মুন্সীগঞ্জে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হচ্ছে ইজতেমা
তারিথ
: ০৬-১২-২০১৭
সোহেল টিটু,মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি :
মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী ও ইছামতি নদীর পাড় ঘেঁষে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচটি ময়দান জুড়ে তাবলীগ জামাতের তিনদিন ব্যাপি আঞ্চলিক ইজতেমা।
বৃহস্পতিবার ফজর নামাজের পর থেকে শুরু হয়ে শনিবার ১২ টার দিকে আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই আসর। ১ লক্ষ মুসল্লিদের জন্য আয়োজিত ইজতেমাকে ঘিরে সব ধরনের সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ।মিরকাদিম পৌরসভার পাঁচটি বিশাল ময়দানে লাখো মুসল্লিদের জন্য পুরোপুরি ভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে এ সকল ইজতেমা ময়দান গুলো। আল্লাহ ও রাসুলের সন্তুষ্টির লক্ষে সেচ্ছায় এসে স্থানীয় তাবলীগ জামাতের সাথীরা সপ্তাহ জুড়ে দিনরাত শ্রম দিয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তুত করেছেন এই পাঁচটি ময়দান।এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন এসে প্রতিনিয়ত ইজতেমা এলাকায় ঘুরে ঘুরে পর্যবেক্ষণ করছেন।গত মঙ্গলবার দুপুরে ইজতেমার আয়োজক মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র শহিদূল ইসলাম শাহীন এবং পুলিশ প্রাশানের লোকজন পাঁচটি ময়দান পরিদর্শণ করেন।মিরকাদিম পৌরসভার মেয়র শহিদূল ইসলাম শাহীন বলেন,মিরকাদিমের মানুষ সবসময় অতিথীপরায়ন।মুন্সীগঞ্জের এই আঞ্চলিক ইজতেমা সফল করতে আমরা মিরকাদিম পৌরবাসী সর্বদা প্রস্তুত রয়েছি। ৬টি উপজেলার তাবলীগ জামাতের মুসল্লিদের সুবিধার্থে আমরা সকল ধরণের সুব্যবস্থা করেছি। এব্যপারে ইজতেমার পরিচালক ও প্রধান জিম্মাদার মো. ফজলুর হক জানান, এই পাঁচটি ময়দানকে চারটি ভাগে ভাগ করে ছয়টি উপজেলার মুসল্লিদের জন্য সুনিদিষ্ট ভাবে ভাগ করে দিয়ে প্রতিটি ময়দানের জন্য আলাদা করে জিম্মাাদার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে ।তিনি আরো জানান, ইজতেমা শেষে এই ময়দান থেকে তাবলীগ জামাতের তিনশ টিম পাঠানো হবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম বলেন, ইজতেমার ময়দান গুলো জুড়ে পুলিশের সংস্থার ৪ শতাধিক সদস্য ৮টি সিসি ক্যামেরা ও একটি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। পাশাপাশি ৩টি মেডিকেল ক্যাম্প,্একটি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট,৩৫০টি প্রসাবখানা,৫১২টি টয়লেটর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাছাড়া ৮টি মোটরের মাধ্যমে বিসুদ্ধ পানি সরবারহ,নদীর তীর ছাড়াও গোসলের জন্য ১৪টি বাত হাউজ ও ওযুর প্রর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ৮০টি মাইকের মাধ্যমে মূল বয়ানের মঞ্চ থেকে ৫টি ময়দানে একযুগে শব্দ সম্প্রচার করা হবে। আর এই ৫টি ময়দানের প্যান্ডেলকে আলোকিত করতে ২হাজার লাইট ব্যবহার করা হয়েছে।