জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ১২ ভাদ্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার এক বছর পর ১৯৭৬ সালের শোকের মাসেই এদিনে শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে গমন, পুষ্পার্পণ এবং ফাতেহা পাঠ ও পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা। বাংলা একাডেমি কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একক বত্তৃতার আয়োজন করেছে। বিকাল ৪টায় এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিত অংশগ্রহণ করবেন। কবি, সাহিত্যিক শঙ্খ ঘোষ নজরুলের মৃত্যু নিয়ে লিখেছেন, নজরুলের কথা আজ যখনই মনে পড়ে আমাদের, মনে পড়ে মিলনগত এই অসম্পূর্ণতার কথা। আর তখন মনে হয়, বাক শক্তিহারা তাঁর অচেতন জীবনযাপন যেন আমাদের এই স্তম্ভিত ইতিহাসের এক নিবিড় প্রতীকচিহ্ন। যে সময়ে থেমে গেলো তার গান, তাঁর কথা, তাঁর অল্পকিছু আগেই তিনি গেয়েছিলেন, ‘ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে, জাগায়োনা জাগায়োনা।’ রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ্য করে তাঁর এই কথাগুলো নজরুলকেই ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে শঙ্খ ঘোষ বলেন, ‘তাঁর কথাগুলো আমরা যেন ফিরিয়ে দিতে পারি তাঁকেই, ‘যেন আমরাই ওগুলি বলছি নজরুলকে লক্ষ্য করে।’ নজরুলের সৃষ্টিকর্ম প্রসঙ্গে নজরুল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, নজরুল ইতিহাস ও সময় সচেতন মানুষ ছিলেন যার প্রভাব তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তুরস্কে কামাল পাশার নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব আর ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের তরঙ্গকে নজরুল তাঁর সাহিত্যে বিপুলভাবে ধারণ করেছেন। সেই সময়ে ধর্মান্ধ মানুষদের তিনি পুনর্জাগরণের ডাক দিয়েছেন এবং এ ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল একজন বলিষ্ঠ নেতার মতো। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করে। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্বপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন।
|
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ১২ ভাদ্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনার এক বছর পর ১৯৭৬ সালের শোকের মাসেই এদিনে শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (সাবেক পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকালে শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে গমন, পুষ্পার্পণ এবং ফাতেহা পাঠ ও পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা। বাংলা একাডেমি কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে একক বত্তৃতার আয়োজন করেছে। বিকাল ৪টায় এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিত অংশগ্রহণ করবেন। কবি, সাহিত্যিক শঙ্খ ঘোষ নজরুলের মৃত্যু নিয়ে লিখেছেন, নজরুলের কথা আজ যখনই মনে পড়ে আমাদের, মনে পড়ে মিলনগত এই অসম্পূর্ণতার কথা। আর তখন মনে হয়, বাক শক্তিহারা তাঁর অচেতন জীবনযাপন যেন আমাদের এই স্তম্ভিত ইতিহাসের এক নিবিড় প্রতীকচিহ্ন। যে সময়ে থেমে গেলো তার গান, তাঁর কথা, তাঁর অল্পকিছু আগেই তিনি গেয়েছিলেন, ‘ঘুমাইতে দাও শ্রান্ত রবিরে, জাগায়োনা জাগায়োনা।’ রবীন্দ্রনাথকে উদ্দেশ্য করে তাঁর এই কথাগুলো নজরুলকেই ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে শঙ্খ ঘোষ বলেন, ‘তাঁর কথাগুলো আমরা যেন ফিরিয়ে দিতে পারি তাঁকেই, ‘যেন আমরাই ওগুলি বলছি নজরুলকে লক্ষ্য করে।’ নজরুলের সৃষ্টিকর্ম প্রসঙ্গে নজরুল বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, নজরুল ইতিহাস ও সময় সচেতন মানুষ ছিলেন যার প্রভাব তাঁর লেখায় স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। তিনি বলেন, তুরস্কে কামাল পাশার নেতৃত্বে প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা, রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব আর ভারতবর্ষে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের তরঙ্গকে নজরুল তাঁর সাহিত্যে বিপুলভাবে ধারণ করেছেন। সেই সময়ে ধর্মান্ধ মানুষদের তিনি পুনর্জাগরণের ডাক দিয়েছেন এবং এ ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা ছিল একজন বলিষ্ঠ নেতার মতো। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। নজরুলের কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করে। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তাঁর লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্বপরিবারে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচনে তিন পার্বত্য জেলায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। গতকাল বুধবার সকালে ৫ম উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত বিভাগীয় আইনশৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি বলেন, সুষ্ঠভাবে ভোটের লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে নির্বাচনী দায়িত্বে সেনাবাহিনীকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। কক্সবাজার সদর উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে। সেখানে বিজিবির পাশাপাশি সেনাবাহিনী ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবে। অনিয়ম সহ্য করা হবে না জানিয়ে ইসি সচিব, প্রথম ধাপের নির্বাচনে ২৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া অনিয়মের সঙ্গে জড়িত প্রিজাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ইসি সুষ্ঠ ভোট চাই। তাই অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি আওতায় আনা হয়েছে। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ইসি শাস্তির আওতায় আনবে। ভোটের সময় পর্যটন এলাকাগুলোতে যাতায়াতে নিরূৎসাহিত করা হবে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের দিন, আগে ও পরের দিন যাতে পর্যটক সেখানে না যান সে ব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। নির্বাচনকালীন রোহিঙ্গা ক্যাম্প সিলাগালা থাকবে জানিয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো সিলাগালা থাকবে। যাতে তাদের ব্যবহার করে কোনো অরাজকতা সৃষ্টির সুযোগ না থাকে। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, প্রথম ধাপে ৮৭টি উপজেলার মধ্যে ৭৮টি-তে ভোট হয়েছে। সেখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। কেউ আহত কিংবা নিহতও হয়নি। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম। সভায় আইনশৃংখলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগন উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপজেলা নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক আচরণ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহŸান জানান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম কবিতা খানম। কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বেগম কবিতা খানম বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ ও প্রক্রিয়া সুষ্ট রাখার দায়িত্ব কর্মকর্তাদের। রাষ্ট্র আপনাদের ওপর যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেটি সৎভাবে পালন করবেন। কোনো প্রলোভন যেন আপনাদের স্পর্শ না করে। প্রার্থীরা শুধু প্রার্থী হিসেবেই থাকবে। অন্যকোনো পরিচয়ে তারা যেন আপনাদের কাছে না পরিচিত না হয়। তাহলে পক্ষপাতমূলক আচরণের সুযোগ থাকবে না। আইনশৃংখলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে বেগম কবিতা খানম বলেন, নির্বাচন শুধু প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর জন্য নয়। ভোটারের নিরাপত্তা, ভোটাধিকার প্রয়োগসহ তফসিল ঘোষণা পর থেকে ফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা আইনশৃংখলা বাহিনীর দায়িত্ব। এজন্য কেউ যাতে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ করতে না পারে সে ব্যাপারে নজর রাখতে হবে। প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে ইসি বেগম কবিতা খানম বলেন, বাকী চার ধাপ যাতে সুষ্ট হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করতে হবে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, বড় একটি রাজনৈতিক দল উপজেলা নির্বাচন বয়কট করায় প্রথম ধাপে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে। তবে নির্বাচন ও ভোটের প্রতি তাদের অনীহার কোনো কারণ ঘটেনি। গতকাল বুধবার দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপে সিলেট জেলার ১২টি উপজেলা নির্বাচন নিয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কে এম নুরুল হুদা। এ সময় সিইসি বলেন, বড় একটি দল নির্বাচন বয়কট করেছে। আমার ধারণা, সে কারণে নির্বাচনে তাদের ভোটার আসেনি এবং নির্বাচনটা ওইভাবে প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ হয়নি। তবে নির্বাচন নিয়ে তাঁদের কোনো অনীহা ঘটেনি। তিনি বলেন, কত শতাংশ ভোট হলে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন, এর কোনো মাপকাঠি নেই। সবচেয়ে বেশি ভোট যিনি পাবেন, তিনিই নির্বাচিত হবেন। কতভোট পড়লো তা কমিশনের দেখার বিষয় না। যতো সংখ্যক ভোটার যাবেন ভোট দিতে, ততো সংখ্যকের ভোট নেওয়া হবে। তাদের ভোটে যারা নির্বাচিত হবেন, তারাই হবেন জনপ্রতিনিধি। মতবিনিময় সভায় সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ দায়িত্বশীল সবাইকে যথাযথভাবে কাজ করার আহŸান জানান সিইসি কে এম নুরুল হুদা। এ সময় নির্বাচনে কোনো অবস্থাতেই সহিংসতা বরদাশত করা হবে না বলে জানান সিইসি। তিনি বলেন, সহিংসতা বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো জানান, পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ সুষ্ঠু হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্বাচনটা ভালোভাবে করা সম্ভব হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের (১৮ মার্চ) নির্বাচনও সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করতে হবে বলে জানান তিনি। প্রশাসনের আন্তরিকতার ফলে ভোট উৎসব সুষ্ঠু হয়ে থাকে জানিয়ে সিইসি নুরুল হুদা বলেন, প্রত্যেক ভোটার বিনা বাধায় যেন পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, এ রকম পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে যেন কোনো ভোটারকে বাধা দেওয়া না হয়, সে বিষয়েও দৃষ্টি দিতে হবে বলে জানান তিনি। সিইসি আরো বলেন, ভোট গ্রহণ শেষে প্রত্যেক প্রার্থীর একজন করে এজেন্টের উপস্থিতিতে ভোট গণনা সম্পন্ন করে তার স্বাক্ষর নিতে হবে। রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তির আশঙ্কায় ইভিএম চালু করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে ব্যালট বাক্স বড় ঝামেলা। এজন্য ইভিএম চালু করলে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। যদিও ইভিএম চালু করার ব্যাপারে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত আছে। প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ইভিএম চালুর কথা বলেছি। কেননা, নির্বাচনের ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়, আগুন দেওয়া হয়, উপড়ে ফেলা, জোর করে সিল মারার ঘটনা ঘটে। আর আগের রাতে নির্বাচনের বাক্সে ভোট দেওয়া পুরনো ঘটনা। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে সিলেটে ইভিএম চালু করতে পারিনি। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে ১০টি উপজেলায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হবে। বিশেষ করে সদর উপজেলাগুলোতে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তার কারণ, সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা একটু ভাল। প্রাথমিক পর্যায়ে মানুষের সঙ্গে পরিচিতি করানোর জন্য এটা শুরু করব। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে পৌরসভা ও সংসদ আসনের উপনির্বাচনে পুরোপুরি ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হবে বলেও জানান সিইসি। নির্বাচন কমিশনার বলেন, নিষেধ অমান্য করে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ এমপি রতন এলাকায় থাকার বিষয়টি তার জানা নেই। তিনি (এমপি রতন) নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করেছেন কিনা, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিলেটে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সিলেটে নির্বাচনের পরিবেশ অনেক ভালো। সিলেট নিয়ে শঙ্কা খুব কম। এখানের মানুষ নিয়ম মেনে চলেন। নির্বাচনে এতোগুলো প্রার্থী দাঁড়ালেও অন্যান্য স্থানের মতো কোনো ধরনের সহিংসতা নেই। এর আগে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন সিইসি। সভায় বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, রেঞ্জ ও মেট্টোপলিটন পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আনসার ভিডিপিসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জয়-পরাজয় ভুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিক্ষার্থীরা সৌহার্দের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পাশাপাশি নির্বাচিতরা গণতন্ত্রের মূল্যবোধের চর্চা করবেন বলে আমি আশাবাদী। গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার স্থায়ী ক্যাম্পাস ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অষ্টম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। দীপু মনি বলেন, ২৮ বছর পরে হলেও ডাকসু নির্বাচন হওয়ায় আমরা আনন্দিত। আর ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়েই সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো গণতন্ত্রের চর্চা দেখতে পাবো। এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে স্কুল বয়স থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে চাই। ডাকসু নির্বাচন একটি হল ছাড়া সবগুলো হলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যে হলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, সেটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ও তদন্তের পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার মান ফিরিয়ে না আনলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। সমাবর্তনে পাঁচ হাজার ৬৩১ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ১৭ জন গ্র্যাজুয়েটকে স্বর্ণপদক দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে মন্ত্রী সমার্বতন শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, থাইল্যান্ডের সিয়ার ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ড. পর্নচাই মঙ্গখোনভানিত, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মাহবুব উল হক মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. একেএম ফজলুল হকম প্রমুখ।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, অনেক জায়গাতে মানুষের ভেতরে একটা ভীতি কাজ করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরাও কিন্তু পরোক্ষভাবে দায়ী। গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে উপজেলা নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে রফিকুল এসব কথা বলেন। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এই যে, মানুষের ভেতরে কথা বলা হচ্ছে যে, মানুষের ভেতরে একটা ভীতি কাজ করতেছে অনেক জায়গাতে। আসলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমরাও কিন্তু পরোক্ষভাবে দায়ী। আমরা এমন সব কাজ করেছি যেগুলো ঠিক না। অনেক সময় অত্যন্ত ছোট একটা ভুলে যদি আপনারা পড়ে যান। সেটাকে কিন্তু ভুল হিসেবে মানবে না। ওই সিচুয়েশনে কাউকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের ইচ্ছাটাকে ইমপ্লিমেন্ট করা হয়েছে এটা বলবে এবং এটা মেনে নিতে হবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে সচেতনতার সঙ্গে আপনাদের কাজ করতে হবে। এই নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ইভিএম মেশিন শুধু যারা ভোটগ্রহণ করবেন তাঁরাই ব্যবহার করবেন না। যারা ভোট দেবেন তাঁরাও ব্যবহার করবেন। এই ভোটারদেরও প্রশিক্ষিত করতে হবে, কীভাবে ভোট দিতে হয়। একই সঙ্গে তাদের সচেতন করতে হবে। একজন প্রশিক্ষককে সব ধরনের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যাতে সে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। রফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যানুয়ালি ভোটের ক্ষেত্রে আমরা বলে বলে ঠিক করার চেষ্টা করেছি সেটা হচ্ছে যে, ব্যালট পেপারের উল্টো দিকে সিল বা স্বাক্ষর মেরে রাখত ভোট শুরু হওয়ার আগে। জিজ্ঞাস করলে বলত যে, স্যার একটু কাজ করে রেখেছি, কাজ এগিয়ে রেখেছি। আমি প্রায় সময় বলি যে, নামাজ পড়াটা হচ্ছে আল্লাহর ইবাদত করা। কিন্তু ঈশার নামাজটা কি ফজরের সঙ্গে পড়ে নিতে পারবেন? বা জোহরের নামাজটা ফজরে সঙ্গে পড়ে নিতে পারবেন? পারবেন না। এটা অত্যন্ত ভালো কাজ কিন্তু তারপরও আল্লাহতাআলা এটা অ্যালাউ করেন নাই। সেই ক্ষেত্রে এখানেও একটু প্রবলেম আছে। এজন্য এগুলো আপনারা বারবার বলবেন যাতে প্রশিক্ষণার্থীদের কানে ঢুকে যায়। শুধু কানে নয়, মগজে, মননে ঢুকে যায়। নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, মনে রাখবেন, আইনকে কোনো সময় টেকনোলজির কাছে স্যারেন্ডার করাবেন না। টেকনোলজি ইজ টেকনোলজি, রুল ইজ রুল। টেকনোলজিকে রুলের উপরে স্থান দেওয়ার কোনো মানে হয় না। আইনে আছে কেন্দ্রভিত্তিক রেজাল্ট ঘোষণা দিয়ে আমরা একটি ফর্মে টাঙিয়ে দেব। আপনারা যদি কেন্দ্রে না করে কক্ষ থেকে রেজাল্ট দিয়ে দেন। আপনারা বলতে পারেন, কক্ষে করলাম তাতে এমন কী হয়েছে। কক্ষে করলাম, তারপর সবকক্ষ মিলিয়ে কেন্দ্রেরটা করে দিলাম। কেন এটি একটি অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ জানেন? একটা কক্ষে সর্বোচ্চ ৫০০ ভোটার থাকে। ওই কক্ষের রেজাল্ট যদি দেন এবং দেখা যায় যে, কোনো একটা প্রতীকে বা লোকের পক্ষে সব ভোট চলে গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই লোকটা পাস করতে পারেন নাই। ওই সামান্য কয়েকটা ভোটারের কি অবস্থা হবে জানেন? এসব ক্ষেত্রে ডিসি, এসপি থেকে শুরু করে ডিআইজি সবাই এসেও কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে না।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলেই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গতকাল মঙ্গলবার ওই স্কুল পরিদর্শন করে এর অধ্যক্ষ, শিক্ষক, অভিভাবক ও ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলার পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, একজন শিক্ষার্থী কতটা অপমানিত হলে, কতটা কষ্ট পেলে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেয়ৃ যে ঘটনাগুলো আমরা শুনেছি, এর পেছনের কথা শুনছি। ঘটনার পেছনে বা ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী রোববার পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকলসহ ধরা পড়। গত সেমাবার দুপুরে ঢাকার শান্তিনগরের বাসায় নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে মেয়েটি। স্বজনদের দাবি, ওই ঘটনার পর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নিয়ে ‘অপমান করেছিলেন’ অধ্যক্ষ। সে কারণে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করে। অরিত্রীর মৃত্যুকে বেদনাদায়ক ও মর্মান্তিক হিসেবে বর্ণনা করে নাহিদ বলেন, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষক মানসিক বা শারীরিকভাবে কোনো শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করতে পারেন না, এটি অপরাধ। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অভিযোগ ও ক্ষোভের বিষয়গুলো শুনেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তদন্ত কমিটিও এসব বিষয় বিবেচনায় নেবে বলে তিনি আশা করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের রুটিন দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব অরুণা বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব মো. মাহামুদ-উল-হক ও নাজমুল হক খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, কারিগরি ও মাদ্রসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ গতকাল মঙ্গলবার দুটি তদন্ত কমিটি করে। দুই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ওই ঘটনার তদন্তে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মো. ইউসুফকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। মাউশির ঢাকা আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন এবং ঢাকা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। আর ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস জানান, তাদের গঠিত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. আতাউর রহমান (অভিভাবক প্রতিনিধি)। এ ছাড়া তিন্না খুরশীদ জাহান (নারীদের জন্য সংরক্ষিত পদের অভিভাবক প্রতিনিধি) এবং ভিকারুননিসার শিক্ষক ফেরদৌসী বেগম। অধ্যক্ষ গতকাল মঙ্গলবার ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, নকল করার কারণে ওই শিক্ষার্থীকে টিসি দেওয়ার তথ্য সঠিক নয়। অরিত্রীকে কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচণা দিয়েছে কি না- তা তদন্ত কমিটি তদন্ত করে দেখবে বলে জানান অধ্যক্ষ। আর শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অভিভাবকরা মিছিল-টিছিল করছেন, বিষয়টা জটিল হয়ে গেল, আমি সেখানে যাচ্ছি। গতকাল (সোমবার) শুনেই আমি যথাসম্ভব তথ্য নিয়েছি। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমি তাদের বলেছি, আপনারা আইনগত দিকটা দেখেন, কারণ এরমধ্যে ক্রিমিন্যাল ব্যাপার আছে একটা। আর আমরা আমাদের বিষয়টা দেখব।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশের সকল মহাসড়ককে সার্বক্ষণিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পুরোটাই সিসিটিভির আওতায় আনতে চায়। যাতে ওই মহাসড়কের সারাদিনের ভিডিওচিত্র পর্যালোচনা করে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। পর্যায়ক্রমে অন্য মহাসড়কগুলোকেও সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি রেকার ও অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন ও সরঞ্জাম কেনার মাধ্যমে হাইওয়ে পুলিশকে আরো গতিশীল করারও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। তবে মহাসড়কগুলোতে সিসিটিভি বসানোর কাজটি শুরু করতে আরো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও আমদানি-রফতানি বাড়ানোর জন্য মহাসড়কগুলোয় শৃঙ্খলা ও নিরাপদ যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি। কারণ দেশের অর্থনৈতিক ক্রমবিকাশ ও অগ্রযাত্রায় মহাসড়কগুলোর পূর্ণ ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু সার্বিক অগ্রগতি ও উন্নয়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়ত যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ফলে মহাসড়কগুলোয় তৈরি হচ্ছে যানজট। ঘটছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চত করা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের হাইওয়ে ইউনিটের সক্ষমতা না বাড়ালে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। সে জন্য পুলিশ সদর দফতরের প্রস্তাবনা অনুযায়ী সরকার হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে। সূত্র জানায়, দেশের মহাসড়কগুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি দেশের মূল বাণিজ্যিক রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেজন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে সিটিটিভি ক্যামেরার আওতায় এনে সার্বক্ষণিক নজরদারির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন, ট্রাফিক জ্যাম ও সড়ক দুর্ঘটনাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। ফলে নাগরিকের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দেয়ার সক্ষমতা বাড়বে। প্রায় একবছর আগেই হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে আধুনিক সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় যানবাহন সংগ্রহের মাধ্যমে হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব করা হয়। ওই লক্ষ্যে স¤প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি ‘হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ নামে ২৪৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। সূত্র আরো জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হাইওয়েতে যানবাহনের গতিসীমা নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হবে। দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন ঘটনা ও বিষয়ে মামলার তদন্তের ক্ষেত্রেও সুফল পাওয়া যাবে। অস্ত্র ও মাদকপাচার রোধ ও চোরাচালান প্রতিরোধ করা যাবে এবং সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা পাওয়া যাবে। তখন মহাসড়কের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ বাড়িয়ে তোলা সম্ভব হবে। তাছাড়া আধুনিক টেকনোলজির মাধ্যমে সন্দেহজনক গতিবিধি শনাক্ত করা, অটোমেটিক নম্বর প্লেট শনাক্ত করা, উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরা বা সন্দেহজনক আচরণ শনাক্ত করার মাধ্যমে মহাসড়ককে যানজট মুক্ত রাখা যাবে। এদিকে দেশের মহাসড়কগুলোকে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসাসহ হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম জানান, প্রতিনিয়ত পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলছে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন মহাসড়ককে সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসার কাজ শুরু করতে আরও সময় লাগবে। কারণ সেগুলো বাস্তবায়ন করতে আরো অনেক ধাপ অতিক্রম করতে হবে। তবে সেটা বাস্তবায়িত হলে মহাসড়কের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে হাইওয়ে পুলিশ অনেক এগিয়ে যাবে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। তালিকা করে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ওসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা ছকও তৈরি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে ওই কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ না বলে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচনের দিন মাঠ পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ভোটকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের সোয়া লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। তাছাড়াও রিজার্ভ ফোর্স, কেন্দ্রভত্তিক মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে থাকবে। পুলিশ সদর দফতর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার একটি সমতল এলাকা ও অপরটি বিশেষ এলাকা হিসেবে ধরা হয়েছে। দুটি এলাকাতেই গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ হিসেবে কেন্দ্রগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচনে সারাদেশে মোট ভোটকেন্দ্রের ৬৪ দশমিক ১৩ ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। বাকি ৩৫ দশমিক ৮৭ ভাগ সাধারণ কেন্দ্র। পুলিশের তালিকায় একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা সারাদেশে ৪০ হাজার ২৭৩টি ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তার মধ্যে ২৫ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ১৪ হাজার ৪৪৬টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ওসব কেন্দ্রের মধ্যে দুর্গম এলাকায় এক হাজার ৬৩২টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্র জানায়, যেসব ভোটকেন্দ্রের সামনে প্রার্থী বা তার নিকটাত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে এমন কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যানুযায়ী গোলযোগ বা বিশৃঙ্খলা হতে পারে এমন কেন্দ্র, কোন প্রার্থীর পক্ষে কোন গোষ্ঠী অবৈধ প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে পারে তেমন সব কেন্দ্রকেই পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করেছে। তাছাড়া ভৌগোলিক অবস্থান ও ভোটকেন্দ্রের স্থাপনাকেও ওই বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশেষ এলাকার কেন্দ্র হিসেবে দুর্গম এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে পাহাড়ি এলাকা, চরাঞ্চল ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যাতায়াতে বিঘœ ঘটে তেমন এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলো রয়েছে। সূত্র আরো জানায়, পুলিশের করা তালিকায় ঢাকা মহানগর এলাকায় ২ হাজার ১১২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি ১ হাজার ২৬৭টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় ৫৯১টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৪৩টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৪৮টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। খুলনা মহানগর এলাকায় ৩০৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯৯টি সাধারণ কেন্দ্র পাওয়া গেলেও ২১০টিই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। রাজশাহী মহানগর এলাকার ১৯৬টির মধ্যে ১৬৮টিই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ও ২৮টি সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বরিশাল মহানগর এলাকার ১৯৭টির মধ্যে ৭১টি সাধারণ ও ১২৬টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সিলেট মহানগর এলাকার ২৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ২০২টি, অপর ৯১টিকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগর এলাকার ৪২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩৮টিই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে পুলিশ। মাত্র ৮৮ কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। রংপুর মহানগর এলাকার ১৯৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১৮টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ৮০টি সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাছাড়া ঢাকা রেঞ্জের জেলাগুলোর মধ্যে মোট কেন্দ্র রয়েছে ৭ হাজার ৩৩৪টি। তার মধ্যে ৪ হাজার ৭৪টিই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই রেঞ্জে ৩ হাজার ২৬০টি কেন্দ্রকে সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ৫ হাজার ৭৯৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩ হাজার ৮৮১টি গুরুত্বপূর্ণ এবং এক হাজার ৯১৭টি সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজশাহী রেঞ্জের ৪ হাজার ৮৯৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ২ হাজার ৮০৭টি গুরুত্বপূর্ণ ও ২ হাজার ৮৮টি সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাছাড়া ময়মনসিংহ রেঞ্জের ২ হাজার ৭১১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৭৫৩টি গুরুত্বপূর্ণ এবং ৯৫৮টি সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। রংপুর রেঞ্জের ৪ হাজার ১৪৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২ হাজার ৯০৭টি গুরুত্বপূর্ণ ও ১ হাজার ২৪১টি সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জের ৪ হাজার ৫২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ২ হাজার ৮৪৯টিই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ওই রেঞ্জে এক হাজার ৬৭৬টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বরিশাল রেঞ্জের ২ হাজার ৩৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৬৯৭টিই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ওই রেঞ্জে মাত্র ৬৩৪টি কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সিলেট রেঞ্জের ২ হাজার ১৮৩টি কেন্দ্রের এক হাজার ২৯৩টি গুরুত্বপূর্ণ ও ৮৯০টি সাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যা বেশি থাকবে। সেজন্য পুলিশের স্থানীয় ইউনিটগুলোর চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, পুলিশের দৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো কেন্দ্র নেই। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায়ও পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্যুৎ-জ¦ালানিসহ বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে জার্মানি আরও বিনিয়োগে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে দেশটির নতুন রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোলৎজ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাতে গিয়ে এই আগ্রহের কথা জানান নতুন রাষ্ট্রদূত। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে জার্মানির বিনিয়োগে রয়েছে। স¤প্রতি পায়রায় ৩৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এলএনজিভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মার্ণে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেছে জার্মানির কোম্পানি সিমেন্স। কক্সবাজারের মহেশখালীতেও সিমেন্সে একই ক্ষমতার আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র করার পরিকল্পনা করেছে। জার্মান রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিনিয়োগ সুবিধার জন্য তার সরকার ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতির সুবিধা নিয়ে জার্মান ব্যবসায়ীরা এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপন করতে পারে। বিদ্যুৎ-জ¦ালানি ছাড়াও রোহিঙ্গা সঙ্কট, বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থায়ন ও ই-পাসপোর্টের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নতুন রাষ্ট্রদূতের আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব। নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন পিটার। নিজেদের দেশেও শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তার দেশের ৭৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার কথা জানান। রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে জার্মানি ইতোমধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর কথা জানালে রাষ্ট্রদূত এ পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ ময়নুল আবেদিন উপস্থিত ছিলেন। ইতালির রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ: জার্মান রাষ্ট্রদূতের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা। প্রেস সচিব বলেন, হলি আর্টিজানসহ বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি তৎপরতা মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত। ২০১৬ সালে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় প্রায় ২০ জন বিদেশি নাগরিক নিহত হন; যাদের মধ্যে কয়েকজন ইতালির নাগরিকও রয়েছেন। ওই হামলার ঘটনার ‘দ্রæত বিচার’ শুরুর প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত। মারিও পালমা ঢাকার বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করেন। লালনের কিছু গান তিনি নিজে ইটালিয়ান ভাষায় অনুবাদের কথাও জানান। প্রধানমন্ত্রী এ সময় বলেন, তার সরকার গ্রাম ও হতদরিদ্র মানুষের জীবনমান পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী তার ইতালি সফরের সময় দেশটির আতিথেয়তার প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে হলফনামার তথ্য প্রকাশের তা পর্যালোচনা করে মিথ্যা তথ্য পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা নির্বাচনের নমিনেশন পেপার দাখিল করবেন, এই নমিনেশন পেপারের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা ওয়েবসাইটে প্রকাশ হওয়ার পর তখন এটা পাবলিক ডকুমেন্ট।’
মঙ্গলবার দুদক কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ এখন দুর্নীতি বন্ধ চায়। দেশে দুর্নীতি আছে এটা সত্য। এখন যারা আমাদের জনপ্রতিনিধি হবেন, তারা সৎ নিষ্ঠাবান হবেন এটাই প্রত্যাশা মানুষের। এর প্রথম ধাপ হচ্ছে সব প্রার্থী সৎভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের সম্পদের হিসাব নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী দাখিল করবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোয়নপত্র দাখিল করা প্রার্থীরা যদি তাদের হলফনামায় সম্পদ বিবরণীর ভুল তথ্য দেয় তাহলে দুদকের করণীয় কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন। আমার বিশ্বাস নির্বাচন কমিশন বিষয়টি দেখবে। যেহেতু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় হলফনামার মাধ্যমে প্রার্থীদের নিজের এবং পোষ্যদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়টি বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে হলফনামায় অবৈধ সম্পদের কোনো বিষয় থাকলে বিষয়টি দুদকের তফসিলভুক্ত, তাই মনোয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের সম্পদ বিবরণী দুদক পর্যবেক্ষণ করবে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কোনো প্রার্থী সরকার বা সাংবিধানিক বা বিধিবদ্ধ কোনো সংস্থার কাছে অসত্য তথ্য দেবেন না। প্রার্থীদের দেয়া এসব তথ্য দুদক সংগ্রহের চেষ্টা করবে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ যেসব সংস্থা সম্পদ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখভাল করে তাদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। তবে এই প্রক্রিয়া হলফনামা পাওয়ার পরই শুরু করা হবে জানালেও ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষ সৎ ও নৈতিকতাসম্পন্ন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তা না হলে দেশের অগ্রগতিকে টেকসই করা যাবে না। এক্ষেত্রে দুদক আইন অনুসারে দায়িত্ব পালন করবে।
সাংবাদিকরা আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন উপলক্ষে দুদক চেয়ারম্যান এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের মানুষ দুর্নীতি চায় না, দুর্নীতিমুক্ত সরকারি সেবা চায়। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে আমাদের শপথ হবে, দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করা।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় জানিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ৫-৭ জনের বেশি লোকবল নেওয়া যাবে না। একইসঙ্গে কোনো মিছিল, শোডাউন করা যাবে না। এর ব্যত্যয় হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো ধরনের শোডাউন, মিছিল, মশাল-মিছিল করা যাবে না। প্রার্থিরা প্রচারণার কাজ চালাতে পারবেন প্রতীক বরাদ্দের পর অর্থাৎ ১০ ডিসেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা চালাতে পারবেন। এর আগে কেউ কোনো ধরনের প্রচার চালাতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে মিছিল, মশাল-মিছিল, মোটর সাইকেল, ট্রাক, বাসহ কোনো যানবাহন সহকারে মিছিল বা মশাল মিছিল বা শোডাউন করতে পারবে না। আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। কারো বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, মন্ত্রীরা সরকারি গাড়ি করে এবং পতাকা লাগিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারবে না। সংসদ সদস্যরাও সরকারি সুবিধা নিয়ে বা গাড়িতে এ-সংক্রান্ত স্টিকার লাগিয়ে নির্বাচনী প্রচার কাজ চালাতে পারবে না। তিনি বলেন, শুধুমাত্র দলীয় প্রধান নির্বাচনী কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে হেলিকপ্টার থেকে কোনো প্রকার লিফলেট বা প্রচার সামগ্রী ফেলা যাবে না। দলীয় প্রধান যেহেতু বিভিন্ন স্থানে যান, সেজন্য তিনিই কেবল হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিন আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন। সচিব এ বিষয়ে বলেন, তিনি নির্বাচনের অংশ নিতে পারবেন কি না, তা আদালতের বিষয়। আমাদের কিছু করার নেই। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর। একাদশ সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অর্থাৎ, জেলা প্রশাসক বা বিভাগীয় কমিশনারদের ব্রিফ না করতে সরকারকে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ক্ষেত্রে তাদের কেবল নির্বাচন কমিশনই ব্রিফ করবে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান। তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নির্বাচন কমিশনের এ-সংক্রান্ত পাঠানো হয়েছে। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের ব্রিফ করতে পারবেন না, এমন কোনো নির্দেশনা জারি করা হয়নি। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশন ছাড়া অন্য কেউ ব্রিফ করতে পারবেন না, সে নির্দেশনা মন্ত্রিপরিষদকে দেওয়া হয়েছে। কাজেই রিটার্নিং কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে বা ব্রিফ করতে কোনো বাধা নেই। যেহেতু রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনের অধীন, তাই সরকারের কোনো মন্ত্রণালয়, দফতর তাদের ব্রিফ করতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কেবল নির্বাচন কমিশনেই ব্রিফ করবে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। স¤প্রতি বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে অভিযোগ করা হয়-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের ডেকে নিয়ে ব্রিফ করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তাই নির্বাচন কমিশন মন্ত্রিপরিষদকে ওই নির্দেশনা দেয়। নির্দেশনায় বলা হয়, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদেন চাকরি বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের অধীন। তাই নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত তারা ইসির অনুমতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। এ ছাড়া সকারের উন্নয়ন, প্রশাসনিক বা নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো ব্রিফে অংশ নিতে পারবেন। স্থানীয় সরকার প্রধানদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নিয়ে ইসি সচিব বলেন, দÐবিধির ২১ ধারা অনুযায়ী, সাংবিধানিক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত নয় এমন ব্যক্তি যিনি লাভজনক পদে আছেন, তাকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আইন অনুযায়ী, সিটির মেয়ররা আগে থেকেই স্বপদে থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। আর পৌরসভা মেয়রা পদে থেকে নির্বাচন করতে আদালতের আদেশ নিয়েছেন। তাই তাদের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই। তবে অন্য কোনো স্থানীয় সরকার প্রধানরা পারবেন না। সচিব বলেন, সরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান কোনো নিয়মিত, স্থায়ী পদ না। তাই তারা স্বপদে থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সচিব আরো বলেন, আজ (গতকাল মঙ্গলবার) আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বাজেট নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম। সেখানে আমরা বলেছি আগামি সাতদিনের মধ্যে নিজ নিজ বাহিনীর বাজেট প্রস্তাবনা দেওয়ার জন্য। এ ক্ষেত্রে আনসার বাহিনীকে পুরো টাকা অগ্রিম দেবো। পুলিশ, বিজিবিসহ অন্যান্যের ৫০ শতাংশ অগ্রিম দেওয়া হবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নির্বাচন কমিশনের সম্মতি ছাড়া কর্মস্থলের বাইরে যেতে মানা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত ও প্রতিপালন করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককেও চিঠির অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। গত ৮ নভেম্বর ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জেলা প্রশাসককে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। ইসির উপ-সচিব আবদুল হালিম খান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে- ‘নির্বাচনকালীন সময়ে রিটার্নিং অফিসারের চাকরি নির্বাচন কমিশনে ন্যস্ত থাকায় তাদেরকে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি ছাড়া কর্মস্থল ত্যাগ অথবা সরকারের কোনো উন্নয়ন অথবা প্রশাসনিক এবং নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো ব্রিফিংয়ে অংশগ্রহণ না করার বিষয়ে ইসি নির্দেশ দিয়েছেন’। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর। বিএনপি গতকাল মঙ্গলবার ইসিতে পাঠানো একটি চিঠিতে অভিযোগ করে, গত ১৩ নভেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তারা ইসির নির্দেশনামূলক সভায় অংশ নেওয়ার পর তাদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘ডেকে নিয়ে ব্রিফিং করা হয়েছিল’। এ ধরনের আচরণ সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিরাট অন্তরায় উল্লেখ করে চিঠিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’য়ের জন্য অশনি সংকেত। পরবর্তীতে ১৪ দল বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিং করার অভিযোগ কাল্পনিক। এ ধরনের অভিযোগের মধ্যে ২০ নভেম্বর ইসি সচিব হেলালুদ্দীন জানান, নির্বাচন কমিশন ছাড়া কোনো মন্ত্রণালয় যাতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ডেকে নিয়ে সভা না করে, সেজন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নির্দেশনা পাঠানো হচ্ছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক,ফাইল ছবি :
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এতে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিকের মজুরি এখনকার চেয়ে ৫১ শতাংশ বাড়ল। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১ ডিসেম্বর ৫ হাজার ৩০০ টাকা নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করে দেওয়ার পর সেই হারে বেতন পাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। নতুন বেতন কাঠামোর দাবিতে আন্দোলনের মুখে গত ১৩ সেপ্টেম্বর পোশাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি আট হাজার টাকা করার কথা জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তবে ওইদিন নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। নতুন করে পোশাক শ্রমিকদের জন্য সাতটি ও কর্মচারীদের জন্য চারটি গ্রেড নির্ধারণ করা হয়েছে। শ্রমিকদের সপ্তম গ্রেডে নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে আট হাজার টাকা। এরমধ্যে মূল মজুরি চার হাজার ১০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া দুই হাজার ৫০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৬০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৩৫০ টাকা, খাদ্য ভাতা ৯০০ টাকা। শ্রমিকদের প্রথম গ্রেডে মজুরি ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৫১০ টাকা। শিক্ষানবিশ শ্রমিকরা মাসে সর্বসাকুল্যে পাঁচ হাজার ৯৭৫ টাকা পাবেন, শিক্ষানবিশকাল হবে তিন মাস। অন্যদিকে পোশাক শিল্পের কর্মচারীদের চতুর্থ গ্রেডে আট হাজার ৩৭৫ টাকা ও প্রথম গ্রেডে ১৪ হাজার ৭৫ টাকা নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মচারী মাসে সব মিলিয়ে ছয় হাজার ১৬৪ টাকা পাবেন, শিক্ষানবিশকাল হবে ছয় মাস। পোশাক শ্রমিকরা দ্বিতীয় গ্রেডে ১৪ হাজারে ৬৩০ টাকা, তৃতীয় গ্রেডে ৯ হাজার ৫৯০ টাকা, চতুর্থ গ্রেডে ৯ হাজার ২৪৫ টাকা, পঞ্চম গ্রেডে ৮ হাজার ৮৫৫ টাকা ও ষষ্ঠ গ্রেডে ৮ হাজার ৪০৫ টাকা পাবেন। অন্য পোশাক কর্মচারীরা দ্বিতীয় গ্রেডে ১১ হাজার ৩০০ টাকা ও তৃতীয় গ্রেডে ১০ হাজার ৭৭৫ টাকা নূন্যতম মজুরি পাবেন। সব গ্রেডেই মূল মজুরি ও বাড়ি ভাড়া ভাতা ছাড়াও নূন্যতম মোট মজুরির মধ্যে ৬০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা, ৩৫০ টাকা যাতায়াত ভাতা ও ৯০০ টাকা খাদ্য ভাতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। গেজেটে বলা হয়েছে, কোনো শ্রমিককে এই নূন্যতম মজুরির চেয়ে কম মজুরি দেওয়া যাবে না। এই মজুরির চেয়ে বেশি হারে মজুরি দিলে তা কমানোও যাবে না। শ্রমিকরা প্রতি বছর মূল মজুরির পাঁচ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন। মালিকরা এ সুবিধা দিতে বাধ্য থাকবেন বলেও গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
‘ওয়ান ম্যান কোম্পানি’ গঠনের অনুমতির বিধান রেখে কোম্পানি (সংশোধনী) আইন-২০১৮ এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সচিবালয়ে গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, প্রস্তাবিত এই আইনে বলা হয়েছে, একজন ব্যাক্তি ‘ওয়ান ম্যান কোম্পানি’ গঠন করতে পারবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রস্তাবিত কোম্পানি আইনের সংশোধনীতে একটি নতুন ধারণা আনা হয়েছে। যা দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে এতোদিন ছিল অনুপস্থিত। আমাদের বর্তমান আইনে এই ধারণা ছিল না। তবে বিশ্বের অনেক দেশে এই আইন আছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, আইনে আইনি কাঠামোর মধ্যে ‘ওয়ান ম্যান কোম্পানি’ নিয়ে আসার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান আইনে সর্বোচ্চ ৫০ জন সদস্য নিয়ে একটি লিমিটেড কোম্পানি গঠনের বিধান রয়েছে। তবে এই বিধান ওয়ান ম্যান কোম্পানি গঠনের ক্ষত্রে প্রযোজ্য হবে না। কেবল একজন ব্যক্তি এ ধরনের একটি কোম্পানি গঠন করতে পারবে। শফিউল আলম বলেন, চলচিত্র ও টেলিভিশনের মতো গনমাধ্যমের আরো বিকাশে মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ ফিলম এÐ টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (সংশোধনী আইন) ২০১৮ এর খসড়ার চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, আগে চলচ্চিত্রের সংজ্ঞা বলা ছিল- সেলুলয়েড, এনালগ, ডিজিটাল বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে নির্মিত চলচ্চিত্র। এখন সেখান থেকে ‘এনালগ’শব্দটি বাদ দিয়ে নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, চলচ্চিত্র অর্থ সেলুলয়েট, ডিজিটাল বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে নির্মিত চলচ্চিত্র। তিনি বলেন, ‘বর্তমান আইনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের পরিচালনা পর্ষদে কমপক্ষে পাঁচজন এবং সর্বোচ্চ সাতজন বরেণ্য ব্যক্তিকে সরকার মনোনীত করত। সেখানে পরিবর্তন করে সরকার কর্তৃক মনোনীত ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষক, একজন চলচ্চিত্র নির্মাতাসহ কমকক্ষে চারজন এবং সর্বোচ্চ ছয়জন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বরেণ্য ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে। ফলে এ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক প্রতিনিধি নিশ্চিত হবে সঙ্গে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সম্পৃক্ততা থাকবে।’ পরিচালনা পর্ষদে সরকার মনোনীত ‘বিশিষ্ট সাংবাদিক’ শব্দ পরিবর্তন করে ‘গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব’শব্দ সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। শফিউল আলম বলেন, ‘পরিচালনা পর্ষদে সরকার মনোনীত সদস্যদের মেয়াদ তিন বছর থাকলেও তা কমিয়ে দুই বছর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ গভর্নিং বডির মেয়াদ কমিয়ে দুই বছর করা হচ্ছে।’ এছাড়া সরকার মনোনীত ‘বেসরকারি গণমাধ্যমের একজন প্রতিনিধির জায়গায় ‘বেসরকারি’শব্দটি বিলুপ্ত করে ‘সরকার কর্তৃক মনোনীত গণমাধ্যমের একজন প্রতিনিধি’ করা হয়েছে। ‘পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদও নতুন খসড়ায় তিন বছরের স্থলে দুই বছর করা হয়েছে,বলেন তিনি। এদিনের মন্ত্রিসভা ১২ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস’র (ন্যাশনাল ইনফরমেশন এÐ কমিউনিকেশন টেকনোলজি ডে) স্থলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে উদযাপনের একটি প্রস্থাবেও সম্মতি প্রদান করে। বৈঠকের শুরুতে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী দুইশত বছরের একটি পুরনো ভাসমান ‘চালের হাট’র আলোকচিত্র উপহার দেন। বরিশালের বানরিপাড়ার সন্ধ্যা নদী থেকে কৃষিমন্ত্রী এই ভাসমান হাটের আলোকচিত্রটি সংগ্রহ করেন এবং বলা হয়ে থাকে এটি এই অঞ্চলের বৃহত্তম চালের হাট।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক আগামি ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সভার সদস্যদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার ২০১তম বৈঠক হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামি ৩ ডিসেম্বর গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার শেষ বৈঠক হবে। তফসিল অনুযায়ী, আগামি ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট হবে। ওই মন্ত্রী বলেন, দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মন্ত্রিসভার সদস্যদের এলাকায় সময় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তফসিল ঘোষণার পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পরেও মন্ত্রিসভার বৈঠক অব্যাহত থাকবে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা না হলেও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলে আসছেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনকালীন সরকারের কর্মকাÐ শুরু হয়ে গেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে গত ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন সন্ধ্যায় ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। ৬ নভেম্বর পদত্যাগপত্র দিলেও তা এখনও গৃহীত না হওয়ায় এই চার মন্ত্রী সোমবারের মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন। কবে নাগাদ এদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হতে পারে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি। পদত্যাগপত্র জমা দিলেও তা গ্রহণ না করা পর্যন্ত এই চারজন মন্ত্রীকে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে গত ৭ নভেম্বর নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর থেকে তারা দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন।
|
|
|
|
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, আমরা চাই একটি নির্বাচন। আমরা চাই না সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত হোক এবং সেখানে কোনোরকম রক্তপাত হোক অথবা প্রাণহানি হোক।মগতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তিন দিনব্যাপী ব্রিফিংয়ের শেষ দিনের কার্যক্রম উদ্বোধনকালে সিইসি এ কথা বলেন। নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে কে এম নুরুল হুদা বলেন, এবারের নির্বাচন কোনোভাবেই যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সে জন্য আচরণবিধি অনুযায়ী দৃঢ়ভাবে দায়িত্ব পালন করে যেতে হবে। সিইসি বলেন, এই ওরিয়েন্টেশনের মাধ্যমে আপনাদের অবস্থান আমরা জানলাম। আমাদের অবস্থানও আপনারা জানলেন। আমাদের অবস্থান হলো আমরা সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ একটা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে চাই। অবাধ মানে ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবে, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়িতে যাবে এবং বাড়িতে গিয়ে নিরাপদে বসবাস করবেন। আর চারদিকের পরিবেশ নিরাপদ রাখার দায়িত্বে আপনারা থাকবেন। ভোটের মাঠে নির্বাচনী আচরণবিধির প্রতিপালন নিশ্চিত করতে গিয়ে পরিস্থিতি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, সে বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সতর্ক থাকার পরমর্শ দেন নূরুল হুদা। কোনো ‘বিভ্রান্তিকর বা ব্রিব্রতকর’ পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে ‘ধৈর্য্য, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতার’ সঙ্গে তা মোকাবিলা করার আহŸান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, নির্বাচনের পূর্বে ও পরে আপনাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে থাকতে হবে এবং তাদের পরিচালনা করতে হবে। আচরণবিধি প্রয়োগ করতে গিয়ে এমন কিছু করবেন না যেন একটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। কখনও আইনকানুনের অবস্থা থেকে বিচ্যুত হবেন না। নির্বাচন ঘিরে আগে ও পরে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী, দলসহ সংশ্লিষ্ট সবাই কী করতে পারবে আর কী পারবে না- তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে আচরণ বিধিমালায়। নিয়ম ভাঙলে শাস্তির বিধানও রয়েছে সেখানে। ভোটের সময় স্বাভাবিকভাবেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আসে প্রতিদ্ব›দ্বী পক্ষগুলোর কাছ থেকে। কখনও কখনও আইনের তোয়াক্কা না করে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে দেখা যায় প্রভাবশালী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের। আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা তাৎক্ষণিকভাবে দোষীদের আইন অনুযায়ী সাজা দিতে পারেন। এ ধরনের পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে- সে বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিক নির্দেশনা দেওয়া হয় ব্রিফিংয়ে। কে এম নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচনের দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। সেদিনটা আপনাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সময় আপনাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। আপনাদের বিচলিত করে, অনেক সময় আপনাদের নানা কারণে উসকানিমূলক পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। আপনাদের মিসগাইডিংয়ের মধ্যে ফেলে দেয়। সেই সমস্ত অবস্থা আপনাদের বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতা, ক্ষিপ্রতার মাধ্যমে এগুলো বুঝতে হবে যে, আসলে অবস্থা কী? কোন ঘটনা সত্য বা মিথ্যা, তা আপনাদের বুঝতে হবে। আধুনিক এই যুগে কেন্দ্র, প্রিসাইডিং অফিসার, আপনাদের সহকর্মী যাঁরা থাকবেন, তাঁদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ থাকতে হবে। যাতে তাৎক্ষণিকভাবে সেই এলাকার অবস্থা জানতে পারেন। এ দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আপনাদের কাজ, যাঁরা দেশের শাসনভার গ্রহণ করবেন। যাঁরা মহান জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। যাঁরা মন্ত্রী, স্পিকার হয়ে দেশ পরিচালনা করবেন। নির্বাচনে যাঁরা অংশগ্রহণ করবেন, তাঁরা প্রত্যেকে সম্মানিত ব্যক্তি। আমি জানি, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা আপনাদের কখনো বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলবেন না। তাঁদের ওপর আস্থা রাখবেন, তাঁদের কথা শুনতে হবে। সিইসি বলেন, কখনো ধৈর্যচ্যুত হলে চলবে না। কোনো বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে সহনশীল থাকতে হবে এবং বুঝে, জেনে, শুনে অ্যাকশনে যেতে হবে। চরম অ্যাকশন যেটা বলা হয়, সেটাকে যতদূর পারেন আপনারা নিজেদের বিবেচনায় সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ যদি করতে পারেন, তাহলে পরিবেশ-পরিস্থিতি শান্ত হবে। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা চাই একটা নির্বাচন। আমরা চাই না সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত হোক এবং সেখানে কোনোরকম রক্তপাত হোক অথবা প্রাণহানি হোক। এগুলোকে সামলানোর জন্য, দেখভাল করার দায়িত্ব আপনাদের। নির্বাচনের দিন, নির্বাচনের আগে এবং পরে এই সময় আপনাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে থাকতে হবে। তাদের পরিচালনার দায়িত্বে আপনাদের থাকতে হবে। সিইসি আরো বলেন, আচরণবিধি ভালোভাবে রপ্ত করবেন। আচরণবিধি প্রয়োগ করতে গিয়ে যেন এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে একটা নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বারবার বলি আপনারা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট। সুতরাং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আপনাদের কাজ করতে হবে। যাতে কখনো নির্বাচনের পরিবেশ-পরিস্থিতি ব্যাহত হয়। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা নির্বাচন করব। নির্বাচন উঠিয়ে নিয়ে আসব। সেখানে সেই পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এই দায়িত্বটুকু আপনাদের পালন করতে হবে। সেটা পালন করতে হবে দক্ষতার সঙ্গে, জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে এবং পালন করতে হবে আচরণবিধি এ-সংক্রান্ত কিছু আইনের ধারা আয়ত্তের মাধ্যমে। কে এম নুরুল হুদা বলেন, এবারের নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। আমরা সেটাকে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। নিরপেক্ষতা থাকতে হবে এবং ক্ষিপ্রতা থাকতে হবে। কখনো নিজেদের আইনকানুনের অবস্থান থেকে চ্যুত হবেন না এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনাদের ধৈর্যসহকারে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। কাউকে বিরক্ত করে বা বিরাগভাজন হয়ে নয়।
|
|
|
|
|
|
|