ট্রীয়ভাবে সবার জন্য সাধারণ ছুটি থাকে। এ দিন বাংলাদেশের প্রায় সব মসজিদ, খানকাহ, দরগাহ ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ঈদে মিলাদুন্নবী, সীরাতুন্নবী, উসওয়াতুন্নবী এবং মাজিউন্নবীসহ নানা শিরোনামে মিলাদ-মাহফিল, আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৯ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে সারাদেশে সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহষ্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা নিজ নিজ উপাসনালয়ে সুবিধাজনক সময়ে এ উপলক্ষে প্রার্থনা সভার আয়োজন করবে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
করোনা ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে লোক সমাগম যেন না হয় সে জন্য আসন্ন ঈদুল আজহার নামাজ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে আদায় করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঈদগাহে নামাজ আদায় করতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
রবিবার (১২ জুলাই) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম। একই সঙ্গে ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি করতেও না করা হয়েছে।
সভায় বলা হয়, ঈদুল ফিতরের নামাজের সময় যেসব নির্দেশনা ছিল সেগুলো ঈদুল আজহার ক্ষেত্রেও তা বলবৎ থাকবে। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ঈদের প্রধান জামাত হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহের পরিবর্তে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে।
সারাদেশের বিভাগ/জেলা/উপজেলা/সিটি করপোরেশন/পৌরসভাসশস্ত্র বাহিনী বিভাগ/বেসরকরি সংস্থাগুলোর প্রধানরা জাতীয় কর্মসূচির আলোকে নিজ নিজ কর্মসূচি প্রণয়ন করে ঈদুল আজহা উদযাপন করবে। ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে দেশের সকল হাসপাতাল/কারাগার/সরকারি শিশুসদন/বৃদ্ধনিবাস/মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নত মানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হবে। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
কোরবানির পর পশুর রক্ত/বর্জ্য পদার্থের মাধ্যমে যাতে পরিবেশ নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈদুল আজহার আগের জুমার খুতবায় এ বিষয়ে মুসল্লিদের সচেতন করা হবে।
এর আগে রমজান মাসের ঈদুল ফিতরের নামাজও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে আদায় করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা ছিল ঈদগাহে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ২০৩০ সালে মুসমানদের ৩৬ দিন রোজা রাখতে হবে। এমনটি জানিয়েছেন সৌদি আরবের আল-কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল-মুসনাদ।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন এমন ঘটনা যা বার বার পুনরাবৃত্তি হয় না, মুসলমানরা ২০৩০ সালে ৩৬ দিন রোজা রাখবে।কারণ ২০৩০ সালের শুরুতে এবং শেষে অর্থাৎ দুইবার পবিত্র রমজান মাস আসবে। ১৪৫১ হিজরির রমজান শুরু হবে ২০৩০ সালের ৫ম জানুয়ারিতে এবং আশাকরা হচ্ছে, এই পবিত্র মাসটি ৩০ দিনে পূর্ণ হবে।
এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আল-কাসিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আল মুসনাদ বলেছেন, এর কারণ হচ্ছে চন্দ্র বছর সৌরবর্ষের তুলনায় ১১ দিন কম হয়। অর্থাৎ সৌরবর্ষ ৩৬৫ দিন এবং চন্দ্র বছর ৩৫৪ দিন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
এবছর সাদাকাতুল ফিতর বা ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ দুই হাজার ২০০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার ( ৪ মে) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। সভায় জানানো হয়, ইসলামি শরিয়াহ মতে আটা, যব, গম, কিশমিশ, খেজুর ও পনির ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনোও একটি দিয়ে ফিতরা প্রদান করা যায়। আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে অর্ধ সা বা এক কেজি ৬শ ৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০ টাকা প্রদান করতে হবে। যব দিয়ে আদায় করলে এক সা বা তিন কেজি ৩ শ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ২৭০ টাকা, গম দ্বারা আদায় করলে অর্ধ সা বা এক কেজি ৬শ ৫০ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ৭০ টাকা, কিশমিশ দ্বারা আদায় করলে এক সা বা তিন কেজি ৩শ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য এক হাজার ৫শ টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা বা তিন কেজি ৩শ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য এক হাজার ৬শ পঞ্চাশ টাকা, পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা বা তিন কেজি ৩শ গ্রাম বা এর সর্বোচ্চ বাজার মূল্য দুই হাজার ২শ টাকা ফিতরা দিতে হবে। দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, গম, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুসলমানরা নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এই পণ্যগুলোর যেকোনোও একটি পণ্য বা এর বাজার মূল্য দিয়ে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। উল্লেখ্য, উপরোক্ত পণ্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজারমূল্যের তারতম্য রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে। সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমান, শোলাকিয়া ঈদগাহের খতিব মাওলানা ফরীদ উদ্দিন মাসঊদ, জাতীয় মুফতি বোর্ডের সদস্য সচিব মো. নূরুল আমীন, লালবাগ মাদ্রাসার প্রধান মুফতি মো. ইয়াহিয়া, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদ্রাসার মাওলানা মো. আব্দুর রাজ্জাক, ঢাকা নেসারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী শনিবার-২৫ এপ্রিল শুরু হতে পারে পবিত্র মাহে রমজান। জ্যোতির্বিজ্ঞানের উদ্ধৃতি দিয়ে এ খবর দিয়েছে জিওনিউজ। এতে বলা হয়, (ভারত-বাংলাদেশ) ২০২০ সালের রমজানের প্রথম রোজা হবে ২৫ এপ্রিল। ২৪ এপ্রিল (শুক্রবার) রমজানের চাঁদ দেখা যাবে। যদিও ইসলামের যাবতীয় বিধান চাঁদ দেখার সঙ্গে সম্পৃক্ত। চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে শরিয়ত নির্দেশিত সাক্ষীর কথা গ্রহণযোগ্য হয়। ফলে মুসলিম বিশ্ব চাঁদ দেখেই পালন করবেন পবিত্র রমজান মাসের রোজা। এটাই ইসলামের নীতি।
ইসলামের রীতি অনুযায়ী চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল আরবি মাস। চাঁদ দেখার মাধ্যমেই সারাবিশ্বের মুসলিমরা মাসব্যাপী রোজা পালন করেন। আকাশ গবেষক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যাই বলুক না কেন, মুসলিম বিশ্ব চাঁদ দেখেই পালন করবেন পবিত্র রমজান মাসের রোজা। এটাই ইসলামের নীতি।যেহেতু রমজানের রোজা চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। ২৯ শাবান (২৪ এপ্রিল) যদি রমজানের চাঁদ দেখা যায় তবে ২৪ তারিখ তারাবিহ পড়ে ভোর রাতে সেহরি খেতে হবে। ২৫ এপ্রিল হবে রমজানের প্রথম রোজা। শাবান ৩০ দিন পূর্ণ হলে সে হিসেবে রমজানের প্রথম রোজা হবে ২৬ এপ্রিল।
এদিকে এ বছর বাংলাদেশে আরবি ১৪৪১ হিজরি সনের সপ্তম মাস রজব ৩০ দিন পূর্ণ হয়েছিল। সৌদি আরবে রজব মাস ছিল ২৯ দিনে। শাবন মাসে এসে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবধান দুদিনে এসে দাঁড়িয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
মুসলিম উম্মার ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা। রবিবার টঙ্গীর তুরাগ তীরে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। শেষ হয় ১২টায়।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মোনাজাত পরিচালনা করেন নিজামুদ্দিনের মাওলানা জামশেদ।
এর আগে বাদ ফজর উর্দুতে বয়ান করেন ভারতের নিজামুদ্দিনের মুরুব্বি ইকবাল হাফিজ। পরে তা বাংলায় অনুবাদ করেন ওয়াসিফুল ইসলাম। আর হেদায়েতি বয়ান করেন মাওলানা জামশেদ। তা বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা আশরাফ আলী।
এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই মুসল্লির ঢল নামে তুরাগ তীরে। লাখ লাখ মুসল্লি পায়ে হেঁটে ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। সকাল ১০টার আগেই ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মুসল্লিরা মাঠের আশপাশ, অলি-গলি, রাস্তা, বাসা-বাড়ি, কলকারখানা, দোকানের ছাদ, যানবাহনের ছাদ ও তুরাগ নদীতে নৌকায় অবস্থান নেন।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী ও আশপাশ এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার বিকাল পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত, টঙ্গী-কালীগঞ্জ সড়কের মিরেরবাজার থেকে স্টেশন রোড পর্যন্ত, কামারপাড়া থেকে আশুলিয়া পর্যন্ত এবং বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত সব ধরনের যানচলাচল নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তিনি বলেন, ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশ এলাকা কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছে।
|
|
|
|
|
|
|